Thursday, April 30, 2020

প্রশ্ন

ঠিক বুঝতে পারছি না, দেশে কি ত্রান বিতরণ চলছে, না কি তার রিহার্সাল? ছবি দেখে কিছুই ঠাহর করে উঠতে পারছি না। 

দুবনা, ৩০ এপ্রিল ২০২০ 

খলিফা

অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় দর্জিদের সরদাররাই আজ দেশের আসল খলিফা।

দুবনা, ৩০ এপ্রিল ২০২০

Wednesday, April 29, 2020

ব্যাখ্যা

হনুমানের হাতে খুন্তি দেওয়া বলতে কি বুঝ?
স্যার, মন্ত্রী আর নেতাদের ধান কেটে কৃষকের কাঁচা ধানে মই দেওয়ার পৌরাণিক ব্যাখ্যা।

দুবনা, ৩০ এপ্রিল ২০২০

সেলফি

ভাগ্যিস করোনার ছবি তোলা যায় না। নইলে হাজার হাজার বাঙালি করোনার সাথে সেলফি তুলে ফেসবুক ছয়লাপ করে ফেলতে আর করোনা বিজয়ে ডাক্তারের চেয়েও বড় যোদ্ধা হত।

দুবনা, ২৯ এপ্রিল ২০২০

ভ্রমন

স্বর্গ বা নরকের আপ-ডাউন টিকেট পাওয়া গেলে কাউন্টারে মারামারি লেগে যেতে পারে বিধায় ওখানে শুধুই ওয়ান ওয়ে টিকেট বিক্রি হয়। পাছে রিটার্ন টিকেট না পায় এই ভয়ে কেউ আর ওমুখো হতে চায় না। আর নাম দেয় না ফেরার দেশ।

দুবনা, ২৯ এপ্রিল ২০২০

Tuesday, April 28, 2020

প্রশ্ন

বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী মানুষের কথা আমি প্রায়ই জানতে পারি তাঁদের মৃত্যুর পরে। একি আমার ব্যর্থতা নাকি মৃত্যুর মাহাত্ম্য?

দুবনা, ২৮ এপ্রিল ২০২০ 

মই

এতকাল শুনে এলাম পাকা ধানে মই দেওয়ার কথা। ধান কাটার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে অনেকেই এখন কৃষকের কাঁচা ধানে মই দিতে নেমেছে দলবল নিয়ে। #

দুবনা, ২৮ এপ্রিল ২০২০

Monday, April 27, 2020

লোককথা

গ্রামে একটা কথা আছে "ঘোমটা দিতে গিয়ে পাছা উদলা"। লক ডাউন আর তার পরিণতি। করোনা রাজা প্রজা সবাইকে ন্যাংটো করে ছাড়বে।

দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২০ 

কৃষ্ণ ও করোনা

ঢাকায় ইস্কনে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত। আমি এতে অবাক হইনি। কেননা করোনা তো আর শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত না যে ওকে মন্দিরে গিয়ে গুড বয় সেজে হরে কৃষ্ণ নাম নিতে হবে।

দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২০

Sunday, April 26, 2020

অবিশ্বাস

অবিশ্বাসী বলে কিছু নেই, কেউ নেই। আছে শুধু বিশ্বাস - ভিন্ন ভিন্ন ধারণায়, ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে। কোন বিশ্বাস কবি, কোন বিশ্বাস ছবি, কোন বিশ্বাস জ্ঞানে, কোন বিশ্বাস ভক্তিতে। যতক্ষণ না সে অন্ধ, নয়কো মোটেই মন্দ।

দুবনা, ২৬ এপ্রিল ২০২০

খবর

দাদা আপনার বন্ধুর খবর কি?
আর বলো না। এই বয়সে ও গলায় দড়ি দিয়েছে।
বলেন কি? গলায় দড়ি? আহারে।
ভয়ের কারণ নেই। পা ফস্কে পড়ে ওর হাত ভেঙ্গেছে। তাই গলায় দড়ি দিয়ে তাতে হাত ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

দুবনা, ২৬ এপ্রিল ২০২০

Saturday, April 25, 2020

কীট

গণ সাস্থ্যের কীট নাটকে আবারও প্রমাণিত হল আমলারাই দেশের চ্যাম্পিয়ন কীট। যাকে বলে নরকের কীট।

দুবনা, ২৬ এপ্রিল ২০২০

সম্পর্ক

যতদূর জানি হিন্দুরা তাদের ঠাকুর দেবতা আর ভগবানকে তুমি বলে ডাকে। আগে মুসলমানদেরও আল্লাহকে তুমি বলেই ডাকতে শুনেছি। (অবশ্য আমার জানার গণ্ডী খুব বড় নয়)। ইদানীং কালে ফেসবুকে দেখছি অনেকেই আল্লাহকে আপনি বলে সম্বোধন করছেন। এটা কি নতুন ট্রেন্ড নাকি সম্পর্কে পরিবর্তন?

