Friday, November 25, 2016

Viva Fidel!


Fidel and Che, two brightest revolutionary stars of the western hemisphere. The glory of Che has long eclipsed the glory of Fidel. May be this is the retribution of being alive. Hope not only Cuban people, the whole world will remember you for what you have done for the betterment of lives of common mass.

Moscow, 26 November 2016


Tuesday, November 22, 2016

উপলব্ধি


আমি বরাবরই জানতাম সোভিয়েত ইউনিয়নে ভালো-মন্দ দুইই ছিলো . আর যেহেতু এই দেশটাকে পৃথিবীর বাইরের কিছু মনে করতাম না, এ নিয়ে কখনো মন খারাপ হলেও হতাশ হতাম না. তবে আমার কাছে মন্দের চেয়ে ভালো দিকটাই বেশী মনে হত . ইদানিং মন্দের দলে আরেকটা পংক্তি যোগ হলো . ভাবতাম মীরজাফর আমাদের একান্তই দেশী . এখন দেখছি সোভিয়েত শিক্ষা ব্যবস্থাও কিছু কিছু মীরজাফর জন্ম দিয়েছে .

দুবনা, ২২ নভেম্বর ২০১৬ 

 

Monday, November 14, 2016

রাক্ষসের দেশে


ছোটবেলায় গল্প শুনেছি কোন এক দেশে কোত্থেকে যেনো এক রাক্ষস উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলো. যাতে দেশটাকেই ধ্বংস করে না দেয়, তাই প্রজারা প্রতিদিন একজন করে লোক পাঠাতো রাক্ষসের কাছে ওর খাবার হিসেবে. আজ এরকম লক্ষ রাক্ষসে ভরে গেছে দেশ, বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন দলের দলের পতাকা তলে. আর ওই দুর্গাভা প্রজাগুলি এদেশের বিভিন্ন প্রকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী. সময় এসেছে নিজে থেকেই ঠিক করার কার পর কে যাবে আপা-ভাই-ম্যাডাম-স্যারদের হাতে জমি, টাকা, ইজ্জত, মান এসব তুলে দিতে. এই না হলে আর ডিজিটাল বাংলা?

দুবনা, ১৪ নভেম্বর ২০১৬ 

 

Wednesday, November 9, 2016

নির্বাচন ২০১৬

আলোময় দা লিখেছে "বানরের হাতে ডুগডুগি, নাচছে মানুষ" - কিন্তু ওয়াল স্ট্রীট, মিডিয়া - এরাই কি মানুষদের বানর বানিয়ে রেখেছিলো না এতদিন? ওই বানর বনে যাওয়া মানুষ আজ প্রতিবাদ করেছে, তাইতো হিলারীর পরাজয়
কই স্যান্ডার্সকে অন্যায় ভাবে তাড়ানোতে কেউ তো এত বিমর্ষ হলো না?
হ্যা খেলায় হার জিত আছে, হার জিত আছে সুষ্ঠ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে - এটা থেকেও আমরা শিখতে পারি
হিলারীর পরাজয়ে আমাদের দীর্ঘ শ্বাস আবারও প্রমান করে আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতি পশ্চিমী্ ধ্যান-ধারণা আর মিডিয়া দিয়ে কতটা প্রভাবিত
জানি, আমেরিকা শুধু দেশ নয়, এটা সারা বিশ্ব, তার পরের ওদের দেশের প্রেসিডেন্ট প্রথমত ওদের নিজেদের জন্য
হিলারীকে না বলা, মানে আমেরিকান বর্তমান পলিসিকে না বলা, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া আক্রমনকে না বলা - অন্তত একথা ভেবেও আসুন না আমেরিকান জনগনের রায় মেনে নেই
হিলারীকে যারা নারী বাদের প্রতীক ভাবেন, তেমন অনেক পুরুষরা হিলারীর কাছে নারীর থেকেও দুর্বল, হিলারী নারীবাদ নয়, অর্থ আর অস্ত্রের প্রতীক - তার কাজ এটাই প্রমান করেছে বার বার
পরিবর্তন আসে বড় ধরনের ঝাকুনি দিয়ে - সেটা বিপ্লবই হোক আর স্বাধীনতা সংগ্রামই হোক
যদি এই ফলাফল আমেরিকাকে একটু ভাবতে শেখায়, বদলাতে শেখায় - সেটাই হবে আমাদের জন্য বড় পাওয়া
দুবনা ০৯ নভেম্বর ২০১৬
ক্রিস্টিনার ছোট বেলায় আকা ছবি


People



So D. Trump has over trumped Clinton. Being an outsider I have little to say about this. I have no reason to like Trump, even less to like Clinton. Nevertheless, I feel America, the American have done a great thing. Against all the odds, against all the power of establishments, administrative resources, media and even against the will of his own Party he has won. He showed even a single man can win the whole system. Americans didn't elect Trump, they simply reject the establishment. And it is the neat result: even in an era when money and media rule the world, people can stand up and win it. No matter how good or bad Trump will be as a President, but people voted for change, against establishment. Yes, in any democratic country, no matter how powerful is its establishment, how powerful is its army, final say belongs to the people.

Dubna, 09 November 2016



Tuesday, November 8, 2016

বার্টার



যদিও সামাজিক মাধ্যমে দেখলাম নাসিরাবাদের ঘটনার পেছনে ছিল আওয়ামী লীগের দুই গ্ৰুপের শত্রুতা, বলীর  পাঠা রসরাজ এখনও  সরকারী  আতিথেয়তায় দিন কাটাচ্ছে পাকা ঘরে।

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অতি যত্নে তৈরী ৫৭ ধারার এই  আলট্রা-প্রিসাইজ প্রয়োগে সন্ত্রাসীদের বদলে সন্ত্রস্তরাই গারদে ঢুকে যাচ্ছে।

ইরাকের মাসুলে আমেরিকার নিক্ষিপ্ত  আলট্রা-প্রিসাইজ অস্ত্র পথ ভুলে হাতে গোনা কিছু টেরোরিস্টদের বদলে একদল বরযাত্রীকে বেহেশতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

অভীষ্ট আর অর্জনের মধ্যে এই যে পার্থক্য - এটা নিশ্চয়ই  টেকনিক্যাল প্রব্লেম।

বাংলাদেশের আর আমেরিকার শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী যদি পরস্পর স্থান বদল করতো, তাহলে সন্ত্রাসবাদীরাও মোর্তো, সাধারণ মানুষও  স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারতো।


