Monday, December 31, 2018

লজ্জা

এই প্রথম বুঝলাম যে আমি এতটা লাজুক। এত বড় সাফল্য তবুও মুখ ফুটে বলতে লজ্জা পাচ্ছি। মরি মরি!

দুবনা, ০১ জানুয়ারি, ২০১৯


চোর

৯০ এর দশকে একটা কথা প্রচলিত  ছিল -  যদি একটা রুটি বা দশ টাকা চুরি কর তাহলে তুমি চোর। মিলিয়ন ডলার চুরি করলে সমাজের ভাগ্যবিধাতা

দুবনা, ০১ জানুয়ারি ২০১৯



ভুল

সদ্য ভূমিষ্ঠ এক শিশু অবাক হয়ে শুনল "ফিরে যা বাছা। তোর জীবন ইতিমধ্যেই যাপিত হয়ে গেছে। " বেচারা! ভুল ঠিকানায় আসলে এমনই হয়!

দুবনা, ০১ জানুয়ারি ২০১৯



শুভ ২০১৯


দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেল। ২০১৮ শেষ করে আমরা পা দিচ্ছি ২০১৯ এ। অবশ্য মানব জাতির বাইরে কেউ এ বিষয়ে অবগত আছে বলে আমার মনে হয় না। ভিসোৎস্কির একটা গান আছে “প্রকৃতির কোন খারাপ আবহাওয়া নেই।“ আসলে প্রকৃতি জানেই না যে আগামী কাল ২০১৯ সাল। সে তার মত খেলে চলছে। কবির ভাষায় “খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।“ তারপরেও আমরা নববর্ষ পালন করব, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাব, নতুন বছরে সুখ, শান্তি, সাফল্য ইত্যাদি কামনা করব। আমিও তার বাইরে নই। তবে এটা ঠিক  এসব কিছুই এমনি এমনি আসে না। নতুন বছর, নতুন দিন সাফল্যের ডালি হাতে নিয়ে আমাদের ঘুম ভাঙ্গায় না। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন আসে একই ভাবে। সেটা সফল হবে কিনা, সুখময়, শান্তিপূর্ণ হবে কিনা সেটা নির্ভর করে আমাদের উপর, প্রতিটি মানুষের উপর। কেননা সুখ, শান্তি শুধু ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, সমষ্টিগতও। পাশের বাড়ির অভাব উঁচু দেয়াল টপকিয়ে আমার বাড়িতে হয়তো আসে না, তবে সে বাড়ির মশা মাছি, দুর্গন্ধপূর্ণ বাতাস অনায়াসেই সেটা করতে পারে। তাই পাশের বাড়ির মানুষটা অসুখী হলে আমাদের সুখেও একটু খাদ থেকে যায়। আসুন নতুন বছরে আমরা নিজেরা সুখী হওয়ার চেষ্টা করি, চেষ্টা করি পাশের লোকটাকে সুখী করতে। সবাই সুখী হলে শান্তি এমনিতেই আসবে। সবার জন্য শুভ কামনা।
দুবনা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮        

অস্তিত্ব


পুঁজিপতিরা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য ন্যুনতম বেতন দেয় যাতে তারা অন্তত টিকে থাকতে পারে। কারণ শ্রমিক না থাকলে পুঁজি  সারপ্লাস ভ্যালু উৎপাদন করতে পারবে না। তবে এখন দিন বদলেছে। ডিজিটাল যুগে শ্রমিক লাগে না, রোবটেরাই সব কাজ করে। ডিজিটাল যুগে বিরোধী দল, ভোটার কিচ্ছু লাগে না। আলাদীনের চেরাগ ভোটে জিতিয়ে দেয়, ক্ষমতা স্থায়ী করে। তবে সমস্যা একটাই। যে কোন কাজই শুরু করার আগে তার ভালমন্দ সব দিক পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার করে দেখতে হয়। যদি বিরোধী পক্ষ না থাকে এ ধরণের বিচার হয় একপেশে। ফলে পরবর্তীতে সেখানে সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমান ভিন্ন দৃষ্টির অনুপস্থিতিতে   কোন প্রকল্প ভেস্তে গেলে আর কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না, নিজেদেরই সব দোষের ভাগী হতে হবে।  মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। খুশি না হবার কোনই কারণ নেই। বিজয় সব সময়ই মধুর, তবে কিছু কিছু বিজয়ের মধ্যে তেতো স্বাদ থাকে।  এই বিজয়ের মধ্যেও কোথায় যেন একটা গলদ রয়ে গেছে, এতো পাওয়ার মধ্যেও কি যেন একটা না পাওয়ার, কি যেন একটা হারানোর বেদনা রয়ে গেছে। হ্যাঁ, দেশকে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার আরও একটা সুযোগ হারালাম।  
দুবনা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 



Sunday, December 30, 2018

অভিনন্দন!