দুবনা, ২৫ এপ্রিল ২০২০

বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী

সারাহ গিলবার্টকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এমন কি যদি ভ্যাকসিন শেষ পর্যন্ত আবিষ্কৃত নাও হয়, তিনি বা যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য জীবন পণ করে লড়াই করছেন এ ধরণের মনোযোগ তাঁদের প্রাপ্য। তবে আমাদের একটা কথা মনে রাখা দরকার অন্তত বর্তমান বিশ্বে একক প্রচেষ্টায় খুব বেশি কিছু হয় না। সবই হয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এমন কি প্রতিপক্ষও কোন আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করে। নিউটন বলেছিলেন, "বিশাল বিশাল দৈত্যদের কাঁধে দাঁড়িয়ে আছি বলেই আমি বহুদূর পর্যন্ত দেখি"। স্টিফেন হকিং বলেন, সারাহ গিলবার্ট বলেন এরা সবাই এরকম অনেক অনেক দৈত্যের কাঁধে দাঁড়িয়ে। একজন যখন নোবেল পুরস্কার প্রায় তাঁর আশেপাশে সেই মানের প্রচুর মানুষ কাজ করে, কেউ তাঁর সাথে কেউ বা অন্য দলে। কিন্তু সবারই এক লক্ষ্যে। না না, পুরস্কার নয়, জ্ঞানার্জন। মানব সভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি এসব ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে এটা তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। পেলে, মারাদোনা, মেসি বা রোনালদো যেমন ফুটবলের চেয়ে বড় নন, কোন বিজ্ঞানীও তেমনি বিজ্ঞানের চেয়ে বড় নন। তাই এসব প্রথিতযশা মানুষের প্রশংসা করতে গিয়ে আমরা যেন ভুলে না যাই তাঁদের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শত শত মানুষের মেধা ও পরিশ্রম। আমরা এখন সুস্বাদু খাবার খেতে খেতে কৃষকের কথা ভাবি না, পরিপাটি পোশাক পরে গার্মেন্টস কর্মীর কথা ভাবি না বা দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি ড্রাইভ করে শ্রমিকের কথা ভাবি না। একই ভাবে সামনে চলে আসা কোন সারাহ গিলবার্টকে নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশের সময় আরও শত শত বিজ্ঞানীর কথা ভাবি না, এমন কি আমরা অনেকেই বিজ্ঞানের কথাও ভাবি না। আর তাই একটু ঝড় এলেই গাড়ির চাকা ঘোরে না, কৃষকের ধান ঘরে ওঠে না, গার্মেন্টস শ্রমিক তার বেতন পায় না। অন্য সময়ে বিজ্ঞানের খোঁজ নেই না বলে সময় মত ভ্যাকসিন আসে না। যতদিন না আমরা এসবের প্রতি নিজেদের মনোভাব বদলাব আমাদের এভাবেই এক ঝড় থেকে আরেক ঝড় পর্যন্ত, এক মহামারি থেকে আরেক মহামারি পর্যন্ত সুখে (সেই "ছাত্র জীবন সুখের জীবন যদি না থাকে এক্সামিনেশন" এর মত) বাস করতে হবে। ভাবুন। ঘরে বসে ভাবার এই তো সময়।

দুবনা, ২৫ এপ্রিল ২০২০



Friday, April 24, 2020

অজ্ঞ

ফেসবুকে কিছু কিছু করোনা বিশেষজ্ঞের পোস্ট মনে মনে হয় এরা আসলে করুণ বিশেষ অজ্ঞ!

দুবনা, ২৪ এপ্রিল ২০২০ 

Thursday, April 23, 2020

ক্ষমতা

পিপিইর ক্ষমতা নাই আপনাকে বাঁচানোর। স্বয়ং ঈশ্বরের যেখানে ক্ষমতা নাই আপনাকে বাঁচানোর পিপিই কোন ছার। ঈশ্বরের সে ক্ষমতা থাকলে কেউ কখনও মরত না। পিপিই কোম্পানীকে এই সত্য ভাষণের জন্য সাধুবাদ জানাই।

দুবনা, ২৩ এপ্রিল ২০২০

Wednesday, April 22, 2020

সমালোচনা

সফল মানুষ অন্যদের ভুলের যেমন সমালোচনা করে তেমনি অন্যদের সাফল্যের প্রশংসা করতেও দ্বিধা করে না। ব্যর্থ মানুষ শুধু অন্যদের সমালচনাই করে। এভাবে নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দায়ী করে তারা সান্ত্বনা পেতে চায়। জীবনে যদি সফল হতে চান অন্যদের সাফল্যের মূল্যায়ন করুন। তা না হলে আপনাকেও কেউ মুল্যায়ন করবে না।

দুবনা, ২২ এপ্রিল ২০২০

Tuesday, April 21, 2020

সন্দেহ

রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে দায়সারা ভাবে নিজেদের কাজকর্ম করেন তাতে তাদের প্রার্থনাও যে দায়সারা নয় সেটাই বা বিশ্বাস করি কেমনে? যারা বলবেন এরা ঘুষ দুর্নীতি এসব খুব মনোযোগ দিয়েই করেন তাদের বলি, প্রার্থনা আর ঘুষ খাওয়া একেবারে ভিন্নধর্মী কাজ।

দুবনা, ২২ এপ্রিল ২০২০


মাস্ক

করোনা বিস্তারে বাধা দেওয়া ছাড়াও মাস্ক আরও দুটো কাজ অত্যন্ত সাফল্যের সাথে করতে পারত - ডায়েট কন্ট্রোল ও স্পিচ কন্ট্রোল। ডায়েট কতটুকু কন্ট্রোল হচ্ছে সেটা বলা কষ্ট তবে বিশেষ করে ক্ষমতাবানদের কথার ঘোড়ার লাগাম ধরতে সে পুরোপুরি ব্যর্থ। এরা মনে হয় মাস্ককে মুখোশ ভেবে দ্বিগুণ উৎসাহে মিথ্যার পাহাড় গড়ছে এই ভেবে যে কেউ তাদের আসল রূপ ধরতে পারবে না।

দুবনা, ২১ এপ্রিল ২০২০


Monday, April 20, 2020

স্বর্গ নরক

মৃত্যুর পর প্রানী বা গাছপালাদের যদি স্বর্গ বা নরক থাকত, তবে সেটা নিশ্চয়ই হত মানুষের রান্না ঘর বা ড্রইং রুম। ওদের কজনের সাথে আজ দেখা

দুবনা, ২০ এপ্রিল ২০২০ 
 
 





 

সুন্দর বন

শুধু ছাদ বাগানেই নয় অনেকের মুখমণ্ডলেও দেখছি সুন্দর বন উঁকি দিচ্ছে। সবাইকে ধর্মের পথে আনতে কেউ কলকাঠি নাড়াচ্ছে না তো?

