দুবনা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
Wednesday, December 10, 2025
গন্তব্য
অনেক অমিলের পরেও ইউনূস সরকার বা জামায়াত শিবির এবং বামপন্থী বিশেষ করে সিপিবির মধ্যে একটা গভীর মিল বা মিতালী আছে। উগ্র ডানপন্থীরা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না আর বামেরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে কোন আঁতাত করতে চায় না। ঘটনা দুটি কাকতালীয় হলেও গন্তব্য এক। এবং সেটা মৌলবাদের ক্ষমতায়ন - বামপন্থী মৌলবাদ নয় চরম দক্ষিণপন্থী।
Sunday, December 7, 2025
অনুভূতি
যাচ্ছিলাম আরিয়ানের সাথে দেখা করতে মেট্রো এয়ার পোর্টে। ও দেশ থেকে আমার জন্য একটা প্যাকেট নিয়ে এসেছে।
ইদানিং পায়েরা আর শরীরের ভার তেমন বইতে চায় না। আলসেমি করে। ওদের এই দশা দেখে পদোন্নতির আশা ছেড়ে দিয়েছি অনেক দিন। যাহোক দেখলাম দুই মধ্যবয়সী ছেলের মাঝে সীটটা একেবারে বেদখল হয়ে যায়নি। তাই বসে পড়লাম। জীবনে প্রথমবারের মত নিজেকে বেশ মোটাসোটা মনে হল। শুনেছি বড়লোকদের সাথে ওঠাবসা করলে নিজেকে বড়লোক মনে হয়। এখন দেখি মোটাসোটা মানুষের মাঝে বসলেও নিজেকে মোটাসোটা মনে হয়। যারা নিজেদের কাবু মনে করেন এটা ট্রাই করতে পারেন।
মস্কো, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রশ্ন
ফেসবুকে এক মোল্লার বয়ান শুনলাম, - "যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।" মনে পড়ে গেল ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের কথা। সেখানেও সোনার বাংলা, ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা এসব গান গেয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। এভাবেই রবীন্দ্রনাথ সহ পঞ্চ কবির গান, শেখ মুজিবের ভাষণ নকল করে রাজাকাররা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে এদেশের মাটি থেকে রবীন্দ্রনাথ, মুজিবদের নাম মুছে ফেলার জন্য। ধর্মের নামে মিথ্যাচার করে দিনের শেষে এরা ধর্মকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এরা যদি বিশ্বাসঘাতক ও ধর্মদ্রোহী না হয় তবে কে?
মস্কোর পথে, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
Friday, December 5, 2025
আনন্দ
কথায় আছে গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন যদি গাছ হয় তবে এখনও সেটা শুধুই পরিকল্পনায়, জায়গা দেখা হচ্ছে, এরপর মনমতো নার্সারি থেকে চারা কেনা হবে তারপর তো গাছ লাগানো। এদিকে সব দল নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে বসে আছে। আমেরিকায় দলের ভেতরে আগে প্রাইমারি নির্বাচন হয়। কে জানে বাংলা-পাকি-আমেরিকান রিয়াজালী এখানেও সেটা চালু করতে চাইছে কিনা? তবে নির্বাচন নিয়ে যারা জীবনেও জিততে পারবে না এরকম হবু প্রার্থীদের উত্তেজনা দেখে ভালোই লাগছে।
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রশ্ন
বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির দিকে খেয়াল করলে কতগুলো ধারা বা স্রোত স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় -
১) ভারত বিরোধী ও ভারতপন্থী ;
২) পাকিস্তান বিরোধী ও পাকিস্তান পন্থী;
৩) বাংলাদেশ বিরোধী।
বাংলাদেশ বিরোধী বলতে আমি তাদেরই বুঝি যারা
১) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ,
২) বাহাত্তরের সংবিধান ও
৩) স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে শেখ মুজিবকে অস্বীকার করে।
সবচেয়ে যেটা অবাক করে তা হল বাংলাদেশ পন্থীদের মানে যারা উপরের তিনটি ধারাকে প্রশ্নাতীত ভাবে স্বীকার করে, তাদের অনুপস্থিতি।
এমতাবস্থায় দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হবার সুযোগ আছে কি?
