Friday, February 28, 2020

জয় সরকারের জয়!

সরকার প্রজা বৎসল। জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় যাতে প্রজারা অনেক টাকায় সংসার চালাচ্ছে বলে নিজেদের বড়লোক মনে করে গর্ববোধ করতে পারে। নিজের জন্য গর্ববোধ করুন, সরকারের জন্যও গর্বিত হন। জয় সরকারের জয়!

দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Thursday, February 27, 2020

অনুভব

প্রগতি বলে মোদী না
প্রতিক্রিয়া শুনে মদিনা

দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

গল্প নিয়ে গল্প

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। সবাই লিখছে আর লিখছে। উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প, ছোট গল্প, কবিতা - কত কি? ভাবলাম আমারও কিছু একটা লেখা দরকার। রসদ পেয়ে গেলাম ফেসবুকে এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে। আমি অবশ্য আমার লেখার সব রসদই এভাবেই পাই, পরে কথাগুলোকে লটারির চরকায় ঘুরিয়ে একটু এদিক সেদিক করে বাজারে বিক্রি করি (আপাতত বিনে পয়সায়)। শুনেছি রাশিয়ার অনেক নামকরা হিউমারিস্টরা এভাবে অনেক হিউমার লেখেন। ও হ্যাঁ, আপনারা যাতে পড়তে পড়তে বিরক্ত না হন, তাই গল্পটা হবে খুবই ছোট, এতই ছোট যে ওর শরীরের চেয়ে মাথাটাই বড় হবে অনেকটা ভিন গ্রহের মানুষের মত। শুরু করা যাক

***********************************
পরিচয় বিনিময়

দে!
ধর!

**********************************

দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

খুন

কেউ খুন চাইছে মারার জন্য, কেউ খুন চাইছে আহতকে বাঁচানোর জন্য। খুনে খুনে খুনোখুনি। হায়রে দিল্লী! 

দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

গানে গানে

আচ্ছা, বাথরুম সিঙ্গার কি গায়ক?
হঠাৎ এ প্রশ্ন?
দেখলাম যারা দু লাইন কবিতা লিখতে পারে বা দু লাইন গান গাইতে পারে তারা নিজেদের সংস্কৃতিমনা বলে ভাবে। আমি তো এসব কিছুই করি না। আবার এই বয়সে নিজেকে আনকালচারড বলে ভাবতেও ইচ্ছে করছে না।
উপায়?
মাঝে মাঝে বাথরুমে হেরে গলায় চিৎকার করি। মানে গানের শব্দে গান গাই। ওটাকে যদি চালিয়ে দেওয়া যায় তবে জাতে উঠতে পারি এই আর কি?

দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Wednesday, February 26, 2020

ধর্ম যুদ্ধ

রাজনীতি আর ব্যবসার
ধর্ম নিয়ে হাতাহাতি
ঈশ্বরের ঘরে জ্বলে
অত্যুজ্জ্বল লাল বাতি

দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তেল

তেলে ভাজা খেতে খেতে আর তেলে ভাজা হতে হতে বানান বিভ্রাটে বিভ্রান্ত বাংগালী কখন যে তেলবাজ হয়ে গেছে সেটাও তার তৈলাক্ত হাত আর মন ফস্কে বেড়িয়ে গেছে।

দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Monday, February 24, 2020

পদ পদক পাদুকা

বানান বিভ্রাটে অনেকেই মনে হয় পদের সাথে পদককে গুলিয়ে ফেলেছে আর পদের সাথে সাথে পদকও দেদারসে বিক্রি করছে। পাদুকাঘাতই এ ব্যাধির একমাত্র দাওয়াই।

দুবনা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পারিশ্রমিক

এক লোকের কাছে গেলাম এক কাজে। বসে গল্প করছি। প্রতিটি কথার পরেই উনি বলছেন সব প্রশংসা উপরওয়ালার। আমিও শুনেই যাচ্ছি। কাজ শেষে যখন চলে যাচ্ছি উনি বললেন

ভাই পয়সা না হয় নাই দিলেন। একটু ধন্যবাদও দেবেন না?

আমি বললাম

সব প্রশংসাই তো উপরওয়ালার। উপরে উঠে ওনাকেই পৌঁছে দেব।

দুবনা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০


Sunday, February 23, 2020

লাল বাতি সবুজ বাতি

বেশ কিছু দিন আগে বৌ আমাকে ট্রাফিক সিগন্যাল বলে হেসেছিল। আমি বললাম

তুমি লাল আলো কোথায় দেখলে?

তোমার বেগুনি টুপিটা লাল বাতির কাজ করে।

তাই বুঝি সারা জীবনের জন্য আটকে গেলে?

আজ মনিকা প্রায় সবুজ একটা টুপি উপহার দিল। এখন দুবনা ফিরছি । বাসায় ফিরে বৌকে বলা যাবে

সবুজ বাতি জ্বলেছে। চাইলে যেতে পার।

দুবনার পথে, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০


ঝগড়া

গতকাল সেভা বলল

৪০ রুবল করে বার্গার পাওয়া যাচ্ছে বার্গার কিং এ। ৫০০ রুবল দাও। নিয়ে আসি।

ওখান থেকে ফিরে বলল

আমি মনিকার সাথে কথা বলি না। তুমি জিজ্ঞেস কর খাবে কি না।
কথা বলিস না কেন।
ও একটা বোকা।

আমি কোন কথা না বলে মনিকার ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ও বার্গার খাবে কি না।

না। ভাল্লাগছে না।

কিছু ক্ষণ পরে সেভা বন্ধুর সাথে বেড়াতে গেলে মনিকাকে বললাম

তোরা কথা বলিস না?

না।

কেন?

সেভা একটা স্ভিনিয়া মানে শুয়োর। সব নোংরা করে রাখে।

আমি কথা বাড়ালাম না। এসব ক্ষেত্রে আমি ধর্ম নিরপেক্ষ, জোট নিরপেক্ষ।

তোমাকে কাল একটা পোলো কিনে দেব?

না রে। বাড়ি থেকে ক দিন আগেই চারটে উলের শার্ট পাঠিয়েছে।

তাহলে টুপি কিনি?

আচ্ছা।

আজ আমাকে টুপি দিল। সেভাকেও।

সেভা ঘুরতে গেছে। টুপিটা রেখে গেছে। খেয়াল করে দেখি ওতে লেখা ম্যাড।

কে জানে এটা ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা নাকি প্রতিশোধ?

মস্কো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০




ভালো লাগা ভালোবাসা

মনিকা পিতৃভূমির রক্ষী দিবসে আমাকে আর সেভাকে টুপি উপহার দিল যাতে দেশকে না পারলেও নিজের মাথাটা যাতে রক্ষা করতে পারি। ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে উপহার পেলে বুকের ভেতরে এক ধরনের আবেগ ঢেউ খেলে।

মস্কো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০




Saturday, February 22, 2020

সং

রইজ উদ্দীন আহম্মদের স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়ে ফেসবুক সরগরম। ভদ্রলোককে চিনি না। তার লেখা আগে পড়িনি। সেটা অবশ্য আমার সীমাবদ্ধতা। প্রত্যেক লেখক বা কবিরই দুর্বল লেখা থাকে। এখানে তুলে দেওয়া একমাত্র কবিতা (?) দিয়ে তাই তাকে বিচার করাটা বোকামি। তবে এটা যদি তার অধিকাংশ লেখার নমুনা হয় তাহলে ব্যাপারটা ভাবার দরকার। রাজাকার তালিকায় সর্বজন বিদীত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, একাত্তরের শহীদদের তালিকায় আলতাফ মাহমুদের নাম না আসার পর এ ধরনের লেখার জন্য কাউকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া এসবই হচ্ছে সুপরিকল্পিত ভাবে একাত্তরের অর্জন, একাত্তরের ইতিহাস হেয় করে তোলা। এটা মোটেও ভালো আলামত নয়।

মস্কো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০


ভুল

ইহারা ধারন করেন বলিয়া ধারক নহেন ধারনা করেন বলিয়া ধারক। ইহারা বহন করেন বলিয়া বাহক নহেন বহিয়া যান বলিয়া বাহক। আমরা যাহা জানি ভুল জানি।

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০


সত্তা

গতকাল একজন বললেন উনি তিন বছর অপেক্ষা করেছেন আমার লাইক পাওয়ার জন্য। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে আমাকে লাইক দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

আমি ভাবতাম মনের ভাব মানে প্রেম ঘৃণা এসব প্রকাশের জন্যে আমি লিখি। গতকাল জানলাম লাইক পাওয়ার জন্য।

নিজেকে মুদি দোকানী বলে মনে হচ্ছে।

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০


রোগ

আজকাল সাংবাদিকরা যেমন অনেক সময় ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই সংবাদ প্রচার করেন ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও অনেক ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে তার পক্ষে বা বিপক্ষে লিখে দেয়াল ভরে ফেলি।

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০


দ ধ বিভ্রাট

যারা বন্ধুকে বন্দু লেখে তারা কি আসলে বন্ধুকে বন্দুক বলে ভাবে?

