Thursday, December 31, 2020

আলো

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। অর্জিত জ্ঞান আমাদের ভয় দূর করে, সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে। অজ্ঞতাজনিত যে ভয় সেটাকে জয় করতে পারলে পাহাড়সম বাধাও অবলীলায় অতিক্রম করা যায়।

দ্মিত্রভ, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

প্রশ্ন

কিছু কিছু প্রশ্নের পজিটিভ উত্তর যেমন ভয়ঙ্কর, নেগেটিভ উত্তর তেমনি তার চেয়ে আরও বেশি ভয়ঙ্কর কেননা আবার নতুন করে শুরু করতে হয় উত্তর খোঁজা।

দ্মিত্রভ, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

Sunday, December 27, 2020

বন নদী বরফ


সেভা ফিরে গেল মস্কো। গতকাল আর গত পরশু ওকে নিয়ে ঘুরলাম ভোলগার তীরে আর পাশের বনে। মূলত গল্প করা বা বলা চলে জীবন নিয়ে ওর চিন্তা ভাবনা শোনা আর ওর জায়গায় আমি কী করতাম বা করি সেটা বলা। কোন আদেশ উপদেশ নয়, শুধুই কথা বলা, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা। সেই সাথে কিছু ছবিও তুললাম।

দুবনা, ডিসেম্বর ২৫ - ২৬, ২০২০






















স্বীকারোক্তি


আপনি প্রায়ই ছোট ছোট স্ট্যাটাস দেন আবার ক দিন পরপর বড় কিছু লেখেন। ঘটনা কী?
আমি আগে এক কথায় প্রকাশ করি পরে সে সবের ভাব সম্প্রসারণ করি। খুব সোজা হিসাব!

দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

প্রাগমাটিজম


যাই বলুন আমরা কিন্তু খুবই প্রাগমাটিক। কী হবে শুধু শুধু পালে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে? তাইতো নৌকায় ধান আর দাড়ি পাল্লা রাখি। ঘুরাঘুরিও হল আবার প্রয়োজনে বিক্রি বাট্টাও।

দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

Saturday, December 26, 2020

গোলামি

গোলামি অর্থাৎ আমি যখন গোল। ধার নেই, কাঁটা নেই। সব সময়ই এক রকম। সব সইতে হয়। জীবনের ভার বইতে হয়। একই চক্র আজীবন। দুবনা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

ছোট বড়

বছরের অন্যতম ছোট দিনটা অবলীলায় বড় দিন হয়ে গেল শুধু ছোট ছোট মানুষেরাই বড় হতে পারল না।

দুবনা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

কথা

এক ফাল্গুনে বসন্ত যায় না। দুবনা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