দুবনা, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Thursday, December 4, 2025
বাস্তবতা
কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে পুতিনের ভারত সফর নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। শক্ত মেরুদণ্ডের অধিকারী কোন দেশ এখন আর পুরানো জমিদারদের কথা কানে তোলে না, শুধু ভদ্রতার খাতিরে এড়িয়ে যায়। আর যারা মেরুদণ্ডহীন তারা এ নিয়ে দুকথা বলে পুরানো মনিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় আর এই সুযোগে উঠতি মেরুদের বিরুদ্ধে দুকথা বলে নিজেদের নপুংশতা ঢাকার চেষ্টা করে।
দুবনা, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Wednesday, December 3, 2025
সমস্যা
এক প্রশ্নের উত্তরে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন "আমাদের ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই। তবে ইউরোপ যদি শুরু করে আমরা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।" ইউরোপের পত্র পত্রিকা এই খবর পরিবেশন করছে এভাবে - "পুতিন ইউরোপের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।" ভাবার কোন কারণ নেই যে ইউরোপের নেতারা বা সাংবাদিকরা পুতিনের পুরো প্রেস কনফারেন্স দেখেনি তবে ইচ্ছে করে সেটাই প্রকাশ করছে যা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে সহায়ক। আসলে সবক্ষেত্রেই এরকম। ঠিক যেটুকু দরকার সেটা শোনা, সেভাবে ব্যাখ্যা করা। মানুষ, বিশেষ করে যাদের উপর দেশের ও দশের ভালোমন্দ নির্ভর করে, যদি সঠিক ভাবে সব কথা শোনার, বোঝার ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার চেষ্টা করত সমাজে অনেক সমস্যা সমাধান এমনিতেই হয়ে যেত, এমনকি অনেক সমস্যার উদ্ভবই হত না।
দুবনা, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Sunday, November 30, 2025
রাজনীতি
রাজনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল আপোষ করার মানসিকতা ও ক্ষমতা। গণতান্ত্রিক রাজনীতি মানেই একাধিক রাজনৈতিক দল ও তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা। আপোষ করা মানে পরাজয় স্বীকার করা নয়, এর মানে স্বল্প শক্তি খরচে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিছু ছাড় দিয়ে কিছু অর্জন করা যখন আপোষকামী সকল পক্ষই কিছু কিছু ছাড় দেয়। আপোষ না করা মানে প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা যা গণতন্ত্রকেই হত্যা করে, স্বৈরাচারের জন্ম দেয়। তাই যখন রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের আপোষহীন বলে ঘোষণা করেন তখন তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে সন্দেহ জাগে মনে। আর সমর্থকরা নেতাদের আপোষহীন তকমা দিয়ে আসলে রাজনৈতিক ভাবে তাদের স্বৈরাচারী হতে অনুপ্রাণিত করে।
মস্কো, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
ফ্যামিলি ট্রি
সেদিন একজন জিজ্ঞেস করল
- আচ্ছা, তোমার কী মনে হয়, পৃথিবীতে গণতন্ত্রের এমন দুর্দশা হল কীভাবে?
- এটা বুঝতে হলে তোমাকে গণতন্ত্রের বংশ বৃক্ষ বা ফ্যামিলি ট্রি স্টাডি করতে হবে।
- যেমন?
- জানতে হবে গণতন্ত্রের মা কে? কে তার কন্যা? আর মা ও কন্যার জীবন বৃত্তান্ত অনুশীলন করলেই বুঝবে কেন আজ গণতন্ত্রের এই বেহাল।
মস্কো, ৩০ নভেম্বর ২০২৫
শুধু স্রোতে ভাসা
কিছু লোককে সবসময় ঠকানো যায় কিংবা সব লোককে কিছু সময় ধরে ঠকানো যায় কিন্তু সব লোককে সবসময় ঠকানো যায় না। বলেছিলেন আব্রাহাম লিংকন। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই সব মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। শুধু ক্ষমতাসীন বলি কেন ক্ষমতা প্রত্যাশী দল, ব্যক্তি সবাই এটা করছে। আর ঠকানোর মাত্রা ও কৌশল প্রতিটি নতুন সরকারের সাথে আপডেট হচ্ছে।
মস্কোর পথে, ৩০ নভেম্বর ২০২৫
Friday, November 28, 2025
উল্টোপাল্টা
আমার অনেক বদ অভ্যাসের একটা উল্টো করে পড়া মানে পরের শব্দ আগে আর আগের শব্দ পরে আবার কখনো কখনো যে কোন আর্ডারে। পরজন্ম থাকলে আমি নিশ্চয়ই আরব ভাষাভাষী দেশের বাসিন্দা ছিলাম কোন এক সময়। সেদিন বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এই বাসটির রুট অনেকটা ফাঁসির রজ্জুর মত। বিশেষ করে রজ্জুটা যেখানে গলা চেপে ধরে সেখানে ঠিক ক থেকে খ এর পরিবর্তে খ থেকে ক পড়লে পস্তাতে হবে। তো সেদিন আমি সেই ভুলটাই করলাম আর ফল স্বরূপ নদীর অন্য পাশে চলে গেলাম। ইশ এভাবে যদি ছোটবেলায় চলে যাওয়া যেত!
দুবনা, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
Wednesday, November 26, 2025
প্রশ্ন
শান্তির জন্য শান্তি নাকি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য শান্তি নাকি ভবিষ্যতে আরও বড় অশান্তির জন্য শান্তি? রাশিয়া, আমেরিকা (ট্রাম্প) আর ইউরোপ কি মতৈক্যে পৌঁছুতে পারবে? নাকি এখানেও ঐকমত্য কমিশন দরকার?কে হবে সেই কমিশনের প্রধান? দেশের অভিজ্ঞতা কি কাজে লাগবে? মাথায় কত প্রশ্ন আসে জবাব দেবে কে?
দুবনা, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
Tuesday, November 25, 2025
বিয়ে
শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা আমার কাছে পাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেবার মত মনে হয়। ট্রাম্প মেয়ের বাপ বা ঘটক যাই হোক না কেন ইউরোপের নেতারা এখানে পাড়ার বখাটে ছেলেরদল যারা তাদের খেলার সাথী পাড়ার মেয়েকে কিছুতেই অন্যের হাতে তুলে দিতে রাজি না। কে জানে শেষ পর্যন্ত বিয়েই হয়তো ভেঙে যায়!