দুবনা, ০৮ নভেম্বর ২০১৬



একাত্তর

গণজাগরণ মঞ্চের সময় প্রায়ই বলতে শুনেছি একাত্তরের চেতনার কথা, কেউ কেউ শ্লোগান দিয়েছে "আরেকটা একাত্তর চাই"
এই যে সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক আক্রমন, এই যে তাদের ঘর, বাড়ি, মন্দির ধ্বংস, এই যে ধর্মীয় বা বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের খুন, নারী ধর্ষণ, সাঁওতালদের বস্তি জ্বালিয়ে দেয়া - এসব কি একাত্তরের কথাই মনে পরিয়ে দেয় না?
এই একাত্তরই কি আমরা চেয়েছিলাম? চেতনাহীন একাত্তর?
দুবনা, ০৮ নভেম্বর ২০১৬



Thursday, November 3, 2016

Сначала было слово, но сегодня оно кончилось


সবার আগে ছিলো শব্দ, আজ নিঃশব্দতা কবির পেয়ালা পূর্ণ করছে | ধর্মহীন অনুভুতির রাজ্যে কথারা বাঁচে না, বাঁচতে পারে না |
কথাগুলো মরে যায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ-কামড়ে, যেমন করে মরে জীবন

Dubna, 03 November 2016


Wednesday, November 2, 2016

Vote


Today someone asked me, "If you had the right, for whom you would have voted?".
"Definitely not for Hillary." I replied.
Why?
We are electing someone for a political post. She showed her dishonesty as a politician. So you can never expect honesty from her as a President. As far as other candidate is concerned, he is not honest too, but not in political sphere. So there is a better chance for him to become an honest President. Just chance, and nothing more.
And that is why I don't vote for any of them.
Dubna, 02 November 2016



ধিক্কার


যে রাজা নিজেকে রক্ষা করতে পারেনা
সে রাজাকে ধিক্কার
যে রাজা তার প্রজাদের রক্ষা করতে পারে না
সে রাজাকে শত  ধিক্কার
যে রাজা তার একদল প্রজাকে উশৃঙ্খল হতে দেখেও চুপ করে থাকে
সে রাজাকে সহস্র ধিক্কার
যে রাজা একদল উশৃঙ্খল প্রজার হাত থেকে আরেকদল নিরীহ প্রজাকে রক্ষা করতে পারে না
সে রাজাকে কোটি ধিক্কার
অরাজকতার এই তান্ডব ভূমিতে মুক্ত চিন্তার এই বধ্য  ভূমিতে
নপংসুক এই রাজাকে সহস্র কোটি ধিক্কার।


দুবনা, ০২ নভেম্বর ২০১৬


Monday, October 31, 2016

ধর্মানুভুতি


জাহীদ (Zaheed Reza Noor) প্রশ্ন করেছে
সংখ্যাগুরুরই শুধু ধর্মীয় অনুভূতি আছে?
সংখ্যালঘুর নাই?
আগে ভাবতাম আমরা সংখ্যালঘুরা পিপীলিকার জাতি, পুড়ে মরাই যাদের কাজ| এখন দেখছি দেশীয় সংখ্যাগুরুরা আমাদের গন্ডার বানিয়ে দিয়েছে, যাদের অনুভুতি ততটা ঠুনকো নয়, যে সুর্সুরিতেই লেগে যাবে | এখন শুধু  জানার বাকী, এটাকি পদোন্নতি না  অবনতি |
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৬




Thursday, October 27, 2016

স্বভাব



ভাবের অভাব নাকি অভাবের ভাব
অভাবে-ভাবে আজ খুব বেশী  ভাব

অভাবে স্বভাব নষ্ট স্বভাবে অভাব
অভাবে-স্বভাবে আজ নেই কোনো ভাব

ভাব ভাব করে তাই নেই কোনো লাভ
ভাব অভাব       এসবই  স্বভাব



দুবনা, ২৭ অক্টবর ২০১৬ 



Wednesday, October 26, 2016

ফিরে দেখা

এ যেন নতুন করে দেখা, 
নতুন করে লেখা, 
নতুন করে চাওয়া, 
নতুন করে পাওয়া 

সময়ের ভারে জীর্ণ মায়ের চিঠি, 
নিয়ে যায় মোরে সেই অতীতে 
ভাবি উঠি, উঠি 
সময়ের সাথে কিছুতেই পারিনা গতিতে 

তার পরেও যাবই আমি যাবো 
উদাসী হাওয়ার পথে 
সময়ের তালা ভেঙ্গে
চড়ব যে মন রথে 

দুবনা, ২৬ অক্টবর ২০১৬ 



Tuesday, October 25, 2016

গাধার দুধ


গাধাকে হাজার বার গরু বললে গাধাটা এক সময় গাধা-গরুর পার্থক্য হয়তো বুঝতে পারবে (যদি সেটা বোঝার কান্ড(হীন)জ্ঞান গাধার থাকে), তাই বলে গাধা কিন্তু কখনই দুধ দেবে না| লাভ কি তাহলে গাধাকে গরু বলে?
তাই আসুন, আমরা গাধাকে গাধাই বলি আর মিথ্যেকে মিথ্যে |
Если тысячу раз осла называть коровой, он может быть поймет разницу между ослом и коровой (конечно, если он настолько умен чтобы понять эту разницу), но все же он никогда не даст молоко. Зачем тогда называть осла коровой?
Давайте назовем осла ослом и ложь ложью.