দুবনা, ২০ এপ্রিল ২০২০ 

Sunday, April 19, 2020

ছাদ বাগান

সবার ছাদ বাগানে বাম্পার ফলন দেখে সরকার সবার মাথার উপর একটা করে ছাদ দেওয়ার কথা ভাবতে পারে। খাদ্য ও বাসস্থান - এক ঢিলে দুই সমস্যার সমাধান।

দুবনা, ২০ এপ্রিল ২০২০

টিকেট

১৯৯৯ সালে রাশিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহনের পর এদের ডিফেন্স মিনিস্ট্রির অধীনে ভয়েনকমাত (Военкомат - Военный Коммисариат) নামে যে একটা ডিপার্টমেন্ট আছে, সেখানে নাম লেখাতে হল। ওরা আমাকে একটা কার্ড দিল, সামরিক বাহিনীর সদস্য কার্ড। এটা এ দেশের সমস্ত পুরুষেরই আছে, তা সে সৈনিক হোক আর না হোক। আমরা হলাম রিজার্ভ ফোর্স । জরুরী অবস্থায় ডাকলে ডাকতেও পারে।

ঐ কার্ড নিয়ে বাসায় ফিরে বউকে বললাম, "সারা জীবন তো বৈশ্য হয়েই কাটালাম। তোমাকে বিয়ে করে ক্ষত্রিয় হওয়া গেল। পদোন্নতি কি না জানি না, তবে জাতোন্নতি নিঃসন্দেহে।

এখন শুনছি দেশে করোনায় মরলে নাকি শহীদ হওয়া যায়। জীবনে তো শহীদ হওয়ার সুযোগ আসবে না। ভাবছি .........

দুবনা, ১৯ এপ্রিল ২০২০

চোর না চর

চাল চোর, সে কি চোর?
চোর না কি অন্য দলের চর - সেটাই আজ মিলিয়ন ডলার কোয়েশ্চেন।

দুবনা, ১৯ এপ্রিল ২০২০

Saturday, April 18, 2020

ডাউন অর আপ

সকাল থেকে একটার পর একটা জানাজার ছবি আসছে ফেসবুকে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম। যে কেউই কারও শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সেটা যখন সমাজ ও দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনার সম্ভাবনা রাখে সেটা তখন আর ব্যক্তিগত থাকে না। তখন জাতি এর আয়োজকদের কাছে প্রশ্ন করার অধিকার রাখে।

অনেকের লেখাতেই বেরিয়ে এসেছে সরকারি অনুমতি এতে ছিল না। তাছাড়া দেশে লক ডাউন চলছে। এর মানে এটা করা হয়েছে নিঃসন্দেহে আইনকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে। সরকারের কি এখন কিছুই করার নেই? আমার বিশ্বাস সরকারের উচিৎ অন্তত আয়োজকদের উপর নজর রাখা আর যদি এর ফলে করোনা ছড়ায় এবং কেউ মারা যায় তবে রোগ ছড়ানো ও মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য এদের বিচার করা। অন্তত এর মধ্যে দিয়ে হলেও দেশে জবাবদিহিতার রাজনীতি ফিরে আসুক।

কিছুদিন আগে কিছু লোক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলে অনেকেই কিছু কিছু ডাক্তারদের মনোভাবের ব্যাপারে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করেছে। আমিও করেছি। কিন্তু লক ডাউন উপেক্ষা করে জমায়েত করে কেউ যদি অসুস্থ্য হয় আর ডাক্তাররা যদি নিজেদের নিরাপত্তার কারণে এদের চিকিৎসা দানে বিরত থাকেন সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উচিৎ হবে চিকিৎসক সমাজের পাশে দাঁড়ানো।

দেশের একদল মানুষ দিনের পর দিন ঘরে বসে থেকে করোনা ঠেকানোর চেষ্টা করবে আর আরেকদল মানুষ সমস্ত প্রচেষ্টাকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে মহামারি ডেকে আনবে সেটা তো চলতে পারে না।

দুবনা, ১৮ এপ্রিল ২০২০

অধিকারের সীমারেখা

দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এক সাংসদ হাত নাড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে পাশে দাঁড়ানো আরেকজনের নাকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করেন। এ নিয়ে আদালতে শুনানী হয়। সাংসদ যখন তাঁর হাত নাড়ানোর অধিকার আছে বলে দাবী করেন, তার উত্তরে বিচারক বলেন "আপনার হাত নাড়ার স্বাধীনতা সেখানেই শেষ হয়ে যায় যেখানে শুরু হয় অন্যের নাকের স্বাধীনতা।" কথাটা পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় মানুষের অধিকারের সীমানা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে।

করোনা আক্রান্ত বিশ্বে দেশে দেশে এখন লক ডাউন চলছে। বাইরে বেরুনো বলতে গেলে নিষিদ্ধ। এর মধ্যেই অনেকে বের হচ্ছে, বিশেষ করে জমায়েতের সৃষ্টি করছে যা কিনা করোনা বিস্তারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। হাট বাজারে শুধু খাবার-দাবারই বিক্রি হয় না, সেখানে আজকাল পাইকারি ও খুচরো মূল্যে করোনাও বিক্রি হয়। এর বাইরেও আছে বিভিন্ন মিটিং, মিছিল, ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েত। যে কেউ বলতেই পারে বাইরে যাওয়া তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সে করোনা বা মৃত্যুকে ভয় পায় না। সেটা হয়তো ঠিক। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তার অধিকার। কিন্তু যে লোকটা করোনাকে ভয় পায়, যে লোক ঘরে থাকে বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে তার জীবন সংকটাপন্ন করার অধিকার কিন্তু এই বীরদের নেই। আর এই আইন মেনে চলা মানুষের অধিকার রক্ষা করার জন্যই সরকার, প্রসাশন। আইন অমান্যকারী হাজার হাজার মানুষের জমায়েত যদি এক জন মানুষের যান মালের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সরকার তখন আইন মেনে চলা এই একজনের পাশে দাঁড়াতে দায়বদ্ধ।    আর এজন্যেই যত অজনপ্রিয়ই  হোক, সরকার ও প্রশাসন বর্তমানে সব ধরণের জমায়েত বন্ধ করবে সাধারণ মানুষ সেটাই আশা করে।

দুবনা, ১৮ এপ্রিল ২০২০

কেনাবেচা

হাট বাজারে শুধু খাবার-দাবারই বিক্রি হয় না, সেখানে আজকাল পাইকারি ও খুচরো মুল্যে করোনাও বিক্রি হয়।