দুবনা, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
Monday, November 24, 2025
আহ্বান
ঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন আসে তা সবার উপরেই আসে। ধনী-গরীব, হিন্দু-মুসলমান এসব দেখে আসে না। কারোও ঘর আগে ভাঙে, কারোও ঘর পরে। তাই আজ হিন্দু, কাল বাউল, পরশু কাদিয়ানী, পরের দিন অন্য কেউ যখন আক্রান্ত হয় তখন বুঝতে হবে আপনিও তালিকাভুক্ত শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেন? আপনার হাজারটা ভালো গুণ (যেমন আপনি সুন্নি মুসলমান, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, সঠিক পোশাক পরেন, ......) থাকার পরেও আপনার একটি দুর্বলতা আছে - জন্মসূত্রে আপনি বাঙালি, আপনার ভাষা, আপনার খাদ্যাভ্যাস, আপনার জীবন বোধ আরবদের মত নয় (যে কারণে আরবরা আপনাকে সহি মুসলমান মনে করে না)। বিশ্বাস না হয় আরব দেশে যান। এমনকি ইউরোপ আমেরিকায় আপনার দিকে সেভাবে আঙুল তুলবে না যেভাবে তুলবে আরব দেশে। তাই শুধুমাত্র এই এলাকায় জন্মগ্রহণ করার জন্যই আপনি কারোও চোখে দোষী হয়ে থাকবেন। এ থেকে মুক্তি নেই। তাই একটা একটা করে আঙুলগুলো কাটা যাবার আগেই সবাই মিলে ঘুরে দাঁড়ান। অন্যথায় খুব দেরি হয়ে যাবে। নিজে বাঁচুন, দেশ বাঁচান।
মস্কো, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
Sunday, November 23, 2025
সতর্কতা
রাজা আসে, রাজা যায় কিন্তু রাজ্য, সিংহাসন থেকেই যায়। একই কথা প্রযোজ্য যেকোনো পদের ক্ষেত্রে। অযোগ্য ব্যক্তিকে কোন পদে অধিষ্ঠিত করলে অথবা কোন ব্যক্তি কোন পদে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে তাতে ব্যক্তির লাভ বা ক্ষতি যত হয় তারচেয়ে বহু গুণ বেশি ক্ষতি হয় পদের। এর মাশুল দিতে হয় প্রতিষ্ঠান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। বর্তমান বাংলাদেশের সর্বত্র এই অযোগ্যদের বাম্পার ফলন দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে।
মস্কো, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
Friday, November 21, 2025
সিঙ্গাপুর
অনেককেই বলতে শুনি বাংলাদেশ খুব শিগগিরই সিঙ্গাপুর হবে। অর্থনৈতিক ভাবে সিঙ্গাপুর খুব উন্নত একটি দেশ। সেখানে চাইনিজ, মালয় ও ভারতীয়রা তথা বৌদ্ধ, মুসলমান ও হিন্দুরা সবাই মিলে দেশ গড়ে ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করে কেউ কারো অধিকার খর্ব না করে। নব্বইয়ের দশকে সিঙ্গাপুর গিয়ে একটা স্লোগান খুব মনে ধরেছিল - এক জনতা, এক জাতি, এক সিঙ্গাপুর। সেখানে মন্দির, মসজিদ, প্যাগোডার পাশাপাশি অবস্থান দেখে মুগ্ধ হয়েছি। শিক্ষা ও শিল্পে তারা অনেক এগিয়ে। আর সিঙ্গাপুর খুব ছোট্ট একটি দেশ - অনেকটা বড়সড় একটি শহরের মত। তাই প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ ঠিক কোন প্যারামিটার ব্যবহার করবে নিজেকে সিঙ্গাপুর হিসেবে ঘোষণা করতে। একজন মানুষ যেমন বিভিন্ন দোষ গুণের সমন্বয়ে তৈরি, দেশও তাই। কোনটা নেবে বাংলাদেশ?
