Wednesday, August 31, 2016

বিয়ে করবো - সুন্দরবনকে



বিদ্যুৎ কেন্দ্র না হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে না,
বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে শিল্পায়ন হবে না,
শিল্পায়ন না হলে শ্রমিক শ্রেণী হবে না,
শ্রমিক শ্রেণী না হলে?
ঠিক বলেছেন, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হবে না।
তার পরেও আমাদের চাই সুন্দরবন।

মনে পরে গেলো ডারুয়িনের ডাইরীর কথা:
উনি বিয়ে না করার পক্ষে পঁচিশটা যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন,
পক্ষে শুধু একটা -
এতো কিছুর পরেও বিয়ে করবো। 

দুবনা, ৩১ আগস্ট ২০১৬ 



Monday, August 29, 2016

গাঁধা ও মানুষ



গাঁধাকে মানুষ বললে গাঁধা মানুষ হয় না, গাঁধাকে  গাঁধা বললেই বরং ওর মানুষ হবার একটা সম্ভাবনা থাকে।

দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০১৬ 

রামপাল ও পরিবেশ নিয়ে কিছু ভাবনার অংশ বিশেষ



বাংলাদেশের রাজনীতি এখন রামপাল নিয়ে জমজমাট।  আমি ভবিষ্যৎ বক্তা নই , তবে কিছু কথা ফলে যেত বলেই মনে হয়

আজ বিএনপি রামপালের বিরুদ্ধে যে একহাজার চুয়ান্নটা যোক্তি দেখাচ্ছে, ওদের আমলে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ওরা কম করে  এক হাজার পঞ্চান্নটা যুক্তি দাঁড় করতো রামপালের পক্ষে।

আওয়ামীলীগ আজ রামপালের পক্ষে দুহাজার নয়টা যুক্তি দেখাচ্ছে, বিরোধী দলে  থাকলে বিপক্ষে যুক্তি থাকতো কম করে হলেও দুহাজার দশটা।

সিপিবি আর অন্যান্য বামরা আজও  রামপালের বিপক্ষে সাড়ে সাতটা যুক্তি দেখাচ্ছে, বিএনপির আমলেও তাই দেখাতো। আমাদের সোভিয়েত  দেশে পড়াশুনা করা মানুষদের স্বপ্ন যেমন সেই অতীতে আটকে গেছে - সিপিবিও তেমনি আটকে গেছে হারানো দিনে - পরিবর্তনই একমাত্র সত্য এই সহজ সত্যটা  ভুলে গেছে তারা।

পুঁজিবাদী অর্থনীতি নয়, প্রগতি-শিল্পায়ন এসব প্রকৃতির পরিপন্থী।  দেশে দেশে শিল্পায়ন প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, করছে। কাকে বিসর্জন দেব? শিল্প ছাড়া প্রগতির চাকা ঘুরবে না।  মনে হয়, দুকূল রক্ষা করার একটা উপায় - শিল্পপতিদের পরিবেশ কর দিতে বাধ্য করা, আর সরকারকে বাধ্য করা বাজেটের একটা অংশ পরিবেশ খাতে ব্যয় করতে।  



দুর্বুদ্ধি


আমার কেন যেন মনে হয় রামপাল আরএসএস এর একটা প্রজেক্ট। বিশ্বাস হয়না? আচ্ছা বলেন তো ১৯৪৭ এর পর বাংলার মানুষ আর কখন এতবার রাম নাম নিয়েছে? তাই বলি, জায়গাটার নাম পাল্টে রসুলপুর করে দেন, দেখবেন তখন এই জায়গায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে কত কোটি মানুষ আন্দোলনে নেমেছে। আরেকটা উপায় অবশ্য আছে। সুন্দর বনের নাম ধরুন শ্যামসুন্দর বন রাখা। তখন কিন্তু ওটা ধ্বংসের জন্য দেখবেন মানুষ একটা নয়, দুইটা নয়, পাঁচ পাঁচটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইবে।
দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০১৬

Saturday, August 27, 2016

রোবট

জাহীদ  নিকোলাই অস্ত্রোভস্কির "ইস্পাত" নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে।  ওটার উপর কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি লেখাটা হাতির মতো ফুলে গেলো, তাই আলাদা করে লেখা।