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রশ্ন

আচ্ছা সবাই তো নিজের কাজ কর্ম বিভিন্ন মোড়কে বিক্রি করছে। পোড়াকে কড়া ভাজা বলা কি খুবই এই বাজারে অন্যায় হবে?

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

একুশের ব্যানার

ফেসবুকের কল্যাণে এবার একুশের বেশ কিছু ব্যানার দেখার দুর্ভাগ্য হোল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ব্যানারে ছিল একাত্তরের বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি। আওয়ামী লীগের এক জেলার ব্যানারে সহস্র মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত শহীদ দিবসের কাহিনি। একুশকে ঘিরে এত উৎসাহ উদ্দীপনার মাঝে এসব ব্যানার প্রমাণ করে বাহ্যিক চাকচিক্যের আধিক্যে চেতনা কিভাবে অন্তসার শুন্য হয়ে যাচ্ছে। একদিকে ইতিহাস অস্বীকার আরেক দিকে ইতিহাস বিকৃতি - এই দুয়ে মিলে আসল ইতিহাসকে শাঁখের করাতের মত কেটেই যাচ্ছে, কেটেই যাচ্ছে। ইতিহাস বিকৃতি এখন সারা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এসব করে হয়তো সাময়িক ভাবে ফায়দা লুটা যায় কিন্তু মিথ্যা ভিত্তির উপর গড়ে তোলা রাজপ্রাসাদ কত দিন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে সেটাই প্রশ্ন।

মস্কো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০


Friday, February 21, 2020

পাবলিক বনাম প্রাইভেট

আম জনতার পিঠ হল পাবলিক মানে সরকারি। সে পিঠে সবার বোঝা টানতে হয়। আর তার পেট প্রাইভেট মানে ব্যক্তিগত। পেটের ভার নিজেকেই বইতে হয়।

মস্কো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Thursday, February 20, 2020

চক্রবৃদ্ধির সুদ

মৌলবাদী শক্তি সমাজের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশেষ করে হিন্দু, কাদিয়ানী, নাস্তিক ইত্যাদির অধিকার খর্ব করার জন্য সরকারের উপর অনবরত চাপ সৃষ্টি করেই চলছে। দিন দিন সে চাপ শুধু বাড়ছে তো বাড়ছেই। ভোটের মূলার পেছনে ঊর্ধ্ব শ্বাসে দৌড়ে ক্লান্ত (ভোট নেই তবে ভোট নামের মূলা আছে এটা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মর্মান্তিক জোক) সরকার তাদের দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে করতে কুঁজো হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। পাছে অবস্থা আরও খারাপ হয় সেই জুজুর (ধরে নিন বিএনপি, জামাত) ভয় দেখিয়ে বুদ্ধিজীবী সমাজ সরকারের গুণ গানে আসর জমাচ্ছে। এভাবেই ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ নিয়ে চেয়ার খেলছে মৌলবাদ, একাত্তরের চেতনায় উদ্দীপ্ত সরকার আর প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী সমাজ। অন্যায় হেসে খেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এসব অন্যায়, অবিচার আর এক চোখা আইনের যাঁতাকলে চক্রবৃদ্ধির হারে সুদ দিতে দিতে নাভিশ্বাস উঠছে কাঁঠাল জনতার।

দুবনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Wednesday, February 19, 2020

পণ্যের পর্ণগ্রাফি

আমার বাবা গত শতকের বিশের দশকে কলকাতায় প্রথমে বঙ্গবাসী কলেজে ও পরে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন। বাবার মুখে গল্প শুনেছি তাঁদের বিনে পয়সায় চা খাওয়ান হত পরে যা পয়সা দিয়ে বিক্রি শুরু হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পর পর মস্কো মেট্রোর পাশে "হেড অ্যান্ড সোল্ডার" শ্যাম্পু সহ বিভিন্ন বিদেশী শ্যাম্পু, পারফিউম ইত্যাদি বিনে পয়সার বিলানো হত যা কিনা পরে মানুষ অনেক দাম দিয়ে কিনতে শুরু করে।