দুবনা, ২১ নভেম্বর ২০২৫
Thursday, November 20, 2025
গাছ ও মাছের গল্প
রাজা আসে, রাজা যায় কিন্তু রাজ্য, সিংহাসন থেকেই যায়। একই কথা প্রযোজ্য যেকোনো পদের ক্ষেত্রে। অযোগ্য ব্যক্তিকে কোন পদে অধিষ্ঠিত করলে ব্যক্তির লাভ হয়তো হয় তবে তারচেয়ে বহু গুণ বেশি ক্ষতি হয় পদের। এখানে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা বড় বিষয় নয়, মূল কথা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সে কতটুকু সাফল্যের সাথে করতে পারল। কাজে ব্যর্থ হলে তার মাশুল দিতে হয় প্রতিষ্ঠান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। বর্তমান বাংলাদেশের সর্বত্র এই অযোগ্যদের বাম্পার ফলন দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে। মাছ যত ভালো সাঁতারু হোক না কেন তাকে গাছে উঠতে বললে সে আজীবন পরীক্ষায় ফেল করবে।
দুবনা, ২০ নভেম্বর ২০২৫
Wednesday, November 19, 2025
৩২
বাংলাদেশে আবার ৩২ নম্বর আক্রমণ করার চেষ্টা হল। বাংলাদেশে শেখ মুজিব সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। তা সে মুজিব পক্ষের লোক ক্ষমতায় থাকুক বা মুজিব বিরোধী। এমনকি কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেও সেটা আসলে করা হয় মুজিবেরই উদ্দেশ্যে। তাঁর শত্রুরা বাংলার বুক থেকে তাঁর নাম মুছে দিতে গিয়ে তাঁকে আরোও বেশি করে প্রাসঙ্গিক করে তোলে। ৩২ নম্বর শুধু শেখ মুজিবের বাসস্থান নয়, এটা বাংলাদেশের আঁতুরঘর। ৩২ নম্বর ভাঙা হল, ৩২ নম্বর পোড়ানো হলো - তারপরেও এদের শান্তি নেই। এমনকি নিরাকার ৩২ বারবার ফিরে আসবে, তাড়া করবে এই সব উন্মাদদের। এজন্যই তো বলে শেখ মুজিব আর বাংলাদেশ অভিন্ন। সেটা কারোও পছন্দ হোক আর নাই হোক। ৩২ নম্বর ভাঙা মানে বাংলাদেশ ভাঙা, একাত্তরের স্মৃতি ভাঙা। যারা এই ধ্বংস যজ্ঞের প্রতিবাদ করে না স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততা প্রশ্নের সম্মুখীন।
দুবনা, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
Monday, November 17, 2025
Saturday, November 15, 2025
বেহাত
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন "জুলাই গণ অভ্যুত্থান বেহাত হয়েছে। সরকার নারীদের, সংখ্যালঘু মানুষের কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি।" বিলম্বে হলেও সিপিবি নেতার বোধোদয় আশাব্যঞ্জক। তবে তার উপলব্ধি অন্ধের হাতি দর্শনের মত, মানে আংশিক। আসল সত্যটা হল সরকার শুধু নারী বা সংখ্যালঘু নয়, কোন মানুষেরই কোন রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং একদল দেশদ্রোহী কুলাঙ্গারের হাতে সংবিধান, আইন শৃঙ্খলা, বাজার অর্থনীতি সব তুলে দিয়ে নিজেরাই কুলাঙ্গার হয়ে গেছে। তাদের প্রচেষ্টায় শুধু জুলাই অভ্যুত্থান নয়, দেশটাই বেহাত হয়ে গেছে।
দুবনা, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
Sunday, November 9, 2025
উপলব্ধি
ও কুকুরের বাচ্চা ঠিকই কিন্তু আমাদের কুকুরের বাচ্চা। একসময় সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা করতে গিয়ে এই উদ্ধৃতি দিতাম। এখন মনে হয় কথাটি শুধু সাম্রাজ্যবাদ নয় সবার জন্য সত্য। যত খারাপ আর জনবিরোধী হোক না কেন নিজের স্বৈরাচার অন্যের স্বৈরাচারের চেয়ে ভালো বা দুই মন্দের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মন্দ। নিজের বিষ্ঠার দুর্গন্ধ সহনীয় হলেও অন্যেরটা দুঃসহ, এমনকি তারা পোলাও কোর্মা খেলেও। আমাদের তথাকথিত মডারেটরা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারে ততই মঙ্গল।
মস্কো, ১০ নভেম্বর ২০২৫
আবর্জনা
জাহানারা ইমামের বই নয় যারা বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশের দায়িত্বে আছে তাদের সের দরে বিক্রি করা সময়ের দাবি। তবে এমনকি সের দরেও এদের কেউ কিনবে বলে মনে হয় না। পুরানো বই দিয়ে ঠোঙা বা প্যাকেট বানানো যায়, আবর্জনা দিয়ে কিছু বানানো যায় না। আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়।
মস্কোর পথে, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
Friday, November 7, 2025
কাউয়াওকা
হঠাৎ করেই ওকার কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক ওকা নয়, ওকার কাউয়ার কথা। তিনি বলতেন আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকেছে। বাস্তবে এসব কাউয়ারা ছিল জামায়াত শিবিরের লোকজন। ইদানিং এরকম কাউয়ার দেখা মিলছে অন্যান্য দলেও। অন্ততপক্ষে এরকম অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এখন থেকেই যদি সতর্ক না হয় তাহলে অবস্থা আওয়ামী লীগের চেয়েও শোচনীয় হতে পারে।
দুবনা, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
Wednesday, November 5, 2025
ব্যালট পেপার
নতুন বন্দোবস্তে গণভোটের ব্যালট পেপার
কোন বাহাত্তর আপনি চান?
১) ৭২ এর সংবিধান
২) ৭২ টি বেহেশতের হুর
দুবনা, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
Tuesday, November 4, 2025
প্রশ্ন
পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা অন্তত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও রোগ নিরাময়ে ব্যাপক অবদান রাখছেন। মানব সভ্যতার উন্নয়নে এসব বিষয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থনীতিতে যারা কাজ করেছেন তারা কি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন? উল্টো ধনী আর গরীবের মধ্যে বৈষম্য অনবরত বেড়েই চলছে। সেই অর্থে অর্থনীতি মূলত বিত্তশালীদের পক্ষে কাজ করছে। শান্তির জন্য যারা কাজ করেন তারা শান্তি আনেন নাকি যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হাতে অশান্তির অস্ত্র হিসেবে কাজ করে সেটাও ভাবনার বিষয়। বার্মা, বাংলাদেশ, ভেনেজুয়েলা.....
