Saturday, November 15, 2025

বেহাত

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন "জুলাই গণ অভ্যুত্থান বেহাত হয়েছে। সরকার নারীদের, সংখ্যালঘু মানুষের কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি।" বিলম্বে হলেও সিপিবি নেতার বোধোদয় আশাব্যঞ্জক। তবে তার উপলব্ধি অন্ধের হাতি দর্শনের মত, মানে আংশিক। আসল সত্যটা হল সরকার শুধু নারী বা সংখ্যালঘু নয়, কোন মানুষেরই কোন রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং একদল দেশদ্রোহী কুলাঙ্গারের হাতে সংবিধান, আইন শৃঙ্খলা, বাজার অর্থনীতি সব তুলে দিয়ে নিজেরাই কুলাঙ্গার হয়ে গেছে। তাদের প্রচেষ্টায় শুধু জুলাই অভ্যুত্থান নয়, দেশটাই বেহাত হয়ে গেছে।

দুবনা, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

Sunday, November 9, 2025

উপলব্ধি

ও কুকুরের বাচ্চা ঠিকই কিন্তু আমাদের কুকুরের বাচ্চা। একসময় সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা করতে গিয়ে এই উদ্ধৃতি দিতাম। এখন মনে হয় কথাটি শুধু সাম্রাজ্যবাদ নয় সবার জন্য সত্য। যত খারাপ আর জনবিরোধী হোক না কেন নিজের স্বৈরাচার অন্যের স্বৈরাচারের চেয়ে ভালো বা দুই মন্দের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মন্দ। নিজের বিষ্ঠার দুর্গন্ধ সহনীয় হলেও অন্যেরটা দুঃসহ, এমনকি তারা পোলাও কোর্মা খেলেও। আমাদের তথাকথিত মডারেটরা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারে ততই মঙ্গল।

মস্কো, ১০ নভেম্বর ২০২৫

আবর্জনা

জাহানারা ইমামের বই নয় যারা বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশের দায়িত্বে আছে তাদের সের দরে বিক্রি করা সময়ের দাবি। তবে এমনকি সের দরেও এদের কেউ কিনবে বলে মনে হয় না। পুরানো বই দিয়ে ঠোঙা বা প্যাকেট বানানো যায়, আবর্জনা দিয়ে কিছু বানানো যায় না। আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়।

মস্কোর পথে, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

Friday, November 7, 2025

কাউয়াওকা

হঠাৎ করেই ওকার কথা মনে পড়ে গেল। ঠিক ওকা নয়, ওকার কাউয়ার কথা। তিনি বলতেন আওয়ামী লীগে কাউয়া ঢুকেছে। বাস্তবে এসব কাউয়ারা ছিল জামায়াত শিবিরের লোকজন। ইদানিং এরকম কাউয়ার দেখা মিলছে অন্যান্য দলেও। অন্ততপক্ষে এরকম অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এখন থেকেই যদি সতর্ক না হয় তাহলে অবস্থা আওয়ামী লীগের চেয়েও শোচনীয় হতে পারে।

দুবনা, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

Wednesday, November 5, 2025

ব্যালট পেপার

নতুন বন্দোবস্তে গণভোটের ব্যালট পেপার 

কোন বাহাত্তর আপনি চান?

১) ৭২ এর সংবিধান 
২) ৭২ টি বেহেশতের হুর

দুবনা, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

Tuesday, November 4, 2025

প্রশ্ন

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা অন্তত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও রোগ নিরাময়ে ব্যাপক অবদান রাখছেন। মানব সভ্যতার উন্নয়নে এসব বিষয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থনীতিতে যারা কাজ করেছেন তারা কি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন? উল্টো ধনী আর গরীবের মধ্যে বৈষম্য অনবরত বেড়েই চলছে। সেই অর্থে অর্থনীতি মূলত বিত্তশালীদের পক্ষে কাজ করছে। শান্তির জন্য যারা কাজ করেন তারা শান্তি আনেন নাকি যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হাতে অশান্তির অস্ত্র হিসেবে কাজ করে সেটাও ভাবনার বিষয়। বার্মা, বাংলাদেশ, ভেনেজুয়েলা.....

দুবনা, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

Monday, November 3, 2025

বুদ্ধিজীবী

সরকার ও বিরোধী দল যখন বুদ্ধিজীবীদের গৃহপালিত প্রাণীতে পরিণত করে তখন বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধিজীবী থাকে না, তারা হয় তোতা পাখি যারা মালিকের শেখানো বুলি আউড়ায়। আওয়ামী আর মব শাসনের ঠ্যালায় দেশে এখন আর বুদ্ধিজীবী নেই বললেই চলে। যারা আছে তাদের বেশিরভাগই চাতুর্য্যের মুদি দোকানদার। যেখানেই দুই পয়সা লাভের আশা সেখানেই অবলীলায় বিক্রি হয়ে যায়। কেউ স্বেচ্ছায় কেউবা অনিচ্ছায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সবাইকে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে দলদাস করে তাহলে দেশের প্রয়োজনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না।

দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

Sunday, November 2, 2025

দায়বদ্ধতা

বাম জোট ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ভাবছে। কোন আসনে জিততে পারবে কিনা সেটা জানি না তবে তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে বৈধতা দেবে এমনকি সেটা যদি প্রহসনের নির্বাচনও হয়। এটাই মনে হয় তথাকথিত চব্বিশের বিপ্লবের প্রতি বামদের দায়বদ্ধতা। 

