Friday, January 31, 2020

ভূতুরে ভোট

 রাতের আঁধারে ভোট
দিয়ে গেছে ভূত
ফল নিয়ে মনে তাই
এত খুতখুত

দুবনা, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্বর্গের রূপ

যদি স্বর্গ থেকেই থাকে সে দেখতে কেমন হবে?
সিলিন্ড্রিক্যালি সিমেট্রিক।
কেন এমন ভাবছ?
দেখ স্বর্গকে এই যে মূলা বা গাজরের মত করে হাজার হাজার বছর ধরে মুখের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তাতে আগে যাই থাকুক না কেন এখন ও ঠিক মূলা বা গাজরের মত হয়ে গেছে।

দুবনা, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০


পার্থক্য

সরকারি আর বিরোধী দল একই কবিতা পড়ে, পার্থক্য শুধু পড়ার মধ্যে

বিরোধী দল পড়ে

লাথি মার ভাঙরে তালা
যতসব বন্ধীশালা আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা

সরকারি দল পড়ে

লাথি মার ভাঙরে তালা
যতসব বন্দী, শালা আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা

দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

অনুভূতি

যখন কোন আইন করা হয় আইনের সাথে সাথে কিছু ব্যাখ্যাও দেওয়া উচিৎ। দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছেন। খুব ভালো। কিন্তু ঠিক কোন কথা বা লেখা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে আর কোনটা করে না, সেটা কি সব ধর্মের জন্যই প্রযোজ্য নাকি বিশেষ কোন ধর্মের জন্য সেটাও জানা দরকার মানুষের। নইলে অনেকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে কারো অনুভূতিতে আঘাত করে বিপদে পড়তে পারে। রাষ্ট্র তো আর নাবালক কেউ নয় যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাউকে বিপদে পড়তে দেখবে আর তারপর হাততালি দেবে। আইন আসলে প্রিভেন্টিভ মেজার যার কাজ মানুষ যাতে অযথা বিপদে না পড়ে সে বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া। তাই এই হুঁশিয়ারি যদি কোন বিশেষ ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য হয়, ভালো হবে সেটা পরিষ্কার ভাষায় প্রকাশ করা এবং অমুক ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জনগণকে সাবধান করা। তা না হলে ওয়াজে অন্য ধর্মের নিন্দা করলে সেটাও হবে কারো না কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আর রাষ্ট্র যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অক্ষম, এতে করে নতুন করে রাষ্ট্রের দুর্বলতা ধরা পড়বে। তাই মুখে এক মনে আরেক না করে অন্তত এ ব্যাপারে রাষ্ট্র সৎ থাকুক সেটা আমরা চাইতেই পারি। প্রতিবেশি ভারত যদি তাদের আইনে ইসলামের কথা লিখতে পারে বাংলাদেশই বা কেন সেটা পারবে না? আশা করি গণতন্ত্রের মানস কন্যা ও কওমী জননী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন এবং কোনটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে আর কোনটা করে না তার একটা বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করবেন।

দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

Thursday, January 30, 2020

সরস্বতী পুজার কামনা

সারা জীবন তো বিদ্যাবুদ্ধি চেয়েই গেলেন, আসুন এবার নিজেরা পড়াশুনা করে বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করে সরস্বতী দেবীকে একটু খুশি করুন। শুনেছি দেবতাদের রাজ্যেও আজকাল বিদ্যাবুদ্ধির খরা। এইতো সময় নিজেদের দেবতা হয়ে ওঠার। পড়াশুনা করুন! জ্ঞান অর্জন করুন! সেটাই দেবীর সবচেয়ে ভালো পূজা, সবচেয়ে দামী অঞ্জলি।

দুবনা, ৩০ জানুয়ারি ২০২০
 
 
 

লেখালেখি

আপনার সব লেখাগুলো সেভ করে রাখবেন।
কেন?
ভবিষ্যতে কোন এক সময় এসব দিয়ে বই বের করতে পারবেন।
হুম, বই বের করার জন্য নিজেকে এত বিখ্যাত হতে হবে যে তখন এ বই প্রকাশ করা অর্থহীন হয়ে পড়বে।
কেন?
তখন মানুষ এ বই পড়বে লেখকের খ্যাতির কারণে, লেখার জন্য নয়। মানে বলতে পার পড়বে না, শুধু তাঁর কাছেও যে এই বই আছে সেটা বলার জন্য সে ওটা সংগ্রহে রাখবে। আর যে লেখা নিজে তার পাঠক তৈরি করতে পারে না, সেটা পুনরায় না ছাপানোই ভালো।

দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২০



Wednesday, January 29, 2020

মহাসমস্যা

চারিদিকে এত অপরাধের খবর দেখে মনে হল এসব অপরাধীদের ধড় থেকে মস্তক আলাদা করা উচিৎ। একটু ভেবে মনে মনে বললাম, যাদের মস্তক নেই তাদের আবার মস্তক আলাদা করবে কিভাবে?

