Wednesday, July 31, 2019

দৃষ্টিভঙ্গি

কখনো কখনো  মনে হয় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বলে আর কিছু নেই। কিছু কিছু লোকের আছে শুধুই দৃষ্টি – বলতে পারেন কুদৃষ্টি বা লোলুপ দৃষ্টি আর বাকিদের আছে শুধুই ভঙ্গি। যতদিন না এই দুটোকে এক ঘরের বাসিন্দা করতে না পারবেন, ততদিন কপালে কষ্ট আছে।    

দুবনা, ৩১ জুলাই ২০১৯ 



Tuesday, July 30, 2019

বেচারা বিশেষ্য!

আজকাল পোস্টে নেতা নেত্রীদের নামের আগেপিছে এত ধরণের বিশেষণ লাগান হয় যে কিছুদিন পরে দেশে বিশেষণের আকাল পড়বে।

দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৯ 

Monday, July 29, 2019

Left Right

To be right Right left Left
Paradox is that he is right who remains at the left. 
 
Dubna, 30 July 2019

নাম

দস্যু রত্নাকর রাম বলতে না পারায় ব্রহ্মা তাকে মরা বলাতে বলাতে রাম নাম শেখান। এখন হাওয়া বদলেছে। রাম নামের সাথে মরা শব্দটি আজকাল প্রায়ই উচ্চারিত হচ্ছে এই ভূভারতে।

দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৯ 
 
 

বিশ্বাস

বিশ্বাস ছাড়া যদি বাঁচতে নাই পার তবে বিশ্বাসে বিশ্বাস না রেখে বিজ্ঞানে বিশ্বাস রাখ। তাতে আর কিছু হোক না হোক বিশ্বাস ভঙ্গের যন্ত্রণায় তিল তিল করে মরতে হবে না।

দুবনা, ৩০ জুলাই ২০১৯ 
 
 

জিনিয়াস জিনিস

আপনি ভাই একটা জিনিস!
কী! কী বললে?
বললাম আপনি একটা জিনিয়াস!
ও, তাই বল! 
 
দুবনা, ২৯ জুলাই ২০১৯  



যাযাবর

যাযাবর কি?
যখন বরকে যা যা বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সে যাযাবর হয়ে যায়।

দুবনা, ২৯ জুলাই ২০১৯

অসহযোগ

ভারতের যে সব নাগরিক ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি সমর্থন করেন তাদের উচিত নিজেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা। 

দুবনা, ২৯ জুলাই ২০১৯ 

রিক্ত

আমার ধারণা ছিল অতিরিক্ত মানে অতি রকমের রিক্ত, একেবারেই নিঃস্ব। এখন দেখছি অতিরিক্ত আসলে অতীব ক্ষমতার অধিকারী।

দুবনা, ২৯ জুলাই ২০১৯ 

অতিরিক্ত

অতিরিক্ত সচিবের গাড়ির অপেক্ষা। একটা প্রাণের অকাল বিদায়। সচিব সত্যিই অতিরিক্ত। অতিরিক্ত মানেই জঞ্জাল। দেশ জঞ্জাল মুক্ত হোক। 

দুবনা, ২৯ জুলাই ২০১৯ 

Sunday, July 28, 2019

কক্টেল

মানুষ যে ভাবে গুজবে মাতাল তাতে মনে হয় গুজব মদ তো নয় একেবারে মহা মদ - আফিম, মারিজুয়ানা আর কোকাইনের এক বিষাক্ত মহামারী কক্টেল। 