Thursday, December 24, 2020

আবারও মাছ

গতকাল মাছ ধরা নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম। বন্ধু তপন বলল ও আসবে মাছ ধরতে। আইডিয়াটা কতটুকু ভালো কে জানে? আসলে আমি মাছ শিকার করি না। শিকার করি ছবি আর আইডিয়া, কখনও শুনে, কখনও পড়ে আবার কখনও বা ভেবে। তবে মাছের ব্যাপারে আমার সব সময়ই এক ধরণের রিজার্ভেশন আছে। দেশে মাছ পছন্দ করতাম না, হাতে গনা দু চার পদের মাছ খেতাম। কখনও কখনও মনে হত মা আমাকে খাওয়ানোর জন্য বোয়াল মাছ রুই মাছের মত কেটে রান্না করে খেতে দেন। ফলে কই, চিতল, রুই, কাজলী, বাতাসী আর সম্পুরনখা - এই প্রিয় মাছগুলোও কখনও কখনও সন্দেহের কারণে বাতিল হয়ে যেত। এখন অবশ্য মাছ খাই, তবে মূলত সামুদ্রিক আর পেস্ট করা। তাতে ঝামেলা কম। এতে মাছগুলো নিজেরাই নাম-গোত্রহীন হয়ে যায়। আমি ওদের বলি সাম্যবাদী মাছ। বড়শি দিয়ে মাছ মারিনি কোন দিন, কারণ কোন এক সুদূর অতীতে আমার এক মাসী (আসলে ভাগ্নি) নাকি বড়শি ফেলতে গিয়ে সেটা পিঠে গেঁথে ফেলে। সেটা শুনেই ভয়। তাই বড়শি ফেলে মাছ আর মারা হয়নি। ১৯৯৬ সালে বৌ ছেলেমেয়েরা যখন দুবনা আসে ওরা প্রায়ই ঘটা করে মাছ ধরতে যেত ভোলগায়। মাছ ধরা তো নয় মজা করা। মাছ পাক না পাক, এই উপলক্ষ্যে নদীর তীরে ছোটোখাটো একটা পিকনিক হয়ে যেত। তবে আমি কখনও যেতাম না, গেলেও মাছ না ধরে ছবি তুলতাম। একবার মনে হয় মাছ ধরতে গিয়ে খুব দামী একটা বড়শি  ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এরপর থেকে গুলিয়া আর কখনও আমাকে ভিসা দেয়নি। কয়েক বছর আগে মস্কো থেকে এক বন্ধু আসে আমার এখানে বেড়াতে। ওর ইচ্ছা ছিল মাছ ধরার। তবে পারমিশন পাওয়া যায়নি বড়শি ব্যবহারের (ওগুলো কোথায় যেন ছিল, জানতে চাইলে বলেনি)। আমাকে নাকি এ ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। অবাক কাণ্ড। গুলিয়া বিশ্বাস করে আমার কাছে  নিজের দেহ ও মন বর্গা রাখল আর সামান্য একটা বড়শি বিশ্বাস করে দিতে পারল না। মানুষ মনে হয় এমনই। দরকারি জিনিস অনায়াসে অন্যদের দিয়ে দেয় অথচ অদরকারি জিনিসপত্র (আচ্ছা টাকা পয়সা আর জ্ঞানের মধ্যে কোনটা সত্যিকারের দরকারি?) দিতে চায় না। তপনকে তাই লিখলাম, মাছ ধরতে চাইলে ও যেন গুলিয়ার সাথে ভাব জমায়। 


দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ 




Wednesday, December 23, 2020

চরিত্র

শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসও চরিত্রহীন হল। রাজনীতিবিদদের মতই ভোল বদলাতে শুরু করল।

দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

লুকোচুরি

অনেক আগে, ১৯৯৪ সালে তখন সবে মাত্র দুবনা এসেছি। থাকি হোস্টেলে। শীতের সকালে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভোলগা। দূরে দেখি জমে যাওয়া ভোলগায় বসে বসে বুড়িরা কী যেন করছে। আসলে দূরের ঐ মানুষগুলো বুড়ি কি না সেটা জানতাম না, তবে ছোট ছোট মোটাসোটা মানুষগুলোকে দূর থেকে রুশ বাবুশকাদের মতই মনে হত দেখতে। দেখতাম আর ভাবতাম কী করছে তারা ওখানে? অনেক পরে জেনেছি এরা আসলে বুড়ি নয়, মাছ শিকারী। মূলত পুরুষ। তখন মনে পড়ল ছোটবেলায় পড়া শেয়ালের গল্প যে বুড়োর মাছ চুরি করেছিল আর ভালুককে বরফের গর্তে লেজ ডুবিয়ে বসে থাকতে প্ররোচিত করেছিল। নিজে কখনই মাছ ধরা পছন্দ করতাম না, তবে বার দুয়েক সেসব এলাকায় গেছি ছবি তুলতে। গতকাল পলিক্লিনিক থেকে ফিরছিলাম ভোলগার ধার দিয়ে। এমনিতেই। আসলে এমনিতে নয়, তাতে বাড়তি কিলমিটার ২ হাঁটা হয় তাই প্রায়ই ঘোরা পথে বাড়ি ফিরি। হঠাৎ দেখলাম একজন বসে গর্ত খুঁড়ছে। বুঝলাম মাছ সাথ একটা বোঝাপড়া হবে তার। তাই বাসায় ফিরে ক্যামেরা নিয়ে আবার গেলাম। এখন সে আর একা নয়, সাথী জুটেছে। আসলে মাছা ধরা এদের অনেকেরই শখ, অনেক সময় কয়েকদিনের জন্য চলে আসে লোকজন। কখনও একা, কখনও দল বেঁধে। আসে মূলত মস্কো থেকে। ট্রেনে যখন এরা এক সাথে মস্কো ফিরে বড়শি আর মাছ রাখার বিশেষ কন্টেইনার নিয়ে, ওদের মুখে শুধুই মাছের গল্প। বিশাল বিশাল মাছের। আমার বৌ বাচ্চারাও আগে যেত মাছ ধরতে। একবার গুলিয়া এক মাছ ধরছিল যা এ এলাকায় খুব একটা দেখা যায় না। এখনও সুযোগ পেলে সে গল্প শোনায়। আবার বান্ধবীরা বেড়াতে এলে ওদের নিয়ে ভোলগায় মাছে সন্ধানে। তবে অধিকাংশ মানুষের জন্য এটা একটা নেশা। মাছ পেল কিনা সেটা বড় কথা নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর ধারে বসে থাকা, মাঝে মধ্যে একটু ভোদকা খাওয়া আর রাতে তাবু বা গাড়িতে ঘুমানো - এর রমাঞ্চই অন্য রকম। এবার বরফ এখনও ঠিক জমেনি। পুলিশ এসে সরিয়ে দেয়। তবে কে শোনে কার কথা। লোকজন গাড়ি চালিয়ে চলে যায় অনেক দূরে। প্রতিবছরই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, গাড়ি চলে যায় জলের নীচে, অনেকের সলিল সমাধি হয়। কিন্তু তারপরেও এরা এসব কেয়ার করে না। ইতিমধ্যে দুবনায় জনা পাঁচেক ডুবেছে বলে শুনেছি। তবে মৃত্যুর কথা শুনিনি। ভোলগার তীরে আর মস্কো সাগরে সারা বছরই ইমারজেন্সি ব্রিগেড থাকে ওদের সাহায্য করার জন্য। ভাগ্য তেমন খারাপ না হলে জলে ডুবে যাওয়া অধিকাংশ শিকারীর ভ্রমণ শেষ হয় পুলিশের ফাঁড়িতে আর কখনও এমন কাজ করবে বলে লিখিত দেওয়ার মধ্য দিয়ে। তবে থানা থেকে বেরিয়েই এরা এসব কথা ভুলে যায়।


দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০













দোকান


দোকান মোদের দু কান ধরে টানে পন্যের কাছে আদর্শ হার মানে ভোগের রোগে ভুগছি মোরা সবাই ভোগের পেছনে আজীবন ছুটে বেড়াই জীবন তো নয় এ যেন হাট বাজার জীবন যেন কেনার কিংবা বেচার
এই বাজারে সবাই করে বেচা কেনা
যমের ব্যাঙ্কে সময় করে দেনা
দোকান দোকান কথা চলে এ কান ও কান
জীবন মানেই সময়ের স্রোতে ভেসে চলা গিগা দোকান

দুবনা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

Tuesday, December 22, 2020

সরকার


সোভিয়েত জীবনের একটা শিক্ষা - সরকারি মাল কেউ যত্ন করে রক্ষা করতে চায় না, উল্টো যে যেভাবে পারে নিজের পকেটে, নিদেন পক্ষে দরিয়ায় ঢালে। বর্তমানে পেলাম দ্বিতীয় শিক্ষা - সরকার নিজেই সরকারি মাল।

দুবনা, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

Sunday, December 20, 2020

সৈনিক

সৈনিকের মুখ্য পরিচয় ইউনিফর্মে। আদর্শ সেখানে গৌণ। প্রসঙ্গ মুজিব সৈনিক, মুজিব কোট ও মুজিববাদ।

দুবনা, ২১ ডিসেম্বর ২০২০


মেঘ সূর্য

ধুসর মেঘের কম্বল মুড়ি দিয়ে আকাশ সেই কবেই ঘুমিয়ে পড়েছে। সেই কম্বলের ফাঁক দিয়ে সূর্যটা পর্যন্ত উঁকি দিতে পারছে না।

