বলা নেই কওয়া নেই হুট করেই জন্মদিন এসে হাজির। বছরে ৩৬৫ টি দিন থাকতে কেন যে
মানুষকে ঠিক জন্মদিনেই জন্ম নিতে হয়, সেটা আমার কাছে আজও রহস্যময়। যাহোক, ক্রেমলিনের
ঘণ্টায় রাত বারোটা বাজার অনেক আগে থেকেই যেভাবে মুষলধারে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর
ভালবাসার উল্কাপাত শুরু হল তাতে এক সময় ভয়ই
পেয়ে গেলাম এই ভেবে যে দিন শেষে শুভেচ্ছার
তলায় চাপা পড়ে যাই কি না! না, শেষ পর্যন্ত ঘটনা তত দূর গড়ায়নি। আজ সকালে দেখলাম
ভালবাসার ভারে আমি দু সেন্টিমিটার কুঁজো হয়ে গেছি, মাথায় ৫ টা চুল কালো হয়েছে, আর
সাদা হয়েছে ১৩ টা চুল। জন্মদিনে শুভেচ্ছার সাথে সাথে পেয়েছি পরস্পরবিরোধী কামনা।
যেমন একজন বলল বড় না হতে, বুড়ো না হতে। ভাবলাম বন্ধু বাসিলকে বলব একটা ছবি তুলে
দিতে যাতে ডরিয়েন গ্রের মত আজীবন যৌবনে বাস করতে পারি। আরেকজন বলল হাজার বছর
বাঁচতে। হাত-পা, লেজ, মাথা এসবের ব্যথা নিয়ে যদি হাজার বছর বাঁচতে হয় তাহলেই
হয়েছে। তবে সেসব পরের সমস্যা। এখন সমস্যা হল এতো শুভেচ্ছা, এতো ভালোবাসা রাখব
কোথায়? ছোটবেলায় বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে অঞ্জলির বেলপাতা আর পলাশ ফুল রাখতাম। ভাবছি
সেটাই করব। এতো কাজের ভিড়েও যারা সময় করে এত কষ্ট করে এত দূরে হৃদয়ের উষ্ণতা
পাঠিয়েছেন এবং যারা পাঠাতে ভুলে গেছেন সবার জন্য রইল এক চিমটি ভালোবাসা।
দুবনা, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment