মস্কোর পথে, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
Sunday, April 6, 2025
কথা
হাসিনাকে ফেরানোর প্রস্তাবে মোদী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাননি - প্রেস সচিব। প্রশ্ন উঠতে পারে কোন ক্যাপাসিটিতে তিনি হাসিনাকে ফেরাবেন? অভিযুক্ত আসামি, প্রধানমন্ত্রী নাকি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। তখন যেন হতাশ হয়ে না বলতে হয় - এমন তো কথা ছিল না।
Friday, April 4, 2025
তেঁতো কথা
কথায় আছে মানুষ অভ্যাসের দাস। বিগত পনের বছর না হলেও দশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেছে সেনাবাহিনী ও আমলাদের দয়ায়। এরা একে অন্যের সম্পূরক হিসেবে পরস্পরকে যথেচ্ছ ভাবে শাসন ও শোষণ করার হোল সেল লাইসেন্স দিয়েছে। এখন সেনাবাহিনী ও আমলারা সমর্থন তুলে নিলে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ মোদি ও ট্রাম্পের প্রশস্ত পিঠে চড়ে ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাইছে। ২০০৯ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যে দল ক্ষমতায় এসেছিল ও বিগত দশ বছরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে আঁতাত করে যে দল ক্ষমতায় টিকে ছিল, ক্ষমতাচ্যুত হবার পরেও তারা যদি শত্রু মিত্র চিনতে না পারে এমন দলের প্রয়োজন বাংলাদেশের মানুষ কি আদৌ অনুভব করবে? মোদি ট্রাম্প - এদের উপর ভরসা নয়, নিজেদের ভুল স্বীকার করে জনগণের কাছে ফিরে গিয়েই কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরতে পারবে। অন্য যেকোনো পথ তাকে চিরতরে মুছে দেবে বাংলাদেশের বুক থেকে যেমন দিয়েছে মুসলিম লীগকে।
দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৫
দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৫
Thursday, April 3, 2025
চকলেট বিলি
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর বিভিন্ন পরিমাণ ট্যাক্স ধার্য করছেন আর দেশগুলো অবনত মস্তকে সেই আদেশ শিরোধার্য করে নিচ্ছে। এটা দেখে আমার মধ্যযুগীয় কোন সম্রাটের হারেমের দৃশ্য মনে পড়ছে। সূলতান তাঁর শত শত উপপত্নীকে জড়ো করে কাকে কতটুকু ভালোবাসেন বা কাকে কতটুকু শাস্তি দেবেন তা ঘোষণা করছেন আর উপপত্নীরা ভাবছে কিভাবে তাদের উপর আরোপিত এই শাস্তি কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়। অথবা কেউ ভাবতে পারেন এটা আসলে বাচাদের মধ্যে চকোলেট বিলি করার উৎসব। কতই রঙ দেখি দুনিয়ায়!!!
দুবনা, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
দুবনা, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
Tuesday, April 1, 2025
মব
যদি কর্ম সংস্থান করতে না পার তবে বেকারত্ব দূর হবে না। মবের রাজনীতি বেকারত্ব দূর না করলেও বেকারদের ব্যস্ত রাখে। দেশের সবচেয়ে প্যাসনারী মানুষদের বিদ্রোহী শক্তি যা সরকারের অযোগ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হবার কথা ছিল তাকে প্রজাদের আরেক অংশের বিরুদ্ধে চালিত করার নামই মব রাজনীতি। এটা সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে সৃষ্ট ও পুষ্ট। বর্তমান বাংলাদেশে মব সরকারের শুধু চালিকাশক্তিই নয়, প্রাণ ভোমরাও।
দুবনা, ০১ এপ্রিল ২০২৫
Sunday, March 30, 2025
ঈদের শুভেচ্ছা
ঈদের শুভেচ্ছা শুভেচ্ছার ঈদ
ভরা পেটে গরীবের চোখে আসুক নিদ
শ্রমিকের বেতন আসুক আসুক বোনাস
ফসলের ন্যায্য দামে মিটুক কৃষকের আশ
মস্কো, ৩০ মার্চ ২০২৫
ভেজাল বিপ্লব
যে দেশে সব কিছু ভেজাল সেখানে বিপ্লব কি করে নির্ভেজাল হবে? যে সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা বলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আজ তারাই সবচেয়ে বঞ্চিত। নেতারা যেখানে হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়ায়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার করে সাধারণ মানুষ সেখানে ন্যায্য বেতন পায় না, ঈদের বোনাস পায় না। আগে বিপ্লব কৃষক শ্রমিকের রাজ কায়েম করত, এখন বিপ্লব নব্য জমিদারের জন্ম দেয়।
মস্কোর পথে, ৩০ মার্চ ২০২৫
Friday, March 28, 2025
চাওয়া পাওয়া
জনগণ চায় স্বৈরাচারের অবসান। ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলগুলো চায় আওয়ামী স্বৈরাচারের অবসান। তারা স্বৈরাচারের অবসান চায় না। কারণ সেটা হবে ধর্মীয় বা সর্বহারার একনায়কতন্ত্র (স্বৈরাচার) প্রতিষ্ঠার পথে প্রধান অন্তরায়। জনগণকে তাই সব ধরণের রাজনৈতিক দলের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২৫
Wednesday, March 26, 2025
এক ও অদ্বিতীয় স্বাধীনতা
শুধু লোক আর লোক, বানের জলের মত আসছে মানুষ। বলতে গেলে খালি হাতে, এক কাপড়ে। তরা ঘাটে ফেরী পার হয়ে আমাদের গ্রামের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দূরে আরও দূরে। পেছনে রেখে যাচ্ছে গতরাতের দুঃসহ স্মৃতি। গ্রামের লোকজন যে যেভাবে পারছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের দিকে। আমরাও গ্লাসে দুধ বা জল নিয়ে দিচ্ছি ঢাকা থেকে পলায়ন পর লোকদের। বাবা নারায়ণগঞ্জ গেছেন ব্যবসায়িক কাজে। এ নিয়েও বাড়িতে চিন্তার শেষ নেই। এরপর শুরু হবে দীর্ঘ নয় মাসের এক অন্য জীবন। স্বজন হারানোর ভয় আর নতুন দেশে নতুন করে জীবন গড়ার আশা। নতুন দেশ পেয়েছে জাতি কিন্তু নতুন জীবন কি পেয়েছে? ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত কি নতুন জীবনের জন্য যথেষ্ট নয়? সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। এক ও অদ্বিতীয় স্বাধীনতা!!!