দুবনা, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
Monday, November 3, 2025
বুদ্ধিজীবী
সরকার ও বিরোধী দল যখন বুদ্ধিজীবীদের গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত করে তখন বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধিজীবী থাকে না, তারা হয় তোতা পাখি যারা মালিকের শেখানো বুলি আউড়ায়। আওয়ামী আর মব শাসনের ঠ্যালায় দেশে এখন আর বুদ্ধিজীবী নেই বললেই চলে। যারা আছে তাদের বেশিরভাগই চাতুর্য্যের মুদি দোকানদার। যেখানেই দুই পয়সা লাভের আশা সেখানেই অবলীলায় বিক্রি হয়ে যায়। কেউ স্বেচ্ছায় কেউবা অনিচ্ছায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সবাইকে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে দলদাস করে তাহলে দেশের প্রয়োজনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না।
দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
Sunday, November 2, 2025
দায়বদ্ধতা
বাম জোট ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ভাবছে। কোন আসনে জিততে পারবে কিনা সেটা জানি না তবে তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে বৈধতা দেবে এমনকি সেটা যদি প্রহসনের নির্বাচনও হয়। এটাই মনে হয় তথাকথিত চব্বিশের বিপ্লবের প্রতি বামদের দায়বদ্ধতা।
দুবনা, ০২ নভেম্বর ২০২৫
Saturday, November 1, 2025
শংকা
আজ ইস্কুলে যাইবার জন্য যত কান্নাকাটি করিতেছ একদিন ইস্কুলে না যাইবার জন্য তারচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করিতে হইবে।
আজ যারা ইসলামী শাসন, বাধ্যতামূলক হিজাব পরার আইনের জন্য আন্দোলন করছে একদিন তারাই এসব থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করবে। কারণ ইসলামী শাসন বলে এরা যা ভাবছে তা আসলে ইসলামী শাসন নয়, মোল্লার শাসন বা ইসলামী ব্রাহ্মণ্যবাদ। একবার বসতে দিলে এমন ভাবে শোবে যে হাজারটা ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা যাবে না।
দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০২৫
Wednesday, October 29, 2025
বাবার উপদেশ ও জনগণের বিদেশী চাকর
জুলাই সনদ নিয়ে অনেক রথী মহারথীদের বক্তব্য দেখলাম ফেসবুকে। কিছু কিছু লোকের কথা শুনে একটা গল্প মনে পড়ে গেল।
এক অতি হিসেবী লোক ছেলেকে দীর্ঘ সময় টয়লেটে বসে থাকতে দেখে বললেন
"মাইশা তোকে কতদিন বলেছি টয়লেটটা অফিসে সারতে। তাতে ১) টিস্যু আর জল খরচ বাঁচাতে পারতি। ২) ইলেকট্রিসিটির বিল কম আস্ত। ৩) তারচেয়েও বড় কথা এই ১০-১৫ মিনিট কাজের সময় বলে গণ্য করা হত। মানে এর জন্য উল্টো বেতন পেতি। যাকে বলে অন্তহীন লাভ।
কাজকর্ম দেখে মনে হয় কিছু কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসলে হাগতে এসেছে। এই হাগকে বিদশী হাগের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন।
দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
Thursday, October 23, 2025
উপলব্ধি
যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিশাল কোন প্রাণীর সাথে ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বাম জোটের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঘের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখব বিজয়ের পর থেকেই তারা ট্রফি দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত আর এই সুযোগে জামায়াত শিবির ও অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী হায়েনার দল শিকার নিয়ে অনেক আগেই ভেগে পড়েছে - প্রথমে দখল করেছে অর্থনীতি, এরপর শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ বিশেষ করে মহিলাদের এবং সবশেষে রাজনীতির মাঠ।
দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
Wednesday, October 22, 2025
ভাবনা
পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা অন্তত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও অসুস্থতা নিরাময়ে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। মানব সভ্যতার উন্নয়নে এসব বিষয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থনীতিতে যারা কাজ করেছেন তারা কি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন? উল্টো ধনী আর গরীবের মধ্যে বৈষম্য অনবরত বেড়ে চলছে। সেই অর্থে অর্থনীতি মূলত অর্থশালীদের পক্ষে কাজ করছে। আর শান্তির জন্য যারা কাজ করেন তারা শান্তি আনেন নাকি যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হাতে অশান্তির অস্ত্র হিসেবে কাজ করে সেটাও ভাবনার বিষয়।
দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২৫
Sunday, October 19, 2025
প্রস্তাব
আজ সমুদ্র বন্দর, কাল বিমান বন্দর - তা এভাবে খুচরো ইজারা দেবার কি দরকার? আমাদের দেশের হর্তাকর্তাদের সবারই তো দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। তাই বলছি ভালো একটা পার্টি দেখে গোটা দেশটাই কারোও কাছে ইজারা দেয়া যায় না? তাতে অন্তত জাতি এসব ছ্যাঁচড়া কেয়ার টেকারের অতি নিম্নমানের স্বৈরাচারী বন্দোবস্ত থেকে রেহাই পাবে।
মস্কো, ২০ অক্টোবর ২০২৫
আলো আঁধার
ছোটবেলায় পড়েছি অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা বর্বর ছিল। ইউনুস উত্তর (কে জানে উনি অমর কি না, তাহলে ইউনুস পরবর্তী যুগ বলে কিছু থাকবে না - সবটাই হবে ইউনুস শাহী) যুগে আমাদের উত্তরসূরীরা পড়বে - অনেক দিন আগের কথা। তখন বাংলাদেশের লোকেরা বর্বর ছিল। এরপর ইউনুস বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেন যাকে আধুনিক কালের মদিনা সনদ নামে অভিহিত করা যায়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ বর্বরতার যুগ থেকে ভদ্র যুগে, অন্ধকার থেকে আলোতে প্রবেশ করল। ইউনুসের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হল।
মস্কো, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
Saturday, October 18, 2025
গণতন্ত্র
আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষায় গণতন্ত্র হল জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের সরকার। তবে বর্তমানে মনে হয় জনগণের নামে জনগণকে শোষণ করার জন্য অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের শাসনের নাম গণতন্ত্র। আর শান্তি হল ইউরোপের টাকায় আমেরিকার অস্ত্র দিয়ে অন্তহীন যুদ্ধ।
দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
Friday, October 17, 2025
প্রশ্ন
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলা ও পরে ভারত দখল করে এর ব্যবস্থাপকরা ছিল বৃটিশ নাগরিক। পরবর্তীতে বৃটিশ রাজ ভারতের দখল নেয়। বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবস্থাপকের সবাই আমেরিকা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিক বলে জানা যায়। সেই অর্থে বাংলাদেশ এসব দেশের ভাগের মা। প্রবাদ আছে যে ভাগের মা গঙ্গা পায় না। বাংলাদেশ পাবে কি? নাকি ইতিহাস তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে?