দুবনা, ২৮ জুলাই ২০১৯ 

স্মৃতি

গতকাল সারাদিন কোথাও যাওয়া হয়নি, মানে শহরের প্রোগ্রামে। রাতে গেলাম ভল্গার উপরে ফায়ার ওয়ার্ক বা সাল্যুত দেখতে। বরাবরের মতই তিনটে টিমের প্রতিযোগিতা। ভল্গার তীরে তিল ফেলানোর জায়গা নেই। লোকে লোকারণ্য। আলোর খেলা চারিদিকে। বাচ্চাদের হাতে রং বেরঙের বাতিওয়ালা বেলুন। মনে হল বাচ্চারা ছোট থাকলে ওদের কিনে দেওয়া যেত। আসলে ওরা যখন ছোট ছিল অনেক কিছুই করার সামর্থ্য ছিল না। এখন এসব পারলেও ওরা বড় হয়ে গেছে আর বয়সের সাথে সাথে বেড়েছে ওদের চাহিদা। তাই সময় পেরুলেও ওদের চাওয়া আর আমার পারার মধ্যে সব সময়ই একটা ফারাক থেকে গেছে। বড়দের দিকে তাকিয়ে এক সময় মনে হত এইতো আর কয়েক বছর, এরপর ঠিক ওঁদের ধরে ফেলব। কিন্তু আমার সাথে সাথে বড়রাও বড় হয়েছে, কাউকে আর ধরা হয়নি কোন দিন। আমাদের মধ্যবিত্তের সংসারে আয় ব্যায়ও তাই। আয় কখনও ব্যায়কে ধরতেই পারে না। চারিদিকে প্রচুর লোক, অথচ পরিচিত কোন মুখ চোখে পড়ল না রাতের আঁধারে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে যখন শেষ বাজি ফুটল, জনস্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতে চললাম বাড়ির দিকে। বাড়ির সামনে রাস্তায় এসেই হঠাৎ হাতের মধ্যে কার একটা ছোট্ট হাতের স্পর্শ পেলাম। সেই ছোট হাত, শক্ত করে আমার হাত ধরে হাঁটছে পাশে পাশে। হ্যাঁ, কিছুক্ষনের জন্য আমি ২০০৬ - ২০০৭ এ ফিরে গেছিলাম। ছোট্ট সেভা হাঁটছিল আমার পাশে পাশে, আর পিছু টেনে ধরছিল যদি আরও কিছু বাজি ফোটানো এখনও বাকি থাকে সেটা দেখার জন্য। আসলে সময় কোথাও যায় না, সময় আমাদের সাথে সাথেই চলে, আর অনুকূল পরিবেশে মনের জানালা খুলে উঁকি দিয়ে যায়।

দুবনা, ২৮ জুলাই ২০১৯ 
 








 

কূটনীতি

মানুষ ঘরের মানুষের সাথে ঝগড়া করে প্রতিবেশির কাছে বন্ধুত্ব খোঁজে, আবার প্রতিবেশিকে শত্রু বানিয়ে দূর দেশে মিত্র খোঁজে। কূটনীতির কুটিলতা মনে হয় এখানেই।

দুবনা, ২৮ জুলাই ২০১৯ 
 
 

ধোলাই

শুধু ধোলাই আর ধোলাই। যেমন তেমন ধোলাই নয় একেবারে খাঁটি গণধোলাই। আমরা সবাই ধোপা আমাদের এই ধোপার রাজত্বে

দুবনা, ২৮ জুলাই ২০১৯

Saturday, July 27, 2019

অন্তর্মুখী

আজ দুবনার জন্মদিন। প্রতি বছর জুলাইয়ের শেষ শনিবার দুবনার জন্মদিন পালন করা হয়। এটা শুরু হয়েছে অবশ্য নব্বইএর দশকের শেষের দিক থেকে। বাচ্চারা ছোট থাকতে ওদের নিয়ে সারাদিন এদিক সেদিক যেতাম। ওরা এখন বড় হয়ে এদিক সেদিক চলে গেছে। আলসেমি করে আমারও আর যাওয়া হয়না কোথাও। সেভাকে ফোন করেছিলাম আসার জন্য। বলল, আসবে না, তাছাড়া এলেও ও ঘরেই বসে থাকবে, এসব দেখতে যাবে না। মেজাজ খারাপ করব তখন মনে হল নিজের ছোটবেলার কথা।

আমার জন্ম তরা গ্রামে ঢাকা-আরিচা রোডের পাশে। কিছুদিন আগেও এটাই ছিল ঢাকার সাথে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের গাড়িতে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আর ১৯৭৪ সালে তরা ব্রীজ তৈরির আগে পর্যন্ত এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে কত বিখ্যাত লোকজন যে তরা ঘাটে বসে থাকতেন তার হিসাব কে রাখে। এছাড়া তরার চর ছিল সিনেমার নায়ক নায়িকাদের প্রিয় স্পট। গ্রাম উজার করে মানুষ যেত সবাইকে দেখতে। একবার শুনেছি জিয়াউর রহমান এসেও খাল কেটে গেছেন আমাদের ওখানে। কিন্তু কখনোই কাউকে দেখতে যাওয়া হয়নি। আপন মনে ঘরে বসে বই পড়েছি বা কোন কিছু খেলেছি। কে জানে সেভা হয়তো আমার কাছ থেকেই জন্মসূত্রে ওসব পেয়েছে। সেভার উপর রাগটা তাই আর করা হল না। কথায় আছে যেমন গাছ তেমন ফল।

