অনেক দিন পরে আবার বনে গেলাম। বরফ পড়ার পর এই প্রথম। বন, নদী, প্রকৃতি কখনই পুরানো হয় না। প্রতিবারই নতুন রূপে দেখা দেয়। এত যাই, কখনও বোরিং লাগে না। সব সময় নতুন কিছু খুঁজে পাই। সাধারণত ঘুরি পিক ত্যাপকিনায়। এখানে ছোটছোট ছেলেমেয়েরা স্লেজে করে নীচে নামে। বাচ্চারা যখন ছোট ছিল তখন ওদের নিয়ে যেতাম। তারপর ঘুরতে ঘুরতে যাই চিওরনায়া রেচকা বা কালো ঝর্ণার ওখানে। কালো ঝর্ণা আসলে কৃত্রিম। তিরিশের দশকে যখন ইভাঙ্কভস্কোয়ে রিজারভয়ার বা মস্কো সী তৈরি করা হয় মস্কো নদীর সাথে ভোলগার সংযোগের জন্য (আসলে সে সময় মস্কো শহরে ব্যবহৃত জলের প্রায় ৮০% যেত এই পথেই, ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বাঁধ ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল জার্মানি) তখন এখানকার জলের লেবেল উপরে উঠে যায়, বনের মধ্যে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ওটাই ঝর্ণার রূপ নিয়ে মিলে ভোলগায়। আমরা যখন পুরানো বাসায় ছিলাম সেটা বইত বাড়ির পাশ দিয়ে। এখানে বিভিন্ন গাছ জন্মাত। ছেলেমেয়েদের হাতের কাজের জন্য তখন সেখান থেকে এই গাছগুলো কেটে আনতাম। পরে সেই ঝর্ণাকে বন্দী করে পাইপের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আর তার উপরে তৈরি হয় তিনটে নতুন বিল্ডিং। এখন ওর একটাতেই আমার বাস। আজ ওর ছবি তুলতে তুলতে কথাটা হঠাৎ মনে হল।
No comments:
Post a Comment