এখন ফেসবুকের বাংলাদেশ ডোমেনে অনেককেই দেখি বিনে পয়সায় দোয়া, আশীর্বাদ, প্রার্থনা ইত্যাদি লেনদেন করতে। সেদিন খুব বেশি দূরে নেই যখন এসবও বেচাকেনা হবে, মানে এসবও পণ্যে পরিণত হবে।

দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০


Tuesday, February 18, 2020

লুটতন্ত্র

ভারতে যখন প্রথম মুসলিম আক্রমণ শুরু হয় তখন এসব আক্রমণ ছিল মূলত লুটপাটের জন্য। পারস্য ও আফগানিস্তানের মুসলিম শাসকগণ ভারত আক্রমণ করে এখানকার সম্পদ লুট করে নিজের দেশে ফিরে যেতেন। পরে অবশ্য প্রায় সবাই ভারতেই স্থায়ী নিবাস গেড়ে ভারতীয় হয়ে যান এবং মুঘলদের আগে থেকেই এই সমস্ত শাসকগন তাঁদের ধনসম্পদের জমাখরচ ভারতেই করেন। এরপরে আসে ব্রিটিশেরা যাদের কাছে এদেশ ছিল সোনার খনি। তারা এদেশের সম্পদ ব্রিটেনে নিয়ে যায়। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার বাংলার সম্পদ পাচার করে নিজ ভূমি পশ্চিম পাকিস্তানে। তখন একদেশ বিধায় ধরা যেতে পারে দেশের সম্পদ ফর্মালি দেশেই থাকত, ঠিক যেমন মুঘল আমলে বাংলার সম্পদ দিল্লি সফরে যেত। মুস্কিল হল স্বাধীন দেশে। ২২ পরিবার বেড়ে ২২ শ হয়েছে আর ধন সম্পদ সব ক্যানাডা, ইউরোপ, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া এসব দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন জাগে, যে দেশের সম্পদ দেশে রাখার জন্য এত রক্তক্ষয়, এত ত্যাগ - সেই দেশের মানুষ কেন তাহলে সবচেয়ে নির্মমভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে? যে জাতি একের পর এক গণ অভ্যুত্থান করে, ভাষার জন্য রক্ত দেয়, এক নদী রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে সে জাতি কেন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীশ্রেণী কিছুই গড়ে তুলতে পারে না। এমন কি এদেশের ধর্মীয় নেতারা পর্যন্ত যত না দেশের তার চেয়ে বেশি বিদেশের স্বার্থে ধর্মের বয়ান প্রচার করে?

দুবনা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Monday, February 17, 2020

রানী যত বলে

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নামাজ বাধ্যতামূলক করার সংবাদে দুটো জিনিস মনে পড়ল

১) কলে কারখানাতে
আর লাইনে অফিসেতে
আমরা নামাজ পড়ি
দুর্নীতি করি
টাকা পাঠাই বিদেশেতে

২) রাশানে একটা প্রবাদ আছে, "Заставь дурака Богу молиться, он и лоб расшибёт" মানে "বোকাকে প্রার্থনা করতে বাধ্য করলে সে কপাল ভেঙ্গে ফেলবে"

আমাদের কিছু কিছু মন্ত্রীর সেই অবস্থা। অতি উৎসাহে তারা ভুলে গেছেন, দেশটা কোরআন, বাইবেল, গীতায় চলে না, চলে সংবিধানের অক্ষর পালন করে। এর বাইরে যে কোন কিছুই সংবিধান বিরোধী। সেটা মন্ত্রীর জন্য ব্লাস্ফেমির নামান্তর।

মাঝে মধ্যে দেশের বর্তমান উন্নতিতে, বিশেষ করে গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি, নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ইত্যাদিতে সত্যি গর্ব বোধ করি, কিন্তু দুধের মধ্যে একফোঁটা চুনা (গো মুত্র, মনে হয় বিজেপির পান্ডারা সাপ্লাই দেয়) ফেলার মত আপনাদের বক্তব্য সমস্ত আনন্দই মাটি করে দেয়।

আচ্ছা, এই যে সবাইকে নামাজ পড়ানোর জন্য এত তোড়জোড়, সেটা না করে নিজেদের অফিসগুলোতে ঘুষ, দুর্নীতি এসব বন্ধ করুন, তাতে দেশ ও জাতিও উপকৃত হবে, আপনাদেরও রাতের অন্ধকারে ভোট ভোট খেলতে হবে না। শিক্ষা, সংস্কৃতি সব কিছুরই তো বারোটা বাজালেন, এখন নামাজের বারোটা (আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এমনিতেই নামাজ পড়ে, জোর করতে হয় না) না বাজালেই কি নয়?