সমস্যা যতটা না ইজমে  তার চেয়ে বেশি মানুষে।  আমরা ভক্তরাই কাউকে দেবতা বসাই আবার কাউকে পায়ের নিচে পিষে ফেলি।  এটা করি নিজেদের কায়েমী স্বার্থ আদায়ের জন্য।  লেনিনের এতো মূর্তি ছিল সোভিয়েত  দেশের আনাচে-কানাচে যে শিব বাদের কোনো হিন্দু দেবতাও তাতে ঈর্ষান্বিত হতো। লেনিন কি তা চেয়েছিলেন? না।  উনি এমন কি তার মরদেহ সমাধিস্ত করতে বলেছিলেন, কিন্তু আজও তা রেড স্কয়ারে। আমরা মানুষরাই আমাদের নেতা-নেত্রীকে দেবতার আসনে বসাই। আমাদের চাটুকারিতাই এক সময় নেতাদের তারা যে দেবতা সেটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। এভাবেই হয়তো ধর্মের উত্থান - তা সে যে নামেই হোক।  ডগমা - এটাইতো ধর্মের মূল কথা।  আমি চারিদিকে শুধু ডগমাটিকদের দেখি আর ভাবি মানুষ একটা

দুবনা, ২৭ আগস্ট ২০১৬ 
রোবট, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 

Wednesday, August 24, 2016

আইনের উর্দ্ধে


২০১০ সালে আমরা যখন বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া অর্গানাইজ করি, আমাদের বলা হয়েছিল ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধুর নাম উল্ল্যেখ করার জন্য। আমাদের গঠনতন্ত্রে ১৯৭২ এর সংবিধানের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে, কিন্তু যেহেতু এটা গণ সংগঠন তাই ইচ্ছে করেই কারো নাম সেখানে বলা হয়নি। পরবর্তীতে এক কথোপকোনে আমি বলেছিলাম, "আচ্ছা যখন অন্য কোন দল ক্ষমতায় আসবে আর আমাদের তাদের নেতাদের নাম লিখতে বলবে ঘোষণাপত্রে, তখন আমরা কি করবো? বাহাত্তরের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ - এটা বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র - এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উপায়?" যখন বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ছিল না, তখন ইসলাম নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিল না, ইসলাম দেশের অধিকাংশ মানুষের ধর্ম হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে ছিল, আর ইসলামকে যখন রাষ্ট্রধর্ম করা হলো, তখনই প্রশ্ন উঠলো অন্য ধর্মালম্বীদের সংবিধানে দেয়া সমান অধিকারের। আমার মনে হয় আইন করে বঙ্গবন্ধুকে কোনো আসনে বসানো হলে তাতে হিতে বিপরীত হবে। এই আইনের ফাঁক দিয়ে একদিন জিয়া এরশাদসহ অনেকেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সব আইনের উর্দ্ধে। বঙ্গবন্ধু নিজের মহিমায় এদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন, আইন করে আপনারা তাকে উপরে ওঠাতে পারবেন না, বরং এই এই মহান মানুষটাকে শুধু নিজেদের মতো সাধারণ মানুষের কাতারে নামাতে পারবেন। এটাই কি আপনাদের কাম্য?

দুবনা, ২৪ আগস্ট ২০১৬  



Is she better of two evils?


Cleanliness and honesty are no longer saleable commodity. What matters is obedience. Contrary to all scandals Clinton suits better for American governing elite. And like in 1996 when Yeltsyn was elected Russian President - Clinton will become the President of America. But the question is - "Is it the America its proud people were looking for?"


http://www.theglobeandmail.com/news/world/many-donors-to-clinton-foundation-met-with-hillary-when-she-was-secretary-of-state/article31524477/

Dubna, 24 August 2016



Saturday, August 20, 2016

ভাষা


আমি টোট্টিকে (এটা আমাদের অসংখ্য কুকুরের একটা) বললাম "sdf szj.dl hxdkldjalknDlk as"
সেভা জিজ্ঞেস করলো, "পাপ তুমি নিজে বুঝলে কি বললে?"
-আমার বুঝার কি আছে? টোট্টিকে বললাম, ও বুঝলেই হলো।
Я Тотти (это один из наших многочисленных собак) сказал "sdf szj.dl hxdkldjalknDlk as"
Сева просил, "Пап ты сам понял чего говорил?"
- Зачем мне понимать. Я Тотти говорил, пускай сама разберется.

