Saturday, October 31, 2020

চিন্তার সীমাবদ্ধতা

একদল অন্যদলের হাত থেকে মুক্তি দিতে চায় বটে, কিন্তু কখনই বলে না যে তাদের উদ্দেশ্য চরম মুক্তি নয়, নিজের দলের দাস করা। আর সেটা ঘটে সব ক্ষেত্রেই। ধর্ম বলি, ইজম বলি। অন্যের দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া প্রতিটি মানুষ নতুন আইডিয়ার দাস। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্ম চেয়েছিল প্রচলিত রীতিনীতি থেকে স্থানীয় জনগণকে মুক্তি দিতে, দিয়েছিলও - কিন্তু দিনের শেষে তাদের নিজের ধারণার দাস করেছে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র - এরাও চলমান অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মানুষের মুক্তির কথা বলে তাদের নিজের আদর্শের দাস করে। মুক্তি মেলে না। মুখে মুখে ডাইভারসিটির কথা বললেও সবাই নিজের বিশ্বাসটাকেই মুক্তির একমাত্র উপায় বলে মনে করে। যে ভাষা, যে চেতনা মানুষকে অন্যান্য জীবের চেয়ে আলাদা করেছিল, জীব জগতে শ্রেষ্ঠ করছিল সেই চিন্তার, সেই ভাবনার অন্ধত্বই তাকে নিকৃষ্ট সৃষ্টিতে পরিণত করছে দিনকে দিন। শিক্ষার আলো নিয়ে মানুষ অজানাকে জানতে পথে নামছে না, সে আজ অন্যের দেখানো সরু গলিতে হেঁটে সেটাকেই একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিচ্ছে। এতে তার অন্ধত্ব দূর হচ্ছে না, চেতনা হচ্ছে একমুখী, একরোখা। যাদের কথা ছিল পথ দেখানো তারাও রিস্ক নিয়ে নতুন পথের সন্ধান না করে পুরনো পথেই চলছেন। এভাবেই আমরা অর্থনৈতিক সামন্তবাদ থেকে বেরিয়ে এলেও দিন দিন বুদ্ধিবৃত্তিক সামন্তবাদের অটল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি। আমরা চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। বিবেককে বন্ধক রাখছি ইজমের কাছে। সমষ্টিগত অন্ধত্ব আমাদের ভবিষ্যৎ করে তুলছে আরও আরও অনিশ্চিত।

দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০২০ 




Friday, October 30, 2020

নিশ্চয়তা

অনিশ্চয়তা যেখানে নিশ্চিত জানি ভয় পেতেও সেথা ভয় হয় মানি।

দুবনা, ৩০ অক্টোবর ২০২০

হঠাৎ

হঠাৎ করেই কারঝাকভের কথা মনে পড়ল। আলেক্সান্দার কারঝাকভ ছিলেন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান। সে সময় বরিস ইয়েলৎসিন শুধু প্রেসিডেন্টই ছিলেন না, ছিলেন জার, ছিলেন ঈশ্বরতুল্য। অন্তত তিনি নিজেকে সেটাই মনে করতেন। আর বরিস বেরেজভস্কির মত লোকজন, যারা আসলে ইয়েলৎসিনের নামে কলকাঠি নাড়াতেন, তারাই টিভি, সংবাদপত্র, বিভিন্ন মিডিয়া আর বইপত্রের মাধ্যমে ইয়েলৎসিনকে রাশিয়ার রক্ষাকারী রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন। ঐ সময় ইয়েলৎসিন জামাকাপড় বদলানোর মতই মন্ত্রীসভা বদলাতেন, বদলাতেন প্রেস সেক্রেটারি ইত্যাদি। সেদিক থেকে ভ্লাদিমির পুতিন একেবারেই অকর্মা। জানি না কেউ জানে কিনা তাঁর দেহরক্ষী বাহিনীর প্রধান কে? কিন্তু কারঝাকভ তখন ছিলেন প্রেসিডেন্টের প্রেসিডেন্ট, যিনি খোদার উপর অনায়াসে খোদগিরি করে যেতেন। তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে কিছুই হত না, তাঁর অনুমোদন ছাড়া শুনেছি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দর্শন পেতেন না। চারপাশের অবস্থা দেখে মনে হয় দুনিয়াটা আজ কারঝাকভে ভরে গেছে।