Dubna, 25 September 2016




Monday, October 17, 2016

কমরেড অজয় রায়







অক্টবর শুধু বিপ্লবের মাসই  নয়, অক্টবর বাংলাদেশের বিপ্লবীদের চলে যাওয়ার মাস।  এই অক্টবরেই  ১৯৮৭ তে চলে গেছিলেন কমরেড মোঃ  ফরহাদ, এই অক্টবরেই ২০১৬ তে  চলে গেলেন কমরেড অজয় রায়। হয়তো পার্টি আজ সেদিনের মতো নেই - তবে তোমাদের কাজ রয়ে গেছে, রয়ে গেছে ত্যাগ আর তিতিক্ষার ইতিহাস। যতদিন এ দেশ থাকবে, থাকবে প্রগতিশীল আন্দোলন - তত দিন থাকবে তোমাদের নাম, থাকবে দেশের স্বাধীনতা আর প্রগতিশীল আন্দোলনে তোমাদের অবদানের অমর ইতিহাস।  শুভ যাত্রা কমরেড।


দুবনা, ১৭ অক্টবর ২০১৬

Wednesday, October 5, 2016

রাবন

"শুধু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন।"- মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
লঙ্কায় গেলে কমবেশী সবাই (সব দল) রাবন হয়, তবে এর মাত্রা নির্ভর করে বিরোধী দলগুলোর শক্তির উপর। কোনো পার্টিকে বিলুপ্ত করে সমস্যার সমাধান হয় না, সমাধান হয় শক্তিশালী বিরোধী দল তৈরীর পরিবেশ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বিজয়ী দলের মানের অবনতি ঘটে, রাজনীতিতেও তাই। ওই বিচারে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন না করে যদি বিরোধী দলগুলোকে শক্তিশালী হবার সুযোগ করে দিতেন, পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারতো না, এমনকি সুষ্ঠ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক পরিবেশের উপস্থিতিতে হয়তো পঁচাত্তরের ওই সামরিক অভ্যুত্থানই ঘটতো না।

দুবনা, ০৬ অক্টবর ২০১৬ 

Tuesday, October 4, 2016

অভ্যেস মানুষের দাস



সাধারণতঃ  আমি সকালে রান্না বসিয়ে একটু যোগ ব্যায়াম করি, কখনো না কিছু একটা পড়ি, মেইল চেক করি বা স্নান করে নেই স্রেফ সময় বাঁচানোর জন্য - আর এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু পুড়ে যায়।  আর আমিও খাবারের সাথে জেদ করে সব চেঁটেপুটে খেয়ে নেই।

গতকাল এই সিজনে প্রমবারের মতো সাঁতার কাটতে গেলাম, অক্টবরে শুরু মে তে শেষ। অনেকের সাথে দেখা। অনেক দিন পর - তাই ১০০০ মিটার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো, তবু কাটলাম সাঁতার, বাসায় যখন ফিরলাম, বেশ ক্লান্ত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে তাই আর ব্যায়াম  করা হলো না, ভাত বসলাম, টুকটাক করে বেগুন আর লাউ ভাজা হয়ে গেলো, এর পর আবার বিট, গাজর, ক্যাটসিকাম, লাউ, বেগুন, পেয়াজ, রসুন - আসলে সালাদ করতে গিয়ে যা বেঁচে গেলো, সব মিলিয়ে চুলায়বসলাম, ডিমটাও ভাজা হয়ে গেলো বাসায় লাগানো মরিচ দিয়ে।  আর সব করলাম  একটানা, কোথায় না গিয়ে। অনেক দিন পর এই প্রথম কিছু পুড়লো না। স্নান করে যখন খেতে  বসলাম, দেখি খেতে পারছি না, কোনো রকমে অর্ধেকটা খেয়ে বেরুলাম কাজে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই গেলো, এতো যত্ন আত্তি করে  রাধালাম, খেতে পারলাম না কেন? কোথায় আছে, সকালে যদি হাত-পা বা হাড্ডি একটু ব্যাথা না করে, তখন চিমটি কেটে দেখে হয় বেঁচে আছি কিনা। আমার মনে হয় খাবারের ক্ষেত্রেও তাই, যদি খাবার না পুড়ে, কেমন যেন পানসে লাগে।

কি আর করা, ভাঙা - গড়া নয়। সুতরাং এখন থেকে দ্বিগুন উদ্যোগে আবার পুড়াবো  আর চেঁটেপুটে  খাবো।     
         
দুবনা, ০৪ অক্টবর  ২০১৬



Thursday, September 29, 2016

Indo-Pak Showdown

Every war ends in peace (treaty). Nevertheless for many any war is a profitable business. Arms makers sell their weapons, many politicians gain public support, but the land gets destroyed, peace loving people will be massacred. When a country is almost in ruin, social and political situation is near to nowhere, may be like proletariat it has nothing to lose. But in a relatively prosperous country that India is, even a comfortable win will definitely bring endless sorrow to its people, stagnation in economy. With the prospect of a limited nuclear war both India and Pakistan should avoid this war, especially India should be more interested to bypass this critically hot phase diplomatically. 

Dubna, 29 September 2016


Sunday, September 25, 2016

Way out

'USSR could have been reformed, there was no need to destroy it.The Communist Party of the Soviet Union should have transformed the bloc into a democratic entity rather than see it collapse.' Russian President Vladimir Putin.
At least there were a few other options to transform the USSR into something else. I think the leaders had to keep in mind the partition of India which took millions of lives and still taking away more lives than one could imagine. The separation of any country does not end in one day, it takes decades to get rid of the consequences. It is like after the atom bomb attack - kills lot at once and many more, afterward. But lust for power and money of many Party functionaries did what we see today.
Unfortunately, he so-called civilized world did not learn anything from that catastrophe and still playing the same game with other countries. And people of those countries also failed to see the consequences. In fact like the East India company in 1757 countries like the USA, UK are giving bribes to different groups and with their help bring instability not only in that country, but in the region in particular and in the world as a whole.
Is there any way out? Until now the civilized world taught us how to live, now it is our turn to cut their hunger for power and wealth.

Moscow, 25 September 2016


 

Saturday, September 24, 2016

শক্তি আছে বুদ্ধির কি দরকার?


