Thursday, October 31, 2019

মন্ত্রীর স্বগতোক্তি


হায়রে সংখ্যালঘু! সে তুমি ধর্মীয় হও, আদর্শিক হও আর আরব দেশ ফেরত লাশ হও - ভোটের রাজনীতিতে তোমরা কোন ফ্যাক্টর নও। কোটি কোটি টাকার মন্ত্রীদের চোখে তোমরা বড়জোর পথের কাঁটা। জীবিত থাকতে ভাত, কাপড় আর নিরাপত্তা চেয়ে জ্বালিয়েছ, বিদেশে গিয়ে মনিবের কথা না শুনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছ, এখন লাশ হয়ে এসেও হাজারটা প্রশ্ন করছ। মন্ত্রীর ঘুম হারাম করতে চাইছ। বলি, সাহস তো তোমার কম নয়! এটা কী মগের মুল্লুক, নাকি মধ্য আয়ের দেশ? এই নির্বোধ প্রজা নিয়ে আমরা রাজ্যত্ব করি কীভাবে!
দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০১৯

বন অরণ্য

পুরো দেশটাই যেখানে অপরাধীদের জন্য অভয়ারণ্য সেখানে ছোটখাটো একটা সুন্দর বন থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? 

দুবনা, ০১ নভেম্বর ২০১৯ 

উত্তর দক্ষিণ

প্রশ্ন করার আগে একশ বার ভেবো, কেননা কোন কোন প্রশ্নের উত্তরে রীতিমত দক্ষিণা মিলতে পারে।

দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 

তাল

ঘোরের মধ্যে ভাবছে বসে
আকাশ আর পাতাল
মাতাল হাওয়া উড়িয়ে নিল
আস্ত একটা মাতাল 
 
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 

সুখাসুখ

কারও সুখে অসুখ
কারও অসুখেই সুখ
আসলে সুখটাই অসুখ 
 
দুবনা, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ 

Wednesday, October 30, 2019

প্রিভেন্টিভ মেজার

অজানা একটা নম্বর থেকে ফোন এলো। ধরবে কি ধরবে না এই দ্বিধায় সেই পর্যন্ত ফোনটা ধরেই ফেলল হাসু।

কে বলছেন ভাই?

আমার একটা প্রস্তাব ছিল।

কিন্তু আপনি কে বলছেন আগে তাই বলুন।

প্রস্তাবটা আগে শুনুন, তারপর না হয় অন্য প্রশ্ন করবেন।

বলুন।

আমরা আজ ব্যঙ্ক ডাকাতি করতে যাচ্ছি। আপনাকে সাথে থাকতে হবে।

দেখুন, আমি এসবের মধ্যে নেই। আপনাকে চিনিনা, জানিনা, চিনতে বা জানতেও চাইনা। প্লীজ আমাকে আর এ ব্যাপারে ফোন টোন করবেন না।

হাসু এর মধ্যেই এই কথোপকথন ভুলে গেছিল। কিন্তু একদিন পুলিশ এলো বাসায়।

এই মিয়া, আপনাকে ডাকাতির প্রস্তাব দিয়েছিল, আপনি আমাদের জানান নাই কেন?

বারে, কে ফোন করল সেটা না জানলে আপনাদের কি জানাব। আপনারা তখন তো হাজারটা প্রশ্ন করতেন, যার উত্তর আমার তখনও জানা ছিল না, এখনও জানা নেই। কি জানাব তাহলে?

ফোন করেছিল, সেটা তো জানাতে পারতেন।

ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো চুরি ডাকাতি কিছু করিনি।

এটা ভুল নয়, অন্যায়। আপনাকে দু বছর হাজতে থাকতে হবে।

কেন? আমি তো ডাকাতি করিনি।

সেটা বড় কথা নয়। আপনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকাত ধরতে সাহায্য করেননি। এটা অপরাধ।

ডাকাতি হয়েছে? ডাকাত ধরা পড়েছে?

সেটা কোন প্রশ্ন নয়। ডাকাতের কাজ আইন অমান্য করা, সে তা করবে, ধরা পড়বে, আদালত তার বিচার করবে। কিন্তু একজন সুনাগরিক হিসেবে আপনার দায়িত্ব ছিল আমাদের সেই ফোন কল সম্পর্কে জানানো। আপনি জানাননি। এটা গুরুতর অপরাধ। আপনি আপীল করতে পারেন, তাতে আরও বড় শাস্তি হবার সম্ভাবনা আছে। তাই নিজের ভুল স্বীকার করে দু বছরের সাজা মেনে নিন। জীবন অনেক বড়।

কিন্তু আপনারা অপরাধীদের না ধরে আমাকে ধরছেন কেন? আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন কেন?