দুবনা, ০২ নভেম্বর ২০২৫

Saturday, November 1, 2025

শংকা

আজ ইস্কুলে যাইবার জন্য যত কান্নাকাটি করিতেছ একদিন ইস্কুলে না যাইবার জন্য তারচেয়ে বেশি কান্নাকাটি করিতে হইবে।‌

আজ যারা ইসলামী শাসন, বাধ্যতামূলক হিজাব পরার আইনের জন্য আন্দোলন করছে একদিন তারাই এসব থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করবে। কারণ ইসলামী শাসন বলে এরা যা ভাবছে তা আসলে ইসলামী শাসন নয়, মোল্লার শাসন বা ইসলামী ব্রাহ্মণ্যবাদ। একবার বসতে দিলে এমন ভাবে শোবে যে হাজারটা ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা যাবে না।

দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০২৫

Wednesday, October 29, 2025

বাবার উপদেশ ও জনগণের বিদেশী চাকর

জুলাই সনদ নিয়ে অনেক রথী মহারথীদের বক্তব্য দেখলাম ফেসবুকে। কিছু কিছু লোকের কথা শুনে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। 

এক অতি হিসেবী লোক ছেলেকে দীর্ঘ সময় টয়লেটে বসে থাকতে দেখে বললেন 
"মাইশা তোকে কতদিন বলেছি টয়লেটটা অফিসে সারতে। তাতে ১) টিস্যু আর জল খরচ বাঁচাতে পারতি। ২) ইলেকট্রিসিটির বিল কম আস্ত। ৩) তারচেয়েও বড় কথা এই ১০-১৫ মিনিট কাজের সময় বলে গণ্য করা হত। মানে এর জন্য উল্টো বেতন পেতি। যাকে বলে অন্তহীন লাভ।

কাজকর্ম দেখে মনে হয় কিছু কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসলে হাগতে এসেছে। এই হাগকে বিদশী হাগের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন।

দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

Thursday, October 23, 2025

উপলব্ধি

যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিশাল কোন প্রাণীর সাথে ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বাম জোটের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঘের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখব বিজয়ের পর থেকেই তারা ট্রফি দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত আর এই সুযোগে জামায়াত শিবির ও অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী হায়েনার দল শিকার নিয়ে অনেক আগেই ভেগে পড়েছে - প্রথমে দখল করেছে অর্থনীতি, এরপর শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ বিশেষ করে মহিলাদের এবং সবশেষে রাজনীতির মাঠ। দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

Wednesday, October 22, 2025

ভাবনা

পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসব ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা অন্তত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ও অসুস্থতা নিরাময়ে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। মানব সভ্যতার উন্নয়নে এসব বিষয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু অর্থনীতিতে যারা কাজ করেছেন তারা কি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন? উল্টো ধনী আর গরীবের মধ্যে বৈষম্য অনবরত বেড়ে চলছে। সেই অর্থে অর্থনীতি মূলত অর্থশালীদের পক্ষে কাজ করছে। আর শান্তির জন্য যারা কাজ করেন তারা শান্তি আনেন নাকি যারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তাদের হাতে অশান্তির অস্ত্র হিসেবে কাজ করে সেটাও ভাবনার বিষয়।

দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২৫

Sunday, October 19, 2025

প্রস্তাব

আজ সমুদ্র বন্দর, কাল বিমান বন্দর - তা এভাবে খুচরো ইজারা দেবার কি দরকার? আমাদের দেশের হর্তাকর্তাদের সবারই তো দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। তাই বলছি ভালো একটা পার্টি দেখে গোটা দেশটাই কারোও কাছে ইজারা দেয়া যায় না? তাতে অন্তত জাতি এসব ছ্যাঁচড়া কেয়ার টেকারের অতি নিম্নমানের স্বৈরাচারী বন্দোবস্ত থেকে রেহাই পাবে।

মস্কো, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আলো আঁধার

ছোটবেলায় পড়েছি অনেক দিন আগের কথা। তখন আরবের লোকেরা বর্বর ছিল। ইউনুস উত্তর (কে জানে উনি অমর কি না, তাহলে ইউনুস পরবর্তী যুগ বলে কিছু থাকবে না - সবটাই হবে ইউনুস শাহী) যুগে আমাদের উত্তরসূরীরা পড়বে - অনেক দিন আগের কথা। তখন বাংলাদেশের লোকেরা বর্বর ছিল। এরপর ইউনুস বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেন যাকে আধুনিক কালের মদিনা সনদ নামে অভিহিত করা যায়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ বর্বরতার যুগ থেকে ভদ্র যুগে, অন্ধকার থেকে আলোতে প্রবেশ করল। ইউনুসের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হল।

মস্কো, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

Saturday, October 18, 2025

গণতন্ত্র

আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষায় গণতন্ত্র হল জনগণের জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের সরকার।‌ তবে বর্তমানে মনে হয় জনগণের নামে জনগণকে শোষণ করার জন্য অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের শাসনের নাম গণতন্ত্র। আর শান্তি হল ইউরোপের টাকায় আমেরিকার অস্ত্র দিয়ে অন্তহীন যুদ্ধ।

দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

Friday, October 17, 2025

প্রশ্ন

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলা ও পরে ভারত দখল করে এর ব্যবস্থাপকরা ছিল বৃটিশ নাগরিক। পরবর্তীতে বৃটিশ রাজ ভারতের দখল নেয়। বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবস্থাপকের সবাই আমেরিকা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিক বলে জানা যায়। সেই অর্থে বাংলাদেশ এসব দেশের ভাগের মা। প্রবাদ আছে যে ভাগের মা গঙ্গা পায় না। বাংলাদেশ পাবে কি? নাকি ইতিহাস তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে?