দুবনা, ২৬ মার্চ ২০২৫
Tuesday, March 25, 2025
প্রস্থান
চলে গেলেন সনজীদা খাতুন। বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতে তিনি ছিলেন সিরিয়াসের মতই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমরা যারা সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশুনা করেছি এবং রুচিরা আপার সাথে পরিচিত ছিলাম, তাদের কাছে শিল্পী ও সংগঠকের বাইরেও তাঁর আরও একটা পরিচিতি ছিল - তিনি রুচিরা আপার মা। আমার অনেক বন্ধুই তাদের পরিবারের সাথে বিভিন্ন ভাবে ঘনিষ্ঠ ছিল, সেই সুত্রেও সেই ষাটের দশক থেকেই এই মহীয়সী মহিলার সংগ্রামের কথা কমবেশি জানি। এমনকি ২৪ এর পরিবর্তনের পর যে কটি সংগঠন এখনও বাংলা সংস্কৃতির প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিল এবং কোন ভাবেই নিজেকে কলুষিত করেনি তাদের অন্যতম ছায়ানট। মানুষ ততদিন পর্যন্তই বেঁচে থাকে যতদিন তাঁর কাজ অন্যদের পথ দেখায়। সেই আলো বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এখন তাঁর অগণিত ছাত্রছাত্রীর, শুভানুধ্যায়ীর। দীর্ঘদিন ধরে যে আলোর মশাল তিনি বয়ে নিয়ে গেছেন আশা করি তাঁর গুনগ্রাহীরা সেটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। একমাত্র সেটাই হবে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। সব প্রস্থান প্রস্থান নয়, অনে প্রস্থান নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসা। আপনাকে মনে থাকবে।
দুবনা, ২৫ মার্চ ২০২৫
দুবনা, ২৫ মার্চ ২০২৫
Sunday, March 23, 2025
রাজনীতি
হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়, বিত্তশালী হওয়া যায় কিন্তু সুশিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান হওয়া যায় না। একই ভাবে হুট করে ক্ষমতা দখল করা যায় কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। সমন্বয়করা সেটা হাতেনাতে প্রমাণ করে দিল।
মস্কো, ২৪ মার্চ ২০২৫
Saturday, March 22, 2025
ইতিহাসে স্থান
ঐতিহাসিক বিচারে ২০২৪ এর বিপ্লবে লাভবান হবে মনে হয় মীর জাফর ও মোশতাক। কারণ এতদিন পর্যন্ত এই দুজনের স্থান ছিল ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে। কিন্তু সব দেখে মনে হয় বর্তমানে যারা ২০২৪ এর বিপ্লবের হালুয়া রুটি খাচ্ছে ক্ষমতার লম্বা টেবিলে বসে এমনকি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়েও তাদের স্থান হবে না। এদের হাত ধরে মীর জাফর, মোশতাক কিছুটা হলেও জাতে উঠবে।
দুবনা, ২২ মার্চ ২০২৫
Friday, March 21, 2025
তালিকা সমাচার
শোনা যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শেখ মুজিবুর রহমান সহ চার শ' নেতার নাম থাকবে না। লীগ আমলে মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কারোরই সঠিক তালিকা প্রস্তুত হয়নি। এই বার যদি রাজাকারদের সঠিক তালিকা প্রস্তুত হয়!