দুবনা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Sunday, February 16, 2020

নিরাপত্তা বনাম স্বাধীনতা

মানুষ চায় আগামী দিনের নিশ্চয়তা। সে জন্যেই সে ঈশ্বরকে ডাকে, জ্যোতিষীকে হাত দেখায়। জানতে চায় কি আছে তার ভাগ্যে। নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়তেই সে লেখাপড়া করে, কাজ করে, সন্তানদের মানুষ করে। যে মানুষ নিজে দু হাতে একের পর এক বাঁধা সরিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, একটুখানি নিশ্চয়তা পেলেই সে নিজের উপর বিশ্বাস হারায়। সে ভাবতে শুরু করে নিজের শ্রম নয়, অদৃশ্য শক্তি, সৌভাগ্য - এসবই তাকে এই নিশ্চয়তা দিয়েছে জীবনে। সে লড়াই করতে ভুলে যায়। রাজনৈতিক দলগুলো তাকে সে কথাই বলে। ঈশ্বরের মত তারাও জনগণকে খুশি ও সুখী করার হোল সেলার, একমাত্র তারাই পারে জনগণের স্বপ্ন পূরণ করতে। এটা হল নিশ্চয়তার সাথে সাথে অনিশ্চয়তা বিক্রি করা, অনেকটা সিনেমার ২৫ নম্বর ক্যাডারের মত। আজকাল যেকোনো দোকানে গেলেও সেটাই ঘটে, হাতে একটা কার্ড ধরিয়ে দেয় যা দেখিয়ে সেই দোকানে কিছু কিনলে কনসেশন পাওয়া যায়। এটা আর কিছুই নয়, অদৃশ্য রজ্জুতে আমাদের লোভকে বন্দী করা। যে মানুষ সেই প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে একটার পর একটা বিপদ কাটিয়ে আজকের অবস্থায় এসেছে, প্রায় পৃথিবীকে জয় করেছে, জয় করেছে মহাকাশকেও, সেই মানুষই ক্ষমতাসীনদের শত অত্যাচার, অনাচার সহ্য করছে দিনের পর দিন পাছে সুখের ভাগে কম পরে বা দুঃখের পরিমাণটা একটু বেড়ে যায়! এই যে ভয় পাওয়ার মানসিকতা এটাই বর্তমান শাসক, শোষকদের প্রধান পুঁজি। এটাকে ব্যবহার করে জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা শুধু ক্ষমতায়ই থাকছে না, রীতিমত একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। আর সেটা করতে আমরা নিজেরাই তাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছি।

দুবনা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Saturday, February 15, 2020

নেতা ও মানুষ

স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা বেশি কঠিন। নেতা হওয়ার আগে মানুষ হওয়ার চেয়েও নেতা হওয়ার পরে মানুষ থাকাটা অনেক বেশি জরুরি।

দুবনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Friday, February 14, 2020

নিত্যতা

কারও আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া মানে বাকিদের শুকিয়ে কাঠি হওয়া। এটাই নিত্যতার সূত্র। দূর্নীতির বপু স্ফীত হলে অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সব নীতিই যে রুগ্ন হবে এতে অবাক হবার কি আছে?

দুবনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হালাল

ভালোবাসা দিবসে সবাইকে হালাল লাল সালাম। হালাল লাল সালাম কি? যে সালাম বিপ্লবের খুনে লাল।
দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বসন্ত

যারা এখানে বসন্তের সাদা পোশাকে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের বলি, বসন্তের রঙ্গিন কাপড় ঢাকার জ্যামে আটকে গেছে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পণ্য সমাচার

"নিজেকে আমার চেয়ে তুমি ভালো কেন মনে কর একটু বুঝিয়ে বলবে?" কোরবানির জন্য কেনা নাদুস নুদুস ষাঁড়ের চোখে এ প্রশ্ন দেখে অবাক হলেন ভদ্রলোক।
"তাই তো, আমি কেন শ্রেষ্ঠ?" ভেবেই লজ্জিত ভাবে গরুর চোখের দিকে তাকালেন তিনি। ওই চোখ দুটোতে তিনি ঠিক পড়তে পারলেন

আমরা গরুরা পরাধীন। মালিক আমাদের খাইয়ে পরিয়ে গায়ে গতরে বড় করেছে, সুন্দর করেছে কোরবানির বাজারে চড়া দামে বিক্রি করবে বলে। আর তুমি?

"আর আমি, আমরা?" চমকে উঠে ভাবেন ভদ্রলোক। "তাই তো আর আমি?" ভেবে আবার লজ্জিত চোখে তাকালেন ষাঁড়ের দিকে

পড়াশুনা করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছ, কেউ বা উকিল, কেউ বা রাজনীতিবিদ। সবই করছ নিজেদের বেশি দামে বিক্রি করার জন্য। পার্থক্য - আমরা গরুরা এসব করছি বাধ্য হয়ে, আর তোমারা, মানুষেরা করছ স্বেচ্ছায়। দিন দিন নিজেদের গড়ে তুলছ কোরবানির ষাঁড়ের মত আরও একটু বেশি দামে বিক্রী হওয়ার জন্য। টাকার পেছনে ছুটে জীবন শেষ, ভাবছ তোমরাই এসব টাকার মালিক, কিন্তু কখন যে টাকাই তোমাদের মালিক হয়ে গেছে সেটা টের পাওনি, এখনও পাওনা। স্বাধীনতার ধারণার রজ্জু কখন যে তোমাদের হাত, পা, বিবেক, বুদ্ধি - সবকিছু আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে সেটা বোঝার বোধটা পর্যন্ত তোমরা হারিয়ে ফেলেছ। আর "আমরা শ্রেষ্ঠ আমরা শ্রেষ্ঠ" এই মদে বুদ হয়ে নিজেদের নতুন নতুন মোড়কে দাসের বাজারে বিক্রির জন্য বসে আছ।

দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Thursday, February 13, 2020

বসন্ত

ছোটবেলায় বসন্তের প্রাদুর্ভাব ঘটলে আতংক হত, এখন বসন্ত ফুল চন্দন দিয়ে বরণ করে সবাই। ভ্যালেন্টাইন দিন বলে কথা।

দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

এক ছিল টুনা আর এক ছিল টুনি

আম আন, জাম আন, তবে তো পিঠা তৈরি করিব।
আম আসিল, জাম আসিল। টুনি আম, জাম খাইয়া নাক ডাকাইয়া ঘুমাইতে লাগিল। পিঠা আর তৈরি হইল না।
টুনার আর দুঃখের সীমা নাই। টুনার দুঃখ দেখিয়া টুনি তাহার পিঠে হাত বুলাইয়া বলিল,
রাজা বাদশাহরা আজকাল মানুষের মাথায় হাত বুলাইয়া ভোট লইয়া কোটি কোটি টাকা গায়েব করিয়া দিব্যি হাসিয়া খেলিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়। এই জন্য একটা মানুষও মনের দুঃখে বনে যায় না। তুমি আর কতদিন টুনা হইয়া বসিয়া থাকিবে, তোমাকে আর কতবার ঠকাইলে তুমি মানুষ হইবে?

দুবনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
 
 
 

ঈর্ষা

এক মৃত ব্যাক্তির কানে কানে প্রতিবেশি বলছে "ভাই, আপনি সত্যিই ভাগ্যবান। এ দেশে মানুষ থাকে? আপনি মরে তো বেঁচে গেছেন। এখন যত ধকল পোহাতে হবে আমাদের। কপাল, কপাল!"

দুবনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Wednesday, February 12, 2020

অক্ষমের ক্ষমতা

ক্ষমতার সাথে ক্ষমা কথাটা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, অক্ষমতাও। বর্তমানে ক্ষমতা অক্ষমতারই আরেক নাম। আর তার কারণ অন্যায়ের সাথে আপোষ করে অমৃত ভ্রমে ক্ষমতার মদ পানে আমাদের অতি আগ্রহ।

দুবনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অনুভূতি

মানুষের ঘাড়ে যখন চাপে অনুভূতির ভূত
চারিদিকে লাশের ভিড় জীবন পায়না যুত 

দুবনা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জমা খরচের কবিতা

ভোলগা জমেনি ভোলগায় তাই
জমেছে অনেক জল
ভোলগা না জমলে শীত জমে না
শীতাগমন বিফল

দুবনা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০



Tuesday, February 11, 2020

স্বপ্ন

অধিকাংশ মানুষের ভবিষ্যতের স্বপ্নের ভিত্তি অতীত বাস্তবতার উপর গড়া। তাই তারা স্বপ্ন দেখে রাম রাজ্য বা মদিনা সনদের। যারা বর্তমানের উপর ভবিষ্যতের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে তারা বলে বৈজ্ঞানিক আর মানবিক সমাজের কথা।

দুবনা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

কবি

খুশিতে গদগদ হয়ে ছেলেটা তার বান্ধবীকে বলল
- জান, আজ বই মেলায় এক ডাক সাইটে কবি আমাকে কবি বলে সম্বোধন করেছেন। দেখে নিও, আর ফেসবুক টেসবুক নয়, আসছে ফেব্রুয়ারিতে আমি কবিতার বই নিয়ে আসব বই মেলায়।
- হুম। তা কি বলল তোমার ডাক সাইটের কবি?
- আমরা একসাথে বসে চা খাচ্ছিলাম আর গল্প করছিলাম আধুনিক কবিতা নিয়ে। এক পর্যায়ে উনি জিজ্ঞেস করলেন "আর কিছু কবি?" এই প্রথম ওনার মাপের একজন লোক আমাকে কবি বলে ডাকলেন।
- তা তুমি কি বললে?
- এই প্রথম আমাকে কেউ চায়ের সাথে আর কিছু অফার করলেন। ভদ্রতা বলে তো একটা ব্যাপার আছে। আমি বললাম, "না না, আর কিছুর দরকার নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।"  

দুবনা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নন-কম্যুটেটিভিটি

নন-কম্যুটেটিভিটির উদাহরণ দেবেন?
পটল ক্ষেতে চোখে সর্ষে ফুল দেখা আর সর্ষে ক্ষেতে পটল তোলা।
দুবনা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Friday, February 7, 2020

কালেক্টিভিজম

ব্যক্তি মানুষের সুখ, দুঃখ, সাফল্য, ব্যর্থতা, ভাল লাগা, মন্দ লাগা ইত্যাদি সবই এখন সামাজিক মাধ্যমে সমষ্টিগত অনুভূতিতে পরিনত হচ্ছে। সুকেরবার্গরা মনে হয় এ যুগের স্ট্যালিন।

মস্কো, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০


Wednesday, February 5, 2020

গদ্যময় পৃথিবী

আমার গদ্যের বই - ইহা আসলে কি?
বৎস, ভাবে গদগদ হইয়া অদ্য তুমি যাহা কিছু লিখিয়াছ তাহাই গদ্য। আর এই গদ্যদের গাদাগাদি করিয়া সাজাইয়া যে বই তুমি বাহির করিয়াছ তাহাই তোমার গদ্যের বই।

দুবনা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Tuesday, February 4, 2020

সংজ্ঞা

স্কুলে ধর্ম বইতে পড়েছি "ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।", "ঈশ্বরের কোন আত্মীয় নেই।", "ঈশ্বর সর্ব শক্তিমান।", "তিনি সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ও ধ্বংসকর্তা।" মাত্র কয়েক দশকের ব্যবধানে কোটি কোটি মানুষ ঈশ্বরকে রক্ষা করতে মরীয়া হয়ে উঠেছে। স্বজন প্রীতির এই পৃথিবীতে তাহলে কি ভাবা হচ্ছে বডি গার্ড বিহীন, একাকী তিনি আর নিরাপদ নন? এটা ভেবে ভক্তরা কি ঈশ্বরের সংজ্ঞাটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন না?