দুবনা, ৩০ অক্টোবর ২০২০

Thursday, October 29, 2020

ভাবনা

ফ্যানদের অতি ভক্তিতে তাঁর মাথা কাটা গেল। চোখ বুজে ভাবতে বসলেন কোন জন্মের কোন পাপে তিনি এই ফ্যানদের তৈরি করেছিলেন। ভালই তো ছিলেন উত্তাল সমুদ্রে গভীর নিদ্রায়।


দুবনা, ৩০ অক্টোবর ২০২০

উৎস

মাক্স, তুই নাকি করোনায় আক্রান্ত? হুম! তা কোন দেশী করোনা? চাইনিজ নাকি তুর্কী? খুব আপত্তিজনক কথা বললি রোমা। একেবারে সেন্ট পারসেন্ট আমেরিকান।

দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২০

গল্প

 ২৫০০ সাল। টেক্সট বুক। অনেক দিন আগের কথা। তখন ফ্রান্স নামে এক দেশের নাগরিকেরা ছিল সভ্য আর পরমতসহিষ্ণু। এরপর আমরা এলাম...

দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২০


Wednesday, October 28, 2020

বাওবাব

করোনা কারণে লোকজন যখন দেড় মিটার দূরে সরে চলে যায় নিজেকে তখন বাওবাব বাওবাব বলে মনে হয়।

দুবনা, ২৮ অক্টোবর ২০২০

Tuesday, October 27, 2020

বয়কট

কোন কিছু অর্জনের আগেই করেছি তা বর্জন তাই নিয়ে এত কিনা তর্জন আর গর্জন আলোর কী দরকার মনের দরজা বন্ধ চোখ থাকতেও আজ মোরা সেজেছি ভাই অন্ধ


দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২০

বিজয় বাণী

বাংলায় কোন দেবীর ফলোয়ার বেশি? মা দুর্গার? কেমনে বুঝলেন? মা দুর্গা যেমন তাঁর দলবল নিয়ে সব জায়গায় যান বাংলার মানুষও তেমন। দেখেন না পোস্টারে এমন কি বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে পাতি নেতা, উপ নেতা, ছোট নেতা, মাঝারি নেতা থেকে সুপ্রিম নেতা পর্যন্ত সবাই কেমন ভিড় করে আসে। একে বারে যেন তেত্রিশ কোটি দেবতা খোদ স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন শুভেচ্ছার ডালি নিয়ে!


দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২০

উল্টো স্রোতে

করোনাকালীন সমস্ত বাধা নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মা দূর্গা একগাদা নাবালক বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে পৃথিবীর জনবহুল রাস্তা ঘাটে ঘুরে বেড়ালেন। তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। এই না হলে দেবী। 

দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২০

গন্ধ

ট্যাক্সিওয়ালা: দুর্গন্ধের জন্য দুঃখিত। স্যানিটাইজার দিয়ে গাড়ি ধুয়েছি। যাত্রী : কোন অসুবিধা নেই। আমি দু তিন দিন হোল কোন গন্ধ টের পাচ্ছি না।

দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০২০


Monday, October 26, 2020

বিসর্জন

পূজার পরে কি করোনা বিদায় নেবে? না। কেন? দেখুন পূজা শেষে মানুষ দেবীকে বিসর্জন দেয়, অসুরকে নয়। করোনা তো অসুরের দোসর। তাঁকে বিসর্জন না দিলে সে যাবে কেন?

দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২০

কৃতজ্ঞতা

 আচ্ছা আপনি সব সময় বা হাতে ঘুষ নেন কেন?