আরে মিয়া চারিদিকে সবাই তো অপরাধী। আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। জনগণকে তো আর জেল হাজতে ভরা যায় না, তাই যারা ভালো লোক, সংখ্যায় কম, তাদের ধরি। এতে আমাদের কাজ কমে, জনগণের খেদমত করা হয়। যারা এখনও অপরাধ করেনি তাদের ধরলে নতুন নতুন অপরাধী তৈরি হবে না। তাদের চোর ডাকাতদের প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হবে না। ফলে ওদের মধ্যে যেমন অপরাধ প্রবণতা যেমন কমবে, ভালো মানুষদের মধ্যেও অপরাধ করার ইচ্ছে লোপ পাবে। এটাকে বলে প্রিভেন্টিভ মেজার।

দুবনা, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

Tuesday, October 29, 2019

পড়া

বরফ পড়ছে। তাই ভাবছি আমি আর আজ পড়ব না। সবাই যদি পড়ে লিখবে কে?

দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

Monday, October 28, 2019

শ্লোগান

লোভ লালসা কাম ক্রোধ
এটাই চেতনা এটাই বোধ

দুবনার পথে, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

প্রশ্ন

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে দেশে বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহ অনেকের ঘরের আসবাবপত্রের ছবি পর্যন্ত চোখে পড়ে। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, আধুনিক পোশাক পরিহিত অনেকের ঘরে দেখি সিংহাসন সহ বিভিন্ন মধ্যযুগীয় আসবাবপত্র, বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে বাদশাহী চালচলন। এটা কী শিল্পবোধ নাকি আমাদের ভেতরে যে সামন্তরাজ ঘুমিয়ে আছে তার বহিঃপ্রকাশ?

মস্কো, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

Sunday, October 27, 2019

অনেক দিন

অনেক দিন আগের কথা. আরবের লোকেরা তখন বর্বর ছিল। এটা ছিল আমাদের ক্লাস ট্যু এর একটা গল্পের শুরু। বর্তমানে নারী শ্রমিকদের নিয়ে তাদের কান্ডকারখানা দেখে মনে হচ্ছে তারা অনেক দিন আগেই রয়ে গেছে চিরজীবনের জন্য।

মস্কো, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

বন্ধুকে উপদেশ

দোস্ত, আর বলিস না, মাথায় মাইক্রোস্কোপ দিয়েও আর চুল খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ কথা আর কখনো বলবি না। লোকজন বৌকে সন্দেহ করবে।
কী বলবো তাহলে?
বারে, বলবি প্রচুর ইনফর্মেশন গ্যাদার করতে হয়, তাই মাথায় ডিস এন্টেনা লাগিয়েছিস।

মস্কো, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

খেলা খেলা সারা বেলা

সুশাসন, সুবিচার এসবই এখন রাশান রুলেট আর জীবন একটা গ্রান্ড সাইজ ক্যাসিনো। 

দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 

শাসন

শাসন আর ক্ল্যাসিক্যাল নেই, কোয়ান্টাম রুপ পেয়েছে। তাই কখনও সে "দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন" কখনও বা "শিষ্টের দমন আর দুষ্টের পালন" 

দুবনা, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 

Saturday, October 26, 2019

আইডিয়া

আইডিয়া মানুষকে যেমন মানুষ করে, তেমনি অমানুষও করে। একমাত্র মানুষই কোন আইডিয়ার জন্য জীবন দিতে পারে, আবার আইডিয়ার জন্য সে জীবন নিতেও পারে। যে মানুষ হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত অজানা, অচেনা কোন এক মানুষের জন্য মিটিং মিছিল করতে পারে সেই মানুষই অনায়াসে তার ভাই বা প্রতিবেশিকে ঘরছাড়া করতে পারে। ভোলায় যে মানুষগুলো এক যোগে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করল বা ভারতের কোন এক প্রদেশে যে মানুষগুলো গো রক্ষার নামে কোন পরিবারের উপর আঘাত হানল, খোঁজ নিলে দেখা যাবে সেই মানুষগুলোর অনেকেই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিবাদে লিপ্ত। আমরা অনায়াসে কাছের মানুষদের কষ্ট দিতে পারি, সংসার ভাংতে পারি, ভাইবোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারি, প্রতিবেশির ঘরে আগুন দিতে পারি আবার একই ভাবে দূরে বহুদূরে অচেনা অজানা একেবারে ভিন্ন সংস্কৃতির কোন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করতে পারি। এবং আমরা সবই করি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে, যেন যেটা করছি সেটাই ঠিক, সেটাই হওয়া উচিত। নিজেদের অধিকারের পাশাপাশি আমরা যদি অন্যের অধিকার সম্পর্কেও একটু সচেতন হতাম, "অন্যের অধিকারকে শ্রদ্ধা করব" সেই আইডিয়ায় নিজেদের উদ্বুদ্ধ করতাম, পৃথিবীটা অনেকটাই বদলে যেত।

দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ 
 
 

গণতন্ত্র

আমরা সাধারণত গণতন্ত্র গেল, গণতন্ত্র গেল বলে চিৎকার করি যখন আমাদের নিজেদের কোন অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলে মনে করি। কিন্তু সমাজের একটা বিরাট অংশ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, ধর্মীয়, জাতিগত, আদর্শগত সহ বিভিন্ন ধরণের সংখ্যালঘুরা যে প্রতিনিয়ত অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে,তখন কিন্তু আমরা গণতন্ত্রের বিপদ দেখছি না। কিন্তু সমাজের সকল মানুষের ন্যুনতম অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে যে গণতন্ত্র আমাদের উঠানে পা মাড়াবে না সেটা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। ফলে গণতন্ত্রের জন্য সব জ্বালাময়ী বক্তৃতা মানুষের কাছে মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। সত্যিকারের গণতন্ত্র চাইলে প্রান্তিক মানুষের অধিকারের কথা বলুন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করুন।

দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ 
 
 

Friday, October 25, 2019

মিছিল

মানুষের মিছিল যখন পথ পায় না, লাশের মিছিল তখন পথে নামবে তাতে আশ্চর্যের কী কিছু আছে? 

দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ 

Wednesday, October 23, 2019

বন্ধুত্বের দায়


সার্ত্রে বলেছিলেন "বাবা মাকে আমরা বেছে নিতে পারিনা।" তবে বন্ধুদের পারি। বন্ধু মানুষের সচেতন চয়েজ। যেকোন বন্ধুত্বের মূলে থাকে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, দ্বিমতগুলো ভদ্র ভাবে প্রকাশ করা। দুজন বন্ধুকে যে সব ব্যাপারে একমত হতেই হবে তার কোন মানে নেই। গান্ধীর সাথে কোন ব্যাপারে দ্বিমত দেখা দিলে মতিলাল নেহেরু বলেছিলেন "আমরা দ্বিমত পোষণ করতে একমত হয়েছি" (We agree to disagree). যদি কেউ অমতটা ভদ্রভাবে প্রকাশ করতে না পারে, যুক্তি হিসেবে আপনার বর্ণ, ধর্ম বা নাগরিকত্ব - এসব টেনে আনে, সে অন্তত আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকার যোগ্যতা বা অধিকার কোনটাই রাখে না। অন্যের অভদ্রতাকে প্রশ্রয় দেওয়া ভদ্রতা নয়, বোকামি। বোকামি করা থেকে দূরে থাকুন।

দুবনা, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ 
 
 

ঐক্যই শক্তি

লিলিপুটরা ঠিকই গ্যালিভারকে বন্দী করেছিল। সব ইঁদুর একসাথে এগিয়ে গেলে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে সে প্রশ্ন অবান্তর।

দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

পড়ন্ত বিকাল

বাইরে তাকিয়ে দেখি বিকালটা সত্যি সত্যিই পড়ে যাচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে ভাগ্যিস ধরেছিলাম, নইলে নির্ঘাত মারা যেত সুন্দর বিকালটা 
 
দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ 

অজুহাত

ভোলা টোলা সব সাজানো নাটক। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নিজেদের মৌলিকতায় কিছু গণতন্ত্রের ভেজাল মিশিয়ে ভদ্রলোক হওয়ার শর্টকাট রাস্তা। 

দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ 

প্রশ্ন

সব শব এক রাতে যবে
একসাথে জেগে উঠবে
তোমাদের মুখে তখনও কি বল
বিজয়ের হাসি ফুটবে? 
 
দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ 

Tuesday, October 22, 2019

ভোলা

ভোলা কি একাত্তরকেও ভুলিয়ে দেবে? এখন না জাগলে আর জাগার সময় পাবেন বলে মনে হয় না। 

দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ 

ভোলা

কোলকাতা কিলিং বা নোয়াখালীর রায়ট যেমন অবিভক্ত ভারতের কফিনে ছিল শেষ পেরেক, ভোলার ঘটনাও একাত্তরের চেতনার কফিনে শেষ পেরেকগুলোর একটা

দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ 

না

একবার না, একশ বার না, হাজার বার না, লক্ষ বার না, কোটি বার না, অশুভ শক্তিকে আজীবন না। যা মানবতার পরিপন্থী তাকে না বলুন! 