দুবনা, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

বন্ধু ও শত্রু


বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আওয়ামী অতিথি লীগের দলীয় সঙ্গীত! "তুমি একজনই শুধু বন্ধু আমার শত্রুও তুমি একজনই।"

দুবনা, ২০ ডিসেম্বর ২০২০


Friday, December 18, 2020

দাবি


ফেসবুকে অনেককেই দেখি ঈশ্বরের কাছে ভুল বানানে বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করতে। তিনি শিক্ষিত হলে ভুল দাবি পূরণ করবেন না, আর তিনি যদি ভুল বুঝতে না পারেন এমন ঈশ্বর দিয়ে আমরা কী করব?

দুবনা, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

রিস্ক

রুশীরা বলে যারা রিস্ক নেয় তারাই শ্যাম্পেন খায়। আমাদের ধর্মপ্রাণ সরকার শ্যাম্পেন খায় না। তাই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তার রিস্ক নেওয়ার কোন কারণ নেই।

দুবনা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

Thursday, December 17, 2020

ধর্ম চোরা

আগে বলত "চোরা নাহি শোনে কভূ ধর্মের কাহিনী"। এখন দেখি চোরেরাই বেশি বেশি ধর্মের কাহিনী শোনে। শুধু শোনেই না বলেও।

দুবনা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

Wednesday, December 16, 2020

কথা


বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সকল জনগণকে সমান অধিকার দেওয়ার সাথে সাথে সেই অধিকার যাতে সবাই উপভোগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করাও সরকারের কর্তব্য। শুধু আইন প্রনয়ন করে মানুষকে অধিকার দিলেই চলবে না, আইন প্রয়োগ করে সেটা নিশ্চিত করতেও হবে। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পরে এদেশের মানুষ এটা আশা করতেই পারে। কথা দিলেন। এখন কথা রাখুন। জাতি অপেক্ষায়।

দুবনা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

Tuesday, December 15, 2020

বিজয় দিবস

বাংলা ভাষা, বাঙালি আর বাংলার মাটি যতদিন থাকবে রাজনৈতিক পরিবেশ যতই প্রতিকূল হোক না কেন একুশ, ছাব্বিশ আর ষোল থাকবে আর এরাই যুগের পর যুগ মনে করিয়ে দেবে এদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা, তাদের বীর গাঁথা। বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা!  

দুবনা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ 

দায়

 

ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে যেমন জন্ম নিয়েছে মোল্লাতন্ত্র ঠিক তেমনিই বুদ্ধিজীবীদের থেকে জন্ম নিয়েছে বুদ্ধি দুর্বৃত্ত। সৎ বংশে যেমন কুলাঙ্গার জন্মায়, অপরিচর্যায় সৎ মানুষও অসৎ হয়। আজকের বাংলাদেশ একাত্তর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সমস্ত সরকার, সমস্ত বিরোধী দল, সমস্ত মানুষের সম্মিলিত কর্মের ফল - কোন কোন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় উন্নতি আর মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে লজ্জাজনক অধঃপতন। এর দায় আমাদের সম্মিলিত - কারও কম, কারও বেশি।

দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

সরকার কার?

আচ্ছা সরকার কি শুধুই কওমী মাদ্রাসার? সরকার এদের সাথে পরামর্শ করলেও জনগণের কথা শুনতে চায় না কেন? দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০


সনদ

৭১ চেতনার দেশে মূল্যবান ছিল মুক্তিযোদ্ধা সনদ। এখন চাহিদা মুসলমান সনদের। অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে স্বদেশ মদিনার পানে।

দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

মালিকের মাল


আগে মানুষ বনে বাস করত। বনের মাঝে বনের সাথে তার ছিল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। তারপর মানুষ বনকে নিজের করে নিল, মানে জমির মালিক হল। বন কেটে ঘরদোর তৈরি করল। কিন্তু মালিকানার শখ তার কমল না। এরপ শুরু হল ঘরকে বন বানানর পালা। ঘর বাগান, ছাদ বাগান। এরপর কী? স্বর্গোদ্যান?