অবিশ্বাস্য ব্যবধানে বিজয়। ব্যবধানটা এতই অবিশ্বাস্য যে পুরো খেলাটাইকেই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে! অবিশ্বাসীর অভিনন্দন!

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮



নির্বাচন খেলা

ছোটবেলার একটা খেলা ছিল - একহাতে একটা ফল রেখে দু'হাত সামনে এনে বলতাম,"বল কোন হাতে?" কখনও কখনও দু'হাতেই ফল রাখতাম। এখন দেখি দু'হাত শূন্য রাখলেও কোন ক্ষতি নেই।

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ 
 
 
 

ভোট ঘুষ


কী, ভোট দিলে, মানে ভোট দান করলে?
কী যে বল, ভোট দান? আজকাল আর কেউ দান-টান করে করে না, ঘুষ দেয়, বুঝলে ঘুষ। হ্যাঁ, ভোট ঘুষ দিয়ে এলাম।
বল কি? ভোট ঘুষ। কখনও তো শুনিনি।
শুনবে কীভাবে? দেশে তো থাক না। এখন আর সেই আমল নেই যে দেশ আর দশের কথা ভেবে কেউ কিছু করবে। ভোট দিতে গিয়ে আজকাল আমরা আর দেশের ভালমন্দের কথা ভাবি না। ভেবেই বা কী হবে বল। যে যে পদেই নির্বাচিত হোক না কেন, কিছুদিন পরে দেখবে আঙ্গুল ফুলে ঠিক কলাগাছ হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি দুর্নীতি করতে নাও চায় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হ্যারাস করবে। আর জানই তো যার গায়ে যত তেল, তার বোধশক্তির অভাব তত বেশি। তখন আর দেশের, দেশের মানুষের আর্তি আর তাদের কানে গিয়ে পৌঁছয় না। তুমি দেশ থাক না তাই বলছি। এই যে আমরা ঈশ্বরকে ডাকি, পূজা-পার্বণ করি সেটাও আসলে এক ধরণের ঘুষ। আমরা তো আর দেবতার কথা ভেবে এসব করি না, তার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য করি। ভোট দেওয়াটাও তাই। এই যে আমাদের ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধিরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলবে সেখান থেকে ছিটেফোঁটা, নিদেন পক্ষে পান-বিড়ি পাওয়ার আশায় ভোটটা ঘুষ হিসেবেই দিই। যদি কিছু নাও পাই, অন্তত নাগরিক দায়িত্ব পালন করলাম বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব। কথায় বলে না, উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।
যাক, শেষ পর্যন্ত অন্তত বুঝলাম লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড ব্যাপারটা এখানে কি?
কি?
এই দেখ, তুমি ভোট দান না করে ভোট ঘুষ দিচ্ছ। তাই অন্য পক্ষও, মানে প্রার্থীরা ভোট গ্রহণ না করে ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, ভোট ছিনতাই, ভোট কারচুপি – এসব করছে। দান-গ্রহণের মতই এ ক্ষেত্রেও স্ট্যাটাস কো বজায় রাখছে। এটাই মনে হচ্ছে এখনকার লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড।  

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮   

          

Saturday, December 29, 2018

রোগ

রুগীর অবস্থা বড়ই করুণ
ভোট দিয়ে তাকে চাঙ্গা করুন
রুগীর নাম গণতন্ত্র
ভোট নাকি তার বাঁচার মন্ত্র

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮



মুদ্রা দোষ

আগে ছিল দু'মুদ্রা দু'পেট দু'পিঠ
জোড়া লেগে হয়ে গেল মুদ্রার দু'পিঠ
ভোটের কঠিন আঠা গেল এক পিঠ
এখন শুধুই পেট নেই কোন পিঠ

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ 



বদনা

লোকটা মোটেই বদ না
মার্কা তার বদনা
ভোট দিলে বদনায়
থাকবে না আমাশয় 

দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ 


ভোট

কেন্দ্রে আসুন ভোট দিন
নিজের হিস্যা বুঝে নিন
নিজের ভোট নিজে দিন
যাকে খুশি তাকে দিন

দুবনা, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ 



চোখ কান

সাংবাদিকদের কাজের প্রধান শর্ত চোখ কান খোলা রাখা। তবে কেউ কেউ চোখ কান খুলে বাসায় নিরাপদে রেখে যায়। তাই সংবাদ হয় প্রেস রিলিজ।

দুবনা, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮  


অনাহুত অতিথি

ধানের সাথে নৌকায় নাকি ঢুকেছে ইঁদুর কিছু
দাঁড়িপাল্লা, লাঙ্গল, মশাল নিয়েছে তাদের পিছু
ইঁদুর তাড়াও – চারিদিকে আজ উঠেছে শোরগোল
বেকায়দায় পড়ে নৌকার মাঝি বাজায় পরের ঢোল  

দুবনা, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