মস্কো, ২২ অক্টোবর ২০১৯

শুভ অশুভ

অশুভ শক্তির অন্যায় আবদারে শুভকে জেলে ঢুকিয়ে সরকার নিজেই অশুভ শক্তিতে পরিণত হল। বিপ্লব উদ্ধারে বিপ্লবই একমাত্র পথ।

মস্কো, ২২ অক্টোবর ২০১৯

ভাবনা

ভারতের সাথে চুক্তিগুলো কতটা ভালো বা মন্দ সেটা আমি জানিনা, কেননা এর বিরুদ্ধে এক তরফ অনেক লেখালেখি হলেও ঠিক চুক্তিগুলো যে কি সেটা কেউ লেখেনি। তবে বিভিন্ন ঘটনা দেখে এটা বুঝেছি যে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের কথাবার্তা শুধু ভারত বিরোধী মনোভাবই নয়, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পও ছড়াচ্ছে দেশে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে মৌলবাদী শক্তি ও দলগুলো। সিপিবিসহ বাম দলগুলোর অসম চুক্তি বিরোধী প্রচার ও রাজনৈতিক তৎপরতা যতটা না চুক্তি বিরোধী দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে ভারত বিরোধী হিসেবে। অন্তত এটা বোঝার সুযোগ রয়েছে যে রাজনৈতিক স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও ভারত বিরোধী কার্ড ব্যবহার করছে। ফলস্বরূপ  নিজেদের অনিচ্ছায়ই তারা নিজেদের ঠিক বিপরীত মেরুতে অবস্থান কারী মৌলবাদী শক্তির হাত শক্তিশালী করছে। সিপিবি সব সময়ই দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। দুর্নীতি আজ দেশের প্রধান শত্রু, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ফ্রন্ট আজ জাতির জন্য অন্যতম প্রধান রণাঙ্গণ। আশা করেছিলাম, দেশে এখন যে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সরকার সেই অভিযানের শরীক হয়ে তারা এই লড়াইকে সামনে নিয়ে যাবে ঠিক যেমনটা করেছিল একাত্তরে।

মস্কো, ২২ অক্টোবর ২০১৯


Monday, October 21, 2019

ভাব না

 এটা ভাব না, এটা ভাবনা। অনেক চিন্তার বিষয় মাথায় যখন দৌড়ঝাঁপ করে তখন ভাবনা না ভেবে থাকা যায়?

মস্কো, ২২ অক্টোবর ২০১৯

পথ

অন্যায় দাবীর কাছে মাথা নত করে খুব বেশি দূরে যাওয়া যায় না, কারণ এক বার দাবী পূরণের স্বাদ পেলে নতুন নতুন দাবী আসে। রাষ্ট্রের কাজই হল আইনকে প্রতিষ্ঠিত করা। আইনের প্রশ্নে যেকোনো ধরণের ছাড় দেওয়া মানে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া। আর একবার যে অন্যায় করে সে আজীবন অপরাধী। রাষ্ট্র কোন পথে যাবে সেটা শুধু দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বই বেছে নিতে পারে। এখানে ভুলের সুযোগ নেই। আপোষের সুযোগ নেই। আছে শুধু আইনকে, ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার কঠিন সংগ্রাম। 

মস্কো, ২১ অক্টোবর ২০১৯



Sunday, October 20, 2019

মনুষ্যত্বের নিত্যতার সূত্র

আমার মনে হয় মনুষ্যত্বের নিত্যতার সূত্র নাম একটা ব্যাপার আছে, মানে মহাবিশ্বে মনুষ্যত্বের পরিমান কনস্ট্যান্ট। ফলে মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে যতই বাড়ছে মানুষের মধ্যে মানবিকতার পরিমান ততই কমছে। তাই তো বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের ভিড়েও মানুষ খুঁজে পাওয়া আজকাল এত দুষ্কর। 

মস্কো, ২১ অক্টোবর ২০১৯

ডাবল টেরোরিস্ট

আদর্শের নাম যারা খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্য্যে লিপ্ত হন, তারাই সেই আদর্শের সবচেয়ে বড় শত্রু। তা সে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা অন্য যেকোন আদর্শই হোক না কেন! এরা শুধু (ধর্মীয়) অনুভুতিতেই আঘাত করে না, ধর্মকে ব্যবহার করে সমাজে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এরাই আসলে ডাবল টেরোরিস্ট। এদের বিচারের আওতায় আনা হোক।

মস্কো, ২১ অক্টোবর ২০১৯

মোটা মাথা

কিছুদিন আগে আবিষ্কার করলাম আমার ওজন কয়েক কেজি বেড়ে গেছে। জামাকাপড় ছোট হয়নি। তাহলে? মাথামোটা হওয়া ছাড়া অন্য কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। 

দুবনা, ২০ অক্টোবর ২০১৯ 

পান

আমরা চা পান করি না, চা খাই। এবং পানও খাই। মাঝে মধ্যে চা আর পান দুটোই একসাথে খাই। আমরা পায়ী নই, আমরা খায়ী অথবা আমরা পাদক নই, খাদক! 