পররাষ্ট্রনীতি কতোটা কঠিন একটা বিষয় তার একটা উদাহরণ দিতে গিয়ে তরুণ (Tarun Chakravorty) লিখেছে "ক্লিনটন রোডজ্‌ স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে এসেছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হবার পর এক সাক্ষ্যাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি অক্সফোর্ড গিয়ে তিন মাসে পররাষ্ট্রনীতি তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-এর উপর ১০০টা বই পড়ে শেষ করেছিলাম।'"
ওর লেখা পরে আমার নীচের কথাগুলো মনে হলো
রাশিয়ায় একটা কথা আছে, এক মাথা ভালো, তবে দুই মাথা আরও ভালো (এই অর্থে যে দুজনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়)
ইদানিং জোক করে বলা হয়, এক (শুধু বা খালি অর্থে) মাথা ভালো, তবে তাতে একটু ঘিলু থাকলে আরও ভালো।
এই লেখাটা শুনে বলতে ইচ্ছে করছে, বই পড়া ভালো, তবে বই পড়ে তার অর্থ উপলব্ধি করা আরও ভালো।
ক্লিনটন বই পড়েছে ঠিকই তবে যুগোশ্লাভিয়ায় বোমা হামলা দেখে মনে হয়, পররাষ্ট্রনীতিটা খুব একটা রপ্ত করতে পারে নি।
রাশিয়ায় আরো বলে, শক্তি আছে বুদ্ধির কি দরকার?
আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা বুদ্ধি থাকলেও শক্তিই ব্যবহার করে।

মস্কো, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬



Mutual respect and only that

I wrote it on September 24, 2014. Nothing has changed till then.

From Farabi to ISIS: The Virus of Faith is Indeed Real!

Interesting article, but in my view it is partially true. The virus of killing is inherent to human nature. Mankind is far older than religion, and instinct of killing others (those who are different for this or that reason). If not religion, some other issues will come. In the name of equality many were killed. The struggle for socialism took a lot of lives. Nazis did kill millions not only for their religious background. Today’s drive for democracy by Bush or Obama killed and is still killings thousands across the glove. Why? It is only because a group thinks them exclusive, better than the rest. I always tell my kids, you can add an apple and a banana. The result will always be an apple and a banana. Each has their specific identity and property. Unless we, especially so-called civilized world, understand this simple truth and refrain from imposing our way of live to others, it will happen forever. Some will cut throat, others will fire or bury you with democratic bombs. I don’t know if it matters how someone will be killed – by beheading or sitting on electric chair. These things matters for those who are left behind, but for those who were killed it is all the same. So we should talk about not only about virus of religion, but also about virus of democracy, supremacy etc.Civilization is also relative. What is good in one society, might not be that in another. Only respect to other well established visions and ways of life can partially decrease the heat.

Tuesday, September 13, 2016

পরমত-সহিষ্ণুতা

Tarun Chakravorty লিখেছে "সব ধর্ম এক- এ রকম সরলীকৃত মন্তব্য যাঁরা করেন তাঁরা ভুল করেন। সত্য হল, সব ধর্ম একই পরিমাণে পরমত-সহিষ্ণুতা শিখায় না।" ওটা পড়ে মনে পড়ে গেলো রাম কে আদালতে তলব করার ঘটনা - শুধু তাই নয়, কেন হিন্দু ধর্মে বেদতাদের উপর এক হাত নেয়া যায় তার কথা|
হয়তো একটু সরলীকরণ হবে, তবুও লিখছি| রাম বা কৃষ্ণকে ভগবান ভাবা হয় | রাবন রামের সাথে লড়েছে, কংস কৃষ্ণকে হত্যা করতে চেয়েছে| অসুরেরা বার বার দুর্গার সাথে লড়েছে, দেবতারা তো হেরেই গেছে কত বার| এগুলো কি শেখায় জানো ? হ্যা, ভগবানের সাথেও যুদ্ধ করা যায়, তর্ক করা যায়, এমন কি শেষ পর্যন্ত মরে গেলেও| আরো একটা কথা, ভগবানের হাতে মরলে যত পাপীই হোকনা কেন, স্বর্গ লাভ হয়| এগুলো গল্প, তবে গল্পের নীতি তো ওখানেই - বিশ্বাস করার বা না করার অধিকার| শয়তানের কিন্তু সে অধিকার ছিলো না, একটা অপরাধেই চিরতরে নির্বাসন| সেদিক থেকে মহিসাষুর ভাগ্যবান, তার লড়াই করে প্রমান করার অধিকার ছিলো তার বিশ্বাসকে |


আস্ত গাধা


কয়েক দিন আগে ফেসবুক দেখছিলাম, হঠাতই এক বন্ধুর পোস্ট এলো টাইম লাইনে | নাদুস-নুদুস এক গরুর ছবি | পাশে গুলিয়া বসে ছিলো, জানতে চাইলো এটা কি আবার? (লোকজনতো আর হরহামেশাই গরুর ছবি দেয় না)| বললাম সামনে কোরবানীর ঈদ, গরু কিনেছে, কোরবানী দেবে, তার আগে সবাইকে দেখাচ্ছে |
একটু থেমে গুলিয়া বললো "তোর বন্ধুকে লেখ যে ও আস্ত একটা গাধা|"
"Пиши своему другу, что он круглый дурак"

"ও নয়, আমিই আস্ত গাধা, নইলে কি আর বন্ধুত্ব করি?"


Sunday, September 11, 2016

সংখ্যালঘুদের রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা

লেখাটা ছিল ছিল এক বছর আগের "ন্যায্য অধিকার না পেলে সংখ্যালঘুরা নতুন রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি করবে" প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে, তবে এতো দিনে কোনো পরিবর্তন হয়নি, তাই আবারো পোস্ট করছি

এটা যতটা না সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, তার চেয়ে বেশি অস্তিত্ব রক্ষার রাজনীতি। রাজনীতি সাম্প্রদায়িক যখন তা অন্য সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকারকে বঞ্চিত করার জন্য হয়, তবে সেটা যদি কোনো সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য হয় - তাকে শধু মাত্র কোনো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে সাম্প্রদায়িক বলাটা ঠিক হবে না। মূলধারার রাজনীতি আর তাদের নেতারা যদি সংখ্যা লঘুদের (তা সে ধর্মীয় হোক আর মুক্ত চিন্তার হোক) জীবন অতিষ্ট করে না তুলত তাহলে এরকম একটা রাজনৈতিক ধারার দরকার ছিল না। আজ যদি সংখ্যা লঘু সম্প্রদায় এই অরাজকতার প্রতিবাদ না করে খুব শিগগির এদেশে আইন করে সংখ্যা লঘু হয়ে জন্ম নেয়াটা অপরাধ বলে ঘোষনা করা হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।

 