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২৫
রাজনীতি
সব দেখে মনে হয় বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক নেতাদের প্রমোট করা হচ্ছে ক্রিকেটের স্টাইলে। কোন এক ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করলে বা ফাইফার নিলেই যেমন রাতারাতি গ্রেট হয়ে যায় চব্বিশের ছাত্র বিপ্লবীদের তেমনি মহান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। ক্রিকেটারদের মত এরাও তারকা রোগে আক্রান্ত। ক্রিকেটারদের পরিণতি আমরা জানি। এখনও সময় আছে শিক্ষা নেবার। ফ্লপ করতে খুব বেশি দিন লাগবে বলে মনে হয় না।
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২৫
Thursday, March 20, 2025
আমি ও আমরা
একজন প্রশ্ন করল চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ বাংলাদেশে আছে কি না। আছে। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস করে তার যেকোনো ব্যর্থতার জন্য দায়ী পাশের যেকোনো সফল বা ব্যর্থ মানুষ। নিজের ব্যর্থতায় অন্যকে দায়ী করার সংস্কৃতি জাতীয় পর্যায়ে স্থান পেয়েছে। ফলে দেশের সব সমস্যার দায় ভারতের, পাকিস্তানের, রাশিয়ার, আমেরিকার, চীনের। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার জন্য দায়ী বিএনপি, জামাত, বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ, জামায়াতের জন্য আওয়ামী স্বৈরাচার। এক কথায় আমাদের দেশে আমি ও আমরা ছাড়া সবাই দায়ী।
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২৫
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২৫
Wednesday, March 19, 2025
প্রশ্ন
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা কি জন্ম থেকেই হিপোক্র্যাট নাকি ক্ষমতায় গেলে হিপোক্র্যাট হয়? যখন বিরোধী দলে থাকে তখন দ্রব্যমুল্য, ট্যাক্স, ভ্যাট, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, আইন শৃঙ্খলার অবনতি - যে কোন ইস্যুতে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে এরা সমর্থন দেয়, এসব আন্দোলন গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন বলে চিহ্নিত হয়। কিন্তু যখন তারা হুক্কা হাতে দুই পা তুলে ক্ষমতার আসনে বসে তখন এসব আন্দোলনই কেমন করে যেন স্বৈরাচারের পক্ষে চলে যায়, নব্য স্বইরাচারীরা পুলিশ দিয়ে এসব আন্দোলন ভন্ডুল করার চেষ্টা করে। রাজনীতিবিদদের এই অসততা, এই স্ববিরধিতা রাজনীতিকেই কলুষিত করছে বার বার। এই শেকল ভাঙবে কে?
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২৫
দুবনা, ১৯ মার্চ ২০২৫
Saturday, March 15, 2025
সততা
(আওয়ামী) লীগ আমলে অনেককেই বলতে শুনতাম বিএনপি এলে দেশে থাকা যাবে না। তাই নির্বাচনের নামে প্রহসন তারা মনে না নিলেও মেনে নিত। ফলাফল কী হল? বিএনপি ঠেকাতে গিয়ে জামাত শিবির এলো। নদীকে নিজের মত করে প্রবাহিত হতে না দিলে সে বন্যার আকারে ফুঁসে ওঠে সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। রাজনীতিও তাই। তাকে যদি নির্বিঘ্নে চলতে দেয়া না হয় শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত ঘৃণা এতটাই তীব্র হয় যে সে তখন ভালোমন্দ বিচার না করে যে কারো হাতে দেশের শাসনভার তুলে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে অন্যায় রোধ করা যায় না। অন্যায়কে সময় মত অন্যায় না বলতে শিখলে একদিন আরও বেশি বিপদের মুখোমুখি হতে হয়।
দুবনা, ১৫ মার্চ ২০২৫
Friday, March 14, 2025
প্রশ্ন
ছোটবেলায় অনেকে মিলে গাছে ঝাঁকি দিয়ে আম, বড়ই এসব পারতাম। আর তখন সবাই জানতাম যে ঝরে পড়া ফল তার পকেটেই যাবে যে হয় চতুর না হয় ভালো দৌড়ায় না হয় শক্তিশালী। যারা বলে জুলাই আগস্টের আন্দোলনের ফসল যে এভাবে বেহাত হয়ে যাবে সেটা জানত না তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়।
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৫
Saturday, March 8, 2025
শুভেচ্ছা
যারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে তাদের সবাইকে জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২৫
চোকার
গন্তব্য এক হলেই যে লক্ষ্য এক হবে এমন কোন কথা নেই। একই বাসে বা ট্রেনে শত শত লোক ধরুন ঢাকা যাচ্ছে। এরা কেউ কারো পরিচিত নাও হতে পারে। যাত্রা কালে গাড়ি যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে এ ব্যাপারে সবাই একমত হলেও ঢাকায় পৌঁছে যে সবাই একই কাজ করবে তার কোন মানে নেই। উল্টো তারা ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যেই চলে যায়। এবারের আন্দোলন হয়েছে এমনটাই। বিভিন্ন স্টেশনে বিভিন্ন জন যোগ দিয়ে আন্দোলন শক্তিশালী করলেও সম্মিলিত নেতৃত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়া না থাকায় অনেকের কাছ থেকেই আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গেছে। এর ফলে বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তথাকথিত প্রগতিশীল ও বাম আন্দোলন। আজ বাংলাদেশের নারী নির্যাতন যেভাবে বাড়ছে, শ্রমিকদের অধিকার যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে তাতে মনে হয় বামদের বিগত দিনের সমস্ত আন্দোলন, সমস্ত শ্রম পণ্ডশ্রম। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশের নারীদের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে যারা নারীদের অধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বেশি ভোকাল তাদের উদ্দেশ্যে একটা শব্দই মনে আসছে - চোকার।