দুবনা, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

Tuesday, January 28, 2020

জনতার সরকার

আমাদের সব দেশ থেকে অনেক মানুষই লিগ্যালি ইউরোপ বা আমেরিকা গিয়ে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে ইলিগ্যাল হয়ে যায় যাতে আজীবন সেখানে থাকতে পারে।

সরকার তো এদেশের মানুষ নিয়েই গঠিত। তারাও একবার কোন মতে ক্ষমতায় আসতে পারলে গণতন্ত্রের আলখেল্লা ছেড়ে অগণতন্ত্রী ডিক্টেটর বনে যায় যাতে তারাও আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে।

দুবনা, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ 
 
 
 

সরকার

কোন দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দেশটা সরকারী হয়ে যায়। কথায় বলে সরকারী মাল পকেট মে ঢাল।

দুবনা, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

চ্যালেঞ্জ

বর্তমান সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ মৌলবাদ রুখতে গিয়ে নিজেদের মৌলবাদী হয়ে না যাওয়া।

দুবনা, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ 

পার্থক্য

মোদী সরকার সিএএ পাশ করার পর ভারত জুড়ে গণ আন্দোলন চলছে। একজন আদালতে মামলা করেছে মোদীকে তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য।

বাংলাদেশে শরিয়ত বয়াতী গ্রেফতার হয়েছে। শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন গ্রেফতার যখন হয়েছে নিশ্চয়ই কোন অপরাধ আছে।

প্রধান মন্ত্রী সহ দেশের সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য মামলা করার সাহস বা অধিকার কি বাংলাদেশে কারও আছে?

এখানেই মৌলবাদী ভারতের সাথে গণতান্ত্রিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশের পার্থক্য।

দুবনা, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

Monday, January 27, 2020

দূরদর্শিতা

বিএ, এমএর সার্টিফিকেট নিয়ে লোক হাসায় মোদীজী আর সিএর ঝামেলায় না গিয়ে একেবারে সিএএ পাশ করে ফেলেছেন। একেই বলে দূরদর্শিতা।

মস্কো, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

বোধ

বিনা যুদ্ধে জয়ী সেনাপতির শুধু যে জবাবদিহিতা থাকেনা তা নয়, তার বোধ শক্তিসহ সমস্ত মানবিক গুনও লোপ পায়। তাই তো মহামারীর সময়ে মহোৎসব করতেও তার বুক কাঁপে না।

মস্কো, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

Sunday, January 26, 2020

Еда

Дай пить и закусить.
Пить есть, но есть нет. Пить будешь?
А как без закуски то?
А ты делай это по бенгальский. Они и чай едят и воду. Так что ешь водку и закусить не надо будет.

Москва, 27 января 2020

গণ

হত্যা গণ, ধর্ষণ গণ, পিটুনি গণ, আন্দোলন গণ। শুধু গণ আর গণ। চারিদিকে গণতন্ত্রের জয়জয়কার।

মস্কো, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

রাজনীতির ছিটেফোঁটা

আমাদের ছোটবেলায় ডাক্তার ছিল দুই ধরনের, হোমিওপ্যাথিক আর আলোপ্যাথিক। এখন অবশ্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার দেখা যায়না বললেই চলে। হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার তাঁর সমস্ত ঔষধ পত্র সাথে করেই ঘুরে বেড়াতেন। ছিল পাউডার আর ছোট ছোট পিল। ওগুলো প্রাণহীন। আর অনেক শিশি যেখানে বিভিন্ন লিকুইড। ওখান থেকে ফোঁটা ফোঁটা তরল বিভিন্ন রেশিওতে উনি এই পাউডার বা পিলে ফেলে তাতে প্রাণ সঞ্চার করতেন। এভাবেই  রেশিও অনুযায়ী তৈরি হয়ে যেত বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের মহৌষধী। এ যেন বিভিন্ন রেশিওতে কোয়ার্ক মিশিয়ে বিভিন্ন মৌলিক কণা সৃষ্টি করা।