কোরবানী





অবস্থা দেখে মনে হয় আমাদের বন্ধুরা আমাদের সবাইকে বিবেকবর্জিত মনে করে, যারা নির্বিকারে কোন এক সুন্দর প্রাণীর ছবি দেখতে পারে আর মন খুলে খুশি হতে পারে এই ভেবে যে, সেই প্রিয় বন্ধু দুদিন পরে হাসিমুখে এই প্রাণীটিকে হত্যা করবে। না না, কোরবানী নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।  ছোট বেলায় ঈদের দিনে বন্ধুদের সাথে সারাদিন আনন্দ করা, মার্বেল খেলা - সে কি ভোলা যায়? তবে তখন এতো ছবি দিয়ে লোক দেখিয়ে কোরবানী হতো না।  আজ এক বন্ধুর (কমরেডের) টাইম লাইনে সুন্দর এক ষাঁড়ের ছবি দেখলাম সাথে তার দাম। তারা সুন্দরবনের বাঘের জন্য জীবন বাজী  রাখে, অথচ ছবি দিয়ে ঘোষণা করে নির্বিকারে নিরীহ প্রাণী হত্যা করে - কেমন যেন বেমানান মনে হয়। ঈদের আনন্দ বুঝি, কিন্তু হত্যার? আসুন না, আনন্দটা আমরা প্রকাশ্যেই করি, আর হত্যাটা গোপনে।    


মস্কো, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬


Thursday, September 8, 2016

ClinTrump


Most of my friends living in the USA are allergically anti-Trump. Many of them blindly pro Hillary. Being an outsider I have almost nothing to do with the coming US election. I know, independent to who will be the president of America, nothing will change overnight. But the way, the political establishment of America, both Democratic and Republican, is alarming. It is not Hillary, who competes against Trump, but the whole American establishment is trying to get rid of Trump. Here is a rare chance for American People to stand up against the mighty establishment and force them change their policies in future.

Dubna, September 08, 2016

 

Wednesday, September 7, 2016

অপেক্ষা



ভোটের সময় সংখ্যালঘুদের শাঁখের করাতে কাটা পড়তে হয় কেননা এক দল ভোট দিতে গেলে মারে, আরেক দল ভোট দিতে না গেলে। এখন দেশে মূর্তি ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা চলছে, কয়েক দিন আগে হলে তো অলিম্পিকে জুড়ে দেয়া যেত। বসে আছি কবে পাল্টা দল নামবে মাঠে, পূজা না করার অপরাধে কত প্রাণ হবে বলিদান।

দুবনা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬




Wednesday, August 31, 2016

বিয়ে করবো - সুন্দরবনকে



বিদ্যুৎ কেন্দ্র না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে না,
বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে শিল্পায়ন হবে না,
শিল্পায়ন না হলে শ্রমিক শ্রেণী হবে না,
শ্রমিক শ্রেণী না হলে?
ঠিক বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবে না।
তার পরেও আমাদের চাই সুন্দরবন।

মনে পরে গেলো ডারুয়িনের ডাইরীর কথা:
উনি বিয়ে না করার পক্ষে পঁচিশটা যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন,
পক্ষে শুধু একটা -
এতো কিছুর পরেও বিয়ে করবো। 

দুবনা, ৩১ আগস্ট ২০১৬ 



Monday, August 29, 2016

গাঁধা ও মানুষ



গাঁধাকে মানুষ বললে গাঁধা মানুষ হয় না, গাঁধাকে  গাঁধা বললেই বরং ওর মানুষ হবার একটা সম্ভাবনা থাকে।

দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০১৬ 

রামপাল ও পরিবেশ নিয়ে কিছু ভাবনার অংশ বিশেষ



বাংলাদেশের রাজনীতি এখন রামপাল নিয়ে জমজমাট।  আমি ভবিষ্যৎ বক্তা নই , তবে কিছু কথা ফলে যেত বলেই মনে হয়

আজ বিএনপি রামপালের বিরুদ্ধে যে একহাজার চুয়ান্নটা যোক্তি দেখাচ্ছে, ওদের আমলে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ওরা কম করে  এক হাজার পঞ্চান্নটা যুক্তি দাঁড় করতো রামপালের পক্ষে।

আওয়ামীলীগ আজ রামপালের পক্ষে দুহাজার নয়টা যুক্তি দেখাচ্ছে, বিরোধী দলে  থাকলে বিপক্ষে যুক্তি থাকতো কম করে হলেও দুহাজার দশটা।

সিপিবি আর অন্যান্য বামরা আজও  রামপালের বিপক্ষে সাড়ে সাতটা যুক্তি দেখাচ্ছে, বিএনপির আমলেও তাই দেখাতো। আমাদের সোভিয়েত  দেশে পড়াশুনা করা মানুষদের স্বপ্ন যেমন সেই অতীতে আটকে গেছে - সিপিবিও তেমনি আটকে গেছে হারানো দিনে - পরিবর্তনই একমাত্র সত্য এই সহজ সত্যটা  ভুলে গেছে তারা।

পুঁজিবাদী অর্থনীতি নয়, প্রগতি-শিল্পায়ন এসব প্রকৃতির পরিপন্থী।  দেশে দেশে শিল্পায়ন প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, করছে। কাকে বিসর্জন দেব? শিল্প ছাড়া প্রগতির চাকা ঘুরবে না।  মনে হয়, দুকূল রক্ষা করার একটা উপায় - শিল্পপতিদের পরিবেশ কর দিতে বাধ্য করা, আর সরকারকে বাধ্য করা বাজেটের একটা অংশ পরিবেশ খাতে ব্যয় করতে।  



দুর্বুদ্ধি


আমার কেন যেন মনে হয় রামপাল আরএসএস এর একটা প্রজেক্ট। বিশ্বাস হয়না? আচ্ছা বলেন তো ১৯৪৭ এর পর বাংলার মানুষ আর কখন এতবার রাম নাম নিয়েছে? তাই বলি, জায়গাটার নাম পাল্টে রসুলপুর করে দেন, দেখবেন তখন এই জায়গায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে কত কোটি মানুষ আন্দোলনে নেমেছে। আরেকটা উপায় অবশ্য আছে। সুন্দর বনের নাম ধরুন শ্যামসুন্দর বন রাখা। তখন কিন্তু ওটা ধ্বংসের জন্য দেখবেন মানুষ একটা নয়, দুইটা নয়, পাঁচ পাঁচটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইবে।
দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০১৬