দুবনা, ২০ আগস্ট ২০১৬  


Friday, August 19, 2016

কোরবাণীর গরু



দুপুরে মাসুদ ফোন করলো। মাসুদ আমার ইয়ারমেটদের মধ্যে একমাত্র মস্কোবাসী যার সাথে আমার রেগুলার যোগাযোগ হয়, কখনো ফোনে, কখনো মস্কোয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলে আগে থেকে কথা বলে দেখা করি।  ওর পড়াশুনা মিসিতে।  ছাত্রজীবনে যেতাম মাঝে মধ্যে - কল্লোল, আজাদ, মাসুদ - ওদের সাথে দেখা করতে। আমি দুবনা আসার পর যোগাযোগ একেবারেই ছিল না। তবে ২০১০ সল্ থেকে আবার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ২০১০ এর মে মাসে ও আমার এখানে বেড়াতে আসে দু দিনের জন্য, তখন থেকেই যোগাযোগ বেশ নিয়মিত - বলতে গেলে আমার ইয়ারমেটদের মধ্যে একমাত্র ওর সাথেই যোগাযোগটা টিকে আছে। 

ওর ডাচা মস্কো থেকে দুবনা আসার পথে - সেটাও কারণ মাঝে মধ্যে গল্প করার।  তা আজ ফোন করলে বললাম চলে যায়, ওর অজুহাত নানা রকম।  ২০ শতক জায়গার ঘাস কাটতে হয়, আরো কত কি? তাই বললাম,
- তোকে একটা বুদ্ধি দেব?
- বল!  
- একটা ছাগল কিনে ফেল।  খামারের কাজ শুরু হলেই কিনে রাখিস, সারা গ্রীষ্ম ঘাস খাবে, তোর আর ঘাস কাটার ঝামেলা করতে হবে না।  আর খামার বাড়ির কাজ শেষ হলে, মানে শরতে আমরা ওকে খাবো। 
- বুদ্ধিটা ভালো, তবে আমার ছাগলে চলবে না, গরু কিনতে হবে। প্রচুর ঘাস।
- ওটাতো আরো ভালো। তাহলে তাই কেন। গ্রীষ্মের শেষে কোরবানীর  ঈদ, তখন চড়া দামে বিক্রি করা যাবে। 


যাকগে টেলিফোনে আড্ডাটা ভালোই হলো।  আগামী শনিবার আমাদের একটা আলোচনা সভা আছে - "বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের  উত্থান ও করণীয়" শীর্ষক। আসতে বললাম। তাছাড়া তো দুবনা আছেই। এক সপ্তাহ ঠান্ডার পর গতকাল থেকে আবার গরম পড়লো।  আজ আবারো ভোলগায় সাঁতার কাটলাম। মাসুদ এলে দুজনে মিলেই যাওয়া যাবে।    

দুবনা, ১৯ আগস্ট ২০১৬ 



Sunday, August 14, 2016

মরণ তোমাকে করেছে অমর


এক মুজিবের কণ্ঠ রোধ করা যায়,
কিন্তু যে বজ্র কণ্ঠ লাখ মানুষের হৃদয়ে
মুক্তির স্বপ্ন জাগায়
তা কোনো দিনও  স্তব্ধ হবার নয়। 







দুবনা, ১৫ আগস্ট ২০১৬ 

Saturday, August 13, 2016

ডেমোক্রেটিক ট্যাবলেট



বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পড়ে, বিশেষ করে ওল্ড টেস্টামেন্ট পরে আমার মনে হয়েছিল ঈশ্বর এক বিশাল একনায়ক।  কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দেশে সব কান্ড কারখানা দেখে মনে হচ্ছে  আমেরিকানরা ওনাকেও ডেমোক্রেটিক ট্যাবলেট খাইয়েছেন। দেখুন না,  সব সময় সংখ্যাগুরুদের সাথে থাকেন।







দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০১৬ 

Friday, August 12, 2016

প্রশ্ন

গতকাল একটা নোট লিখেছিলাম রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে চলতি বিতর্ক নিয়ে।
 http://bijansahawhispers.blogspot.ru/2016/08/blog-post_12.html