মস্কোর পথে, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

Thursday, October 16, 2025

বর্গি

রুশে একটি চুটকি আছে - অনাহুত আগন্তুক বর্গিদের চেয়েও খারাপ। বিনা আমন্ত্রণে এদেশ সেদেশ যাওয়ায় সেসব দেশের শাসকেরা বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের ভয়ে ভিসা দেয়াই বন্ধ করে দিচ্ছে। আগে গ্রাম এলাকায় অনেক সন্তানের গরীব বাবাদের নেমন্তন্ন করত না খাবার কম পড়বে ভয়ে। ডঃ ইউনুসকে নিয়ে একই ভয় কাজ করছে কিনা দেশে দেশে কে জানে! ভিসা দেওয়া তো এমনি এমনি বন্ধ হয় না!

দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

Wednesday, October 15, 2025

কাজ!

রাশিয়ায় অনেক কিছুই আমাকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশেষ করে এদের বোকামি। গত কয়েকদিন বেশ বৃষ্টি। রাস্তাঘাট ভেজা। অথচ এর মধ্যেও গাড়ি করে জল ছিটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করছে। সোভিয়েত আমলে এক চুটকি ছিল। এক লোক গর্ত খুঁড়ছে আরেক জন কিছুক্ষণ পরে সেই গর্ত মাটি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। কেন তারা এটা করছে জানতে চাইলে একজন জানাল যার গাছ লাগানোর কথা ছিল সে অসুস্থ। তাই বলে তারা তো কাজ বাদ দিয়ে বসে থাকতে পারে না। যারা বৃষ্টির পরে গাড়িতে করে রাস্তায় জল দিচ্ছিল ওদের দেখে একথাই মনে হল।

দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

Monday, October 13, 2025

প্রশ্ন

ফেসবুকে নৌসচিবকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে আগামী ডিসেম্বরে তিনটি টার্মিনালের দায়িত্ব বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দেবার সংবাদ পরিবেশন করতে দেখলাম। বাংলাদেশের শতকরা দুই শত জন মানুষ (ভুল শোনেননি ২০০%) যেখানে খুশিতে গদগদ হয়ে ছেলেমেয়েদের বিদেশে পাঠানোর (পড়ুন বিদেশিদের হাতে ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব তুলে দেন) খবর প্রকাশ করে সেখানে নৌসচিব কি ভুলটা করল?

মস্কো, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

Sunday, October 12, 2025

অশান্তি

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে লোকজন যদি অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে অশান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দিলেই তো হয়!
সম্ভব নয়।
কেন?
প্রার্থীর সংখ্যা এত বেশি হবে আর প্রার্থীরা যোগ্যতা প্রমাণ করতে নিজেদের মধ্যে এমন মারামারি শুরু করবে যে সেটা সামাল দিতে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে।

দুবনা, ১২ অক্টোবর ২০২৫

Friday, October 10, 2025

কঠিন বাস্তবতা

নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার এসব নিয়ে সুন্দর সুন্দর গল্প শুনে স্বপ্ন দেখা অনেকের জন্য প্রেম পর্বেই শেষ হয়ে যায়। বিবাহ পর্বে নেমে আসে কঠিন বাস্তবতা। পর্দা, স্বামী সেবা এসব হয় বিবাহিত জীবনের একমাত্র বিনোদন, সবে ধন নীলমণি অধিকার। মৌলবাদের জমানায় পুরুষতন্ত্র শুধু ভয়ঙ্কর নয় মারাত্মক বিপদজনক।

জামায়াত শিবিরের প্রেম পর্বের মিষ্টি কথা বিশ্বাস করিয়া তুমি ভুল করিয়াছ সিপিবি, উদীচী। শরৎ উৎসব এখন শুধুই অতীত স্মৃতি। 

বোকাদের জন্য করুণা করাও বোকামি।

দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৫

গনভোট

সিপিবির অনেকেই গণভোটের বিপক্ষে তাদের মতামত প্রকাশ করছেন বিভিন্ন যুক্তিতে। শুধু সিপিবি কেন এর বাইরেও অনেকেই সেটা করছেন বর্তমান সংবিধানে গণ ভোটের অপশন নেই বলে। অনেক লেখার পাশাপাশি দেখলাম মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের একটি লেখা কে যেন শেয়ার করেছে - যেখানে তিনি গনভোট অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছেন। বিষয়টি দেখে একটু খটকা লাগলো, কেননা এর আগে উনি নিজে ঐকমত্য কমিশনে রতনের বক্তব্য শেয়ার করেছেন যেখানে রতন পারতপক্ষে গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে ওনার ভেরিফাইড পেজে গিয়ে গণভোটের বিপক্ষে কিছু না দেখে উনি গনভোট প্রশ্নে কী মত প্রকাশ করেন সেটা জানার ইচ্ছে হল। আমার ধারণা সিপিবির উচিৎ এসব প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানানো। আমার মনে হয় ঐকমত্য কমিশন আসলে সংবিধান প্রশ্নে গনভোটের আওয়াজ তুলে সংবিধানের গণ ধর্ষণের আয়োজন করছে।

দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫

রাজা

প্রেসিডেন্ট, চ্যান্সেলর, প্রাইম মিনিস্টার এরা তো আসলে রাজাই। তবে মাক্রন (মাখো? কি মাখব?), মেরৎজ, স্টারমার এদের দেখলে মনে হয় এরা আসলে বিজ্ঞাপনের রাজা - মানে এক সময় বহু বিজ্ঞাপিত রাজা কনডম যাদের কাজ আসলে যাকিছু ভালো, যাকিছু শান্তিদায়ক - তাদের জন্ম রোধ করা।

দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৫

Thursday, October 9, 2025

প্রশ্ন

ডাক্তারের যতই স্বদিচ্ছা থাকুক না কেন, রুগী যদি মারা যায় তার দায় ডাক্তারকেই নিতে হয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে একটি অপারেশন দরকার ছিল, কিন্তু তার ফলাফল কি হতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা না করায় সে এখন কোমায়। এর দায় এড়ানো কি এতই সহজ? পারবে কি বামেরা এর দায় এড়াতে? নাকি বামেদের বিধি এখনও বাম?

দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

Tuesday, October 7, 2025

বিপত্তি নিয়ে আপত্তি

অসুরের দাড়ি নিয়ে বিপত্তি। অনেক চেষ্টা করেও কেউ এই বিতর্কে দাঁড়ি টানতে পারছে না। তাই আগামী বছর থেকে অসুরের জন্য ড্রেসকোড তৈরি করা আবশ্যক। ক্লিন শেভ না করা কোন অসুরকে যেন বাংলাদেশের ভিসা দেয়া না হয় এ ব্যাপারে সমস্ত দূতাবাসকে সতর্ক করে দিতে হবে আর কাস্টমসে নির্দেশ দিতে হবে কোন দাড়িওয়ালা অসুর যেন সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে।

দুবনার পথে, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রশ্ন

সময়ের সাথে সাথে হাড্ডি চামড়া বুড়িয়ে যাচ্ছে, কমছে ওদের বাজার দর আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওদের সচল রাখার ওষুধের দাম। এটা কি বৈষম্য নাকি মূল্যের নিত্যতার সূত্র?

মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

Sunday, October 5, 2025

জুলাই সনদ

গত বছর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের পরে জুলাই সনদের ধারণা সামনে চলে আসে। নতুন বন্দোবস্তের মূল স্টেকহোল্ডারদের মতে চব্বিশ একাত্তরকে ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবিদার কোন কোন দল প্রতিবাদ করলেও সেটা কতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে তা নির্ভর করবে ঐকমত্য কমিশন এই সনদের ফাইনাল ভার্সন কিভাবে লিপিবদ্ধ করেছে সেটার উপর। সেখানে যদি চব্বিশকে কে একাত্তরের উপরে স্থান দেয়া হয় আর নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করা দলগুলো যদি এর পরেও সেই দলিলে স্বাক্ষর করে তবে তা হবে নিজেদের রাজনৈতিক আত্মহত্যার পূর্বে চিরকুট রেখে যাওয়ার সমতুল্য। আত্মহত্যার জন্য বদ্ধপরিকর মানুষ সেটা অনুধাবন করবে কি না এটাই এখন দেখার বিষয়।

মস্কো, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

ইমিউন

আজকাল বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদরা নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অজুহাত খুঁজে বেরায়। ইউরোপ আমেরিকায় এই নন্দ ঘোষের ভূমিকায় অভিনয় করে রাশিয়া। এই তো শত কারচুপি করেও মালদোভায় ক্ষমতাসীন সান্দোর দল দেশের ভেতরে জিততে পারে না, ইউরোপে ভোট চুরি করে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হয়। চেখ রিপাবলিকে ব্রাসেলসের বিরোধী দল ক্ষমতায় আসে। কে দায়ী? রাশিয়া। রাশিয়া এসব দেশে কতটুকু প্রোপাগান্ডা চালাতে পারে সেটা জানা নেই তবে একথা জানি যদি নিজের ইমিউন সিস্টেম ঠিক থাকে তাহলে ভাইরাস সহজে কাবু করতে পারে না। তাই পশ্চিমা বিশ্বের ব্যর্থতার জন্য রাশিয়ার দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের পলিসির দুর্বলতা খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু সেটা করে মুক্তমনের বুদ্ধিমান মানুষ, কোন কিছুতে অন্ধবিশ্বাসী কেউ সেটা পারে না।

মস্কোর পথে, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

Friday, October 3, 2025

ডান বাম

দুই বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার মোড়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। এখানে দুই জনকে দুই পথে যেতে হবে।
- তুমি কোন দিকে যাবে?
- জানই তো আমি বামপন্থী। আমি বাঁ দিকে যাবো।
- ঠিক আছে। তবে মনে রেখো ফেরার পথে আমি আসব বাঁ দিক দিয়ে আর তুমি ডান দিক দিয়ে।

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ন্যাংটো রাজা

জেলেনস্কি কৌতুকাভিনেতা। তাই এমনকি প্রেসিডেন্ট হলেও তার কথাবার্তায় কৌতুকের ছোঁয়া থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। পশ্চিমা বিশ্বের বদৌলতে সেটা এখন ব্ল্যাক হিউমারে রূপান্তরিত হয়েছে।

ডঃ ইউনুস বললেন আওয়ামী লীগকে তো নিষিদ্ধ করিনি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কৌতুক হিসেবে এটা নেওয়াই যায়। তবে ভদ্রলোক কৌতুকাভিনেতা নন, তিনি শিক্ষিত, উচ্চ ডিগ্রিধারী, অধ্যাপক (শান্তিতে নোবেল পেতে এসব আবশ্যক নয়)। তারপরেও এধরণের ইন্টারভিউ তাকে খেলো করে বলেই ধারণা। এটা শুধু ব্যক্তি ইউনুসকে নয় বাংলাদেশকেও বিশ্বের সামনে ছোট করে।