দেশের রাজনীতির অবস্থা দেখে আমার এই হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের কথা মনে পড়ে। মনে হয় কোন এক ডাক্তার অনেক শিশি নিয়ে বসে আছেন যেখানে লেখা আছে পাক বিরোধ, পাক প্রেম, ভারত বিরোধ, ভারত প্রীতি, একাত্তরের চেতনা, মৌলবাদ, ধর্মীয় অনুভূতি, ইসলাম, হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, ঘুস, দুর্নীতি, মিথ্যাচার, খুন, ধর্ষণ.........ঐ অদৃশ্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার এসব বোতল থেকে ফোঁটা ফোঁটা রস পাউডার বা পিলের বদলে রাজনীতিবাজ আর জনগণের মাথায় ঢালছেন আর এভাবেই গড়ে ওঠছে দেশের রাজনৈতিক শ্রেনী যা আসলে মুলত এক, শুধুই ছিটেফোঁটার ব্যবধান। এটাই মনে হয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের উধাও হওয়ার গোপন রহস্য।

দুবনা, ২৬ জানুয়ারি ২০২০


Saturday, January 25, 2020

প্রতীক

চারিদিকে শুধু প্রতীক আর প্রতীক। গনতন্ত্রের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, মুক্তির প্রতীক আরও কত কি। প্রতীকের ভীড়ে কখন যে আসল মানুষই উধাও তার খবর কে রাখে?

দুবনা, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

পেশা

উঁচুপায়ী কর্মকর্তাদের কথা শুনে দ্বিধাগ্রস্থ - বাংলাদেশের মানুষ গরু পাচারকারী না কি গরু পালনকারী?

দুবনা, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ 

দ্বৈত দৈত্য

দ্বৈত শাসন ভাই দৈত্যের শাসন
গণতন্ত্রের মুখে কথা বলায় মুমিনগণ।

দুবনা, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

Friday, January 24, 2020

নাচ

জামাতি আদর্শ পায়
জামাই আদর
চেতনার সরকারকে তারা
নাচায় বাঁদর

দুবনা, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

স্বপ্ন

স্বপ্নের রাজ্যে মানুষ         
রাজ্যের স্বপ্ন দেখে
স্বপ্ন নিয়ে গাঁজাখুরি
গল্প সে সব লেখে

দুবনা, ২৪ জানুয়ারি ২০২০

Thursday, January 23, 2020

ধারাপাত

স্বাধীনতার পর পর একটা গান খুব বাজত

ছোটদের বড়দের সকলের
গরীবের নিঃস্বের ফকিরের
আমারই দেশ সব মানুষের সব মানুষের
.......................................

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃস্টান
দেশ মাতা এক সকলের
.......................................

ওটা কি এখনও বাজে নাকি ৫৭ ধারায় ধরাশায়ী

দুবনা, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

Wednesday, January 22, 2020

গান

জাতীয় সঙ্গীত, রণ সঙ্গীত, শোন একটি মুজিবরের চেয়ে, মোরা একটি ফুলকে, মুজিব বাইয়া যাও রে - এসবও তো গান। বিজ্ঞ জন কি বলেন?

দুবনা, ২২ জানুয়ারি ২০২০

অপেক্ষা

অপেক্ষায় আছি কবে দেশের আমলারা দুর্নীতি শিক্ষার ট্রেনিং নিতে দল বেঁধে বিদেশ যাবে। সেটা হবে একেবারে সোনায় (সো)হাগা।

দুবনা, ২২ জানুয়ারি ২০২০

Tuesday, January 21, 2020

সময়

ঘুস বেচতে বেচতেই দিন কাবার
ধান বেচার সময় পাইলাম কই আর

দুবনা, ২১ জানুয়ারি ২০২০

Monday, January 20, 2020

অনুভূতি

আমরা যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে আসি হিন্দুদের সাধারণত কুমার আর মুসলমানদের মোহাম্মদ বা আহমেদ নামে ডাকত স্থানীয়রা। গালাগালিও করত। ভাগ্যিস তখন আমাদের অনুভূতি এত তীব্র ছিল না।

দুবনা, ২০ জানুয়ারি ২০২০


Sunday, January 19, 2020

পুতুল

দেশের মান সন্মান, ভাবমূর্তি - এসব কি চীনে মাটির পুতুল যে একটা ছবির রিলিজ দেওয়া না দেওয়ার ধাক্কায় ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে?