আর বলবেন না। যৌবনে বাম রাজনীতি করতাম। সেই সুবাদেই আজ আমি এই অবস্থানে। বলতে পারেন এটা বাম রাজনীতির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার।

দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২০

Sunday, October 25, 2020

বাসা

এত উল্টাপাল্টা লেখেন দোজখের ভয় করেন না? ভয়ের কী আছে? দোজখ তো আমার মাথার মধ্যে। এ আবার কী কথা? ওটা শয়তানের বাসা।

দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০২০

সুরা

 হুজুর এমন এক সুরা পড়েন যেন শয়তান এ বাড়িতে কোনদিন ঢুকতে না পারে।
পড়তে পারি কিন্তু আপনারা থাকবেন কোথায়?

দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০২০


?

ঢাক ঢোল

ঢাকী ঢোল বাজায় ঢুলী বাজায় ঢাক ঢাক ঢোলের যুগলবন্দী বাঙালি অবাক। 

দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০২০

Friday, October 23, 2020

নিত্যতার নিত্যতা

দ্রব্যের দাম যত বাড়ে সাধারণ মানুষের জীবনের দাম তত কমে যায়। এটাই মনে হয় জীবনের মূল্যের নিত্যতার সূত্র।

দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০২০

Thursday, October 22, 2020

দূরদর্শিতা

দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? অতিরিক্ত পরিমাণ অতি দূরদর্শি লোক। মানে? দেখুন অধিকাংশ মানুষ এখন ইহ জগতের কথা ভাবে না। এই জগতেও যে কিছু নিয়ম কানুন রীতি নীতি আছে তা নিয়ে ভাবে না। তাদের সব ভাবনা পরলোকের স্বর্গ সুখ আর অপ্সরাদের নিয়ে। শুধু মাত্র অতি দূরদর্শি মানুষই তা করতে পারে। আর এটাই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিপদ।

দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২০

Wednesday, October 21, 2020

বদলা

মানুষের সমস্যা হল সে ভাগ্য বদলানোর জন্য নিজেকে বাদে সব বদলায়। অন্য কিছু নয়, শুধু মাত্র নিজেকে বদলিয়ে সে যে ভাগ্য বদলাতে পারে এটা সে ভাবে না। সে ভুলে যায় কপালটা যেখানেই থাক না কেন সেটা তার সাথেই থাকে। আসলে নিজের উপর বদলা নেওয়া খুব কঠিন।


দুবনা, ২১ অক্টোবর ২০২০

Monday, October 19, 2020

হেফাজত

পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর খবর দেখলাম। সারা জীবন শুনে এলাম পুলিশের হাজতের কথা, এখন তা হেফাজত। সারা দেশটাই কি তাহলে হেফাজত?

দুবনা, ১৯ অক্টোবর ২০২০

Sunday, October 18, 2020

গণ্ডগোল

আকাশ থেকে ঝুপ করে পড়ে গেল রাত ভ্রমণ ক্লান্ত পৃথিবী হতে চায় একটু কাত কাত হবে না চিত হবে এ নিয়ে বাঁধে গোল ছোট্ট মাথায় হাজার প্রশ্ন লাগায় গণ্ডগোল

দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২০

Saturday, October 17, 2020

চিন্তা

দেশে তো আজ উন্নয়নের পাহাড়। অভাব কিসের? চিন্তাবিদের। বলেন কি? চারিদিকে সবাইকে তো দেখি চিন্তা করতে। ওরা দুশ্চিন্তাবিদ অথবা কুচিন্তাবিদ।

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০২০

Thursday, October 15, 2020

গড় আয় গড়ায়

কি রে ক্যাবলা খবর শুনেছিস? কীসের খবর সাব? আমাদের মাথাপিছু জিডিপি ইন্ডিয়ার থেকে বেশি। জিডিপি? হেইডা আবার কী? কী আবার? মাথাপিছু আয়। আমরা সাব বেকার মানুষ। আয় নাই। শূন্যের আবার বেশি কম? আবার কথা কয় ব্যাটা। ফুর্তি কর! আমার তো সাব ফুর্তি ঠ্যালায় ঢেকুড় তুলতে মন চাইতাছে। শুধু খালি প্যাটে তুলবার পারতাসি না। যা ভাগ। দিলি তো আনন্দ মাটি করে। যত্তসব বেয়াদবের দল!

দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০২০



সুখ অসুখ

প্রায় ৬০ হাজার ডলার মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে এক লোক নিউ ইয়র্কে করোনায় মারা গেল।


প্রায় ৪ হাজার ডলার মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে এক লোক এশিয়ার এক বস্তিতে করোনার হাত থেকে বেঁচে গেল।

৬০ হাজার ডলারের মানুষ মরে খুশি বা সুখী হয়েছিল কিনা জানা যায়নি।

বেশ কয়েকদিন পরে এক সাংবাদিক যখন বস্তিতে গেলে করোনা থেকে সেরে ওঠা লোকটার সাক্ষাৎকার নিতে, অনাহারে অর্ধাহারে মৃতপ্রায় সেই বস্তিবাসী বলল "এই জীবনের থাইক্যা করোনায় মইর‍্যা গেলেও ভালা হইত।"

অসম বন্টনে মাথাপিছু গড় আয় একটা ভেল্কি। কালেক্টিভলি একটু সুখের ছোঁয়া পাওয়া গেলে যেতেও পারে, তবে ব্যক্তি মানুষের জন্য সেটা সব সময় সুখের নয়।

দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০২০




Wednesday, October 14, 2020

ভীষণ ভিশন

ভিশনারীদের সাথে আমাদের ভীষণ আড়ি 
দিকে দিকে তাই দুর্নীতি আর ধর্ষণের মহামারী

দুবনা, ১৪ অক্টোবর ২০২০ 

বিশ্বাস অবিশ্বাস

যারা বিনা দ্বিধায় স্বর্গ নরকে বিশ্বাস করে তারাই ইউটোপিয়া বলে কমিউনিজমকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। 

দুবনা, ১৪ অক্টোবর ২০২০ 

পেশাদারিত্ব

ছেলের বিয়ে ঠিক করতে গেছেন ডাকসাইটের আমলা। পাত্রী শিক্ষিতা, সুন্দরী। দু পক্ষই খুশি । শেষ মূহুর্তে ছেলের বাবা বললেন "বুঝতেই তো পারছেন ওপরের বসদের কমিশন দিতে হবে। লাখ দুয়েকের নীচে পারব বলে মনে হয় না।" কনের বাবা হবু বেয়াইএর পেশাদারিত্বে গর্বিত বোধ করে। আমলা বলে কথা।

দুবনা, ১৪ অক্টোবর ২০২০

Tuesday, October 13, 2020

রাবিশ

পাল্লা আর পাল্লা, সব জায়গাতেই পাল্লা। কিছু মানুষ যেন ওঁত পেতে বসে থাকে অন্যদের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করতে। সেন্সেশন চাই। আরে ভাই সবাই তো মরবেন, যতদিন বাঁচেন একটু শান্তিতে নিজেও বাঁচুন, অন্যদেরও বাঁচতে দিন। আর যাদের তর সইছে না তারা নিজের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। এসব অতি উৎসাহীদের বয়কট করা দরকার।


দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০২০

মাস্ক

কিছু কিছু মাস্ক দেখে মনে হয় ওটা মাথা থেকে ঝুলে পড়া নেহরু টুপি।

দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০২০

দায়িত্ববোধ

ছোটবেলায় খুব জেদী আর প্রচন্ড দুষ্টু ছিলাম। সারাদিন চকোলেট, বিস্কুট, চানাচুর, আইস্ক্রীম ইত্যাদি হাবিজাবি খেতাম, তাই ভাত একেবারে খেতেই চাইতাম না। বাবা/মা তাই উৎকোচ দিতেন। দুধ ভাতের রেট ছিল এক টাকা। পাকিস্তান আমলে সেটা খুব অল্প ছিল না। আমিও এক সময় বাচ্চাদের ঠিক মত খাওয়ার জন্য টাকা দিতাম, বিশেষ করে সেভাকে। এখন যখন ওদের কোন কিছু দিই ওরা ধন্যবাদ জানায় যেটা আমার একেবারেই পছন্দ নয়। কেননা বাবা হিসেবে আমি আমার ডিউটি করি। এতে ধন্যবাদের কী আছে? মনে হয় দেরিতে হলেও ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে বেরিয়ে আসছি। 