Saturday, August 27, 2016

রোবট

জাহীদ  নিকোলাই অস্ত্রোভস্কির "ইস্পাত" নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে।  ওটার উপর কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি লেখাটা হাতির মতো ফুলে গেলো, তাই আলাদা করে লেখা।

সমস্যা যতটা না ইজমে  তার চেয়ে বেশি মানুষে।  আমরা ভক্তরাই কাউকে দেবতা বসাই আবার কাউকে পায়ের নিচে পিষে ফেলি।  এটা করি নিজেদের কায়েমী স্বার্থ আদায়ের জন্য।  লেনিনের এতো মূর্তি ছিল সোভিয়েত  দেশের আনাচে-কানাচে যে শিব বাদের কোনো হিন্দু দেবতাও তাতে ঈর্ষান্বিত হতো। লেনিন কি তা চেয়েছিলেন? না।  উনি এমন কি তার মরদেহ সমাধিস্ত করতে বলেছিলেন, কিন্তু আজও তা রেড স্কয়ারে। আমরা মানুষরাই আমাদের নেতা-নেত্রীকে দেবতার আসনে বসাই। আমাদের চাটুকারিতাই এক সময় নেতাদের তারা যে দেবতা সেটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। এভাবেই হয়তো ধর্মের উত্থান - তা সে যে নামেই হোক।  ডগমা - এটাইতো ধর্মের মূল কথা।  আমি চারিদিকে শুধু ডগমাটিকদের দেখি আর ভাবি মানুষ একটা

দুবনা, ২৭ আগস্ট ২০১৬ 
রোবট, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 

Wednesday, August 24, 2016

আইনের উর্দ্ধে


২০১০ সালে আমরা যখন বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া অর্গানাইজ করি, আমাদের বলা হয়েছিল ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধুর নাম উল্ল্যেখ করার জন্য। আমাদের গঠনতন্ত্রে ১৯৭২ এর সংবিধানের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে, কিন্তু যেহেতু এটা গণ সংগঠন তাই ইচ্ছে করেই কারো নাম সেখানে বলা হয়নি। পরবর্তীতে এক কথোপকোনে আমি বলেছিলাম, "আচ্ছা যখন অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসবে আর আমাদের তাদের নেতাদের নাম লিখতে বলবে ঘোষণাপত্রে, তখন আমরা কি করবো? বাহাত্তরের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ - এটা বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র - এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপায়?" যখন বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ছিল না, তখন ইসলাম নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিল না, ইসলাম দেশের অধিকাংশ মানুষের ধর্ম হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে ছিল, আর ইসলামকে যখন রাষ্ট্রধর্ম করা হলো, তখনই প্রশ্ন উঠলো অন্য ধর্মালম্বীদের সংবিধানে দেয়া সমান অধিকারের। আমার মনে হয় আইন করে বঙ্গবন্ধুকে কোনো আসনে বসানো হলে তাতে হিতে বিপরীত হবে। এই আইনের ফাঁক দিয়ে একদিন জিয়া এরশাদসহ অনেকেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সব আইনের উর্দ্ধে। বঙ্গবন্ধু নিজের মহিমায় এদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন, আইন করে আপনারা তাকে উপরে ওঠাতে পারবেন না, বরং এই এই মহান মানুষটাকে শুধু নিজেদের মতো সাধারণ মানুষের কাতারে নামাতে পারবেন। এটাই কি আপনাদের কাম্য?

দুবনা, ২৪ আগস্ট ২০১৬  



Is she better of two evils?


Cleanliness and honesty are no longer saleable commodity. What matters is obedience. Contrary to all scandals Clinton suits better for American governing elite. And like in 1996 when Yeltsyn was elected Russian President - Clinton will become the President of America. But the question is - "Is it the America its proud people were looking for?"


http://www.theglobeandmail.com/news/world/many-donors-to-clinton-foundation-met-with-hillary-when-she-was-secretary-of-state/article31524477/

Dubna, 24 August 2016



Saturday, August 20, 2016

ভাষা


আমি টোট্টিকে (এটা আমাদের অসংখ্য কুকুরের একটা) বললাম "sdf szj.dl hxdkldjalknDlk as"
সেভা জিজ্ঞেস করলো, "পাপ তুমি নিজে বুঝলে কি বললে?"
-আমার বুঝার কি আছে? টোট্টিকে বললাম, ও বুঝলেই হলো।
Я Тотти (это один из наших многочисленных собак) сказал "sdf szj.dl hxdkldjalknDlk as"
Сева просил, "Пап ты сам понял чего говорил?"
- Зачем мне понимать. Я Тотти говорил, пускай сама разберется.

দুবনা, ২০ আগস্ট ২০১৬  


Friday, August 19, 2016

কোরবাণীর গরু



দুপুরে মাসুদ ফোন করলো। মাসুদ আমার ইয়ারমেটদের মধ্যে একমাত্র মস্কোবাসী যার সাথে আমার রেগুলার যোগাযোগ হয়, কখনো ফোনে, কখনো মস্কোয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলে আগে থেকে কথা বলে দেখা করি।  ওর পড়াশুনা মিসিতে।  ছাত্রজীবনে যেতাম মাঝে মধ্যে - কল্লোল, আজাদ, মাসুদ - ওদের সাথে দেখা করতে। আমি দুবনা আসার পর যোগাযোগ একেবারেই ছিল না। তবে ২০১০ সল্ থেকে আবার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ২০১০ এর মে মাসে ও আমার এখানে বেড়াতে আসে দু দিনের জন্য, তখন থেকেই যোগাযোগ বেশ নিয়মিত - বলতে গেলে আমার ইয়ারমেটদের মধ্যে একমাত্র ওর সাথেই যোগাযোগটা টিকে আছে। 

ওর ডাচা মস্কো থেকে দুবনা আসার পথে - সেটাও কারণ মাঝে মধ্যে গল্প করার।  তা আজ ফোন করলে বললাম চলে যায়, ওর অজুহাত নানা রকম।  ২০ শতক জায়গার ঘাস কাটতে হয়, আরো কত কি? তাই বললাম,
- তোকে একটা বুদ্ধি দেব?
- বল!  
- একটা ছাগল কিনে ফেল।  খামারের কাজ শুরু হলেই কিনে রাখিস, সারা গ্রীষ্ম ঘাস খাবে, তোর আর ঘাস কাটার ঝামেলা করতে হবে না।  আর খামার বাড়ির কাজ শেষ হলে, মানে শরতে আমরা ওকে খাবো। 
- বুদ্ধিটা ভালো, তবে আমার ছাগলে চলবে না, গরু কিনতে হবে। প্রচুর ঘাস।
- ওটাতো আরো ভালো। তাহলে তাই কেন। গ্রীষ্মের শেষে কোরবানীর  ঈদ, তখন চড়া দামে বিক্রি করা যাবে। 


