Monday, October 31, 2016

ধর্মানুভুতি


জাহীদ (Zaheed Reza Noor) প্রশ্ন করেছে
সংখ্যাগুরুরই শুধু ধর্মীয় অনুভূতি আছে?
সংখ্যালঘুর নাই?
আগে ভাবতাম আমরা সংখ্যালঘুরা পিপীলিকার জাতি, পুড়ে মরাই যাদের কাজ| এখন দেখছি দেশীয় সংখ্যাগুরুরা আমাদের গন্ডার বানিয়ে দিয়েছে, যাদের অনুভুতি ততটা ঠুনকো নয়, যে সুর্সুরিতেই লেগে যাবে | এখন শুধু  জানার বাকী, এটাকি পদোন্নতি না  অবনতি |
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৬




Thursday, October 27, 2016

স্বভাব



ভাবের অভাব নাকি অভাবের ভাব
অভাবে-ভাবে আজ খুব বেশী  ভাব

অভাবে স্বভাব নষ্ট স্বভাবে অভাব
অভাবে-স্বভাবে আজ নেই কোনো ভাব

ভাব ভাব করে তাই নেই কোনো লাভ
ভাব অভাব       এসবই  স্বভাব



দুবনা, ২৭ অক্টবর ২০১৬ 



Wednesday, October 26, 2016

ফিরে দেখা

এ যেন নতুন করে দেখা, 
নতুন করে লেখা, 
নতুন করে চাওয়া, 
নতুন করে পাওয়া 

সময়ের ভারে জীর্ণ মায়ের চিঠি, 
নিয়ে যায় মোরে সেই অতীতে 
ভাবি উঠি, উঠি 
সময়ের সাথে কিছুতেই পারিনা গতিতে 

তার পরেও যাবই আমি যাবো 
উদাসী হাওয়ার পথে 
সময়ের তালা ভেঙ্গে
চড়ব যে মন রথে 

দুবনা, ২৬ অক্টবর ২০১৬ 



Tuesday, October 25, 2016

গাধার দুধ


গাধাকে হাজার বার গরু বললে গাধাটা এক সময় গাধা-গরুর পার্থক্য হয়তো বুঝতে পারবে (যদি সেটা বোঝার কান্ড(হীন)জ্ঞান গাধার থাকে), তাই বলে গাধা কিন্তু কখনই দুধ দেবে না| লাভ কি তাহলে গাধাকে গরু বলে?
তাই আসুন, আমরা গাধাকে গাধাই বলি আর মিথ্যেকে মিথ্যে |
Если тысячу раз осла называть коровой, он может быть поймет разницу между ослом и коровой (конечно, если он настолько умен чтобы понять эту разницу), но все же он никогда не даст молоко. Зачем тогда называть осла коровой?
Давайте назовем осла ослом и ложь ложью.

Dubna, 25 September 2016




Monday, October 17, 2016

কমরেড অজয় রায়







অক্টবর শুধু বিপ্লবের মাসই  নয়, অক্টবর বাংলাদেশের বিপ্লবীদের চলে যাওয়ার মাস।  এই অক্টবরেই  ১৯৮৭ তে চলে গেছিলেন কমরেড মোঃ  ফরহাদ, এই অক্টবরেই ২০১৬ তে  চলে গেলেন কমরেড অজয় রায়। হয়তো পার্টি আজ সেদিনের মতো নেই - তবে তোমাদের কাজ রয়ে গেছে, রয়ে গেছে ত্যাগ আর তিতিক্ষার ইতিহাস। যতদিন এ দেশ থাকবে, থাকবে প্রগতিশীল আন্দোলন - তত দিন থাকবে তোমাদের নাম, থাকবে দেশের স্বাধীনতা আর প্রগতিশীল আন্দোলনে তোমাদের অবদানের অমর ইতিহাস।  শুভ যাত্রা কমরেড।


দুবনা, ১৭ অক্টবর ২০১৬

Wednesday, October 5, 2016

রাবন

"শুধু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন।"- মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
লঙ্কায় গেলে কমবেশী সবাই (সব দল) রাবন হয়, তবে এর মাত্রা নির্ভর করে বিরোধী দলগুলোর শক্তির উপর। কোনো পার্টিকে বিলুপ্ত করে সমস্যার সমাধান হয় না, সমাধান হয় শক্তিশালী বিরোধী দল তৈরীর পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বিজয়ী দলের মানের অবনতি ঘটে, রাজনীতিতেও তাই। ওই বিচারে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন না করে যদি বিরোধী দলগুলোকে শক্তিশালী হবার সুযোগ করে দিতেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারতো না, এমনকি সুষ্ঠ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবেশের উপস্থিতিতে হয়তো পঁচাত্তরের ওই সামরিক অভ্যুত্থানই ঘটতো না।

দুবনা, ০৬ অক্টবর ২০১৬ 

Tuesday, October 4, 2016

অভ্যেস মানুষের দাস



সাধারণতঃ  আমি সকালে রান্না বসিয়ে একটু যোগ ব্যায়াম করি, কখনো না কিছু একটা পড়ি, মেইল চেক করি বা স্নান করে নেই স্রেফ সময় বাঁচানোর জন্য - আর এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু পুড়ে যায়।  আর আমিও খাবারের সাথে জেদ করে সব চেঁটেপুটে খেয়ে নেই।

গতকাল এই সিজনে প্রমবারের মতো সাঁতার কাটতে গেলাম, অক্টবরে শুরু মে তে শেষ। অনেকের সাথে দেখা। অনেক দিন পর - তাই ১০০০ মিটার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো, তবু কাটলাম সাঁতার, বাসায় যখন ফিরলাম, বেশ ক্লান্ত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে তাই আর ব্যায়াম  করা হলো না, ভাত বসলাম, টুকটাক করে বেগুন আর লাউ ভাজা হয়ে গেলো, এর পর আবার বিট, গাজর, ক্যাটসিকাম, লাউ, বেগুন, পেয়াজ, রসুন - আসলে সালাদ করতে গিয়ে যা বেঁচে গেলো, সব মিলিয়ে চুলায়বসলাম, ডিমটাও ভাজা হয়ে গেলো বাসায় লাগানো মরিচ দিয়ে।  আর সব করলাম  একটানা, কোথায় না গিয়ে। অনেক দিন পর এই প্রথম কিছু পুড়লো না। স্নান করে যখন খেতে  বসলাম, দেখি খেতে পারছি না, কোনো রকমে অর্ধেকটা খেয়ে বেরুলাম কাজে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেলো, এতো যত্ন আত্তি করে  রাধালাম, খেতে পারলাম না কেন? কোথায় আছে, সকালে যদি হাত-পা বা হাড্ডি একটু ব্যাথা না করে, তখন চিমটি কেটে দেখে হয় বেঁচে আছি কিনা। আমার মনে হয় খাবারের ক্ষেত্রেও তাই, যদি খাবার না পুড়ে, কেমন যেন পানসে লাগে।

কি আর করা, ভাঙা - গড়া নয়। সুতরাং এখন থেকে দ্বিগুন উদ্যোগে আবার পুড়াবো  আর চেঁটেপুটে  খাবো।     
         
দুবনা, ০৪ অক্টবর  ২০১৬