দুবনা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

প্রশ্ন

বাউলদের উপর আক্রমণ আসলে বাউল গান, লালন গীতি, লোক গীতি ইত্যাদি যা যুগ যুগ ধরে এদেশের, বিশেষ করে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে লালিত হয়ে আসছে, সেই সব গানের উপর, এদেশের মানুষের বাঙ্গালীয়ানার উপর আক্রমণ। এদেশের মানুষকে ছিন্নমূল করার চক্রান্ত। হাজার বছরের সংস্কৃতি যেখানে মৌলবাদের আস্ফালনে পায়ের নীচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে না, এই বাংলা, বাঙ্গালী আর বাঙ্গালীয়ানার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু, একাত্তরের চেতনা - এসব মাটি খুঁজে পাবে তো?

দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Monday, February 3, 2020

যুগলবন্দী

তোমরা আমাকে ক্ষমতা দাও আমি তোমাদের সেচ্ছাচারিতার অধিকার দেব।

দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আপোষ

আপোষ - দুই পক্ষের ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে সমঝোতা। এক পক্ষের ছাড়ে আপোষ হয় না, একে বলে নতজানু হওয়া।

দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভাবনা

বাসার কুকুর বিড়াল খুব বাঁদরামি শুরু করলে বউ বলে "вы что, озверели?" মানে "তোমরা জানোয়ার হয়ে গেলে নাকি?" ওরা নিশ্চয়ই মনে মনে হাসে আর ভাবে ওরা আসলে মানুষ হয়ে গেছে।

দুবনা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সততা

আওয়ামী লীগ নেতা বললেন
"১০০ বছরে এরকম সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নি।"
আমি ১০০% সিওর নই তবে আমাদের এলাকার নির্বাচনের ইতিহাস কি এর চেয়ে লম্বা? তাহলে আর কার্পণ্য কেন? বললেই হয় সৃষ্টির শুরু আজ পর্যন্ত এটাই ছিল সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। ওনাকে ধন্যবাদ পরোক্ষ ভাবে আগের নির্বাচনগুলো যে সুষ্ঠু হয় নি সেই সত্যটা অফিসিয়ালি স্বীকার করে নেওয়ার জন্য।

দুবনা, "০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০


Sunday, February 2, 2020

আম ও জনতা

আমের সাথে সাথে আজকাল জনতাকেও ফর্মালিন দিয়ে এমন ভাবে নিস্তেজ করা হয় যে তার ভোট দেওয়ার শক্তি পর্যন্ত থাকে না

দুবনা, ০২০২২০২০

পথ

জনগণ স্বাধীনতা আর কাজের অধিকার চেয়েছিল আর নেতারা চেয়েছিল ক্ষমতা। তখনই তাদের পথ দু দিকে বেঁকে গেল।

দুবনা, ০২০২২০২০

Saturday, February 1, 2020

ভাবনা

ঢাকার মেয়র কে হল সেটা আমাকে ততটা ভাবায় না যতটা ভাবায় আমাদের নতুন জাতীয় সংগীত কি হবে সেটা।

দুবনা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

০২০২২০২০

মায়া

বাবা প্রতিদিন সকালে মালা জপতে জপতে প্রাতঃভ্রমণ শেষে ঘরে ফিরে গীতা বা চণ্ডী পাঠ করতেন। আমিও কখনও কখনও চণ্ডী পড়তাম সৃষ্টিরহস্য জানতে। রাজা সুমন্ত আর বৈশ্য সমাধিকে মেধা মুনি বলতেন "এই বাড়ি-ঘর, ধন- দৌলত, রাজ্য, আত্মীয়-স্বজন এ সবই মায়া, মহামায়া। এই মায়া থেকে মুক্তি পাওয়াই মানুষের উদ্দেশ্য।" তখন অবশ্য ভোট, সংবিধান এসব কিছু ছিল না। এখন বেঁচে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই আরও যোগ করতেন "সংবিধান, ভোট, গণতন্ত্র - এসবই মায়া, মহামায়া।"
দেশ, সংবিধান, রাজনীতি এসব যে মায়া দেশের মানুষ বহু আগেই বুঝেছিল। ভোটের উপর তবুও আস্থা ছিল। বিগত দিনগুলোতে সেই আস্থাও কর্পূরের মত উবে গেছে। মায়াবী বাংলাদেশ এখন মায়ায় পরিণত হয়েছে, হচ্ছে। হ্যাঁ, ঠিক বুঝেছেন, দেশও এখন আরবের মরুভুমি। আর এখানে সেখানে যে সবুজের ছাপ সেটা মরীচিকা, মায়া। এরপরে মোক্ষ লাভ না করে আর উপায় আছে?

দুবনা, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০