দুবাই, ০৮ মার্চ ২০২৫
Thursday, March 6, 2025
বসন্ত
এবার আমাদের শীতটা একেবারেই জমেনি। আমি সবসময়ই অপেক্ষা করি প্রচুর বরফের যাতে মন ভরে ছবি তুলতে পারি। এবার বরফের টিকি মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও তাতে পটল বা বেগুন ঝুলানোর ফুসরত পাইনি। তাই জানুয়ারি থেকেই অপেক্ষা করেছি কবে প্রথম ফুল ফুটবে সেটা দেখার জন্য। গত তিনদিন রাতে যেভাবে বরফ পড়ছিল তাতে মনে হয়েছিল মার্চ মাসে নভেম্বর ফিরে আসছে আর চার মাসের ট্রাফিক জ্যাম কাটিয়ে শীত শেষ পর্যন্ত চলে এসেছে এই এলাকায়। তাই আজ যখন বাগানের দিকে পা বাড়ালাম কোন আশা ছিল না অপ্রত্যাশিত কিছু দেখার। তবে প্রকৃতি আমাকে নিরাশ করেনি। দেখি একটি পাদস্নেঝনিক বা স্নোড্রপ মাথা দুলিয়ে হাসছে। বসন্ত এসে গেছে।
দুবনা, ০৬ মার্চ ২০২৫
Tuesday, March 4, 2025
চোখ
ক্ষমতায় গেলে সবাই মনে হয় নবজাতক বনে যায়। সবাই নিজেদের নিষ্পাপ শিশু মনে করে। অনেকের তো চোখই ফুটে না। ফলে নিজেদের অপরাধ, ব্যর্থতা এসব তাদের চোখে পড়ে না। কারও কারও আবার চোখ ফুটলেও ভিন্ন সমস্যা - কাছের জিনিস দেখে না। ফলে অন্যদের দোষ চোখে পড়লেও নিজেদের দোষ চোখে পড়ে না। ক্ষমতার মনে হয় চোখের দোষ অথবা সব দোষ চোখের ডাক্তারদের যারা সময় মত ক্ষমতার চোখ ফুটিয়ে দেন না।
দুবনা, ০৪ মার্চ ২০২৫
দুবনা, ০৪ মার্চ ২০২৫
Sunday, March 2, 2025
অনুভূতি
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মৌলবাদীদের কাছে দল বিক্রি করে শেখ হাসিনা নিজের এবং দেশের বিপদ ডেকে এনেছিলেন, একইভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা যুদ্ধবাজদের কাছে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিক্রি করে ইউক্রেন, পশ্চিমা বিশ্ব তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নামক এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন যে অরাজকতা চলছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব এখনও নিজেদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
মস্কো, ০৩ মার্চ ২০২৫
নিয়তি
বর্তমানে ইউক্রেন সহ পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে অপছন্দের শব্দ হল রাশিয়ান। যা কিছু রাশিয়ান তাই ঘৃণা করা বা নিষিদ্ধ করা এখন পশ্চিমা এলিটদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। তবে নিয়তির কি নির্মম পরিহাস যে এটা করতে গিয়ে তারা যে নিজ নিজ দেশ, জাতি এমনকি বিশ্বের ভাগ্য নিয়ে রাশিয়ান রুলেট খেলছে সেটা তাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। তারা জ্যাকপটের আশায় একের পর এক বাজী রেখেই যাচ্ছে। মরছে সাধারণ মানুষ। ইউক্রেনে ও রাশিয়ায় গুলিতে, অন্যান্য দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে। একেই বলে সভ্যতা।
মস্কোর পথে, ০২ মার্চ ২০২৫
Saturday, March 1, 2025
ভাবনা
গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার কারণে আমার বিভিন্ন দেশ ও জাতির মানুষের সাথে মেলামেশা করার সুযোগ হয়েছে। এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, আরব - কারা না ছিল সেখানে? প্রতিটি আরব দেশের মানুষ তা সে ইরাক, মিশর, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, জর্ডান বা যে দেশেরই হোক না কেন আগে নিজেদের আরব ভাবে তারপর মুসলমান বা অন্য ধর্মের। একই ভাবনা দেখেছি অন্যান্য দেশের মানুষের ক্ষেত্রেও। শুধু ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ করে বাঙালির ক্ষেত্রে সেটা বদলে গেছে। সে এখনও ব্যস্ত বাঙালি না মুসলমান সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। অথচ সে যদি আরবদের মত নিজেকে বাঙালি বলে ভাবত তাহলে সে আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান ধারক ও বাহক হত। এতে শুধু যে সে লাভবান হত তাই নয় দেশও উন্নত ও স্থিতিশীল হত।
দুবনা, ০১ মার্চ ২০২৫
Thursday, February 27, 2025
দেশ ও মানুষ
বাংলাদেশকে যদি একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করা হয় তাহলে বলতে হবে এই এই মুহূর্তে সে প্রচন্ডরকম অসুস্থ। জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসক কৃমির মত এর প্রাণশক্তি শুষে নিয়েছে আর রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন সংগঠন গুঁড়া কৃমির মত একে অস্থির রেখেছে। সাধারণ মানুষ, যা দেশের প্রাণ, বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা সময় পার করছে।
দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Monday, February 24, 2025
সমস্যা
বাংলাদেশের রাজনীতির বড় সমস্যা হচ্ছে অবাধ স্বাধীনতা। যে যা খুশি তাই করছে। সরকার চোরকেও সাজা দিচ্ছে না, গৃহস্থকেও নিরাপত্তা দিচ্ছে না। সবাইকে স্বাধীনতা দিয়েছে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। এমন স্বাধীনতা আর কোথায় আছে?