দুবনা, ১৮ এপ্রিল ২০২০ 

করোনা রেশন

পাঁচ কেজি চাল
দুই কেজি ডাল
হাফ কেজি তেল
সেটাই অঢেল
আলু কেজি তিন
পেঁয়াজ সাথে নিন
মোকাবেলা করতে করোনার
পথ্য দিয়েছে মহান সরকার

দুবনা, ১৮ এপ্রিল ২০২০



Friday, April 17, 2020

দ্বান্দ্বিক অবস্তুবাদ

অন্ধকার না থাকলে যেমন আলোর মাহাত্ম্য বোঝা যায় না, প্রাচুর্য না থাকলেও তেমনি দৈন্য বোঝা যায় না। তাই তো গরীবেরা ধনী হতে চায় আর ধনীরা জৌলুষের মধ্যে থেকে দারিদ্রকে মহান বলে বানী হেরে গলায় গান গায়।

দুবনা, ১৮ এপ্রিল ২০২০

লোক ডাউন

রাশিয়ায় লক ডাউন যার আরেক অর্থ লোক ডাউন। স্পেশাল পারমিশন ছাড়া আরও কয়েকটা কারণে বাইরে যাওয়া যায় - আশেপাশে খাবার কিনতে, ক্লিনিকে, ময়লা ফেলতে আর কুকুর নিয়ে ঘুরতে। তাই এখন অনেকেই কুকুর কিনছে। যাদের সে সামর্থ্য নেই তাদের জন্য নেটে আছে বিভিন্ন পরামর্শ

কুকুর কেনার টাকা নেই? নো সমস্যা। কুকুরের দড়ি (поводок, lease) কিনে ঘুরতে থাকুন। পুলিশ ধরলে বলবেন কুকুর পালিয়ে গেছে। আপনি তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এতে ১০০ মিটার রেডিয়াসের নিয়ম থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন।

দুবনা, ১৭ এপ্রিল ২০২০

বিবেক

জাতির বিবেক নিয়ে থাবার্তায় বাজার গরম। জানা ছিল না জাতি এখন যাত্রার দলে পরিণত হয়েছে।

দুবনা, ১৭ এপ্রিল ২০২০ 

ই কার এ কার

যাদের নাম হাফিজ কলমের খোঁচায় তারা সেটাকে হাফেজে পরিনত করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। আজকাল এর বাজারদর বেশ উঁচু।

দুবনা, ১৭ এপ্রিল ২০২০

Wednesday, April 15, 2020

জবাবদিহি

জবাবদিহি শব্দটাকে অনেকেই জবাব দেহ মানে জবাব দাও বলে ভ্রম করে। ফলে এরা শুধু অন্যের কাজের হিস্যা চায় নিজের কর্মের হিসাব লুকায়।

দুবনা, ১৬ এপ্রিল ২০২০

বিষে বিষ

বিষ দিয়ে বিষ নিষ্ক্রিয় করার মন্ত্রে বিশ্বাস করে দূর্নীতি দিয়ে করোনা মোকাবেলা করার সরকারি উদ্যোগ মাঠে মারা গেল বলে মনে হচ্ছে। এরা অন্যকে ধ্বংস না করে একযোগে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করতে হাত মিলিয়েছে।

দুবনা, ১৬ এপ্রিল ২০২০

দৃষ্টিভঙ্গি

সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে এলিট শ্রেণী যখন দেশের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে পারে না তখন সে দেশ আর জাতি বড় জোর অন্যান্য দেশের জন্য পোষাক, শ্রমিক আর কাঁচামাল সরবরাহকারী হতে পারে। মধ্য আয়, এমন কি উচ্চ আয়ের দেশ হলেও বিশ্বের দরবারে তাদের আসন থাকে ভালো হুকুম পালনকারীদের সারিতে, নীতি নির্ধারক বা হুকুম দানকারীদের দলে নয়।

দুবনা, ১৫ এপ্রিল ২০২০

পথ

ডাক্তারের প্রতি অবহেলা। ধর্ম ব্যবসায়ীর প্রতি অতি ভক্তি। প্রশাসন কার পক্ষে - জীবনের না মৃত্যুর? উন্নয়নের উট চলছে দ্রুত পেছন দিকে।

দুবনা, ১৫ এপ্রিল ২০২০ 

Tuesday, April 14, 2020

ইলিশ

করোনা নন-করোনা
নববর্ষে ইলিশের ভাগ্যে
শুধুই বিড়ম্বনা!
করোনা হটাও, ইলিশ বাঁচাও 
 
দুবনা, ১৪ এপ্রিল ২০২০ 

Monday, April 13, 2020

শুভ নববর্ষ

রাত যতই দীর্ঘ হোক, সূর্য উঠবেই উঠবে। নতুন প্রভাতে হাসবে জীবন, গাইবে নতুন দিনের গান। সবাইকে আসন্ন ১৪২৭ এর শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন! সুখে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আনন্দে থাকুন আর ঘরে থাকুন!

দুবনা, ১৩ এপ্রিল ২০২০


মানুষ

আগে জানতাম মানুষ চিন্তাশীল জীব। যত দিন যাচ্ছে তত বেশি করে বুঝছি, মানুষ আসলে দুশ্চিন্তাশীল জীব। সে এখন ভাবতে ভালবাসে না, পছন্দ করে দুশ্চিন্তা করতে আর যত রাজ্যের বানোয়াট খবর, রোগমুক্তির রেসিপি আর চক্রান্ত তত্ত্ব নিজের টাইম লাইনে আর অন্যের ইনবক্সে লিখে অফুরন্ত সময় অকাজে লাগাতে। আর এসব করে মূলত ডিগ্রীধারী বিশেষ অজ্ঞরা। সময় মত ব্রেক কষতে না পারলে এসব মিথ্যে রটনায় কবে যে নিজেরাই কোথায় ভেসে যাবে সেটা টেরই পাবে না।

দুবনা, ১৩ এপ্রিল ২০২০

পাখি

বলুন তো বার বার কেন হাত ধুতে বলে?
এটা আসলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা। বার বার ধুলে হাত পরিষ্কার থাকে। হাত পরিষ্কার থাকলে ইচ্ছে হয়না অন্যের নোংরা হাত ধরতে (অন্যের হাত by definition নোংরা)। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।