দুবনা, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

Saturday, January 18, 2020

লোক কাহিনি

ছোটবেলায় একটা গল্প চালু ছিল গ্রামে। এক বোকা পেচ্ছাব করতে বসে পেদে ফেলেছে। কিন্ত মনে সন্দেহ হেগে দিয়েছে।  সন্দেহ মেটায় কেমনে? পাছায় হাত দিয়ে মনে হল হাত ভিজে গেল। কিন্তু সন্দেহ গেল না। শুকতে গিয়ে নাকেও কিছুটা লাগালে। গন্ধ আছে আবার সন্দেহও আছে। অনেক ভেবে হাতটা একটু চেটে বুঝলো সন্দেহ অমূলক ছিল না। এলাকায় তাই বলে বোকার গু তিন জায়গায় লাগে। গল্পটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।

দুবনা, ১৮ জানুয়ারি ২০২০


প্লুরালিজম

গরবাচেভের সোভিয়েত ইউনিয়নে পেরেস্ত্রইকা (পুনর্বিন্যাস) ও গ্লাসনস্ত (প্রচার) এর সাথে আরও যে কথাটি বেশ চালু ছিল, সেটা হল প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ)। সমাজতন্ত্রের মূল মন্ত্র ছিল গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা - সবার অংশগ্রহণে একবার কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সেটা প্রায় ডগমায় পরিণত করা হত। সেদিক থেকে গনতন্ত্রে প্লুরালিজমের চর্চার সুযোগ বেশি। সেখানে থিওরেটিক্যালি সব সময়ই ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ থাকে আর সিদ্ধান্ত গ্রহনের পরেও যুক্তি তর্কের মাধ্যমে সেটাকে পুনর্বিবেচনা করা যায়। এখানেই আমার প্রশ্ন? কেন পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে কয়েক শতাব্দী ধরে মানুষ খৃষ্টান ধর্মের প্রভাবে লালিত পালিত, গণতন্ত্র এতটা বিকশিত? শুধু খৃষ্টান ধর্ম নয়, একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী যেকোনো মানুষের জন্যই প্লুরালিজম এক ধরনের এলিয়েন ধারনা। অর্থাৎ একেশ্বরবাদ ও প্লুরালিজমে একই সাথে বিশ্বাস সেই মানুষের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ যেন নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন করে এসে ঘরে বৌ পেটানো বা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর লোকদের ঘুস খাওয়া। সেক্ষেত্রে ভারতে ধর্মীয় ভাবে বহুত্ববাদের জয়জয়কার, একই পরিবারে অনেক ভগবান গলাগলি করে বাস করতে পারে। কিন্তু একই সাথে ভারতীয় সমাজে সেই বহুত্ববাদের প্রকাশ অর্থাৎ গণতন্ত্রের চর্চা খুব একটা দেখা যায় না। এখানে গণতন্ত্র বলতে আমি যতটা না মিটিং, মিছিলের অধিকারের কথা বলছি, তার চেয়ে বেশি বলছি পরমত সহিশ্নুতার কথা। ব্যাপারটা অবাক নয় কি?

দুবনা, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ 

Friday, January 17, 2020

হুজুরেওয়ালা

মাঝে মধ্যে এমন হয় যে আমরা কোন একটা শব্দে আটকা পড়ে যাই। গত কয়েকদিন যাবত এরকম একটা শব্দে আটকে গেছি আমি। শব্দটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শব্দটা গুরুত্বপূর্ণ। আচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ মানে তো যার গুরুত্ব আছে, তাই না? আর গুরুত্ব এটা তো গুরু থেকে। মানে যে নিজেকে যত বড় গুরু মনে করে বা লোকে যাকে যত বড় গুরু মনে করে, সেই তো গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক? তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়ালো গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মানে গুরুত্বে টইটম্বুর। আর গুরুত্ব আসে গুরুগিরি থেকে। কিন্তু দেশে তো আজকাল গুরুর আকাল, চারিদিকে শুধুই হুজুর আর হুজুর। ভেবে দেখার সময় এসেছে গুরুত্বপূর্ণকে কিভাবে হুজুরদের সাথে একাকার করে দেওয়া যায়। এরকম শব্দ হতে পারে হুজুরত্বপূর্ণ বা হুজুরেওয়ালা। আপনি কি ভাবছেন?

দুবনা, ১৭ জানুয়ারি ২০২০
 
 

Wednesday, January 15, 2020

ভাগাভাগি

একটা কথা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না। ধর্মীয় অনুশাসনে যদি গান বাজনা ইত্যাদি নিষিদ্ধ হয়, তবে সেখানে যে ঘুস দুর্নীতিও নিষিদ্ধ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে ঘুস দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা না করে গান বাজনার বিরুদ্ধে কেন করা হচ্ছে? এটা কি সমাজের রাঘব বোয়ালরা ঘুস দুর্নীতি করে টাকা পয়সা উপার্জনে পারদর্শী হলেও গান বাজনা করে তা করতে পারে না সেজন্যেই? যারা আজ গান বাজনার বিরুদ্ধে জিহাদ জারি করছে গান বাজনাকেও যদি এসব মানুষের জন্য অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যমে পরিণত করা যায় দেখবেন এরাই বুক দিয়ে গান বাজনাকে রক্ষা করতে রাস্তায় নেমেছে। আসল কথা টাকার ভাগে, ধর্মীয় অনুশাসন অজুহাত মাত্র।