কেউ ছবি তোলা শেখার জন্য এলে অনেকেই বলে - যদি পাশের বাড়ির কুকুর তোমার ছবি দেখে লেজ নাড়তে শুরু করে তা দেখে ভাবার কারণ নেই যে তুমি খুব ভালো ছবি তুলেছ। যদি কেউ ৫, ১০ বা ৫০ বছর দেশ চালানোর জন্য ডঃ ইউনুসের কাছে বায়না ধরে তারপরেও ভাবার কারণ নেই যে দেশ ভালভাবে চলছে। তবে মাত্রা জ্ঞান ব্যাপারটা জন্মগত। কারো সেটা থাকে, কারো থাকে না।

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

Sunday, September 28, 2025

ব্যর্থতা

কিছু দিন আগেও পাকিস্তানকে অনেকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করত। আর তার মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীলতা আর আইন শৃঙ্খলার বিপর্যয়। কিন্তু যখন কেউ এসে লাইনের শেষে দাঁড়ায় আগের লোকটি আর শেষ ব্যক্তি থাকে না। গত একবছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির হালচাল, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও এই মুহুর্তে খাগড়াছড়িতে শান্তিপ্রিয় পাহাড়ী মানুষের বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ড দেখে মনে হয় রাষ্ট্র হিসেবে ব্যর্থতায় আমরা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছি। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করার মৌলিক দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা রাষ্ট্রকেই ব্যর্থ করেছে। নিজের সাফল্য নয়, ছোট ভাইয়ের ব্যর্থতার কাঁধে চড়ে পাকিস্তান আবার সমাজে মুখ দেখাতে পারছে।

মস্কো, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাম্য

আইন ভালো না মন্দ তারচেয়েও বেশী জরুরী আইনের সুষম প্রয়োগ মানে এমন ভাবে প্রয়োগ যাতে আইনের চোখে সবাই সমান এই নীতির লঙ্ঘন না হয়। সম্পদের সুষম বন্টন (অবশ্যই কাজের ভিত্তিতে যাতে একই রকম কাজের জন্য দুই জন দুই রকমের ফল না পায়) যেমন সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলার জন্য জরুরী ঠিক তেমনি জরুরী আইনের সুষম প্রয়োগ। সেটা হয় না বলেই সমাজে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতির আবির্ভাব ঘটে।

মস্কোর পথে, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Saturday, September 27, 2025

আক্ষেপ

গতকাল সিডনি থেকে ভ্রমর ফোন করল। অনেক দিন পরে কথা হল ওর সাথে। সামনে যেহেতু পূজা তাই জিজ্ঞেস করল মস্কোয় পূজা হয় কিনা, হলে কয়টা। 
আমাদের সবে ধন নীলমণি একটা মাত্র পূজা। ঠাকুর দেবতায় ভক্তি না থাকলেও দুগ্গা মাকে একটা থ্যাঙ্কু বলতেই হয়। ওনার সৌজন্যেই অনেক পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। জিজ্ঞেস করলাম ওদের ওখানে পূজা কয়টা?
এবার সিডনিতে ২৬ (!) টা পূজা।
বলিস কি?
হ্যাঁ, শুরু হয়েছিল একটা দিয়ে। এরপরে বিভিন্ন প্রশ্নে প্রায়ই মনোমালিন্য, দলাদলি। ফলে প্রতি বছর পূজার সংখ্যা বেড়েই চলছে।

ঠাকুর দেবতারাও আজকাল মনে হয় রাজনীতি শুরু করেছে। এযে একেবারে ডিভাইড এন্ড রুল। ইংরেজরা শুধু রাজনীতিবিদদের মধ্যেই নয়, ঠাকুর দেবতার মধ্যেও ডিভাইড এন্ড রুল ঢুকিয়ে দিয়েছে। যত দলাদলি তত পূজা মণ্ডপ, যত মণ্ডপ তত প্রসাদের ছড়াছড়ি। মানুষ তো মানুষ হোল না, আজকাল দেখছি ঠাকুর দেবতারাও মানুষ হতে পারছে না।

দুবনা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Wednesday, September 24, 2025

কথা

গতকাল থেকে ফেসবুকে ও দু একটা গ্রুপে শেয়ার করা একটি ভিডিও দৃষ্টি আকর্ষণ করল। সেখানে বাহাত্তরের সংবিধানকে আওয়ামী লীগের সংবিধান হিসেবে উল্লখে করা হয়েছে এই যুক্তিতে যে সংবিধান গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। কথাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না এ কারণে যে সংবিধান কোন গণ ভোটে গৃহীত হয়নি। তবে এই যুক্তিতেই বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ, গণতন্ত্র, মার্ক্সবাদ এসব নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়, কারণ এর কোনটাই জনগণকে জিজ্ঞেস করে লেখা হয়নি। কোন বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী তাই যখন সংবিধান নিয়ে এই প্রশ্ন তোলে তার মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ নিয়েও একই প্রশ্ন করা উচিৎ। বিশেষ করে কেউ যখন সিপিবির মত রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় কেউ হয় তাকে সস্তা জনপ্রিয়তা থেকে দূরে সরে থাকতে হয়, কোন কথা বলার আগে তার রাজনৈতিক ব্যবহার বা অপব্যবহার নিয়ে ভাবতে হয়। আশা করি নতুন দায়িত্ব তাকে কথার গুরুত্ব নিয়ে ভাবতে শেখাবে।

দুবনা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Sunday, September 21, 2025