কিন্তু এতে লাভ? মরছে তো ভালো মানুষ।
মরছে নিজেদের দোষে। চোরেরা ঐক্যবদ্ধ, গৃহস্থেরা বিচ্ছিন্ন। যতদিন গৃহস্থেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের রক্ষা না করবে ততদিন এরা মার খাবে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ তাদের হতেই হবে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যত তাড়াতাড়ি এটা তাদের বোধগম্য হবে তত মঙ্গল।
দুবনার পথে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sunday, February 23, 2025
বিপ্লব
যেখানেই বিপ্লব সেখানেই টাকা। যে সে টাকা নয় খোদ আমেরিকান টাকা। আধুনিক রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লব নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টি জার্মান সরকারের সাহায্য পেয়েছিলেন। না, জার্মানি সমাজতন্ত্র বা বলশেভিকদের বন্ধু ছিল না, তাদের দরকার ছিল রাশিয়াকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র শক্তির কাছ থেকে সরিয়ে দেয়া। একসময় আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লব ঘটাত অস্ত্রের বলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকা সফ্ট ফোর্স ব্যবহার করে বিভিন্ন এনজিও, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। যদিও গণতন্ত্র ও পশ্চিমা ধাঁচে সমাজ গঠনের কথা বলা হয় সামাজিক ভাবে ও শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া তৃতীয় বিশ্বের দেশে দিনের শেষে এসব প্রত্যাখ্যাত হয়। থেকে যায় শুধু পুরানো ব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষ আর রাশ রাশ অনিশ্চয়তা।
মস্কোর পথে, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Saturday, February 22, 2025
শিক্ষা
আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না সেটা ঠিক নয়। নেই। তবে আমাদের সমস্যা হল আমরা ইতিহাস থেকে আংশিক শিক্ষা নেই। কীভাবে? যেমন ধরুন আমরা সব সময় ১৯৭৫ এর ঘটনার পেছনে একদল বিপথগামী সেনা অফিসার বা আমেরিকার ষড়যন্ত্রের কথা বলি কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পুরো মন্ত্রীসভা মোশতাকের সাথে চলে গেল সেটা নিয়ে কথা বলি না। ঘটনার ফলাফলের উপর নির্ভর করে আমাদের সিদ্ধান্ত, কিন্তু কেন সেটা ঘটল সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার কারণ খুঁজি না আর সে জন্যেই আমরা ইতিহাস থেকে সঠিক শিক্ষা নিতে পারি না, ভবিষ্যতে একই ভুল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি না। একেই বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
দুবনা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Friday, February 21, 2025
একুশের শুভেচ্ছা!
যদি ভুল না করি ছোটবেলায় ভাষার সংজ্ঞা ছিল এরকম - মনের ভাব মুখে প্রকাশ করার নাম ভাষা। যারা মনে বিষ লুকিয়ে রেখে মুখে অমৃত বর্ষণ করে তাদের কথা কি ভাষার সংজ্ঞায় সঠিক? যাদের মনের ও মুখের ভাষা বাংলা, যারা মনে ও মুখে বাঙালি এবং যারা মনে ও মুখে বাহান্ন ও একাত্তরের চেতনা ধারণ করে তাদের সবাইকে জানাই একুশের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দুবনা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Thursday, February 20, 2025
সমস্যা
আমরা যখন কোন সমস্যার সমাধান খুঁজি তখন শুধু সেই সমস্যা নিয়েই ভাবি। কিন্তু এই সমাধান যে নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে সেটা প্রায়ই মনে রাখি না। ফলে ওষুধের সাইড এফেক্টের মত নতুন অসুখ পাই। আজ বিভিন্ন দেশে যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক শক্তির উত্থান সেটা লিবারেল রাজনীতির ব্যর্থতার কারণেই। প্রতিটি সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা মাথায় রেখেই চলতে হয়। যদি কেউ ভাবে শুধুমাত্র সদিচ্ছা (সব সময় নয়) দিয়েই সব বাধা অতিক্রম করা যাবে তবে সেই সিস্টেম ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাছাড়া সমাজে সবসময়ই একাধিক আইডিয়া থাকবে। কোন কিছুকে দাবিয়ে নয়, সবার জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার মধ্যেই নির্ভর করে সিস্টেমের স্থায়িত্ব।
দুবনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Wednesday, February 19, 2025
ভুল শুদ্ধ