দুবনা, ১৫ জানুয়ারি ২০২০
 
 
 

ইলেকশন পূজা

ইলেকশন পূজা নিয়ে এই যে এত হৈচৈ সেটা মোটেই আমার মাথায় ঢুকে না। আরে দাদা, ইলেকশন তো আজকাল দেবতার মত, সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেকের তো ইলেকশন মন্দিরে প্রবেশই নিষিদ্ধ। আপনি ভোট দিলেই কী আর না দিলেই কী? এবার না হয় ভোটটা নাই দিলেন। অন্তত এবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভোট বয়কট করুন। ভয়ের কি আছে? দাদা, আপনার আওয়ামী লীগ আপনার ভোট পেলেও জিতবে, না পেলেও জিতবে। হারার কোন অপশন নেই। তাই বলি কি, সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অভিমানকে একটু রাগে পরিণত করুন। নইলে সারাজীবন দুয়ো রানী হয়েই কাটাতে হবে।

দুবনা, ১৫ জানুয়ারি ২০২০





Tuesday, January 14, 2020

প্রশ্ন

আচ্ছা, কত পার্সেন্ট কমিশন দিলে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে?

দুবনা ১৫ জানুয়ারি ২০২০

আগুন

আজ পরীক্ষা নিচ্ছিলাম। বেশ কয়েকজনকে এক্সট্রা কোয়েশ্চেন করে নতুন করে প্রস্তুত হতে পাঠালাম। একজন ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল

- আপনার মেজাজটা মনে হয় খুব ভালো নেই আজ, কঠিন কঠিন প্রশ্ন করছেন! 
- ভালো থাকবে কী করে? বছর শুরু হতে না হতেই দু' দুবার আগুন লেগেছে বাসায়। এরপরও কী কারও মেজাজ ভালো থাকে?

চারিদিকে হয় হয় শব্দ। সবার চোখে বিস্ময়।  আবারও সেই ছেলের প্রশ্ন

- প্রতিবেশীরা লাগিয়েছে নিশ্চয়ই! অনেক ক্ষতি হয়েছে?

- আরে না, প্রতিবেশীরা আগুন লাগবে কোন দুঃখে? বাসা বদলিয়ে নতুন বাসায় উঠেছি।

সাথে সাথে হাসির ঢেউ পরীক্ষার হল জুড়ে। যেন বিরাট এক পাথর নেমে গেছে ওদের বুক থেকে।   

মস্কো, ১৪ জানুয়ারি ২০২০



Monday, January 13, 2020

মুক্তির বন্দীদশা

আমাদের সমস্যাটা কোথায় জানেন? আমরা সব সময় অন্যদের মুক্তির দাবী করি, কিন্তু নিজে মুক্ত হতে চাই না। এর চেয়েও বড় সমস্যা, আমরা অধিকাংশ মানুষই নিজেরা যে মুক্ত নই সেই সহজ সত্যটা বুঝি না। জেলের বাইরে থাকার মানেই মুক্তি নয়। কুসংস্কার আর আরাম আয়েশের  নাগপাশে বন্দী হয়ে কবে যে আমাদের চেতনা লোপ পেয়েছে সেটা বোঝার শক্তি আর আমাদের নেই। আমরা  বাড়ির হাতে বন্দী, আমরা গাড়ীর হাতে বন্দী, আমরা স্মার্টফোনের হাতে বন্দী, আমরা আমাদের লোভ লালসার কাছে বন্দী। তার চেয়েও বড় কথা আমরা আমাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের কাছে বন্দী। সময়ের সাথে সাথে যদি বিশ্বাসকে প্রশ্ন না করা হয় সেটাও একদিন অচল হতে বাধ্য। মুক্তমনা হতে হলে আগে মনকে খুলতে হয়, অন্যদের কথা শুনতে হয়। কিন্তু আমরা কি আজ কারও কথাই শুনছি? 

মস্কো, ১৩ জানুয়ারি ২০২০



গনতন্ত্র

শরীয়তী গনতন্ত্রে শরীয়ত বাউল যায় জেলে
সোনার বাংলা এবার আমরা গড়ব হেসে খেলে

মস্কো, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

Sunday, January 12, 2020

ICT

ICT - it seems to be a Conspiracy Theory. What stands for I?