মস্কোর পথে, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
Thursday, October 16, 2025
বর্গি
রুশে একটি চুটকি আছে - অনাহুত আগন্তুক বর্গিদের চেয়েও খারাপ। বিনা আমন্ত্রণে এদেশ সেদেশ যাওয়ায় সেসব দেশের শাসকেরা বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের ভয়ে ভিসা দেয়াই বন্ধ করে দিচ্ছে। আগে গ্রাম এলাকায় অনেক সন্তানের গরীব বাবাদের নেমন্তন্ন করত না খাবার কম পড়বে ভয়ে। ডঃ ইউনুসকে নিয়ে একই ভয় কাজ করছে কিনা দেশে দেশে কে জানে! ভিসা দেওয়া তো এমনি এমনি বন্ধ হয় না!
দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
Wednesday, October 15, 2025
কাজ!
রাশিয়ায় অনেক কিছুই আমাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশেষ করে এদের বোকামি। গত কয়েকদিন বেশ বৃষ্টি। রাস্তাঘাট ভেজা। অথচ এর মধ্যেও গাড়ি করে জল ছিটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে। সোভিয়েত আমলে এক চুটকি ছিল। এক লোক গর্ত খুঁড়ছে আরেক জন কিছুক্ষণ পরে সেই গর্ত মাটি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। কেন তারা এটা করছে জানতে চাইলে একজন জানাল যার গাছ লাগানোর কথা ছিল সে অসুস্থ। তাই বলে তারা তো কাজ বাদ দিয়ে বসে থাকতে পারে না। যারা বৃষ্টির পরে গাড়িতে করে রাস্তায় জল দিচ্ছিল ওদের দেখে একথাই মনে হল।
দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
Monday, October 13, 2025
প্রশ্ন
ফেসবুকে নৌসচিবকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে আগামী ডিসেম্বরে তিনটি টার্মিনালের দায়িত্ব বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দেবার সংবাদ পরিবেশন করতে দেখলাম। বাংলাদেশের শতকরা দুই শত জন মানুষ (ভুল শোনেননি ২০০%) যেখানে খুশিতে গদগদ হয়ে ছেলেমেয়েদের বিদেশে পাঠানোর (পড়ুন বিদেশিদের হাতে ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব তুলে দেন) খবর প্রকাশ করে সেখানে নৌসচিব কি ভুলটা করল?
মস্কো, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
Sunday, October 12, 2025
অশান্তি
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে লোকজন যদি অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে অশান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দিলেই তো হয়!
সম্ভব নয়।
কেন?