দুবনা, ২০ অক্টোবর ২০১৯ 

মতামত

অমত আর দ্বিমতের ঠ্যালা ধাক্কায় মত কখন উধাও হয়ে গেছে সেটা অনেকে খেয়ালই করেনি। এখন তারা মতামতের ঊর্ধ্বে। 

দুবনা, ২০ অক্টোবর ২০১৯ 

Saturday, October 19, 2019

দল বদল

অনেক বামপন্থী নেতা যখন জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, কেউ কিছু বলেনি, এখন তারা যখন ক্ষমতাসীনদের সাথে বিট্রে করছেন - চারিদিকে শোরগোল। এটা সেই - মিলিয়ন ডলার চুরি করলে মিলিওনার আর পাঁচ টাকা চুরি করলে চোর - এমন সাইকোলজির বহিঃপ্রকাশ কি? 

দুবনা, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ 

Friday, October 18, 2019

সময়

সময়টা গেটের বাইরে অপেক্ষা করছে। ওর নাকি বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে। বলছে একা যেতে মন চাইছে না। আমার সঙ্গ নাকি খুব দরকার! 

দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ 

Thursday, October 17, 2019

জ্যাম

পয়সাওয়ালারা যেভাবে টাকার মধ্যে ডুবে থাকে তা দেখে মনে হয় ওরা টাকার জ্যামে আটকে আছে। ওখান থেকে আর বেরুনোর পথ নেই। 

দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ 

লীগ অফ নেশনস

আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ, ইলেকট্রিক লীগ, ওলামা লীগ .. - বাংলাদেশে এত লীগ - মনে হয় যে এটা দেশ তো নয় একেবারে লীগ অফ নেশনস। 

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 

চর্চা

আমাদের লোকেরা প্রচণ্ড নিঃস্বার্থ, অন্যের জন্য জীবনপাত করতে পিছ পা হয় না। তাই তারা নিজের শরীরচর্চা না করে সানন্দে পরচর্চা করে। 

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 

কুরু বংশ

টাকা হল শত পয়সার জননী। টাকা পয়সাই আসল কুরু বংশ। তাই তো বলি টাকা নিয়ে কেন এই কুরুক্ষেত্র কাহিনী! 

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 

সময় জ্ঞান

আর যাই বলেন মাছ মাংসের সময় জ্ঞান কিন্তু একেবারে নিখুঁত। দু' মিনিট দেরী করলেন তো রেগেমেগে পুড়ে ছারখার। ওরা প্রেম করে কীভাবে? 

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 

চানাচুরের জন্মকথা

অনেক অনেক দিন আগের কথা। তখন এক গ্রামে ছানা নামে এক লোক বাদামের সাথে আটার দলা মিশিয়ে লোক ঠকাত। তাই লোকে তাকে চোর বা স্থানীয় ডাইলেক্টে চুর বলত। ছানাচুর পাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাই তার নাম হয় চানাচুর। এক সময় তার ভেজাল বাদাম জনপ্রিয়তা লাভ করলে এর নাম চানাচুর রাখা হয়। ভেজাল আসলেই আমাদের প্রাগৈতিহাসিক ঐতিহ্য
 
দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 

অমর

- দাদা, ঐ লোকটা আমার টাকা মেরেছে।
- বল কি? আমি তো জানতাম টাকা অমর। স্বয়ং ব্রহ্মার কাছ থেকে অমর বর পেয়েছে। টাকাকে তো ভাই মারা যায় না।
- তাই? টাকা বাঁচানো যায় নিশ্চয়ই। তাহলে আমাকে টাকা বাঁচানোর উপায় বলে দিন।
- ইস বললাম তো টাকা অমর। যে মরে না, তাকে আবার বাঁচাবে কিভাবে?
- মানলাম। তাহলে বলুন, কিভাবে টাকার খরচ কমানো যায়। নাকি টাকা আবার অক্ষয়, তাকে ক্ষয় করা যায় না?
- সে বুদ্ধি দিতে পারি। চোখ, কান, নাক, মুখ - সব তালাবদ্ধ করে রাখতে হবে। তাহলে খাওয়া খরচ কমবে, কিছু না দেখলে, না শুনলে কিছু কিনতে ইচ্ছে করবে না, কেনা-কাটির পেছনে খরচ কমবে। আর বোনাস হিসেবে পাবে সরকারের প্রসন্ন দৃষ্টি। এ ধরণের লোকদের সব সরকারই খুব পছন্দ করে।

দুবনা, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ 
 
 

Wednesday, October 16, 2019

বাঁচামরা

জানেন আমি কম খাই, পয়সা বাঁচাই।
দেখবেন শেষমেষ পয়সাই বেঁচে থাকবে আর আপনি......

দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

সমস্যা

সমস্যায় সমস্যা নেই
সমস্যা সমাধানে
সমস্যা ঐক্য গড়ে
সমাধান বিভেদ আনে 
 
দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 

প্রশ্ন

মাঝেমধ্যে বাংলা বাক্য নিয়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। যদি কেউ উত্তরগুলো দেন সুবিধা হয়।

যেমন, "মিঃ এক্স অদ্য দুপুর বারোটা ১৩ মিনিটে পরলোক গমন করেছেন।" আমার মনে প্রশ্ন জাগে এটা ঠিক, নাকি যুক্তিসঙ্গত হবে "মিঃ এক্স অদ্য দুপুর বারোটা ১৩ মিনিটে ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।" 
 
দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 

Tuesday, October 15, 2019

চন্দ্রবিন্দু

অনেকেই বলে আমার লেখায় চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারে প্রচণ্ড ভুল হয়। মহা মুস্কিল। আমার এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় আকাশ মেঘে ঢাকা, চাঁদের দেখা নেই। তাহলে চাঁদকে নিয়ে আমি ভুল করব না তো করবে গৌরী সেন? 

দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ 

রাতের পথিক

মাঝে মধ্যে এমনটা মনে হয় সবার সাথেই ঘটে। কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাচ্ছেন, মনে হল একটু বাথরুমে ঢুঁ মারলে খারাপ হয় না। কিন্তু কোথায় পাবেন বাথরুম? খুঁজে পেতে যাও পেলেন, সেখানে বিশাল লম্বা এক লাইন। এক তলা থেকে দোতলায়, সেখান থেকে তিন তলায় - সব জায়গায়ই এক অবস্থা। আর সময় যতই যাচ্ছে চাপ ততই বাড়ছে। ভাবছেন, কেলেঙ্কারি বুঝি আর এড়ানো গেল না। দম বন্ধ হয়ে আসছে। আপনি একের পর এক সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠছেন আরও আরও উপরে। আপনি প্রানপনে চেষ্টা করছেন নিজেকে শান্ত করতে। হঠাৎ

কোথায় সব দালানকোঠা, কোথায় সিঁড়ি? চোখ খুলে বুঝলেন আপনি শুয়ে আছেন বিছানায়। একটু সময় নিয়ে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে উঠে বসলেন। না, বাথরুমে কেউ নেই, কোন লাইন নেই। ও আপনার জন্য দু হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে।

কি শান্তি!

অনেক সময় সমস্যার সমাধানগুলো আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরে। দরকার সময় মত চোখ খোলা আর আলসেমি না করে তাদের বাড়ানো হাত দুটো ধরা।

দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ 
 
 

Monday, October 14, 2019

উদাহরণ

আজ ক্লাসের বিষয় ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও অনৈচ্ছিক প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক সংজ্ঞা দেওয়ার পরে মনে হল একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। বলা যেত "উন্নত দেশের লোকদের আমাদের মত দেশে কাজ করতে আসা স্বতঃস্ফূর্ত মাইগ্রেশন, আর আমাদের সব দেশে থেকে লোকজন যখন আরব দেশ বা উন্নত বিশ্বে যায়, সেটা অনেক ক্ষেত্রেই চাপে পড়ে। তবে মনে হল সেটা তেমন জমে না, তাই বললাম, এই দেখ, আমি রাস্তা পার হওয়ার সময় যদি গাড়ি চাপা পড়ে মরে যাই সেটা হবে অনৈচ্ছিক, আর ক্লাস নিতে নিতে বা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে করতে যদি মারা যাই, সেটা হবে স্বতঃস্ফূর্ত মৃত্যু। ছেলেমেয়েরা হাসতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হাসিটা গিলে ফেলল। ওদের ধারণা ছিল যদি আমি আবার মাইন্ড করি। যতসব!