দুবনা, ২৭ জুলাই ২০১৯ 
 
 

Friday, July 26, 2019

বিষয়বস্তু


বেশ কয়েক বছর আগেই বুঝেছিলাম, কোন কাজ ভালো না মন্দ সেটা কি করছ তার উপর নয়, কে করছে তার উপর নির্ভর করে। এখন দেখছি কোন কথা সত্য না মিথ্যা সেটাও কি বলছ তার উপর নয়, কীভাবে বলছ তার উপর নির্ভর করে। কথিত আছে আইনস্টাইনকে কোন এক উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার জন্য সাধারণ পোশাকে ড্রয়িং রুমে অপেক্ষা করতে দেখে তাঁর স্ত্রী বলেন পোশাক বদলাতে। উত্তরে আইনস্টাইন বলেছিলেন, "উনি যদি আমার সাথে দেখা করতে আসেন তাহলে এখানে পাঠিও আর জামাকাপড়ের সাথে দেখা করতে চাইলে ওয়ারড্রব দেখিয়ে বিদেয় করে দিও।" ভোগবাদী সমাজে বাস করতে করতে আমরা সবাই কখন যে বিষয়বস্তুর চেয়ে ফর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গেছি নিজেরাই জানি না। গাড়ি বাড়ি ঝকঝকে পোশাক পরিচ্ছদ আর শ্লোগানের আড়ালে মানুষ ছোট হতে হতে কখন যে অন্তঃসার শূন্য এক কঙ্কালে পরিণত হয়েছে সে খবর রাখার সময় মানসিকতা এখন আর অবশিষ্ট নেই। এ যেন এক মৃতদের জগত।
দুবনা, ২৭ জুলাই ২০১৯

গজব

একদা মশকীর পেটের ভেতর
শান্তিতে ঘুমুচ্ছিল ডেঙ্গু জ্বর
মেয়র বলে বাজে কথা এসব গুজব
ডেঙ্গু বলে এত স্পর্ধা, হব গজব 
 
দুবনা, ২৬ জুলাই ২০১৯ 

যন্ত্রণা

সমস্যাগুলো প্রথমে ঝামেলায় ফেলে, পরে ওই ঝামেলাগুলোই বিশাল সমস্যার আকারে দেখা দেয়। মহা যন্ত্রণা 

দুবনা, ২৬ জুলাই ২০১৯ 

Thursday, July 25, 2019

মশা মহাশয়

উত্তরের মশা দক্ষিণে আসি গুরু দক্ষিনা চায়
তার উত্তরে দক্ষিণের মশা উত্তর দিকে ধায়
মশা নিয়ে শুরু বাক বিতণ্ডা উত্তর দক্ষিণ দাঙ্গা
ডেঙ্গু অস্ত্রে মানুষ মরে গরীব ভুখা নাঙ্গা
উত্তর দক্ষিণ দুজনে আনে অনুপ্রবেশের অভিযোগ
কিন্তু তাতে কমে না তো ভাই আম জনতার দুর্ভোগ
চেলা চামুণ্ডা সাতান্ন ধারা মশার সামনে নিরুপায়
রাজা মন্ত্রী সেনা সেনাপতি পারলে সবাই পালায়
সবার দাবী মশাদের ফাঁসি মশাতন্ত্রের অবসান
মাশা তাড়াতে শেষ পর্যন্ত দাগাতে হবে কামান
অথবা তাদের করতে হবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান
বিএনপি আম্লীগ বিজেপি জামাত ইহুদী কিংবা মুসলমান
তাহলেই শুধু মশা মাছি সব নিজেদের করবে ধ্বংস
পেলেও রক্ষা পেতে পারে অসহায় মানব বংশ

দুবনা, ২৬ জুলাই ২০১৯
 
 
 

রাম গতি

রামগতিতে নৌকার জয়। শেষ পর্যন্ত রামের একটা গতি হলে হতেও পারে। বেচারা একেবারেই কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে।