প্রার্থীর সংখ্যা এত বেশি হবে আর প্রার্থীরা যোগ্যতা প্রমাণ করতে নিজেদের মধ্যে এমন মারামারি শুরু করবে যে সেটা সামাল দিতে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে।
দুবনা, ১২ অক্টোবর ২০২৫
Friday, October 10, 2025
কঠিন বাস্তবতা
নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার এসব নিয়ে সুন্দর সুন্দর গল্প শুনে স্বপ্ন দেখা অনেকের জন্য প্রেম পর্বেই শেষ হয়ে যায়। বিবাহ পর্বে নেমে আসে কঠিন বাস্তবতা। পর্দা, স্বামী সেবা এসব হয় বিবাহিত জীবনের একমাত্র বিনোদন, সবে ধন নীলমণি অধিকার। মৌলবাদের জমানায় পুরুষতন্ত্র শুধু ভয়ঙ্কর নয় মারাত্মক বিপদজনক।
জামায়াত শিবিরের প্রেম পর্বের মিষ্টি কথা বিশ্বাস করিয়া তুমি ভুল করিয়াছ সিপিবি, উদীচী। শরৎ উৎসব এখন শুধুই অতীত স্মৃতি।
বোকাদের জন্য করুণা করাও বোকামি।
দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৫
গনভোট
সিপিবির অনেকেই গণভোটের বিপক্ষে তাদের মতামত প্রকাশ করছেন বিভিন্ন যুক্তিতে। শুধু সিপিবি কেন এর বাইরেও অনেকেই সেটা করছেন বর্তমান সংবিধানে গণ ভোটের অপশন নেই বলে। অনেক লেখার পাশাপাশি দেখলাম মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের একটি লেখা কে যেন শেয়ার করেছে - যেখানে তিনি গনভোট অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছেন। বিষয়টি দেখে একটু খটকা লাগলো, কেননা এর আগে উনি নিজে ঐকমত্য কমিশনে রতনের বক্তব্য শেয়ার করেছেন যেখানে রতন পারতপক্ষে গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে ওনার ভেরিফাইড পেজে গিয়ে গণভোটের বিপক্ষে কিছু না দেখে উনি গনভোট প্রশ্নে কী মত প্রকাশ করেন সেটা জানার ইচ্ছে হল। আমার ধারণা সিপিবির উচিৎ এসব প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানানো। আমার মনে হয় ঐকমত্য কমিশন আসলে সংবিধান প্রশ্নে গনভোটের আওয়াজ তুলে সংবিধানের গণ ধর্ষণের আয়োজন করছে।
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫
রাজা
প্রেসিডেন্ট, চ্যান্সেলর, প্রাইম মিনিস্টার এরা তো আসলে রাজাই। তবে মাক্রন (মাখো? কি মাখব?), মেরৎজ, স্টারমার এদের দেখলে মনে হয় এরা আসলে বিজ্ঞাপনের রাজা - মানে এক সময় বহু বিজ্ঞাপিত রাজা কনডম যাদের কাজ আসলে যাকিছু ভালো, যাকিছু শান্তিদায়ক - তাদের জন্ম রোধ করা।
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫
Thursday, October 9, 2025
প্রশ্ন
ডাক্তারের যতই স্বদিচ্ছা থাকুক না কেন, রুগী যদি মারা যায় তার দায় ডাক্তারকেই নিতে হয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে একটি অপারেশন দরকার ছিল, কিন্তু তার ফলাফল কি হতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা না করায় সে এখন কোমায়। এর দায় এড়ানো কি এতই সহজ? পারবে কি বামেরা এর দায় এড়াতে? নাকি বামেদের বিধি এখনও বাম?
দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
Tuesday, October 7, 2025
বিপত্তি নিয়ে আপত্তি
অসুরের দাড়ি নিয়ে বিপত্তি। অনেক চেষ্টা করেও কেউ এই বিতর্কে দাঁড়ি টানতে পারছে না। তাই আগামী বছর থেকে অসুরের জন্য ড্রেসকোড তৈরি করা আবশ্যক। ক্লিন শেভ না করা কোন অসুরকে যেন বাংলাদেশের ভিসা দেয়া না হয় এ ব্যাপারে সমস্ত দূতাবাসকে সতর্ক করে দিতে হবে আর কাস্টমসে নির্দেশ দিতে হবে কোন দাড়িওয়ালা অসুর যেন সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে।
দুবনার পথে, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রশ্ন
সময়ের সাথে সাথে হাড্ডি চামড়া বুড়িয়ে যাচ্ছে, কমছে ওদের বাজার দর আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওদের সচল রাখার ওষুধের দাম। এটা কি বৈষম্য নাকি মূল্যের নিত্যতার সূত্র?
মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
Sunday, October 5, 2025
জুলাই সনদ
গত বছর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের পরে জুলাই সনদের ধারণা সামনে চলে আসে। নতুন বন্দোবস্তের মূল স্টেকহোল্ডারদের মতে চব্বিশ একাত্তরকে ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবিদার কোন কোন দল প্রতিবাদ করলেও সেটা কতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে তা নির্ভর করবে ঐকমত্য কমিশন এই সনদের ফাইনাল ভার্সন কিভাবে লিপিবদ্ধ করেছে সেটার উপর। সেখানে যদি চব্বিশকে কে একাত্তরের উপরে স্থান দেয়া হয় আর নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করা দলগুলো যদি এর পরেও সেই দলিলে স্বাক্ষর করে তবে তা হবে নিজেদের রাজনৈতিক আত্মহত্যার পূর্বে চিরকুট রেখে যাওয়ার সমতুল্য। আত্মহত্যার জন্য বদ্ধপরিকর মানুষ সেটা অনুধাবন করবে কি না এটাই এখন দেখার বিষয়।
মস্কো, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইমিউন
আজকাল বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদরা নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অজুহাত খুঁজে বেরায়। ইউরোপ আমেরিকায় এই নন্দ ঘোষের ভূমিকায় অভিনয় করে রাশিয়া। এই তো শত কারচুপি করেও মালদোভায় ক্ষমতাসীন সান্দোর দল দেশের ভেতরে জিততে পারে না, ইউরোপে ভোট চুরি করে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হয়। চেখ রিপাবলিকে ব্রাসেলসের বিরোধী দল ক্ষমতায় আসে। কে দায়ী? রাশিয়া। রাশিয়া এসব দেশে কতটুকু প্রোপাগান্ডা চালাতে পারে সেটা জানা নেই তবে একথা জানি যদি নিজের ইমিউন সিস্টেম ঠিক থাকে তাহলে ভাইরাস সহজে কাবু করতে পারে না। তাই পশ্চিমা বিশ্বের ব্যর্থতার জন্য রাশিয়ার দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের পলিসির দুর্বলতা খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু সেটা করে মুক্তমনের বুদ্ধিমান মানুষ, কোন কিছুতে অন্ধবিশ্বাসী কেউ সেটা পারে না।
মস্কোর পথে, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
Friday, October 3, 2025
ডান বাম
দুই বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার মোড়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। এখানে দুই জনকে দুই পথে যেতে হবে।
- তুমি কোন দিকে যাবে?