যাকগে টেলিফোনে আড্ডাটা ভালোই হলো।  আগামী শনিবার আমাদের একটা আলোচনা সভা আছে - "বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের  উত্থান ও করণীয়" শীর্ষক। আসতে বললাম। তাছাড়া তো দুবনা আছেই। এক সপ্তাহ ঠান্ডার পর গতকাল থেকে আবার গরম পড়লো।  আজ আবারো ভোলগায় সাঁতার কাটলাম। মাসুদ এলে দুজনে মিলেই যাওয়া যাবে।    

দুবনা, ১৯ আগস্ট ২০১৬ 



Sunday, August 14, 2016

মরণ তোমাকে করেছে অমর


এক মুজিবের কণ্ঠ রোধ করা যায়,
কিন্তু যে বজ্র কণ্ঠ লাখ মানুষের হৃদয়ে
মুক্তির স্বপ্ন জাগায়
তা কোনো দিনও  স্তব্ধ হবার নয়। 







দুবনা, ১৫ আগস্ট ২০১৬ 

Saturday, August 13, 2016

ডেমোক্রেটিক ট্যাবলেট



বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পড়ে, বিশেষ করে ওল্ড টেস্টামেন্ট পরে আমার মনে হয়েছিল ঈশ্বর এক বিশাল একনায়ক।  কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দেশে সব কান্ড কারখানা দেখে মনে হচ্ছে  আমেরিকানরা ওনাকেও ডেমোক্রেটিক ট্যাবলেট খাইয়েছেন। দেখুন না,  সব সময় সংখ্যাগুরুদের সাথে থাকেন।







দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০১৬ 

Friday, August 12, 2016

প্রশ্ন

গতকাল একটা নোট লিখেছিলাম রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চলতি বিতর্ক নিয়ে।
 http://bijansahawhispers.blogspot.ru/2016/08/blog-post_12.html

কিছু কমেন্টের ভাষা এমন যে এ ব্যাপারে কথা বলা মানেই সরকারের বিরোধীতা করা। তাই মনে এই প্রশ্ন জাগলো -
আমরা কবে আর বড় হবো? কেন যে আমরা কোন কাজের সমালোচনাকে ব্যক্তিগত সমালোচনা হিসেবে নেই? অবস্থাটা এই, কেউ রামপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে বললেই সে বিরোধী দলে নাম লিখলো। কখন আমরা বুঝবো যে পৃথিবীটা সাদা-কালো নয়, এখানে আরো অনেক টোন আছে? নেতৃত্বের প্রতি, দলের প্রতি এই প্রশ্নাতীত সমর্থনই কি নেতৃত্বকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত করছে না? আচ্ছা এর সাথে কি ইসলাম ধর্মের ধর্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করার সংস্কৃতি জড়িত?

দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০১৬ 

Sunday, August 7, 2016

গোল্লাছুট




ভোর ৪.৩০ এ ঘুম ভেঙে গেলো কাদের যেন কলরবে। ব্যালকনি বেরিয়ে দেখি বিশাল নীলাকাশ ছাতার মতো আড়াল করে রেখেছে পৃথিবীকে, পাচ্ছে ভিজে না যায় সকালের উষ্ণ বৃষ্টিতে। আর ওই আকাশের বুকে কোলাহল করে গোল্লাছুট খেলছে এক দল পুচকি মেঘ। ওরাও টের পেয়ে গেছে কিছুক্ষন পর সূর্য্য উঠবে জেগে, উঠবে রেগে, গরমে ঘুরবে মাথা, গোল্লাছুটে পরবে হরেক বাঁধা। 

দুবনা, ০৭ আগস্ট ২০১৬

ভুল সংশোধন


আমার একটা স্ট্যাটাস "আমেরিকা" যেখানে আমি লিখেছিলাম
"অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা গণতন্ত্রের কবরখানা।"
এককালীন কমরেড, সোভিয়েত দেশে ডিগ্রী প্রাপ্ত, বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী ডাঃ আনোয়ার হোসেন (Anowar Hossain) কে মনঃক্ষুন্ন করেছে।
তাই ভাবলাম, ওটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আসলে ব্যাপারটা হবে এ রকম
"অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের কফিন তৈরীর কারখানা।"

Saturday, August 6, 2016

Fly low

Tarun wrote replying to my comment about his recent Russia trip "I have been disappointed by the sight of the society that I have visited last month for the first time."
What can I say?
Buddha told, if you want to be happy, cut your desire. I say, if you don't want to be disappointed, let your dream fly low. Remember, you are visiting a country that has gone through a tremendous change, almost revolutionary change. A war destroys only infrastructure, but the change that Russia experienced after the fall of the USSR destroyed not only infrastructure, but also inner world, past, present and for many future. I went through all this and know what does it mean. As a lover we put our g.f. in the ran of goddess, but when she becomes wife, many of us become disappointed seeing her earthly face. We had idealized communism or socialism as something divine only to find that people here are like us with all human characters.

