Tuesday, December 1, 2020

ওজন আর সাইকেলের গল্প

এক সময় ঠাণ্ডা বা গরম লাগছে কিনা এ প্রশ্নের আমার ষ্ট্যাণ্ডার্ড উত্তর ছিল হাড্ডির আবার গরম ঠাণ্ডা। আমার ধারণা ছিল যাদের হাড্ডি মাংস আর চর্বির ওভার কোট পরে থাকে তাদের নিশ্চয়ই একটু গরম লাগে।

এক সময় আমি সারা বছরই সাইকেল চালাতাম। বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা যখন ছোট ছিল সাইকেল ছিল পুষ্পক রথের মত। ওদের অনবরত এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে, গানের, নাচের বা ছবি আঁকার ক্লাবে নিয়ে যেতে সাইকেল ছিল আনপ্যারালেল।
আমার শীতে সাইকেলে চড়ার রেকর্ড মাইনাস ২৫ ডিগ্রি। সেদিন অর্ধেক পথ গিয়ে না যেতে পারছি সামনে, না পেছনে। এরপর থেকে তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ নীচে নামলে ওকে আস্তাবলে রাখি। তবে শীতে সাইকেল চালানোর একটা প্লাস পয়েন্ট অনেকেই, বিশেষ করে বৃদ্ধারা আমার দিকে তাকিয়ে বলে "হা ঈশ্বর, হা ঈশ্বর।" আমিও মনে মনে ভাবি এইসব নাস্তিকদের ঈশ্বরকে স্মরণ করতে উদ্বুদ্ধ করায় আমার পুণ্যের ঘরে দু চার পয়েন্ট যোগ হলে হতেও পারে।
সেদিন রাতে অফিস থেকে আসার পথে দেখি হাত জমে যাচ্ছে। কারণ? করোনা কালে শরীরে চর্বি আর মাংসের প্রলেপ পড়েছে। সমাজে নিজের ওজন মানে ওয়েট না বাড়লেও শরীরের ওজন ৬ কেজি বেড়ে গেছে। হয় এই এক্সট্রা ওজন বইতে বেশি শক্তি ব্যয় হচ্ছে নয়তো হাড্ডির উপর চর্বি আর মাংসের জ্যাকেট ট্রয়ের ঘোড়ার মত শীতকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। বয়সও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। গবেষণার ব্যাপার!
দুবনা, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

No comments:

Post a Comment