দুবনা, ১৩ এপ্রিল ২০২০

Sunday, April 12, 2020

করোনা পজিটিভ

আরও কয়েক সপ্তাহ সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড করে ঘষে ঘষে ধুতে থাকলে কিছুদিন পরে হাত আর নিজের বলে মনে হবে না। ঘুষখোর আর চালচোররা তখন নিজের হাতে করছে না ভেবে মহা আনন্দে তাদের এসব অপ, উপ আর মহা- কর্মগুলো আরেক মহামারি পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।

দুবনা, ১২ এপ্রিল ২০২০

রিলিফ

রিলিফের চাল থেকে জনগণকে রিলিফ দেওয়া হয়েছে। একেই বলে জন দরদী রাজনীতি।

দুবনা, ১২ এপ্রিল ২০২০ 

বিচার

গতকাল বঙ্গবন্ধুর খুনির ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হল। জাতি হিসেবে বাঙালি এ জন্য গর্বিত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শুধু সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকেই নয় একটা জাতি, একটা আদর্শকে হত্যা করেছিল এইসব খুনি আর তাদের অসংখ্য দোসররা। এদের বিচার কি জাতি কখনও দেখবে নাকি ক্ষমতার হালুয়া রুটির বলে বলীয়ান এসব নব্য রাজাকাররা বাংলাদেশের ধারনাকে কিভাবে বৃদ্ধ অঙ্গুলি প্রদর্শন করে দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছে সেটা দেখেই জীবনপাত করবে

দুবনা, ১২ এপ্রিল ২০২০

মানব জমিন


রিলিফের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কুলদা রায়ের একটা লেখা পড়লাম। এ যে দেখি আস্ত এক মানবদেহ। ধমনী দিয়ে রক্ত শরীরের আনাচে কানাচে গিয়ে শিরা বেয়ে যেমন হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে ত্রাণের চাল গম তেমনি বিভিন্ন কর্মকর্তার পকেট ঘুরে ঘুরে উপরে চলে আসে। আম জনতা এই নেট ওয়ার্কের প্রায় বাইরে থাকায় শুধু ত্রাণের ছিটেফোটা ওদের কপালে জোটে।

দুবনা, ১২ এপ্রিল ২০২০

Saturday, April 11, 2020

উনিশ বিশ

এক বন্ধু বলল চোরেরা এসে আওয়ামী লীগ ভরে ফেলেছে। চোরেরা আওয়ামী লীগে আসুক আর আওয়ামী লীগে এসেই এরা চোর হোক তাতে জনগণের ভাগ্যের তেমন উনিশ বিশ হয় না।

দুবনা, ১২ এপ্রিল ২০২০

কর্তা কর্ম সংবাদ

জনগণ করেছে ভাই দরখাস্ত
কর্তাদের করা হোক বরখাস্ত
কর্তা নয় কর্মেই হোক পরিচয়
রাজা প্রজা আর কত অভিনয়
দুবনা, ১১ এপ্রিল ২০২০ 

নতুন আন্দামান

এক সময় বিপ্লবীদের জীবনী পড়ে কি উত্তেজনাই না বোধ করতাম। জেল, গৃহবন্দী, আন্দামান - কি সব গাল ভরা নাম। সে বয়সে এসব অনেকটা রূপকথার মত শোনাত। করোনার কৃপায় কিছুটা হলেও জেল, গৃহবন্দিত্ব, এমন কি নির্বাসনের স্বাদ পাচ্ছি যদিও সেটা দধির স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত। এটাই হোক আমাদের করোনা পজিটিভ।

দুবনা, ১১ এপ্রিল ২০২০

Friday, April 10, 2020

হাত ধোয়া

করোনা নিধনে ডাক্তাররা মানুষকে হাত ধুতে বলছে, তবে রাজনৈতিক দল, ধর্মব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ - সবাইএ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই হাত ধুয়ে বসে আছে।

দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০২০

Passing time

If you are tired sitting home, if your bones are screaming in pain, if you feel bored reading or writing, you can still play with papers. Just take some papers, take your camera (smartphone) and go out for an adventure in curvilinear space-time

যদি ঘরে বসে ক্লান্ত হন, ব্যথায় হাড়গুলো চিৎকার শুরু করে, পড়তে বা লিখতে অবসাদ বোধ করেন, তখনও আপনি কাগজ নিয়ে খেলতে পারেন। কিছু কাগজ, ক্যামেরা (বা স্মার্টফোন) নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন বক্ররেখার স্থান-কালের জগতে অ্যাডভেঞ্চারে।
দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০২০








জীবন Life

Just as the volume is covered with a closed surface, the volume of our knowledge is also covered with a closed surface of ignorance. Science-minded people want to push the sheets of ignorance even further by increasing the range of their knowledge. This is the thirst for human knowledge. And thirst for knowledge is life.


ঘনবস্ত যেমন বদ্ধ পৃষ্ঠের নীচে ঢাকা থাকে, আমাদের জানার বা জ্ঞানের পরিমাণও অজানা বা অজ্ঞতার বদ্ধ চাদরের নীচে ঢাকা থাকে। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ তাদের জানার পরিধি বাড়িয়ে অজ্ঞতার চাদরটা আরও আরও দূরে সরিয়ে দিতে চায়। এই চাওয়াটাই মানুষের জ্ঞান পিপাসা। আর পিপাসা মেটাতে জ্ঞানের সন্ধান - জীবন।

দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০২০

Thursday, April 9, 2020

বর্ণবাদী করোনা

করোনা সবাইকে একই সাথে ব্রাহ্মণ আর চণ্ডাল বানাচ্ছে। কেউ কাউকে ছুঁচ্ছে না, কেউ কারও ছায়া মাড়াচ্ছে না।