দুবনা, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

Saturday, December 12, 2020

বন্যেরা বনে সুন্দর


অনেক দিন পরে আবার বনে গেলাম। বরফ পড়ার পর এই প্রথম। বন, নদী, প্রকৃতি কখনই পুরানো হয় না। প্রতিবারই নতুন রূপে দেখা দেয়। এত যাই, কখনও বোরিং লাগে না। সব সময় নতুন কিছু খুঁজে পাই। সাধারণত ঘুরি পিক ত্যাপকিনায়। এখানে ছোটছোট ছেলেমেয়েরা স্লেজে করে নীচে নামে। বাচ্চারা যখন ছোট ছিল তখন ওদের নিয়ে যেতাম। তারপর ঘুরতে ঘুরতে যাই চিওরনায়া রেচকা বা কালো ঝর্ণার ওখানে। কালো ঝর্ণা আসলে কৃত্রিম। তিরিশের দশকে যখন ইভাঙ্কভস্কোয়ে রিজারভয়ার বা মস্কো সী তৈরি করা হয় মস্কো নদীর সাথে ভোলগার সংযোগের জন্য (আসলে সে সময় মস্কো শহরে ব্যবহৃত জলের প্রায় ৮০% যেত এই পথেই, ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বাঁধ ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল জার্মানি) তখন এখানকার জলের লেবেল উপরে উঠে যায়, বনের মধ্যে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ওটাই ঝর্ণার রূপ নিয়ে মিলে ভোলগায়। আমরা যখন পুরানো বাসায় ছিলাম সেটা বইত বাড়ির পাশ দিয়ে। এখানে বিভিন্ন গাছ জন্মাত। ছেলেমেয়েদের হাতের কাজের জন্য তখন সেখান থেকে এই গাছগুলো কেটে আনতাম। পরে সেই ঝর্ণাকে বন্দী করে পাইপের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আর তার উপরে তৈরি হয় তিনটে নতুন বিল্ডিং। এখন ওর একটাতেই আমার বাস। আজ ওর ছবি তুলতে তুলতে কথাটা হঠাৎ মনে হল।

দুবনা, ১২ ডিসেম্বর ২০২০









Friday, December 11, 2020

মাস্ক



ঘরে ফিরতে আমার প্রায়ই দেরি হয়। রাস্তা পার হতে গিয়ে ভাবি অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া আমাকে গাড়ি চাপা দেবে না তো? সাদা মাস্ক এখন হেড লাইটের কাজ করে করোনা না তাড়ালেও উপস্থিতির জানান দেয়।

দুবনা, ১২ ডিসেম্বর ২০২০


আবার ভোলগা আবার সূর্যডুবি


আজ হাঁটলাম দুবনা ব্রীজের আশেপাশে, আর সূর্য যখন ডুবে গেল গেলাম ব্রীজের মাঝখানে। এমনিতেই ঠাণ্ডা, নদীর কনকনে বাতাস। তবে দুটো ছবির জন্য এটুকু সহ্য করতেই হয়। যারা সাহসী, নদীর উপর সাইকেল চালাচ্ছে বা হেঁটে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ মাইনাস তাপমাত্রা থেকে চার ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের জলে ঢুকে যায় শীত এড়াতে। তবে তারা এক্সট্রিমাল। জীবন মরণের তোয়াক্কা করে না।

দুবনা, ১১ ডিসেম্বর ২০২০









সম্পর্ক

এক বন্ধু জানতে চাইল দুবনা ভোলগার শাখা না উপনদী। কি উত্তর দিই। বললাম দুবনার জন্ম ভোলগায় হলে শাখা বলা যেত। কিন্ত ভোলগায় তো দুবনার মৃত্যু হয়েছে। আধুনিক পরিভাষায় দুবনা হল গিয়ে ভোলগার ক্রেডিটর।

দুবনা, ১১ ডিসেম্বর ২০২০