আমাদের সব দেশে বড় মানেই সঠিক। এই বড় অবশ্য বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। বয়সে বড়, পদে বড়, সামাজিক অবস্থানে বড়। পরিবারে যেমন বাবা-মা, বড় ভাইবোন সমাজে তেমনি সামাজিক অবস্থান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, চাকরি ক্ষেত্রে পদ। আর কেউ যদি একবার মন্ত্রী বা উপদেষ্টা হতে পারে তাহলে তো আর কথাই নেই। তারা যা বলে সেটাই একমাত্র সত্য আর যা করে সেটাই একমাত্র না হলেও সবচেয়ে ভালো সমাধান। আর এ সবই আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে জড়িত। তাই যখন কোন উপদেষ্টা বলে দেশে বর্তমানে সাংস্কৃতিক পরিবেশ যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো এটা তার ভুল নয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ।
দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Tuesday, February 18, 2025
শিখণ্ডী
রাস্তাঘাটে তৌহিদী জনতা আর ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র এরাই মনে হয় ক্ষমতাসীনদের নতুন যুগের শিখণ্ডী! দেশ ও জনগণের স্বার্থের কথা বলে তৌহিদী জনতা ও সাধারণ ছাত্রদের ছদ্মবেশে আখের গোছাতে ব্যস্ত যারা তাদের চিহ্নিত করতে অনেকেই হয় ব্যর্থ হচ্ছে না হয় ইচ্ছে করে না বোঝার ভান করছে। সে অর্থে আধুনিক শিখণ্ডী অনেকের জন্যই বর্ম হিসেবে কাজ করছে।
দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sunday, February 16, 2025
অবিশ্বাস
বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সীমান্ত রেখা একাত্তরের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তিকে বিভক্ত করে রেখেছে স্বাধীনতার পর থেকেই কিন্তু ভোটের রাজনীতি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আওয়ামী পন্থী ও আওয়ামী বিরোধীদের আলাদা করে চলেছে অবিরাম যদিও তথাকথিত লীগ পন্থী শিবিরে ট্রয়ের ঘোড়া সেজে ঢুকে গেছে অসংখ্য পাক পন্থী তথা বাংলাদেশ বিরোধী দানব। কখনোই অতীতকে অতীতে ফেলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ পন্থী একটি জাতি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে সবাই সবাইকে অবিশ্বাসের চোখেই দেখে যাচ্ছে। অবিশ্বাস নিয়ে কি ঐক্য হয়। দেশ, জাতি এসবের মূলেই তো থাকে ঐক্যের ডাক।
মস্কো, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Saturday, February 15, 2025
নতুনত্ব
ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা নিষিদ্ধ হলেও ভালোবাসার বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ নয়। "নতুন বোতলে পুরান মদ" বহুল প্রচলিত এই ধারণার জায়গা নিয়েছে "পুরানো বোতলে নতুন মদ।"
দুবনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Friday, February 14, 2025
কি করতে হবে
আগে বুদ্ধিজীবীরা ভয় পেত পাছে তাদের রাজাকার বলে গালি দেয়, এখন ভয় পায় পাছে তাদের স্বৈরাচারের দোসর বলে গালি দেয়। আরে ভাই বাংলাদেশপন্থী হন আর যা দেশের জন্য খারাপ তার সমালোচনা করুন, সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষা করার জন্য সোচ্চার হোন। অন্ধবিশ্বাসীদের গালিগালাজ আমলে নিলে একসময় নিজেকেও এই অপকর্মের দায়ভাগী হতে হবে।
দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Monday, February 10, 2025
নাটক
সব দেখে মনে হয় এক বইয়ের মত আমাদের নাটকের স্ক্রিপ্টও একটাই। শুধু যাত্রার দল বদল হয়, নায়ক-নায়িকা, নটনটী বদল হয়, কিন্তু যাত্রার পালা সবসময় একটাই থাকে। দর্শকের সারিতে থাকার সময় পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেও স্টেজে উঠলে সবাই সেই আগের নাটকই শুরু করে। বরং নবাগতরা আরও জোরে তলোয়ার চালায়, আরও চড়া স্বরে হুমকি ধামকি দেয়। মানুষকে স্বাধীন করার কথা বলে সিংহাসনে বসলেও স্বাধীন হয় নিজেরা - হ্যাঁ, স্বাধীন ভাবে তারা স্বেচ্ছাচারিতা চালায়। ষড় ঋতুর মত ষড় রিপু যখন জেঁকে বসেছে মানুষের ঘাড়ে তখন এ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
দুবনা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sunday, February 9, 2025
প্রশ্ন
একাত্তরে আমাদের গ্রাম লুট হয়েছিল, আমাদের বাড়ি লুট হয়েছিল। আমরা তখন পালিয়ে ছিলাম অন্য গ্রামে। চাক্ষুষ লুট দেখিনি। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেছি সেই তাণ্ডব। এবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কল্যাণে লুটের প্রামাণ্য ভিডিও দেখলাম। সবাই কী শান্তভাবে অন্যের বাড়ির জিনিস পত্র নিয়ে হাসি মুখে চলে যাচ্ছে। যেন এইমাত্র কোন প্রতিযোগিতায় জিতে পুরস্কার নিয়ে এল। আচ্ছা এই জেনারেশন যখন দেশের হাল ধরবে তখন দেশের কী হবে? লুটের মাল তো একদিন শেষ হবে। শেষ হবে সেই সব বাড়িঘর যেখানে লুট করা যায়। হাজার হাজার পেশাদার লুটেরা তখন জীবিকা উপার্জন করবে কীভাবে?