- জানই তো আমি বামপন্থী। আমি বাঁ দিকে যাবো।
- ঠিক আছে। তবে মনে রেখো ফেরার পথে আমি আসব বাঁ দিক দিয়ে আর তুমি ডান দিক দিয়ে।
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
- তুমি কোন দিকে যাবে?
- জানই তো আমি বামপন্থী। আমি বাঁ দিকে যাবো।
- ঠিক আছে। তবে মনে রেখো ফেরার পথে আমি আসব বাঁ দিক দিয়ে আর তুমি ডান দিক দিয়ে।
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
ন্যাংটো রাজা
জেলেনস্কি কৌতুকাভিনেতা। তাই এমনকি প্রেসিডেন্ট হলেও তার কথাবার্তায় কৌতুকের ছোঁয়া থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমা বিশ্বের বদৌলতে সেটা এখন ব্ল্যাক হিউমারে রূপান্তরিত হয়েছে।
ডঃ ইউনুস বললেন আওয়ামী লীগকে তো নিষিদ্ধ করিনি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কৌতুক হিসেবে এটা নেওয়াই যায়। তবে ভদ্রলোক কৌতুকাভিনেতা নন, তিনি শিক্ষিত, উচ্চ ডিগ্রিধারী, অধ্যাপক (শান্তিতে নোবেল পেতে এসব আবশ্যক নয়)। তারপরেও এধরণের ইন্টারভিউ তাকে খেলো করে বলেই ধারণা। এটা শুধু ব্যক্তি ইউনুসকে নয় বাংলাদেশকেও বিশ্বের সামনে ছোট করে।
কেউ ছবি তোলা শেখার জন্য এলে অনেকেই বলে - যদি পাশের বাড়ির কুকুর তোমার ছবি দেখে লেজ নাড়তে শুরু করে তা দেখে ভাবার কারণ নেই যে তুমি খুব ভালো ছবি তুলেছ। যদি কেউ ৫, ১০ বা ৫০ বছর দেশ চালানোর জন্য ডঃ ইউনুসের কাছে বায়না ধরে তারপরেও ভাবার কারণ নেই যে দেশ ভালভাবে চলছে। তবে মাত্রা জ্ঞান ব্যাপারটা জন্মগত। কারো সেটা থাকে, কারো থাকে না।
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
ডঃ ইউনুস বললেন আওয়ামী লীগকে তো নিষিদ্ধ করিনি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কৌতুক হিসেবে এটা নেওয়াই যায়। তবে ভদ্রলোক কৌতুকাভিনেতা নন, তিনি শিক্ষিত, উচ্চ ডিগ্রিধারী, অধ্যাপক (শান্তিতে নোবেল পেতে এসব আবশ্যক নয়)। তারপরেও এধরণের ইন্টারভিউ তাকে খেলো করে বলেই ধারণা। এটা শুধু ব্যক্তি ইউনুসকে নয় বাংলাদেশকেও বিশ্বের সামনে ছোট করে।
কেউ ছবি তোলা শেখার জন্য এলে অনেকেই বলে - যদি পাশের বাড়ির কুকুর তোমার ছবি দেখে লেজ নাড়তে শুরু করে তা দেখে ভাবার কারণ নেই যে তুমি খুব ভালো ছবি তুলেছ। যদি কেউ ৫, ১০ বা ৫০ বছর দেশ চালানোর জন্য ডঃ ইউনুসের কাছে বায়না ধরে তারপরেও ভাবার কারণ নেই যে দেশ ভালভাবে চলছে। তবে মাত্রা জ্ঞান ব্যাপারটা জন্মগত। কারো সেটা থাকে, কারো থাকে না।
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
Sunday, September 28, 2025
ব্যর্থতা
কিছু দিন আগেও পাকিস্তানকে অনেকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করত। আর তার মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীলতা আর আইন শৃঙ্খলার বিপর্যয়। কিন্তু যখন কেউ এসে লাইনের শেষে দাঁড়ায় আগের লোকটি আর শেষ ব্যক্তি থাকে না। গত একবছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালচাল, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও এই মুহুর্তে খাগড়াছড়িতে শান্তিপ্রিয় পাহাড়ী মানুষের বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ড দেখে মনে হয় রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতায় আমরা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছি। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করার মৌলিক দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা রাষ্ট্রকেই ব্যর্থ করেছে। নিজের সাফল্য নয়, ছোট ভাইয়ের ব্যর্থতার কাঁধে চড়ে পাকিস্তান আবার সমাজে মুখ দেখাতে পারছে।
মস্কো, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Subscribe to:
Comments (Atom)







