পুঁজিপতিরা শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য ন্যুনতম বেতন দেয় যাতে তারা অন্তত টিকে
থাকতে পারে। কারণ শ্রমিক না থাকলে পুঁজি সারপ্লাস
ভ্যালু উৎপাদন করতে পারবে না। তবে এখন দিন বদলেছে। ডিজিটাল যুগে শ্রমিক লাগে না,
রোবটেরাই সব কাজ করে। ডিজিটাল যুগে বিরোধী দল, ভোটার কিচ্ছু লাগে না। আলাদীনের
চেরাগ ভোটে জিতিয়ে দেয়, ক্ষমতা স্থায়ী করে। তবে সমস্যা একটাই। যে কোন কাজই শুরু
করার আগে তার ভালমন্দ সব দিক পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার করে দেখতে হয়। যদি বিরোধী
পক্ষ না থাকে এ ধরণের বিচার হয় একপেশে। ফলে পরবর্তীতে সেখানে সমস্যা দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা অনেক বেশি। বর্তমান ভিন্ন দৃষ্টির অনুপস্থিতিতে কোন
প্রকল্প ভেস্তে গেলে আর কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না, নিজেদেরই সব দোষের ভাগী হতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নির্বাচনে জয়লাভ
করেছে। খুশি না হবার কোনই কারণ নেই। বিজয় সব সময়ই মধুর, তবে কিছু কিছু বিজয়ের
মধ্যে তেতো স্বাদ থাকে। এই বিজয়ের মধ্যেও
কোথায় যেন একটা গলদ রয়ে গেছে, এতো পাওয়ার মধ্যেও কি যেন একটা না পাওয়ার, কি যেন
একটা হারানোর বেদনা রয়ে গেছে। হ্যাঁ, দেশকে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার
আরও একটা সুযোগ হারালাম।
দুবনা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
adu ayam jago
ReplyDelete