দুবনার পথে, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
খেলা
আজ উদীচির নতুন কমিটি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখলাম। আপাতত কেন্দ্রীয় কমিটির দুটি ভিন্ন চেহারা দেখলাম। সভাপতি নিয়ে দ্বিমত না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুটি ভিন্ন নাম। প্রশ্ন এখানেই।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে। দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃশ্যমান স্মৃতি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ভালো বা মন্দ সে বিষয়ে নতুন করে কিছু না বলে শুধু এইটুকু বলা যায় দেশ বর্তমানে (এমনকি তাঁর কন্যার শাসনামলেও) যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে সামর্থ্য থাকলে তিনি নিজেই হয়তো সরকারী বেসরকারী সব জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতেন যাতে সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতির সাক্ষী হতে না হয়। আমার ধারণা বর্তমানে উদীচির সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কমরেড সত্যেন সেন নিজেও সেখান থেকে পালানোর পথ খুঁজছেন। সম্মান যদি করতে না পারেন অপমান করা থেকে বিরত থাকুন। আমাদের পূর্বসূরীরা এসব সংগঠন সৃষ্টি করেছিলেন দেশের মানুষকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করতে, আপনাদের ক্ষমতার ইঁদুর বিড়াল খেলার জন্য নয়।
মস্কো, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Saturday, February 8, 2025
ভাঙন
জিন্নাহ অবিভক্ত ভারত ভেঙেছিলেন, শেখ মুজিব পাকিস্তান ভেঙেছিলেন আর সমন্বয়করা বাংলাদেশ ভাঙছে। চেইন বিয়্যাকশন চলছে অদম্য গতিতে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এরা কেউই একে অন্যের অনুসারী নয় - শেখ মুজিব জিন্নাহকে গুরু মানেননি, সমন্বয়করা মুজিবের শিষ্য নয় অথচ সবাই কি একাগ্রতার সাথে ভাঙনের কাজ করে গেছে।
মস্কো, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Wednesday, February 5, 2025
জয় বাংলা
দাগি অপরাধীদের পাশে ক্রুশবিদ্ধ করেও যীশুর বাণী স্তব্ধ করা যায়নি। সপরিবারে হত্যা করে বা বত্রিশ নম্বর মাটিতে মিশিয়েও শেখ মুজিবের স্মৃতি বাংলার মাটি, কোটি কোটি বাঙালির মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। কারণ শেখ মুজিব শুধু দোষে গুণে গড়া একজন মানুষ নন, তিনি একটা ধারণা যার নাম বাংলাদেশ।
জয় বাংলা!
দুবনা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Tuesday, February 4, 2025
উপলব্ধি
বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তারা চায় বিগত সরকারকে সব দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে। তবে এই আগ্রহ মূলত বাজার দখল, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বর্তমান সরকার অবশ্য ভিন্ন পথে চলছে। সব দেখে মনে হয় খুন, ধর্ষণ, গ্রেফতার, অপহরণ, অরাজকতা এসব বিষয়েও এই সরকার ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে আর যদি না হয় এটা করতে তারা বদ্ধপরিকর।
দুবনা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নষ্ট সময়
একটা কথা আছে - অতি চালাকের গলায় দড়ি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে গিয়ে এক সময় নিজেরাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল কিন্তু অপরিণামদর্শিতার কারণে ধর্ম এদের ব্যবহার করছে নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডা সফল করতে। এমনকি যারা এক সময় বলতেন জমি বর্গা দেয়া যায় কিন্তু স্বার্থ বর্গা দেয়া যায় না আজ তারাও সবার আগে স্বার্থ বর্গা দিয়ে বসে আছেন। ভাবছি কে পচল - মানুষ না সময়?
দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Monday, February 3, 2025
নিজেকে ভালোবাসা
অনেকেই নিজেকে ভালোবাসতে লজ্জা পায়, আরও বেশি লজ্জা পায় সেটা স্বীকার করতে। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের সাথে থাকা, নিজের পাশে থাকা, নিজেকে হাত বাড়িয়ে দেয়া এটা সব সময় সাফল্য না আনলেও ব্যর্থতা মোকাবেলা করার সাহস ও শক্তি যোগায়। তবে এটা যেন অন্ধ ভালোবাসা না হয়। তার পেছনে যেন যুক্তি থাকে। যুক্তি দিয়ে নিজেকে ভালোবাসা অনেকটা নিজেকে জানার নামান্তর।
মস্কো, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sunday, February 2, 2025
ক্ষমতা
বাংলাদেশে ক্ষমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল তার পিঠে যেই সওয়ার হয়ে তাকেই সে বশ মানায়। ডিগ্রী, অভিজ্ঞতা, পরিচিতি সব যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে এই ক্ষমতার দাপটে। আর এই ক্ষমতা সবসময়ই বর্তমান স্বামীকে এক্স স্বামীদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলে। এখানে ক্ষমতার পাঠশালায় শুধু ঘৃণার পাঠ শেখানো হয়, ক্ষমার স্থান নেই এখানে।
মস্কো, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিনোদন
ছাত্রদের দাবি দাওয়া সংক্রান্ত ভিডিও দেখলাম। কিছু সমন্বয়কের ভিডিও দেখলাম। ডাস্টবিন তুল্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ছবি দেখলাম। এতক্ষণে বুঝলাম কেন দেশে গান বাজনা নাটক এসব এক এক করে বন্ধ করা হচ্ছে। এসবই তো বিনোদনের জন্য। ছাত্র, সমন্বয়ক, উপদেষ্টা সব মিলে নিজেরাই দেশবাসীকে এত বিনোদন উপহার দিচ্ছে যে নতুন শিল্পীর দরকার নেই। সুনীল গাভাস্কার এক সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীকে এ বাঞ্চ অব জোকার বলেছিলেন। এমনিতেই মনে পড়ে গেল।
মস্কোর পথে, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Friday, January 31, 2025
মন্ত্র
তোর শীলা তোর নোড়া
তোর ভাঙব দাঁতের গোড়া
এটা আমাদের পণ্ডিত স্যার বললেন।
ডঃ ইউনুস মনে হয় আমাদের প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী আর বুদ্ধিজীবীদের দিকে তাকিয়ে এই মন্ত্র জপ করছেন তসবিহ হাতে।
দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
শীতের হাওয়া
আজ থার্মোমিটার +৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা দেখাল। গতকাল +৮। আসলে ২০২৫ এর জানুয়ারি স্মরণ কালের সবচেয়ে গরম জানুয়ারি। দুবনায় এমনকি আগস্টের কোন কোন রাতে তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি চলে যায়। শীত মনে হয় রক্ত শূন্যতায় ভুগছে। অথবা হতে পারে পশ্চিমা বিশ্বের রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে শীত নিজেই ঢুকে গেছে। আজকাল শীতও ইউরোপ-আমেরিকা আর রাশিয়ার জীবন যাত্রার মানের পার্থক্য বোঝে। আবার হতে পারে রুশরা পাছে ওকেও যুদ্ধে পাঠায় এই ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মুস্কিল!
দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
Thursday, January 30, 2025
সমস্যা
আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমাদের দেশে এই সমস্যা এখনও ততটা প্রকট নয় যতটা প্রকট কৃত্রিম বুদ্ধিজীবীদের বাম্পার ফলন।
দুবনা, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
Tuesday, January 28, 2025
সংবিধান
সংবিধানের প্রস্তাবিত সংস্কারের উপর শাহদীন মালিকের ইন্টার্ভিউ কাম আলোচনা শুনলাম। বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে তাঁর আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন সেই সংবিধান খুবই সময়োপযোগী ছিল যা দেশের সমস্ত মানুষকে ভোটের অধিকার দেয়। প্রসঙ্গত উনি জানান খোদ আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ প্রথম ভোট দেয় ১৯৭৬ সালে। তিনি আরও জানান ১৭৮৭ সালে গৃহীত হবার পরে আমেরিকার সংবিধান মাত্র কয়েকবার সংশোধিত হয়েছে আর এর মধ্য দিয়ে সব সময় সংবিধানকে উৎকৃষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনী প্রায় কখনোই একে উৎকৃষ্ট করার জন্য করা হয়নি, করা হয়েছে ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য। সংবিধান দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য হলেও সেটা কাটা ছেঁড়া করা হয়েছে দলীয় স্বার্থে। যেখানে রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র অনুপস্থিত সেখানে তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে? যেহেতু দিনের শেষে রাজনৈতিক দলের হাতেই জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করে তাই দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চার বিকল্প নেই। সেই কথা সংবিধানে থাকতেই পারে। অর্থাৎ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে নীতি নির্দেশ থাকতেই পারে। সেটা যেমন দরকার তেমনি দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব নিকাশের স্বচ্ছতা। বিশেষ করে বিদেশ থেকে (বিদেশী সংস্থা বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অনুদান) প্রাপ্ত অর্থের সঠিক ও সময় মত ডিক্লেয়ারেশন। বিগত দিনে সংসদ পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীদের ক্লাবে। তাই প্রয়োজন ব্যবসা ও রাজনীতির চিরস্থায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ। রাজনীতি যদি ব্যবসায়ের চেয়ে লাভজনক হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা আসবেই রাজনীতি করতে। তাই রাজনীতিকে ও রাজনৈতিক দলকে অলাভজনক সংগঠনে পরিণত করার ব্যাপারেও সাংবিধানিক পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলেই মনে করি।
দুবনা, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
দুবনা, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
Subscribe to:
Posts (Atom)