কিছু কমেন্টের ভাষা এমন যে এ ব্যাপারে কথা বলা মানেই সরকারের বিরোধীতা করা। তাই মনে এই প্রশ্ন জাগলো -
আমরা কবে আর বড় হবো? কেন যে আমরা কোন কাজের সমালোচনাকে ব্যক্তিগত সমালোচনা হিসেবে নেই? অবস্থাটা এই, কেউ রামপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে বললেই সে বিরোধী দলে নাম লিখলো। কখন আমরা বুঝবো যে পৃথিবীটা সাদা-কালো নয়, এখানে আরো অনেক টোন আছে? নেতৃত্বের প্রতি, দলের প্রতি এই প্রশ্নাতীত সমর্থনই কি নেতৃত্বকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত করছে না? আচ্ছা এর সাথে কি ইসলাম ধর্মের ধর্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করার সংস্কৃতি জড়িত?

দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০১৬ 

Sunday, August 7, 2016

গোল্লাছুট




ভোর ৪.৩০ এ ঘুম ভেঙে গেলো কাদের যেন কলরবে। ব্যালকনি বেরিয়ে দেখি বিশাল নীলাকাশ ছাতার মতো আড়াল করে রেখেছে পৃথিবীকে, পাচ্ছে ভিজে না যায় সকালের উষ্ণ বৃষ্টিতে। আর ওই আকাশের বুকে কোলাহল করে গোল্লাছুট খেলছে এক দল পুচকি মেঘ। ওরাও টের পেয়ে গেছে কিছুক্ষন পর সূর্য্য উঠবে জেগে, উঠবে রেগে, গরমে ঘুরবে মাথা, গোল্লাছুটে পরবে হরেক বাঁধা। 

দুবনা, ০৭ আগস্ট ২০১৬

ভুল সংশোধন


আমার একটা স্ট্যাটাস "আমেরিকা" যেখানে আমি লিখেছিলাম
"অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা গণতন্ত্রের কবরখানা।"
এককালীন কমরেড, সোভিয়েত দেশে ডিগ্রী প্রাপ্ত, বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী ডাঃ আনোয়ার হোসেন (Anowar Hossain) কে মনঃক্ষুন্ন করেছে।
তাই ভাবলাম, ওটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আসলে ব্যাপারটা হবে এ রকম
"অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের কফিন তৈরীর কারখানা।"

Saturday, August 6, 2016

Fly low

Tarun wrote replying to my comment about his recent Russia trip "I have been disappointed by the sight of the society that I have visited last month for the first time."
What can I say?
Buddha told, if you want to be happy, cut your desire. I say, if you don't want to be disappointed, let your dream fly low. Remember, you are visiting a country that has gone through a tremendous change, almost revolutionary change. A war destroys only infrastructure, but the change that Russia experienced after the fall of the USSR destroyed not only infrastructure, but also inner world, past, present and for many future. I went through all this and know what does it mean. As a lover we put our g.f. in the ran of goddess, but when she becomes wife, many of us become disappointed seeing her earthly face. We had idealized communism or socialism as something divine only to find that people here are like us with all human characters.

Dubna, 06 August 2016

                                                     
 

Friday, August 5, 2016

২২ শ্রাবন

এই শ্রাবনের ২২ তারিখে

মরণ তোমারে অমর করেছে


কথপোকথন



- "ঘেউ"
- "ঘে এ এ এ  উ"
- "ঘেউ ঘেউ"
- "ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ"
- "ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ ঘেউ উ  উ"

- বলতো ওরা  ঘেউ ঘেউ করছে কেন?
- ঘেন্নায়।

ঘৃণা যখন ভালোবাসাকে ছাপিয়ে  যায়
মানুষ তখন কথা বলতে ভুলে যায়।

অথবা ওরা  হয়তো  কোথায় বলে,
আর সাধারণ কান ঘেউ ঘেউ শোনে।

দুবনা, ০৫ জুলাই ২০১৬


ছবিটা মনিকার আঁকা - বয়েস ৫ কি ৬ হবে।  আমার পুরানো অফিসে ছিল. কয়েক দিন আগে ওখানে গিয়ে দেখি দেয়ালে ঝুলছে, নিয়ে এলাম।



Thursday, August 4, 2016

আমেরিকা

অনেকেই বলে আমেরিকা গণতন্ত্রের কারখানা, আমার কিন্তু মনে হয় আমেরিকা গণতন্ত্রের কবরখানা। 