দুবনা, ২৫ জুলাই ২০১৯

বেড়ে ওঠা

বর্তমান উন্নতি মানব শিশুর শুধু গায়ে গতরে বেড়ে ওঠার মত। শরীরের সাথে সাথে বুদ্ধির বিকাশ না ঘটলে শিশু যেমনটা মানসিক বৈকল্যে ভোগে আমাদের সমাজও ঠিক সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না ঘটালে আরোগ্য লাভ অসম্ভব

দুবনা, ২৫ জুলাই ২০১৯ 



প্রশ্ন

আচ্ছা, ৪০০ লোক রাষ্ট্রের খরচে হজ করলে ছোঁয়াবটা তাদের হবে না রাষ্ট্রের? রাষ্ট্রের হলে তাকে কী আলহাজ বাংলাদেশ নামে ডাকতে হবে?
দুবনা, ২৫ জুলাই ২০১৯ 




মানুষ

মানব সমাজ তো নয় একেবারে মানব সমুদ্দুর
সমুদ্রে যেমন রাশি রাশি জল অথচ পান করা যায় না, পৃথিবীতেও আজ তেমনি পালে পালে মানুষ - অথচ সত্যিকার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।

দুবনা, ২৫ জুলাই ২০১৯
 
 

Wednesday, July 24, 2019

মুস্কিল

মুস্কিল। স্মার্টফোনটাও দেখছি সাম্প্রদায়িক হয়ে গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ এ ভালো লিখব বলে "ভা" লিখতেই হিন্টস এলো "ভারত যান"। মহা মুস্কিল 

দুবনা, ২৪ জুলাই ২০১৯ 

গ্রীষ্ম


এবার গ্রীষ্মটা কেমন যেন গ্রীষ্ম বলেই মনে হচ্ছে না। বৃষ্টি, ঠাণ্ডা বাতাস – মনে হয় যেন শরত। দুবনার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এবার মনে হচ্ছে আরও নীচের দিকে চলে যাবে। অন্যান্যবার সবাই না হলেও পরিবারের কয়েকজন মিলে একসাথে ঘুরতে যাওয়া হয় সাগরে বা পাহাড়ে। এবার শেষ পর্যন্ত কী হয় কে জানে। ক্রিস্টিনা গেল কৃষ্ণ সাগরে একা। এই প্রথম একা গেল। আমার থেকে মায়ের টেনশন বেশি। সকাল সন্ধ্যায় খবর জানিয়ে লেখে। গতপরশু ডাইভিং এর ছবি পাঠাল আর গতকাল জিপিং-এর। দূরে বলে কিছু মনে হয়নি, ওখানে থাকলে নিশ্চয়ই আমার হাঁটু কাঁপত ওকে ডাইভিং করতে দেখে। মনিকা গেছে তিউনিসিয়া। এই প্রথম দেশের বাইরে। গেছে বান্ধবীর সাথে। গতকাল সকালে জানাল দেড় দিনের জন্য সাহারা যাচ্ছে উটের পিঠে চড়ে ঘুরতে আর জিপিং করতে। মনিকা একা না গিয়ে আমাদের কারো সাথে গেলে লেখা যেত সাহারা সাহারায় ঘুরে বেড়ায়। বললাম পোকামাকড় যেন না ধরে আর সিংহের সাথে যেন হ্যান্ডশেক না করে। সেভা মস্কোয়। এখন একা। কুকুর বিড়াল আর কম্পিউটার গেম নিয়ে। বললাম দুবনা বেড়াতে আসতে। তেমন কোন আগ্রহ দেখাল না। আন্তন ওর কুকুর নিয়ে নিজের ওখানে। নিজের সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে গুলিয়া ব্যস্ত তার বাসায়। বাড়িতে অনেক কুকুর বিড়ালের এই এক ঝামেলা। সবাই মিলে কোথাও যাওয়া একেবারেই হয়না। আমি ফর্মালি ছুটিতে, তবে ছুটি কাটে অফিসে। সবচেয়ে প্রিয় জায়গায়। অন্য সময় দুপুরে কাজে আসতে একটু সঙ্কোচ লাগে, ছুটিতে তা হয়না। আবহাওয়া ভাল থাকলে ভল্গায় যাই সাঁতার কাটতে, নইলে ঘরে বসে বই পড়ি, মিউজিক শুনি বা ছবি তুলি। রাতের রান্না গুলিয়ার ওখানে। সকালে নিজের বাসায় কিছু একটা করে অফিসের দিকে হাঁটা।

দুবনা, ২৪ জুলাই ২০১৯