Moscow, 13 January 2020

শরীয়ত

শরীয়ত পন্থীরা শরীয়ত বাউলকে জেলে ঢোকায়
যারা শরীয়ত চায় না তারা শরীয়ত বাউলের মুক্তি চায়

মস্কো, ১২ জানুয়ারি ২০২০

এক আর শূন্য

ছোটবেলায় বড়দের মুখে শুনতাম আগে টাকার মুল্য ছিল, এক পয়সায় বস্তা বস্তা ফলমুল কেনা যেত। সেই ছোটবেলাও নেই, সেই গল্পও নেই। এখন টাকা শুধুই সংখ্যা - এক-এর উপর একের পর এক সারি সারি শূন্য বসানো, এক্কেবারে আকাশ পর্যন্ত। ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০

দুবনা, ১২ জানুয়ারি ২০২০



Friday, January 10, 2020

ডুয়ালিজম?

সভ্যতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আজ মানুষের দ্বিচারিতা। একই ঘটনাকে ব্যক্তি, দল বা দেশ বিশেষে ভালো বা মন্দ ভাবার প্রবনতা আমাদের বস্তুনিষ্ঠ হতে না দিয়ে দল কানা করে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

দুবনা, ১১ জানুয়ারি ২০২০


লাল বাতি

গতকাল যখন পুরনো বাসাকে হ্যান্ড ওভারের উপযোগী করতে যাচ্ছি, বউ বলল

- তোমাকে না একেবারে ট্র্যাফিক লাইটের মত দেখাচ্ছে।
- কেন?
- নিজের পোশাকের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ।

আমরা জামাকাপরের দিকে কখনোই খুব একটা তাকাই না। বউ এক সময় জিজ্ঞেস করতে পারে তার নতুন হেয়ার স্টাইল আমার পছন্দ হয়েছে কিনা। সে যে কয়েক দিন আগে চুল কেটেছে সেটা আমার চোখেই পড়েনি। আমার এক উত্তর তুমি যদি আরাম পাও তাহলেই আমি খুশি। আমিও যে গত কয়েক দিন যাবত এ পোশাকেই বাসার মালামাল এদিক সেদিক করছি সেটা ও হয়তো আগে খেয়ালই করেনি। যাহোক তাকিয়ে দেখি আমার পরনে নীল জুতা, ঘিয়ে রঙের প্যান্ট, সাদা ওভার কোট আর মাথায় বেগুনি টুপি। এতক্ষণে বুঝলাম কেন রাস্তাঘাটে মানুষজন আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসে।

- হুম। কিন্তু তুমি লাল আলো কোথায় দেখলে?
- লাল আলো আবার কি জন্যে?
- এই যে তুমি সারা জীবন ট্র্যাফিক লাইটের সামনে দাঁড়িয়েই রইলে লাল আলো ছাড়া সেটা কীভাবে সম্ভব?
- তোমার মাথার গরমে বেগুনি টুপি লাল হয়ে গিয়েছিল।

দুবনা, ১০ জানুয়ারি ২০২০
 
 

দোকলা জীবন

দীর্ঘ ২০ বছর (এপ্রিল ১৯৯৯ - জানুয়ারি ২০২০) পর বাসা পালটালাম। আশা করি খোলের সাথে নলচেটাও বদলে যাবে না। এখনও পর্যন্ত এটাই আমার কোন বাসায় দীর্ঘতম বসবাস। প্রায় দশ বছর একা থাকার পর আবার সব কিছু নতুন করে শিখতে হচ্ছে। এখন আর চাইলেই রাত তিনটে বা চারটেয় কম্পিউটার অন করে কাজ করা যায় না। বৌয়ের কুকুরেরা বাজার লাগিয়ে দেয়। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে জুতা বদলানোর পর ব্লিচিং পাউডার জলে চটি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাতে বাচ্চা কুকুরগুলো অসুস্থ না হয়। দেশে ঠাকুর ঘরে যেতেও এত ঝক্কি পোহাতে হত না। কী এক অস্বস্তিকর অবস্থা। চারিদিকে যেন অদৃশ্য দেয়াল তোলা। যাচ্ছেতাই করার স্বাধীনতার অকাল মৃত্যু আর কি। তাই বউকে বলেই ফেললাম

- এভাবে চললে আমাকে নতুন বাসা খুঁজতে হবে।
- কোন লাভ নেই।
- কেন?
- তোমার বাসার যে অবস্থা তাতে মনে হয় কিছুক্ষণ আগে নিউক্লিয়ার ওয়ার শেষ হয়েছে। এরপর তোমাকে বাসা ভাড়া দেবে কে?
বউ অবশ্য খুব বাড়িয়ে বলেনি। এক কলিগ আমার বাসার অবস্থা দেখে এর আগে বলেছিল

- বিগ ব্যাঙ্গের (BIG BANG) পরে মহাবিশ্বের পরিবেশ মনে হয় এমনটাই ছিল।

দুবনা, ১০ জানুয়ারি ২০২০
 
 
 

Thursday, January 9, 2020

খাওয়া

অনাহারে মরার চেয়ে মনে হয় গুলি খেয়ে মরা ভালো। কে জানে ওখানে খাবার দিতে কত দেরি করে?