দুবনা, ০৫ জুলাই ২০১৬



দেশপ্রেম


কিছু কিছু লোকের দেশপ্রেম দেখলে মনে হয়, এরা  নিজেদের দেশের শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে না ভেবে প্রেমিক বলেই মনে করে, যারা প্রত্যাশা পূর্ণ না হলে দেশের মুখে এসিড ছুড়ঁতেও  দ্বিধাবোধ করবে না। আবার  কিছু মানুষ যে ভাবে বিদেশের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে, তাতে ওদের দেশপ্রেম দেখে মনে হয় ওরা আসলে сутенер বা pimp বা কুটনি, ওদের কাজই  ।

দুবনা, ০৪ আগস্ট ২০১৬



Wednesday, August 3, 2016

ডেফিনিশনের সমস্যা



Baki Billah তার স্ট্যাটাস এ লিখছে "বাস্তবতা হচ্ছে, ভারত রাষ্ট্রের অন্যায় বা অন্যায্যতার প্রতিবাদে প্রগতিশীলদের কোনো ভাষা কাঠামোই এতোকাল ছিল না।"
(https://www.facebook.com/baki.billah.509/posts/10207027927608813)


এটাই আমাদের সমস্যা - ডেফিনিশনের সমস্যা।  ভারতের পক্ষে বললে ভারতের দালাল, পাকিস্তানের পক্ষে বললে পাকিস্তানের। আবার ভারতের বিরুদ্ধে বললে সাম্প্রদায়িক। আমার অনেক সময় মনে হয়েছে, যখন প্যালেস্টাইনের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছি, বন্ধুরা আমাকে ভেবেছে প্রগতিশীল, আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের অধিকারের কথা বললেই সাম্প্রদায়িক বলে কটাক্ষ করেছে। আর আমি সবই করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য - যেটা বাংলদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আমাকে শিখিয়েছে।  আমরা আসলে বন্ধুত্ব করতে শিখিনি - আমরা হয় অন্ধ বন্ধু নয়তো অন্ধ শত্রু। বন্ধু হয়েও যে সমালোচনা করা যায় অথবা শত্রু হয়েও যে তার ভালো কাজের প্রশংসা করা যায় - এই সংস্কৃতি আমাদের গড়ে উঠেনি। আমরা হয় বন্ধুর দাস নয়তো শত্রুর যম।  আমরা গান্ধী আর মতিলাল নেহরুর মতো বলতে শিখিনি "we  agreed  to disagree", আর এটাই আমাদের রাজনীতির দুর্বল দিক। তাই আমাদের রাজনীতি এন্টাগোনিস্টিক। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় কোনো প্রশ্নেই ঐক্যমতে আসতে পারে না -  তারা হয় বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে, নয়তো সমর্থনের জন্য সমর্থন করে। আর তা শুধু ভারত প্রশ্নেই নয় - প্রায় সব প্রশ্নেই। আমার তো এক সময় ধারণাই ছিল এমন কোনো বিষয় নেই - যেখানে আওয়ামীলীগ বিএনপি এক সাথে কাজ করতে পারে।  তবে ইদানিং মনে হয় অন্তত মফঃস্বল এলাকায় সংখ্যালঘুদের  ভূমিদখল আর দেশ ছাড়ানো প্রশ্নে ওরা  এক হতে পারে।


দুবনা, ০৪ আগস্ট ২০১৬


Tuesday, August 2, 2016

শুক্লপক্ষ না কৃষ্ণপক্ষ



সে অনেক দিন আগের কথা
এতই  আগের যে মনে হয় অন্য জীবনে
অন্য দেশে .......
অপ্সরা আর কিন্নরদের মতো
আমরা তখন বাস করতাম স্বর্গ রাজ্যে

সেই স্বর্গে কোনো এক সন্ধ্যায়
যখন রুপালি চাঁদটা ভাসতে ভাসতে
হঠাৎ আটকে গেছিলো
শরতের সোনারঙা বার্চের মাথায়
তুমি বললে, যদি বলতে পারো
শুক্লপক্ষ এটা  না কৃষ্ণপক্ষ
একটা চুমু খাবো ......

সেই প্রথম তুমি আমাকে তুমি বলে ডাকলে
এতটাই হচকে গেছিলাম, যে উত্তরটা আর দেয়া হয়নি .......