গণতন্ত্র

মালদোভায় নির্বাচন হচ্ছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মায়া সান্দো ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য বিরোধী দল ও নেতাদের বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করছে। তবে এই গ্রেফতারের শিকার হচ্ছে মূলত রুশ বা রুশপন্থী লোকজন। এ কারণে এসব কাজ পশ্চিমা বিশ্বের আশির্বাদপুষ্ট। এই নির্বাচনে সান্দোকে জিতিয়ে আনার জন্য একের পর এক গণতান্ত্রিক বিগ্রেড নামছে কিশিনেভে। কথায় বলে যে পয়সা দেয় নাচের বায়নাও সেই দেয়। বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে যারা মিডিয়া ও বিশ্ব বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তারাই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে।

মস্কোর পথে, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫




Saturday, September 20, 2025

না বোঝার বোঝা

ছাত্রজীবনে আমার এক বন্ধু মেট্রো থেকে নেমে বলল এক মেয়েকে চোখ মেরেছে। ওর চোখের কালো চশমা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম 
- তুই যে কালো চশমার পেছনে বসে চোখ মারলি তাতে কী লাভ হল?
- তুই এসব বুঝবি না।

আজ আপাদমস্তক কাপড়ে ঢাকা এক মহিলা দেখলাম নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছে। তবে যে ব্যাপারটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করল তা হল তার চোখের চশমা। তার বোরকার চোখের ওখানেও কোন ছিদ্র ছিল না। তাই আমার ধারণা চোখে চশমা থাকা না থাকা এখানে সমান। উল্টা চশমাটি মুখের স্বাভাবিক গঠনকে বিকৃত করছিল। তাই মনে প্রশ্ন জাগল চশমার কি আদৌ কোন দরকার ছিল? তবে আমার ধারণা এসব আমি বুঝব না।

দুবনা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজনীতি

এমনকি সবচেয়ে বড় কোম্পানির সিইও দিনের শেষে অন্যের অধীনস্থ। তবে সিইও যদি নিজের যোগ্যতায় সেই পদে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন তবে অন্যের অধীনস্থ হওয়ার পরও তিনি অনেক বেশি স্বাধীন। কারণ এখানে না হলেও অন্য কোথাও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেনই। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাই। যদি জনসমর্থন না থাকে পেছনে যত বড় শক্তিই থাকুক না কেন আপনি স্বাধীন না, বড়জোর করদ রাজ্যের জমিদার। আর জনসমর্থন থাকলে, জনগণ আপনাকে বিশ্বাস করলে তারাই আপনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে। ইউরোপে এখন জনসমর্থনের অভাব খুব প্রকট। আমরাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। জনসমর্থন রাজনীতি ক্ষেত্রে পায়ের নীচে মাটির মত। যে নেতার সেট নেই দেশবাসীর নয়, কোন গোষ্ঠী বা বিদেশী স্পন্সরের স্বার্থ রক্ষা করাই হয় তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

দুবনা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Thursday, September 18, 2025

ভ্রম

সারাহ অসুস্থ। মাইশা তাকে নিয়ে গেছে ডাক্তারের কাছে।‌ সারাহকে ডাক্তারের কেবিনে পৌঁছে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছে মাইশা। খুব টেনশন ফিল করছে। শেষ পর্যন্ত সারাহ বেরুবে ডাক্তারের কেবিন থেকে।

কি বলল ডাক্তার? কি হয়েছে?- উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করে মাইশা।
আর বল না। এতকাল আমরা যেটাকে অর্গাজম ভাবতাম সেটা আসলে ছিল হাঁপানি!- টিপ্পনী কাটে সারাহ।

রুশ এই চুটকি মনে পড়ল বাংলাদেশের বামপন্থী নেতাদের অবস্থা দেখে। এতকাল আমরা যাদের আদর্শবান ও জনদরদী বামপন্থী নেতা ও সমাজতন্ত্রের একনিষ্ঠ সৈনিক বলে মনে করতাম এরা আসলে জর্জ সোরসের বেতনভূক রাজনৈতিক কর্মচারী। আর সোরস ও জনগণ এরা বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। বাম রাজনীতিও নষ্টদের হাতে চলে গেছে।

দুবনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Monday, September 15, 2025

অল ইনক্লুসিভ

রাশিয়ার ট্যুর এজেন্সিগুলো অল ইনক্লুসিভ প্যাকেজ বিক্রি করে। তাতে টিকেট, হোটেল, খাবার দাবার সব থাকে। ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ শুনলে আমার দাবারের কথা মনে হয়। আমাদের এলাকায় দাবায মানে তাড়ানো। এখন তো সবাইকে দৌড়ের উপরে রাখা আর মব দিয়ে হেনস্থা করাই বাংলাদেশের আসল রূপ।

মস্কো, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Friday, September 12, 2025

অঘটন

অনেকেই বলছে ডাকসু নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের রিহারসেল। জাতীয় নির্বাচনে কেউই জামাতকে তেমন পাত্তা দিতে রাজি নয়। তবে ডাকসু নির্বাচন প্রমাণ করল - বিষয়টি এত সোজা নয়। বেশ কয়েক মাস আগে লিখেছিলাম যে বিএনপিকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ জামাতকে ভোট দিতে পারে। কারচুপির পরেও এবার শিবিরের প্রাপ্ত ভোট দেখে মনে হয় তারা ছাত্র লীগের সমর্থকদের অনেকের ভোটই পেয়েছে। এ জন্যে তাদের গালিগালাজ করাই যায়, তবে বিএনপি বা অন্যেরা কিন্তু আওয়ামী লীগ বা ছাত্র লীগের ভোট পাওয়ার জন্য কিছুই করেনি, বরং যত দূর সম্ভব তাদের দূরে সরিয়েছে। "বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুন।" ঠিক একই ভাবে অন্তত প্রকাশ্যে জামাত শিবির আওয়ামী লীগকে যত না গালি দিয়েছে তারচেয়ে বেশি দিয়েছে বিএনপি আর বামেরা। এসব যদি চলে তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এ ধরণের অঘটন ঘটা অসম্ভব কিছু নয়।

দুবনা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Thursday, September 11, 2025

ধিক!