সব দেখে মনে হয় আমাদের সরকার এখনও শিশুকাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। দেশের জন্য কাজ করা, আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করা,  এসব তার কর্তব্য। কিন্তু এ জন্যে যেভাবে তাদের তোড়া তোড়া ধন্যাবাদ দেওয়া হয়, যেভাবে গ্রাম উজার করে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় তাতে মনে হয় দেশের সেবা করা তাদের দায়িত্ব নয়, আমাদের কৃতার্থ করা। আমরা নিজেরা যতদিন এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারব, নিজেরা যত দিন চাটুকারিতা পরিত্যাগ না করব, তত দিন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে জবাবদিহিতা আশা করা বাতুলতা মাত্র।

দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০২০    

Monday, October 12, 2020

পাশ

সবাই লিখছে আইন পাশের কথা কিন্তু গ্রেড বলছে না। জিপিএ ৫+?প্রশ্ন হল পাশ করে বেকার থাকবে না কি চাকরি জুটবে।

দুবনা, ১২ অক্টোবর ২০২০

কথোপকথন

দাদা, পিএইচডি করতে চাইছি। কী বলেন?

কোন সাবজেক্ট তোমার? ইঞ্জিনিয়ারিং। আচ্ছা। পরে কী করার প্ল্যান? ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করা। হুম। আপনি কিন্তু মতামত বললেন না। পিএইচডি করবে সেটা তো ভালো কথা। কিন্তু আমাদের সময়ে যারাই এ বিষয়ে পিএইচডি করেছে (অন্তত মস্কো থেকে) তারা কেউই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেনি, করছে না। যদিও সবাই প্রতিষ্ঠিত। মনে হয় প্ল্যানগুলো আরেকবার যাচাই করে দেখা দরকার।

দুবনা, ১২ অক্টোবর ২০২০

দর্শন

ধর্ষণ নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে মঞ্চস্থ নাটক দর্শন করতে করতে ধর্ষণ যে কখন জাতির দর্শন হয়ে গেছে সেটা কোন পক্ষই বুঝতে পারেনি।

দুবনা, ১২ অক্টোবর ২০২০ 

Sunday, October 11, 2020

পবিত্রতা

আরবি ভাষাভাষী দেশগুলোতে ঘুষের আদান-প্রদান শুনেছি ডলারে হয়। এভাবে নাকি ওরা ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করে।

দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২০

দায়বোধ

মানুষের একটা বড় দোষ সে সাফল্যের মালাটা নিজে পরতে চায় আর ব্যর্থতার বোঝা অন্যের কাঁধে চাপাতে চায়। রাজনীতি তো মানুষেরই সৃষ্টি। তাই সরকারি দল যেমন উন্নয়নের তালিকা দিয়ে নিজেদের মহিমান্বিত করতে ব্যস্ত, বিরোধী দল ব্যস্ত সরকারের ব্যর্থতার তালিকা তৈরি করে তার মুখে কালিমা লেপে দিতে। এরা আজকাল ভাবেই না যে, তারা একটা বৃহত্তর সিস্টেমের অংশ, আর সিস্টেমের অংশ হিসেবে এই সাফল্য আর ব্যর্থতার ছিটেফোঁটা সবার কপালেই জোটে। কিন্তু এসব হয় যদি সমাজে, রাজনীতিতে জবাবদিহিতা থাকে। জবাবদিহিতাহীনতা আজ রাজনীতি থেকে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে আর তাই দুর্নীতি, ধর্ষণ এসব মানুষের প্রাত্যহিক কাজের অংশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এজন্যেই যেসব সমস্যা সবার একসাথে সমাধান করার কথা সেখানেও দেখা দিচ্ছে দ্বিমত। ধর্ষণ আজ জাতীয় সমস্যা। এ নিয়ে দরকার জাতীয় ঐক্য। দরকার সরকার, বিরোধী দল সবাই এককাট্টা হয়ে এটা নির্মূল করা। অথচ সেখানেও রাজনীতি - সেখানেও ভাগবাটোয়ারা। দেশটা কি মাছের বাজার? রাজনীতি আর কত ঘোলা হলে আপনাদের শ্বাস বন্ধ হবে?

দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২০

Wednesday, October 7, 2020

ছুটি

মনে হয় এভাবে ঘোরাফেরা করা গুলিয়ার মনপুত হয়েছে। বরাবরের মত আজও সকালে ও গেল কুকুর নিয়ে বেড়াতে। আমি খেতে বসলাম অফিস যাব বলে। এরপর ফোন এলো

তুমি কোথায়?
স্টেডিয়ামের ওখানে। অফিসে যাচ্ছি। হেঁটেই যাচ্ছি। আজ আর সাইকেল আনিনি।
আমি বনে ঘুরছি। অপেক্ষা করো, আমি ওদিকে আসছি।
তুমি সামনে যাও। ক্লাবের ওখানে দেখা করা যায়।
তুমি বরং বনে চলে এসো। এক সাথে কিছুক্ষণ ঘুরা যাবে।
না, সময় নেই।
ঠিক আছে। তাহলে আমি বাসার দিকে যাচ্ছি।
বললাম বটে। তবে অফিসে না গেলেও চলত। হাজার হোক, এখনও আমি ছুটিতে। আট সপ্তাহের এই দীর্ঘ ছুটির শেষ সপ্তাহ। তবে বাসায় কেউ জানে না, গুলিয়াও জানে না যে আমি ছুটিতে। প্রতিদিন অফিসে যাই। অন্যান্য বছর অবশ্য জিজ্ঞেস করে কবে ছুটিতে যাব। করোনার কারণে ছুটি, অফিস সব যখন এক হয়ে গেছে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছে। ঝামেলা হল, যদি জিজ্ঞেস করে আমি বলব ছুটি শেষ হয়ে গেছে। মিথ্যে বলা পছন্দ করি না কি না তাই। আর তখন অভিমান করে বলবে
তুমি ছুটি নিলে আমি জানলাম না কেন?
ভাব খানা এই এ ছুটি যেন ওদের, আমার নয়।
দুবনা, ০৭ অক্টোবর ২০২০

Tuesday, October 6, 2020

ইশ্বরদী

 ঈশ্বর নারী না পুরুষ?

সবাই ভাবে ঈশ্বর পুরুষ। কিন্ত ঈশ্বরদী নাম শুনলে আমার এ নিয়ে সন্দেহ জাগে।

দুবনা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

Monday, October 5, 2020

রাজনীতি

অপরাধীদের কাছে রাজনীতি জিম্মি। সময় মত অপরাধ দমন না করলে একদিন অপরাধীরাই সমাজ আর দেশকে দমন করে। সেটাই চলছে। 

দুবনা, ০৫ অক্টোবর ২০২০ 

Sunday, October 4, 2020

সময় ও সমস্যা

ধর্ষণ দুর্নীতি থেকে শুরু করে সমস্ত অপরাধই আজ সামাজিক সীমারেখা অতিক্রম করে রাজনৈতিক বলয়ে স্থান করে নিয়েছে। এসব সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান সময়ের দাবি।

দুবনা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 

উন্নয়ন

বর্ণমালায় দ আর ধ এর মতই জীবনেও দুর্নীতিবাজ আর ধর্ষক আজ গলাগলি ধরে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের রাজপথ ধরে। 

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২০ 

Paradox

 Atheists do not believe in God though "in God they TRUST".

Dubna, 02 October 2020