দুবনা, ০৯ জানুয়ারি ২০২০

পা পদ

আজকাল পদ আর পোস্ট নেই, এক্কেবারে পা হয়ে গেছে। তাই তো পায়ের অভাবে মানুষ যেমন হাঁটতে পারে না, পদের অভাবে দলীয় কর্মীরাও চলতে পারে না।

দুবনা, ০৯ জানুয়ারি ২০২০

Wednesday, January 8, 2020

মৎস্য অবতার

ছোটবেলায় একটা গল্প চালু ছিল - কই মাছ যে ধরে তাকে দেখে, যে কাটে তাকে দেখে, যে রান্না করে তাকে দেখে কিন্তু যে খায় তাকে দেখে না। এখন বড়বেলায় দেখছি মানুষ পরীক্ষায় পাশ করে ঈশ্বরের কৃপায়, চাকরি পায় ঈশ্বরের কৃপায়, গাড়ি বাড়ি করে ঈশ্বরের কৃপায়, ছেলে মেয়ে ধন দৌলত সবই পায় ঈশ্বরের কৃপায়, শুধুমাত্র ঈশ্বর তাকে ঘুস খেতে দেখে না।

দুবনা, ০৯ জানুয়ারি ২০২০


বাদ না বাদী

ডান বা বাম, ধার্মিক বা নাস্তিক, বর্ণবাদী বা মানবতাবাদী, সবাই আমরা বাদী হয়ে অন্যের নামে নালিশ করতে সিদ্ধহস্ত। সব ক্ষেত্রেই শুধু আদর্শের কথা, কিন্তু আদর্শটাই বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছে।

দুবনা, ০৮ জানুয়ারি ২০২০

ল্যাবরেটরি ওয়ার্ক

আচ্ছা, ঈশ্বর আছেন কি নাই সেটা কিভাবে প্রমাণ করা যায়?
খুব সোজা। ফেসবুক আর টুইটারে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে যত স্ট্যাটাস লেখে লোকজন, তাতে আপ টু ডেট থাকার জন্য তাঁর নিশ্চয়ই একটা ফেসবুক বা টুইটার আই ডি প্রয়োজন। এই আই ডির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিই প্রমাণ করবে তাঁর অস্তিত্ব!

দুবনা, ০৮ জানুয়ারি ২০২০

Belief and reality


As far as I know Prof. S. Hawking has abandoned God long long ago. He didn't believe in life after death as well. Now a lot of people are wishing him good luck in the sky. Being his fan, believing his works and ideas how come that people are doing these his that go against those very ideas? To believe in something and practice that in real life is something that lays beyond our capacity.

Dubna, 08 January 2020

Tuesday, January 7, 2020

শোধ প্রতিশোধ

ঋণ শোধ করতে তেমন আগ্রহী না হলেও প্রতিশোধ নিতে আমাদের জুড়ি নেই। এর একটা র্যাডিক্যাল শোধন দরকার। 

দুবনা, ০৭ জানুয়ারি ২০২০ 

অনু

জাতি হিসেবে আমরা খুবই মৌলিক মানে আনবিক নই। তাই কোন কিছু অনুধাবন করার পরিবর্তে আমরা তাকে ধাবন করতে বেশি ভালবাসি।

দুবনা, ০৭ জানুয়ারি ২০২০

Monday, January 6, 2020

মগজ সেলাই

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ দণ্ডনীয়? আপনি কী ভোগ করেন? হ্যাঁ, বস্তু। আপনি বস্তু ভোগ করেন তা সে যে ফর্মেই হোক না কেন। তাহলে ভোগবাদ কি বস্তুবাদ নয়? যদি তাই হয় তাহলে এই ভোগকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্যই যত মারামারি, কাটাকাটি। ঐ যে আপনার ঘরবাড়ি দখল করা হল, আপনাকে দেশ ছাড়া করা হল, ধর্ম বা অন্য যেকোনো অজুহাতেই তা হোক না কেন, এর মূলে কিন্তু ভোগের ইচ্ছে। আরব বসন্ত থেকে শুরু করে রং বেরঙের যেসব বিপ্লব ঘটে দেশে দেশে, সে সবই ভোগের জন্যে। ভোগের পেছনে বস্তু। বস্তু নিয়ে যত দ্বন্দ্ব। আর যদি বস্তুবাদ দ্বান্দ্বিক হয়, তাহলে তো কথাই নেই। দণ্ড আপনার কপালের লিখন, তা সে যে ফর্মেই হোক।

দুবনা, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ 
 
 
 

পক্ষ বিপক্ষ

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অন্যায় সংগঠিত ন্যায় প্রতিষ্ঠার নামে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, ধর্মের নামে হয় ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড। এ যেন সেই বিখ্যাত সত্যের প্রতিধ্বনি "যুদ্ধ হবে না, তবে শান্তির লড়াইটা এমন হবে যে পাথরে কোন পাথর থাকবে না।" এটাই মনে হয় বিপরীতের ঐক্য ও সংগ্রাম!