Dubna, 06 August 2016

                                                     
 

Friday, August 5, 2016

২২ শ্রাবন

এই শ্রাবনের ২২ তারিখে

মরণ তোমারে অমর করেছে


কথপোকথন



- "ঘেউ"
- "ঘে এ এ এ  উ"
- "ঘেউ ঘেউ"
- "ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ"
- "ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ উ  উ"

- বলতো ওরা  ঘেউ ঘেউ করছে কেন?
- ঘেন্নায়।

ঘৃণা যখন ভালোবাসাকে ছাপিয়ে  যায়
মানুষ তখন কথা বলতে ভুলে যায়।

অথবা ওরা  হয়তো  কোথায় বলে,
আর সাধারণ কান ঘেউ ঘেউ শোনে।

দুবনা, ০৫ জুলাই ২০১৬


ছবিটা মনিকার আঁকা - বয়েস ৫ কি ৬ হবে।  আমার পুরানো অফিসে ছিল. কয়েক দিন আগে ওখানে গিয়ে দেখি দেয়ালে ঝুলছে, নিয়ে এলাম।



Thursday, August 4, 2016

আমেরিকা

অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা গণতন্ত্রের কবরখানা। 

দুবনা, ০৫ জুলাই ২০১৬



দেশপ্রেম


কিছু কিছু লোকের দেশপ্রেম দেখলে মনে হয়, এরা  নিজেদের দেশের শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে না ভেবে প্রেমিক বলেই মনে করে, যারা প্রত্যাশা পূর্ণ না হলে দেশের মুখে এসিড ছুড়ঁতেও  দ্বিধাবোধ করবে না। আবার  কিছু মানুষ যে ভাবে বিদেশের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে, তাতে ওদের দেশপ্রেম দেখে মনে হয় ওরা আসলে сутенер বা pimp বা কুটনি, ওদের কাজই  ।

দুবনা, ০৪ আগস্ট ২০১৬



Wednesday, August 3, 2016

ডেফিনিশনের সমস্যা



Baki Billah তার স্ট্যাটাস এ লিখছে "বাস্তবতা হচ্ছে, ভারত রাষ্ট্রের অন্যায় বা অন্যায্যতার প্রতিবাদে প্রগতিশীলদের কোনো ভাষা কাঠামোই এতোকাল ছিল না।"
(https://www.facebook.com/baki.billah.509/posts/10207027927608813)


এটাই আমাদের সমস্যা - ডেফিনিশনের সমস্যা।  ভারতের পক্ষে বললে ভারতের দালাল, পাকিস্তানের পক্ষে বললে পাকিস্তানের। আবার ভারতের বিরুদ্ধে বললে সাম্প্রদায়িক। আমার অনেক সময় মনে হয়েছে, যখন প্যালেস্টাইনের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছি, বন্ধুরা আমাকে ভেবেছে প্রগতিশীল, আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের অধিকারের কথা বললেই সাম্প্রদায়িক বলে কটাক্ষ করেছে। আর আমি সবই করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য - যেটা বাংলদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আমাকে শিখিয়েছে।  আমরা আসলে বন্ধুত্ব করতে শিখিনি - আমরা হয় অন্ধ বন্ধু নয়তো অন্ধ শত্রু। বন্ধু হয়েও যে সমালোচনা করা যায় অথবা শত্রু হয়েও যে তার ভালো কাজের প্রশংসা করা যায় - এই সংস্কৃতি আমাদের গড়ে উঠেনি। আমরা হয় বন্ধুর দাস নয়তো শত্রুর যম।  আমরা গান্ধী আর মতিলাল নেহরুর মতো বলতে শিখিনি "we  agreed  to disagree", আর এটাই আমাদের রাজনীতির দুর্বল দিক। তাই আমাদের রাজনীতি এন্টাগোনিস্টিক। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় কোনো প্রশ্নেই ঐক্যমতে আসতে পারে না -  তারা হয় বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, নয়তো সমর্থনের জন্য সমর্থন করে। আর তা শুধু ভারত প্রশ্নেই নয় - প্রায় সব প্রশ্নেই। আমার তো এক সময় ধারণাই ছিল এমন কোনো বিষয় নেই - যেখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি এক সাথে কাজ করতে পারে।  তবে ইদানিং মনে হয় অন্তত মফঃস্বল এলাকায় সংখ্যালঘুদের  ভূমিদখল আর দেশ ছাড়ানো প্রশ্নে ওরা  এক হতে পারে।


দুবনা, ০৪ আগস্ট ২০১৬


Tuesday, August 2, 2016

শুক্লপক্ষ না কৃষ্ণপক্ষ



সে অনেক দিন আগের কথা
এতই  আগের যে মনে হয় অন্য জীবনে
অন্য দেশে .......
অপ্সরা আর কিন্নরদের মতো
আমরা তখন বাস করতাম স্বর্গ রাজ্যে

সেই স্বর্গে কোনো এক সন্ধ্যায়
যখন রুপালি চাঁদটা ভাসতে ভাসতে
হঠাৎ আটকে গেছিলো
শরতের সোনারঙা বার্চের মাথায়
তুমি বললে, যদি বলতে পারো
শুক্লপক্ষ এটা  না কৃষ্ণপক্ষ
একটা চুমু খাবো ......

সেই প্রথম তুমি আমাকে তুমি বলে ডাকলে
এতটাই হচকে গেছিলাম, যে উত্তরটা আর দেয়া হয়নি .......

আমি তোমার চোখে খুজতাম নিজের ছবি
পড়তে চাইতাম মন আর
দেখতে চাইতাম তোমার মনের আয়নায়
প্রতিচ্ছবি পরে কিনা আমার ভালোবাসার

কিন্তু সামনে এসে দাঁড়ালেই তুমি বন্ধ করতে দু চোখ,
তাই তোমার চোখে আমার ছবি আমি কখনো খুঁজতেই পারিনি

আজ আমরা দুই ভিন গ্রহের বাসিন্দা
যাদের মধ্যে কাজ করে না কোনো টেলিফোন
কিংবা ম্যাসেন্জার, স্কাইপে বা ফেসবুক
কে জানে, হয়তো মৃত্যুও মানুষকে এতো দূরে সরায় না 

তবুও আজও  হঠাৎ ই আকাশের নীলে, সাগরের ঢেউ এ
বনের গভীরে বা বাতাসের ঘূর্ণিতে দেখি
তোমার সেই হাসি, আর অপেক্ষা করি, এইতো বলবে,
বলতো আজ শুক্লপক্ষ না কৃষ্ণপক্ষ?







দুবনা,  ০৩ আগস্ট ২০১৬

সৃজনশীল ডায়রিয়া



ইদানিং বন্ধুদের স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখছি তা মূল লেখাটার চেয়ে গায়ে-গতরে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। দুই কুল রক্ষা করতে গিয়ে তাই প্রায়ই ওদের স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নতুন স্ট্যাটাস লিখছি।  একেই হয়তো বলে творческий понос মানে creative diarrhea বা সৃজনশীল ডায়রিয়া।

দুবনা, ০২ আগস্ট ২০১৬