রাশিয়ায় বলে "এর সাথে গুপ্তচরবৃত্তিতে যাওয়া যায়।" এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সেই লোককে নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করা যায়। কারণ গুপ্তচরবৃত্তি খুবই রিস্কি ব্যাপার। এর মধ্য দিয়ে এরা কারো প্রতি নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করে। ডাকসু নির্বাচনে এক ভিপি প্রার্থীর মাত্র ১১ ভোট পাওয়ার খবর শুনে আমার এটাই মনে হল "এদের সাথে গুপ্তচরবৃত্তিতে যাওয়া যায় না।" কারণ একটা প্যানেল থেকে নির্বাচন করা মানে প্যানেলের সবাই একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে এই বিশ্বাস থাকা, না থাকলে লড়াই করবে কোন সাহসে, কোন আবেগে? আচ্ছা যিনি ১১ ভোট পেলেন তিনি কি তার প্যানেলের সবার ভোটও পাননি? এই ঐক্য নিয়ে কেউ লড়াই করতে নামে? কোথায় যাচ্ছে রাজনীতি? এরপরেও আমরা শিবিরের বিজয়ে মন খারাপ করব? ধিক! শত ধিক!

দুবনা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Wednesday, September 10, 2025

রক্ত

যে কারণই দেখানো হোক না কেন দিনের শেষে জিন্নাহ পাকিস্তান চেয়েছিলেন একান্তই নিজের ক্ষমতায়নের জন্য আর সেটা করেছিলেন গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলে পাকিস্তানের জন্ম হলেও জিন্নাহ তাঁর নিজের মত করেই সেখানে শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন আর এই অঞ্চলের কারোও মাতৃভাষা না হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করেছেন। অধিকাংশ মানুষের মতামত উপেক্ষা করা আর যেকোনো কৌশলে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা এটা পাকিস্তানের জন্ম সূত্র। কী পাকিস্তানের কী বাংলাদেশের - দুই দেশের এলিট শ্রেণী এই মন্ত্রে দীক্ষিত। এসব দেশে তাই বারবার সামরিক শাসন বা বেসামরিক শাসকদের স্বৈরাচারী ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়। সমস্যা শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নোবেলজয়ী বা নোবেল প্রত্যাশী শাসকে নয়, স্বৈরাচার আসলে এই অঞ্চলের শাসকদের রক্তের মধ্যে নিহিত।

দুবনা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Monday, September 8, 2025

শান্তির জন্যে লড়াই


মহামায়া কংসকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন 
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে

আসলে সবকিছুর মৃত্যু তার ভেতরেই অন্তর্নিহিত। জাভেদ আখতারের আমন্ত্রণ বাতিল করল তারাই যাদের উচিত ছিল তাঁর পাশে দাঁড়ানোর, দাঁড়িয়ে মৌলবাদকে প্রতিহত করার। সারা বিশ্বে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে উদারপন্থীদের হাত ধরেই। এভাবে চলতে থাকলে এমন সময় আসবে যখন উদারতার সুযোগ নিয়ে বেড়ে ওঠা মৌলবাদ এদের কচুকাটা করবে। এমন উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল নয়। ন্যায় বিচার মানেই উদারতা নয়, ন্যায় বিচার মানে কর্ম অনুযায়ী সঠিক পুরস্কার দেয়া বা তিরস্কার করা। আবেগের বসে তিরস্কার করতে ভুলে গেলে একদিন এমন শাসনের মুখোমুখি হতে হবে যা নরককেও হার মানায়। শান্তি কারোও দয়ার দান নয়। শান্তির জন্যে লড়াই করতে হয়।

মস্কো, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Saturday, September 6, 2025

যুদ্ধ মন্ত্রণালয়

আমাদের বাসা থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মিনিট কুড়ির হাঁটা পথ। আমি আর সেভা প্রায়ই ওদিকটায় হাঁটতে যাই। কখনো গভীর রাতে রাতের মস্কোর ছবি তুলতে। এখান থেকে পার্ক কুলতুরি, ক্রেমলিন, ক্রাইস্ট দ্য স্যাভোয়ার চার্চ বেশ ভালো দেখা যায়। আবার আসি গ্রীষ্মের ভোর ৪.৩০ এর দিকে সূর্যোদয়ের ছবি তুলতে। এর পাশে এলেই সেভা বলে আক্রমণ মন্ত্রণালয়। 

খবরে দেখলাম ট্রাম্প আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলিয়ে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় রাখছেন। তাই মনে পড়ল- আমারও তো এসব ছিল মনে, কেমনে ব্যাটা পারল সেটা জানতে?