দুবনা, ০৬ জানুয়ারি ২০২০


Sunday, January 5, 2020

হাসির গলায় ফাঁসি

কন্টাক্টে আমাদের এক ফ্যামিলি গ্রুপ আছে। কারও কোন কিছু বলার থাকলে ওখানেই লিখে সবাই। ছোটোখাটো একটা নোটিশ বোর্ড আর কি? কয়েকদিন আগে গুলিয়া লিখল

- আগ্নেশকাকে (কুকুর) কিনতে চাইছে। কালিনিনগ্রাদে।

সেভা

- কত দেবে?
- ৩৫ к।
- অর্ধেক আমার। আমি পুরো আত্মা ওর জন্য ঢেলে দিয়েছি (I put my whole soul into this dog - я в эту собаку всю душу вложил)

বাস্তবে সেভা ওকে শুধু ছবিতেই দেখেছে।

- সেটা পরে দেখা যাবে।
- তোমাকে ওরা যাতায়াত খরচ দেবে?
- শুধু যাওয়ার খরচ দেবে।
- আফিগেত (офигеть)! এটা যে কালিনিনগ্রাদ! বাল্টিক সাগর!

আমি এতক্ষণ শুধুই পড়ছিলাম আর হাসছিলাম। এই সুযোগ কী ছাড়া যায়? লিখলাম

- মামাকে ওয়ান ওয়ে টিকেট দেবে।

সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছি।

- তুমি কী বলতে চাইছ?

বাতাসে বারুদের গন্ধ। রুশ ভাষায় ওয়ান ওয়ে টিকেটের (билет на один конец) একাধিক অর্থ আছে। বৌ যে ঠাট্টা বোঝেনি তা নয়, তবে দর কষাকষি সেও করতে জানে।

- কই? আমি এমনি ঠাট্টা করছিলাম।
- আর অজুহাত দেখাতে হবে না। রিটার্ন টিকেট দিয়ে তারপর যত খুশি ঠাট্টা কর।

দুবনা, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ 
 
 
 

Friday, January 3, 2020

বলবিদ্যা

বিদ্যা - বুদ্ধি ও জ্ঞানের সহযোদ্ধা, বল এখন বুদ্ধিহীনতা বা মূর্খতার সহচর। বলবিদ্যা শব্দটা অপ্রাসঙ্গিক মূর্খদের যুগে।

দুবনা, ০৪ জানুয়ারি ২০২০ 

বলের বলদ

রাশানরা বলে "সিলা ইয়েস্ত উমা নি নাদা" "বল আছে, বুদ্ধির দরকার নেই।" আমেরিকার চেয়ে ভালো আর কে রাশানদের অনুসরণ করবে?

দুবনা, ০৪ জানুয়ারি ২০২০ 

ধিক

উদ্দেশ্য যত মহানই হোক না কেন খুন খুনই। আর খুনি আর যাই হোক ন্যায় ও গনতন্ত্রের ধারক ও বাহক নয়। ধিক ইয়াংকি।

দুবনা, ০৩ জানুয়ারি ২০২০

Wednesday, January 1, 2020

ক্ষুদে ভগবান

আমি দেখি আর অবাক হয়ে ভাবি। চারিদিকে পোস্টার - চারিদিকে জয়জয়কার। আর স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকে জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর হিড়িক। আরে জনগণ কি বাঘ ভাল্লুক নাকি যে নিজেদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানোর হিম্মত আমাদের নেই? না কি নেতাদের ক্ষমতার বলয় ব্ল্যাক হোলের মতই শক্তিশালী যে কর্মীদের আলোক রশ্মিও সেখান থেকে বেরুতে পারে না? এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছর পর আমাদের নেতাদের নামে খেতে হবে, পড়তে হবে, এমন কি বাঁচতেও হবে। নেতা তো নয়, একেকটা ক্ষুদে ভগবান। ধ্যাত!
দুবনা, ০১ জানুয়ারি ২০২০



বছর শুরু

পুরাতনকে বিদায় আর নতুনকে বরণের কঠিন তরল পথের শেষে বরাবরের মতই নতুন বছর শুরু হল বায়বীয় মাথা ব্যথা দিয়ে।

দুবনা, ০১ জানুয়ারি ২০২০