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০

মরিচা

বসে বসে হাড্ডিতে পড়ে গেল জং
হাঁটছি হেলেদুলে মানুষ না সঙ 
 
দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০ 

তাপমাত্রার ওঠানামা

আজ ক্লিনিকে ঢুকতে গিয়ে ঝামেলা। বিগত কয়েকদিন শুধুমাত্র যাদের ইমারজেন্সি কেস বা যাদের ইঞ্জেকশন, থেরাপি এসব করার কথা ছিল তাদের ঢুকিয়েছে। আজ নাকি ডাক্তারদের এক জনকে সন্দেহ করছে, তাই বিশেষ ব্যবস্থা। টেমপারেচার মেপে তবেই ঢুকতে দিচ্ছে।
এখানে তাপমাত্রা এখন ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে। গত রাতে কম্পিউটারে বসে যখন কাজ করছিলাম, বরাবরের মতই জানালা খোলা ছিল আর শীতের ডিমরা হুহু করে ঘরে ঢুকছিল। আলসেমিতে জানালা বন্ধ করা হয়নি। মনে হচ্ছিল টেম্পারেচার। থার্মোমিটার বের করলাম মাপব বলে। আবার আলসেমি। বউকে বললাম। প্রথমে কপালে হাত দিয়ে পরে চুমু খেয়ে দেখল। বলল, না, টেম্পারেচার নেই। বাড়িতেও মা বা দিদি ওভাবেই দেখত। ভালো মন্দ জানি না, তবে ওটা তাপমাত্রা মাপার বেশ কার্যকরী পদ্ধতি।
পলিক্লিনিকের গেটে আটকাল। কপালে তাপমাত্রা মাপার চেষ্টা করল। যন্ত্রের চিৎকারে নিজেরই কেঁদে ফেলার অবস্থা। কপালে কি আছে কে জানে? বলল গলা থেকে মাফলার সরাতে। আবার চিৎকার। সিস্টার বলল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। দু' মিনিট পরে আবার চেক। শেষ পর্যন্ত থার্মোমিটারের ঘুম ভাংল। কিন্তু সিস্টারের চোখ ছানাবড়া। ৩৩ ডিগ্রী। কি আর করা।
নিজের গোপন কথা বলতে হল। ২০১২ সালে আলুশ্তা গেলাম রেস্টে। সেখানে কোত্থেকে ক্লেশ (এক ধরনের পোকা) কামড় দিল। ছোট হলে কি হবে, ওর কামড়ের পরিণাম খারাপ যদি সেটা ইনফেক্টেড হয়। সাথে সাথে ক্লিনিকে গেলাম। ক্লেশ বের করল (ক্লেশের মাথা)। আর প্রতি দিন টেম্পারেচার মাপতে বলল। যদি জ্বর আসে, তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। আমি আর ক্রিস্টিনা দু'জনেই ক্লাশের কামড় খেয়েছিলাম। প্রতিদিন যাই হোটেলের মেডিক্যাল সার্ভিসে তাপমাত্রা মাপতে। ক্রিস্টিনার সব ঠিকঠাক, মানুষের যেমন হওয়া উচিৎ। আর আমার টেম্পারেচার ৩৩, ৩৪, ৩৫ - এর উপরে কখনোই উঠে না। ওদের তো চিন্তার শেষ নেই।
আমার গল্প শুনে ওরা আর কথা বাড়াল না। ক্লিনিকে ঢুঁকে ইঞ্জেকশন আর থেরাপি নিয়ে গেলাম ভল্গার তীরে, ছবি তুলতে তুলতে বাসায় ফিরব বলে।

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০


Военная стратегия রণ কৌশল

В борьбе против Коронавирус Кутузов был бы самый эффектный и эффективный полководец. Отдать улицу вирусу и сидеть дома пока он умрет от голода.

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবচেয়ে দর্শনীয় ও কার্যকর সেনাপতি হতেন মিখাইল কুতুজভ। রাস্তাঘাট ভাইরাসের হাতে সপে দিয়ে ঘরে বসে থাকা যতক্ষণ না শত্রু অনাহারে মারা যায়।

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০

সমাজ

আধা কেজি চাল দিতে চৌদ্দ পুরুষ। এটা কি চাল ঠিক জায়গায় পৌঁছতে না পারে এই অবিশ্বাসের ফল নাকি দান করায় যে পূন্যি তার ভাগ-বাটোয়ারা নগদ হিস্যা? অসুস্থ সময়

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০


জনমে মরণে

সারাজীবন মরণের পেছনে ছুটতে ছুটতেই জীবনের দম বেরিয়ে গেল। যখন নাগাল পেল দেখল মরণ আর কেউ নয়, আজীবন ছায়ার মত তাকে অনুসরণ করা তার যমজ ভাই।

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২০

Tuesday, April 7, 2020

করোনার মানসিক ব্যাধি

শুনলাম, দেশের ডাক্তারদের অনেকেই রুগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন না, ঘরে খিল এঁটে বসে আছেন। যারা যাচ্ছে না, তাদের অধিকাংশই মনে হয় পরিবারের প্রথম প্রজন্মের ডাক্তার (বলতে পারেন উচ্চ শিক্ষিত)। জাতি হিসেবে আমরা নবীন, কী ব্যবসায়ী, কী ডাক্তার, কী অন্য পেশার মানুষ - তাদের একটা বিরাট অংশ এখনও বনেদী হয়ে উঠতে পারেনি। ডাক্তারী ডিগ্রী, প্রসার এসব থাকলেও এই পেশার পেছনে যে মহান উদ্দেশ্য আছে সেটা অনুভব করতে পারছেন না। ডাক্তারীকে তারা বা তাদের পরিবারবর্গ সুখী জীবন নিশ্চিত করার জন্য উপার্জনের একটা পথ হিসেবে দেখছেন মাত্র। এখান থেকেই তারা সেবা দিতে নয়, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন দেশে যখন স্বাস্থ্য কর্মীরা এমন কি ময়লা ফেলার প্যাকেট গায়ে জড়িয়ে করোনা আক্রান্তদেরও সেবা দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আমাদের ডাক্তারদের অনেকের এমন মনোভাব অদুর ভবিষ্যতে দেশে শিক্ষিত, দেশপ্রেমী সিভিল সোসাইটি গড়ে ওঠার ইঙ্গিত বহন করে না।