দুবনা, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

বাজি

বাজি ধরে করত যারা বাজিমাত
বাজীর মত পুড়ে তারা আজ কুপোকাত

মস্কো, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ 

Sunday, October 13, 2019

পূর্ণিমা

চাঁদের আলোয় ভিজে নেয়ে ওঠা রাতটা যখন কাঁপতে কাঁপতে দরজায় কড়া নাড়ল তখনই বুঝলাম এখন ঘুমের রাজ্যে পালানোর পালা।

মস্কো, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

পেশা

কোন পেশার লোক পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি?
কুলু।
?
দেখেন না সবাই কেমন তেল মারে।

দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

জীবন যুদ্ধ

ছাত্রজীবনে জাসদ ছাত্র লীগের প্রিয় শ্লোগান ছিল "লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।" জানি না জাসদ ছাত্র লীগ এখনও আছে কি না, তবে এ শ্লোগান আজ অনেকটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে। আজ লড়াই মানে যুদ্ধটাই বলতে গেলে পৃথিবীর স্থিতিশীল বা স্ট্যাবল স্টেট, আর এই যে মাঝে মাঝে শান্তি আসে সেটা সাময়িক এক্সাইটেড স্টেট। এটা মনে হয় প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বের সব ঘটনাই আমাদের ড্রয়িং রুমে ঢুকে গেছে বলে। এ পৃথিবীতে এখন জীবনটাই যুদ্ধ, যদিও মৃত্যুটা শান্তি কি না সেটা বলতে পারব না।

দুবনা, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

Friday, October 11, 2019

রাজনীতি

ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিৎ কি উচিৎ নয় এ নিয়ে বাজারে অনেক কথা। তবে চলমান রাজনীতি কী ছাত্র, কী শিক্ষক, কী দেশ কারো জন্যই বাঞ্ছনীয় নয়। 

দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০১৯ 

wi-fi চুল

- দাদা, চুল সব পড়ে যাচ্ছে। কি করি?
- কি করি মানে? বলবে স্কীন কালারে চুলের রঙ করেছ।
- যদি দেখতে চায়?
- বলবে wi-fi চুল লাগিয়েছ। 
 
দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০১৯ 

Thursday, October 10, 2019

ছাত্র ও রাজনীতি

দেশে ছাত্র রাজনীতি আছে, কিন্তু রাজনীতির ছাত্র নাই। 

দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০১৯ 

Wednesday, October 9, 2019

যন্ত্রণা

অনেকেই ইনবক্সে লিখছেন "বিজয়া দশমী! গরীবের প্রণাম নেবেন!" আমি কি প্রণামীর জন্যে বসে আছি যে গরিবিয়ানা প্রকাশ করতে হবে?

দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০১৯

মনোপলির নির্মম পরিনতি


সূর্যটা ধীরে ধীরে একটা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয়েছে আর আশেপাশের সব তারাদের গ্রাস করে এখন অন্ধকারে একাকী মহাকালের গহ্বরে বিলীন হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।  

দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০১৯      


Tuesday, October 8, 2019

কমরেড ফরহাদ

যে কোন কালেক্টিভে কিছু অঘোষিত নেতা থাকেন সবাই যাঁদের কাছে পরামর্শ নিতে যায়। তাঁরা নিজেদের প্রতিভা বলে দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেন এই অর্থে যে তাঁদের কথা না মানলেও সব পক্ষই তাঁদের মতামতটা অন্তত জানতে চান। তাঁদের মতটা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে নিজেদের করণীয় ঠিক করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে এমনই একজন ব্যক্তি ছিলেন কমরেড ফরহাদ। ১৯৮৭ থেকে ২০১৯ – দীর্ঘ ৩২ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর অভাব আজও পূর্ণ হয়নি।
দুবনা, ০৯ অক্টোবর ২০১৯      



দুই নম্বর

কেন যেন মনে হয় আমাদের দেশে চলতি আদর্শগুলোও জিঞ্জিরায় তৈরী। উন্নতির দুই নম্বর স্তর।

মস্কো, ০৮ অক্টোবর ২০১৯

কথা

কথারা গিয়েছে আজ থেমে
কথারা হারিয়েছে পথ
বর্ণমালার মালা গেছে ছিঁড়ে
অন্ধকার এসেছে হেথা নেমে

রক্তে স্যাতস্যাতে মাটি
রক্ত বন্যা চারিদিকে
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীর লাশ
দানব বেঁধেছে হেথা ঘাটি

ছাত্র সেজেছে আজ খুনি
ছাত্রের হাতে আজ খুন
দেশের মুখে চুন কালি
কি জবাব দেবে দেশ শুনি?

আবারও কাঁদে কোন মা
আকাশে ঘন কালো মেঘ
প্রতিবাদে মেতে ওঠে দেশ
হত্যাকে বলে সে না, না

শব্দ হারিয়েছে পথ
চারিদিক নিস্তব্ধ থমথমে
দেবতা দিয়েছে রণভঙ্গ
দানবের হাতে তাই বিজয়ের রথ

কথারা  নির্বাক নিঃশ্চুপ
মানুষেরা আজ কালা বোবা
মহীয়ষী হে বঙ্গমাতা
এ তোমার হয়েছে কী রূপ!