দুবনা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Friday, September 5, 2025

মোনাফেকি

আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা অন্যকে বদলাতে চাই কিন্তু নিজেকে বদলাই না। এমনকি বদলাতে চাইও না। আমরা চাই ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা বহাল থাকুক, সেদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত থাকুক কিন্তু নিজের দেশে সেটা চাই না। আমরা পশ্চিমা বিশ্বের সব রকমের সুযোগ সুবিধা নিতে চাই, কিন্তু নিজের দেশকে পশ্চিমা বিশ্বের মত করে গড়ে তুলতে চাই না যেখানে সব নাগরিককে তার অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। আমরা চাই সরকার গণতান্ত্রিক নীতিতে চলুক কিন্তু একবার ক্ষমতায় গেলে নিজে আরও বেশি করে স্বৈরাচারী হই। ফলে আমাদের ঘোষিত লক্ষ্য আদর্শ কখনোই বাস্তবায়িত হয় না, কারণ আমাদের মন আর মুখের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। বছর খানেক আগেও দেশে জনপ্রিয় স্লোগান ছিল দেশটা কারোও বাপের না বা দেশটা কারোও স্বামীর না। মানুষ ভেবেছিল তাহলে নিশ্চয়ই দেশটা সবার। এখন দেখা যাচ্ছে দেশটা আসলে কয়েক জন লোকের। মোনাফেকি - এটাই বাংলাদেশের রাজনীতির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।

দুবনা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Thursday, September 4, 2025

বেলে কাক

অনেকেই বলেন সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেবার কথা। গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা নেবার পরে দেশে যে সার্বিক অরাজকতা সৃষ্টি হয় তাতে মনে হয়েছিল সেনাশাসন একটা অপশন হতে পারে। কিন্তু গত এক বছরে তাদের নির্লিপ্ততা অথবা নীরব সমর্থনে দেশ থেকে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দেয়া হল, যেভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করা হল তাতে এই সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিলেই কি আর না নিলেই কি? যারা মবের হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে পারে না তারা জনগণকে রক্ষা করবে কীভাবে? বেল পাকলে কাকের কী? তবে আমার কিন্তু মনে হয় দেশে সেনাশাসনই চলছে। তারা পেছন থেকে দেশটাকে ফাঁকা করে ফেলছে শিখণ্ডী হিসেবে সমন্বয়কদের সামনে বসিয়ে। কিন্তু কেউ এদের বিরুদ্ধে বললে ঠিকই মানুষর মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে, হত্যা করছে সাধারণ ছাত্র আর শ্রমিকদের। ধরি মাছ, না ছুঁই পানি। এক অভূতপূর্ব সেনাশাসন।

দুবনা, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Monday, September 1, 2025

আস্তিক

আজ ১ সেপ্টেম্বর, রাশিয়ায় জ্ঞান দিবস। আজ থেকে শুরু হল নতুন শিক্ষা বছর। লাখ লাখ ছেলেমেয়ে জীবনে প্রথম বারের মত স্কুলে গেল। আমারও ক্লাস শুরু হল। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের সাথে আজই প্রথম পরিচয়। ক্লাস শেষে জিজ্ঞেস করলাম 
তোমরা সবাই আস্তিক মনে হচ্ছে?
কেন আপনি এমন ভাবছেন?
কোন প্রশ্ন করছ না, যা বলছি শুনছ আর লিখে যাচ্ছ?
এর সাথে আস্তিকতার সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না।
ওরা সব বিশ্বাস করে, প্রশ্ন করে না। প্রশ্ন বিজ্ঞানের জীবনীশক্তি। প্রশ্ন না করলে তো বিজ্ঞান হবে না।
খুব সুক্ষ আপনার রিমার্ক।
কী আর করা? দেখছ না আমি কেমন হালকা পাতলা? 

ভালো লাগে যখন ছাত্র-ছাত্রীদের সেন্স অব হিউমার সাহারা না হয়।

মস্কো, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Sunday, August 31, 2025

শাসন শোষণ

দিন দিন শাসন শোষণে পরিনত হচ্ছে। বাইরে থেকে সেরকম মনে না হলেও শাসক দল সব দেশেই দিন দিন শোষক হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ রাজনীতির বানিজ্যিকরণ। অর্থ আর ক্ষমতা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। অর্থ ক্ষমতায় আরোহণের পথ সহজ করে আর ক্ষমতা অর্থ উপার্জন মসৃণ করে। বিপুল পরিমাণ অর্থ শোষণ ছাড়া স্বচ্ছন্দে দম নিতে পারে না কারণ শোষণ অগাধ ও অবাধ উপার্জনের জন্য অক্সিজেন স্বরূপ। সেই বিবেচনায় সমাজতন্ত্র হল একদলীয় শোষণ আর গণতন্ত্র - বহুদলীয় শোষণ। সমাজতন্ত্রে দ্রব্যমূল্য ও দৈনন্দিন জীবনের মত শোষণেও এক ধরনের স্থিতিশীলতা আছে, বাজার অর্থনীতিতে সব কিছুর মত শোষণও অস্থির, ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী।

মস্কোর পথে, ৩১ আগস্ট ২০২৫

Saturday, August 30, 2025

স্বৈরাচার

স্বৈরাচার বা রাজাকার না হয়েও যে বাংলাদেশী হওয়া যায় সেটা আমরা দিন দিন ভুলে যাচ্ছি আর সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে একসময় মানুষ যেমন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পেয়েছে আজ তেমনি তারা রাজাকারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে। তারা ভুলে যায় যে স্বৈরাচার শুধু স্বৈরাচারই, কিন্তু রাজাকার শুধু রাজাকারই নয় সে একই সাথে স্বৈরাচার আর সে স্বৈরাচার যাকে বলে বাই ডেফিনিশন।

দুবনা, ৩০ আগস্ট ২০২৫

Friday, August 29, 2025

সত্য মিথ্যা

শুধু সত্য বললেই সত্যবাদী হওয়া যায় না, সত্যবাদী হতেই হলে মিথ্যার প্রতিবাদ করতে হয়, মিথ্যা প্রতিরোধ করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক বামপন্থী নেতা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সত্য কথা বলে কিন্তু আজ যখন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যা বয়ান তৈরি হয় তখন সেটা পাশ কাটিয়ে যায়। মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়া মিথ্যা বলার সমতুল্য।

দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০২৫