দুবনা, ০৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা পজিটিভ

করোনা একদিন চলে যাবে, কিন্তু সেটা আমাদের অনেক কিছুই শেখাবে বলে আশা করি। খুব আশা করি এরপর লোকজন আর যেখানে সেখানে থুঃথুঃ ফেলবে না, রুমালে নাক ঝাড়বে আর একটু হলেও কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলবে। মানুষের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য পারসোনাল স্পেস যে কত দরকার সে ধারনা আমাদের দেশে খুব কম লোকজনেরই আছে। অন্তত এই সাধারণ ব্যাপারগুলো যদি আমরা আয়ত্ব করতে পারি এটাই হবে আমাদের ইতিহাসে করোনা পজিটিভ।

দুবনা, ০৭ এপ্রিল ২০২০

Monday, April 6, 2020

Dilemma

Be positive and be Corona negative
Or
Be negative and be Corona positive

Dubna, 06 April 2020

সরকারী প্যাকেজ

আর যাই বলেন সরকার সত্যিই অতি বিচক্ষণ। করোনার কারণে মূল সমস্যা কি? খাদ্য আর চিকিৎসা। কৃষকেরা নিজেরাই খাদ্য উৎপাদন করে, স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেরাই চিকিৎসা করতে পারে। আপনারাই ভাবুন, দুঃস্থ কারা? শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ। এরা চুরি আর শোষণ ছাড়া কিছু করতে পারে? এই দুর্দিনে এরা প্যাকেজ পাবে না তো কে পাবে? সাবাস!

দুবনা, ০৬ এপ্রিল ২০২০

সরকারী জনতা

"সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল" বলে একটা কথা আছে। সরকারী মাল বলতে মালিক বিহীন বা বেওয়ারিশ মাল বোঝানো হয়। আমাদের সব দেশে এরকম একটা বেওয়ারিশ মাল হচ্ছে রাস্তার ন্যাড়া কুত্তা যাকে সবাই দূর দূর করে তাড়ায়। আরও একটা বেওয়ারিশ মাল হল পীরের ষাঁড় বা রাম ছাগল, যারা ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ায়, এখানে সেখানে ঢুঁ মারে, তবে ভয়ে লোকজন কিছু বলে না।

বিভিন্ন দেশে সরকার নিজেই আজকাল সরকারী মাল হয়ে গেছে। মালিক বল, শ্রমিক বল, ধার্মিক বল, নাস্তিক বল - যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই সরকারকে তাড়া করছে। আবার একদল লোক মালিকহীনতার সুযোগ নিয়ে দেশের সম্পদ যেভাবে পারছে সেভাবেই লুটেপুটে খাচ্ছে। আবার সরকার নিজেও পীরের ষাঁড়ের মত জনগণের কুঁড়েঘরে ঢুঁকে লঙ্কা কাণ্ড বাধাচ্ছে।

আজ আমরা সবাই সরকারী। অবহেলিত, করোনা তাড়িত, নির্যাতিত। সরকারী জনগণ। শুধু সরকার জনগণের নয়।

দুবনা, ০৬ এপ্রিল ২০২০

Sunday, April 5, 2020

দর্শন

একজন ডাক্তার তৈরি করতে দেশের খরচ হয় লাখ লাখ টাকা আর শিল্পপতি ভুঁইফোর। বিনা পরিশ্রমে ফল পাওয়ার এই দর্শনের জন্যই স্বাস্থ্যকর্মীরা আবার রাষ্ট্র দ্বারা ধর্ষিত হবার পথে।

দুবনা, ০৫ এপ্রিল ২০২০

Saturday, April 4, 2020

উপরওয়ালা

আগে শুনতাম জন্ম-মৃত্যুর মালিক উপরওয়ালা, এখন দেখছি এই উপরওয়ালা আসলে গার্মেন্টস কোম্পানির মালিক। ভাবছি ঘটলো কি- মর্ত্যের উপরওয়ালার পদোন্নতি না স্বর্গের উপরওয়ালার পদবোনতি।

দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২০


জীবন মৃত্যু

কারখানার মালিকরাই মনে হয় জীবন-মরণের মালিক। তাই বাংলার পথে ঘাটে জীবন হেঁটে যায় মৃত্যুর খোঁজে।

দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২০

শেষের শুরু?

নব্বইএর দশকে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় সেক্ট গণ আত্মহত্যা করে সমালোচিত হয়েছিল। তবে এসব ছিল ক্ষুদ্র কোন সেক্ট। এখন বিশ্বের প্রধান প্রধান ধর্মের প্রতিনিধিরা এ পথে এগুচ্ছে। অথচ এভাবে তো মানব সভ্যতার ধ্বংস হওয়ার কোন পূর্বাভাস ছিল না!

দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২০

Friday, April 3, 2020

গড়

বিভিন্ন দেশের সরকার করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় এত গড়িমসি করছে কেন?

প্রায় সব দেশেই সরকার গড় আয়ুর চেয়ে গড় আয় বাড়াতেই বেশি আগ্রহী। অসুখে আর করোনা পরবর্তী অভাব অনটনে মরবে তো গরীব মানুষ। তাতে দেশের মানুষের গড় আয় বাড়বে। মধ্য বা উচ্চ আয়ের দেশ হবার এমন শর্টকাট রাস্তা সরকার পাবে কোথায়? তাই তাদের এই গড়িমসি।

দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২০


Lock down

What is lock down?
Physically locked up and mentally down

Dubna, 04 April 2020 .