মস্কো, ০৮ অক্টোবর ২০১৯


শত্তুর

ছোটবেলায় দুষ্টুমি করলে মা বলতেন "ছেলে তো নয়, শত্তুর।" তাঁকে ও তাঁর  সোনার ছেলেদের দেখে মায়ের কথা মনে পড়ছে।

মস্কো, ০৮ অক্টোবর ২০১৯

Monday, October 7, 2019

পরিবার পরিকল্পনা

পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে বা ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হলে শিব দুর্গা পরিবারের সদস্যদের কারো কারো উপর নিশ্চয়ই স্টীম রোলার চলত। এদের বাড়ি হিমালয়ের অন্য দিকে হলে খেলা আরও জমত।

মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০১৯


মনে রাখা

এরশাদের আমলে যে কোনই উন্নয়ন হয়নি তা কিন্তু নয়, তবুও মানুষ মনে রাখবে তাকে নূর হোসেন, দেলোয়ার, দিপালী, মিলনদের হত্যাকারী হিসেবে।

মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০১৯

Sunday, October 6, 2019

গণতন্ত্র

গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে লিংকন বলেছিলেন "জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ও জনগণের জন্য।" সরকার কি জনগণের? হ্যাঁ। সব দেশেই সরকার যেভাবে মানুষের ঘাড়ে ভূতের মত চেপে বসে, তাতে জনগণ না চাইলেও সরকার শেষ পর্যন্ত তাদেরই হয় বা জনগণ সরকারের হয়।
সরকার কি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত? সেটাও ঠিক, কলা-কৌশলে সবাই নিজেদের জনগণ দ্বারাই নির্বাচিত করিয়ে নেয় - সেটা চুরি করেই হোক আর মিথ্যা আশ্বাস দিয়েই হোক। সরকার কি জনগণের জন্য? এখানে সরকার একটু নাঁক উঁচু। তাই এ ক্ষেত্রে সব সরকার নিজেদের পছন্দের মত লোকজনকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে তাদের সেবা করে আর এই সুবাদে নিজেদের জনদরদী সরকার বলে মনে করে। সমস্যাটা কোথায় কি লেখা তাতে হয়, সমস্যাটা হল সেই লেখাটা কে কিভাবে পড়ছে, কিভাবে সেটার ব্যাখ্যা দিচ্ছে তাতে। 

মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০১৯



দল

আপনি কোন দল করেন?
আমি ব দল করি।
এ দল আবার কোন দল?
এ দল কোন্দল। দল বদলের দল।

মস্কোর পথে, ০৬ অক্টোবর ২০১৯

পাতা পত্র

ঝড়ে ঝরে পাতা
হল পাতার বিছানা পাতা।
পাতার পিঠে লিখি আমি পত্র
লিখি যা তা লিখি যত্রতত্র

মস্কোর পথে, ০৬ অক্টোবর ২০১৯

শুভেচ্ছা

পাইকারি খুচরো রকমারি শারদীয়া শুভেচ্ছায় ভরে যাচ্ছে টাইম লাইন, ইনবক্স। আর পারা যাচ্ছে না। মস্কো যাচ্ছি দেবীকে দর্শন দিতে। 

দুবনা, ০৬ অক্টোবর ২০১৯ 

Friday, October 4, 2019

পদবী

ভাবছি আমাদের দেশে সরকার পদবী আছে কিন্তু জনতা, জনগন, পাবলিক - এসব পদবী নেই কেন? যারা রাজনীতি ব্যবসা করতে চান, তারা এ ধরণের পদবী নেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে জনতার, জনগণের বা পাবলিকের জন্য কাজ করার আশ্বাস দিয়ে পরে যদি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েও যান, আর যাই হোক মিথ্যুক বলে আপনাদের দিকে পাবলিক আঙ্গুল তুলে দেখাতে পারবে না। অন্তত আপনারা বলতে পারবেন এটা তাদের বোঝার ভুল ছিল।

দুবনা, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
 
 

Thursday, October 3, 2019

বালিশ

মানুষ কেন এত দামী বালিশ কেনে তা বুঝি না। বালিশ চুরির ভয়েই তো তার ঘুম হারাম হয়ে যাবে। কী হবে তবে বালিশ দিয়ে?

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০১৯

ভালো থাকা

ভালো থাকাটাও এই পচে যাওয়া সমাজের বিরুদ্ধে এক ধরণের প্রতিবাদ। তাই সবার চোখের শূল হয়ে ভালো থাকুন। আপনি ভালো থাকলে সমাজ বদলাবেই। 

দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০১৯