আমি তোমার চোখে খুজতাম নিজের ছবি
পড়তে চাইতাম মন আর
দেখতে চাইতাম তোমার মনের আয়নায়
প্রতিচ্ছবি পরে কিনা আমার ভালোবাসার

কিন্তু সামনে এসে দাঁড়ালেই তুমি বন্ধ করতে দু চোখ,
তাই তোমার চোখে আমার ছবি আমি কখনো খুঁজতেই পারিনি

আজ আমরা দুই ভিন গ্রহের বাসিন্দা
যাদের মধ্যে কাজ করে না কোনো টেলিফোন
কিংবা ম্যাসেন্জার, স্কাইপে বা ফেসবুক
কে জানে, হয়তো মৃত্যুও মানুষকে এতো দূরে সরায় না 

তবুও আজও  হঠাৎ ই আকাশের নীলে, সাগরের ঢেউ এ
বনের গভীরে বা বাতাসের ঘূর্ণিতে দেখি
তোমার সেই হাসি, আর অপেক্ষা করি, এইতো বলবে,
বলতো আজ শুক্লপক্ষ না কৃষ্ণপক্ষ?







দুবনা,  ০৩ আগস্ট ২০১৬

সৃজনশীল ডায়রিয়া



ইদানিং বন্ধুদের স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখছি তা মূল লেখাটার চেয়ে গায়ে-গতরে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। দুই কুল রক্ষা করতে গিয়ে তাই প্রায়ই ওদের স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নতুন স্ট্যাটাস লিখছি।  একেই হয়তো বলে творческий понос মানে creative diarrhea বা সৃজনশীল ডায়রিয়া।

দুবনা, ০২ আগস্ট ২০১৬ 

Monday, August 1, 2016

নিঃসঙ্গের সঙ্গী

আলোময়দা প্রশ্ন করলো: ফেস-বুক যুগের আগে পৃথিবীর মানুষ কি নিঃসঙ্গ ছিল?




১৯৮৩ তে যখন মস্কো আসি, প্রায় প্রতি মঙ্গল বার বিমান আসার পর অপেক্ষায়  থাকতাম বাড়ির চিঠির জন্য, কেউ দেশে গেলে তার হাতে চিঠি পাঠাতাম। তাছাড়া আমি বিভিন্ন শহরে থাকা অনেককেই অনেক চিঠি লিখতাম, পাঠাতাম চিরকুট, মস্কো বন্ধুদের দরোজায় আমার রাখা চিরকুটগুলো জড়ো  করলে তো একটা মোটা বই হয়ে যেত।  নিঃসঙ্গতা ব্যক্তিগত, কেউ হাজারো লোকের মাঝেও নিঃসঙ্গ, কেউ একা একাও হাজারো সাথীর মাঝে। অনেক মানুষ যেমন সুখী হতে পারে না, সব থাকার পরও চুলকিয়ে চুলকিয়ে অসুখী হয়, ঠিক তেমনি অনেকেই অনেকের মাঝে থেকেও একা হয়ে পরে।  মনে আছে যখন খুব একা থাকতে ইচ্ছে করতো, যদিও মাঝে মধ্যেই হোস্টেলের পেছনে বনে যেতাম ক্যামেরা হাতে, তার চেয়েও বেশি যেতাম আরবাট  স্ট্রিটে - হাজারো লোকের জনারণ্যে হারিয়ে যেতে।  তাই যারা সঙ্গীহীন তারা ফেসবুক যুগের আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে আজকাল যোগাযোগ রাখাটা টেকনিক্যালি সোজা হয়ে গেছে।  আমিতো অনেক সময় কাউকে অন লাইনে  দেখলেই তার সঙ্গে পেয়ে যাই, সে যে ভালো আছে এটা জেনে।  অনেক সময় প্রশ্ন করে বিরক্ত করি না।  তবে এটা ঠিক আগে ওই চিঠি, চিরকুট লেখার মধ্যে যত রোমাঞ্চ ছিল, এখন সেটা নেই।  বিশেষ  করে আমি চিরকুটে ছবি একে দিতাম - কখনো কখনো - কাউকে কাউকে - এখন আর সেটা হয় না, শুধু ক্যামেরায় তোলা ছবি।  

মস্কো, ০১ আগস্ট ২০১৬