পাগলামি

করোনার যন্ত্রনায় মানুষ একেবারে পাগল হয়ে গেল?
পাগল মানে? আমার তো মনে হয় করোনার কল্যাণে মানুষ বরং চেতনা ফিরে পেল?
কি বলে আপনি?
যা বলি ঠিক বলি।
যেমন?
দেখুন করোনার কারণে মানুষ চালডাল, তেল, নুন কিনে ঘর বোঝাই করছে। মানুষ বুঝতে পারছে গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক, ব্যাল্যান্স, টিভি, কম্পিউটার, আইফোন, আইপ্যাড থেকে শুরু করে হাজারো জিনিস আর যাই করুক তাদের বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। হাজার হাজার বছরের মানব সভ্যতার ইতিহাসে এসব কিছু ছিল না। তার পরেও অনেক মহামারী, অনেক প্রতিকুলতা এড়িয়ে মানুষ এতদূর পর্যন্ত এসেছে। তাই আমার মনে হয় করোনা আমাদের সুযোগ দিয়েছে ফিরে তাকানোর, জীবনে কোন জিনিসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা ছাড়া চলা যায় সে ব্যাপারে ভাবার। একবিংশ শতাব্দীর অনেক শিশুই মনে করে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি আলো বাতাসের মত। আমার বিশ্বাস আমরা অনেকেই এখন নতুন করে প্রাইওরিটি ঠিক করব। আমাদের ঠিক করতে হবে কোনটা আমাদের বেশি দরকার - দূষণ মুক্ত বাতাস, বিশুদ্ধ জল, রসায়ন মুক্ত খাবার নাকি জন প্রতি কয়েকটা গাড়ি, টিভি, টেলিফোন এসব? না, প্রশ্নটা এমন নয় যে আমরা গাড়ি, টিভি, টেলিফোন এসব ব্যবহার থেকে বিরত থাকব। কথা হচ্ছে প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সঠিক ব্যাল্যান্স গড়ে তোলা। হয়তো করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা এ নিয়ে ভাবব। টাকা পয়সা ধন দৌলতের পেছনে পাগলের মত না ছুটে আমাদের চাহিদার, লোভের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরব। তাই বলছি আমরা এতদিন ভোগের পাগল ছিলাম, করোনা আমাদের সচেতন করছে। জীবনের পথে ফিরিয়ে আনছে।

দুবনা, ০৩ এপ্রিল ২০২০

ঘর

ঘরে থাকার সরকারি ঘোষণায় সবচেয়ে খুশি এলাকার গৃহহীণ মানুষ। তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করেছে। এই ঘোষণা কার্যকরী করার জন্য তাদের উদ্যোগে "ঘরের দাবিতে মিছিল" এর আয়োজন করা হবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে।

দুবনা, ০৩ এপ্রিল ২০২০


Thursday, April 2, 2020

ঘরে থাকা

নিজে ঘরে থাকুন! ঈশ্বরকেও ঘরে রাখুন! করোনা কাউকে করে না করুণা! 

দুবনা, ০২ এপ্রিল ২০২০ 

কারফিউ

আচ্ছা কারফিউ - এটা কি কার ফিউ, মানে রাস্তায় ফিউ কার? আর কিছু হোক না হোক দূষণ কমবে! 

দুবনা, ০২ এপ্রিল ২০২০ 

মত অমত

দাদা এ ব্যাপারে আপনার মতামতটা যদি জানাতেন?
মত জানাতে পারব না তবে অমতগুলো বলতে পারি। শুনবেন?

ভিন্ন মত বা দ্বিমত শোনার মত বুকের পাটা বীর বাঙ্গালী কোথায় যে হারিয়ে ফেলল।

দুবনা, ০২ এপ্রিল ২০২০

জরুরী

কমবেশিতে কমটা বেশি না বেশিটা কম এ নিয়ে দ্বিধায় পড়েছি। জরুরী সাহায্য দরকার

দুবনা, ০২ এপ্রিল ২০২০

Wednesday, April 1, 2020

প্রিন্স

গতকাল গভীর রাতে রবীনের মেসেজ পেলাম। খোলার আগে জানতে চাইলাম এটা কি? আসলে আজকাল কাজে অকাজে লোকজন ইনবক্সে এতো মেসেজ পাঠায় যে সব খুলতে গেলে করোনায় নয় মেসেজ পড়ার যন্ত্রণায়ই তল্পি গুটাতে হবে। রবীনই প্রিন্সের মৃত্যুর খবর দিল।
- কে বলল তোমায়?
- কল্লোল দা।  
এরপর অনেকক্ষণ প্রিন্সকে নিয়ে কথা হল।
প্রিন্স ঠিক কত সালে রাশিয়ায় এসেছিল জানি না। এক সময় মনে করতাম বুলবুলের বন্ধু। প্রিন্স নামে বুলবুলের এক বন্ধু ছিল। দুই নম্বরে প্রায়ই আসত। যাহোক, প্রিন্স ভল্গাগ্রাদে পড়াশুনা করেছে। আলাপ ফেসবুকে। ২০১২ সালে ওরা যখন মস্কো আসে, দেখা হয়েছিল। ওরা এসেছিল ভিপুস্কনিকদের এক কংগ্রেসে। আমিও ছিলাম। এরপর প্রিন্স ভল্গাগ্রাদ বেড়াতে যায়। জেমসের নম্বর ওই আমাকে দেয়। 
ফেসবুকে আমার বিভিন্ন পোস্টে কমেন্ট করত। আমি নিজের সক্রিয় রাজনীতি না করলেও বাম রাজনীতি, বিশেষ করে সিপিবির প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রিন্স ছিল বিএনপির সক্রিয় নেতা/কর্মী। যতদূর শুনেছি, রাজনৈতিক কারণেই ও দেশ ছেড়ে অ্যামেরিকা চলে যায়।  যাহোক, বিগত সময়ে ফেসবুকে আমাদের এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল, যেখানে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যত না একমত হয়েছি, দ্বিমত পোষণ করেছি তার চেয়ে বেশি। ব্যাপারটা অনেকটা "আমরা দ্বিমত প্রকাশ করার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছি।" প্রিন্স মারা গেল। যতদূর শুনলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে। সব কিছুর পরেও আমরা ছিলাম ভিপুস্কনিক, সে হিসেবে একই ব্রিগেডের সৈনিক। সাধারণত বলে "В нашем полку прибыло"  কিন্তু এক্ষেত্রে বলতে হচ্ছে "В нашем полку убыло".

দুবনা, ০১ এপ্রিল ২০২০

#নাবলাবানী  

পরীক্ষা

শুনলাম মন্দির, মসজিদ, চার্চ, সিনাগগ ইত্যাদি উপাসনালয়ে করোনা হানা দিচ্ছে। ধার্মিকরা ঠিক বলেছে, করোনা পাঠিয়ে ঈশ্বর তাদের ভক্তির জোর পরীক্ষা করছেন। কঠিন পরীক্ষা চলছে দেখছি!

দুবনা, ০১ এপ্রিল ২০২০