Saturday, April 27, 2024

প্রশ্ন

আমাদের কিছু কিছু ক্রিকেটার নাকি মহিলা আম্পায়ারদের অধীনে খেলতে অস্বীকার করেছে। এটা কি নারী বিদ্বেষ নাকি নারী ভীতি? এখন এদের বিরুদ্ধে আইসিসি কি ছিঃ ছিঃ প্রস্তাব আনবে? সম্ভাব্য শাস্তি কী হতে পারে? 

দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪


ঋতু

দেশে শুনলাম গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। গরমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করার কোন সুযোগ আছে কি? আর বৃষ্টির জন্য কয়েক মাসের ফ্রি এন্ট্রি ভিসা দেবার কথা ভেবে দেখা যায়। ঋতুরাও আজকাল বাঁদরামি করছে - সময় মত আসছে না। গরমকালে শীত আর শীতকালে গরম এলে ওরা বরং জামাই আদর পেত। মার্কেটিং এর উপর ওদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের ফ্রি কোর্স চালু করা যেতে পারে। 

দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Tuesday, April 23, 2024

ছবি

ফেসবুকে প্রচুর ছবি দেখবেন মস্কো বা রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়নের যেখানে সবাই বই বা কোন কিছু পড়ায় ব্যস্ত। পড়ুয়া জাতি বলে রুশদের দুর্নাম (সুনামও পড়তে পারেন ইচ্ছে হলে) আছে। আমি সাধারণত অনেক রাতে দুবনা ফিরি। এটা সাবিওলভস্কায়া রেল স্টেশন। এ চিত্র অবশ্য যেকোন স্টেশনের। এখন ছবিটা দেখে মনে হল কী যেন একটা নেই। ঠিক। বাদামের খোসা নেই, ছেঁড়া কাগজ নেই। কিচ্ছু নেই। আমাদের দেশে তো খাবার আর কাগজ দিয়ে স্টেশন, রাস্তাঘাট সব গিজগিজ করে। তাহলে খায়, পড়ে কে? এরা না আমরা? 

দুবনা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

গরমে রম

দেশে শুনলাম প্রচন্ড গরম। গরমে সবাই অতিষ্ঠ। আচ্ছা দেশের জনগণের এক বিশাল অংশ যখন পোশাক পরিচ্ছদে, চলনে বলনে, এমনকি মনেপ্রাণে আরব হতে চায় তবে সেদেশের মরুভূমির গরমের প্রতি এত অবজ্ঞা কেন? আরব আমিরাতের পর সৌদি আরব নাকি বন্যার কবলে। তবে জানা যায়নি এর সাথে আরবদের বাংলাদেশি হবার ইচ্ছা জড়িত কিনা। ভয়ের কিছু নেই। শীত ইতিমধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করেছে। কাগজপত্র রেডি হলেই চলে আসবে আর গরম পালাবে।

দুবনা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Sunday, April 21, 2024

সমস্যা

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আসল সমস্যাটা আইডেন্টিফাই না করতে পারা আর করতে পারলেও সেটা সঠিক ভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে দৈন্যতা। ফলে প্রায়ই ভাঙ্গা রেকর্ডের মত একই মিউজিক বার বার বাজিয়ে যাই। এর একটা কারণ হতে পারে আমরা এ বিষয়ে অন্যদের যুক্তি হয় শুনি না অথবা ইচ্ছা করে এড়িয়ে যাই। অথবা হাজারো সম্ভাব্য সমাধানের কোন একটাকে অন্ধভাবে একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি। দশজনের সাথে চলতে গেলে বলার পাশাপাশি শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়, নিজের অধিকারের পাশাপাশি অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। 

মস্কো, ২২ এপ্রিল ২০২৪

আত্মবিশ্বাস

আমরা প্রত্যেকেই নিজের সততা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে কখন যে অসৎ ও অন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছি সেটাই টের পাচ্ছে না। নিজের মত ও নিজের পথ নিজের জন্য কার্যকর হলেও অন্যদের কাছে যে সেটা গ্রহণযোগ্য বা ফলপ্রসূ হবে তা কিন্তু নয়। এই সহজ সত্যটি না বোঝার ফলে নতুন নতুন সমস্যার বোঝা সমষ্টির কাঁধে চেপে বসেছে। ফলে আমরা সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছি। 

মস্কোর পথে, ২১ এপ্রিল ২০২৪

Monday, April 15, 2024

ইলিশের জুতা

মানুষ বেশি বেশি উপার্জন করতে চায়, নিজেদের দাম বাড়াতে চায়। অথচ আলুটার, মূলোটার, ইলিশটার দাম বাড়লেই হিংসায় জ্বলে ওঠে। বলি তরমুজ, ইলিশ ওদের কি সাধ আহ্লাদ নেই, উৎসবে ওদের কি নামীদামী হতে ইচ্ছে করে না? ইলিশের জুতাজোড়া একটু নিজে পরুন। দেখবেন সব কেমন জলের মত পরিস্কার হয়ে গেছে।

মস্কো, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

Sunday, April 14, 2024

নিরামিষ

কিছু কিছু পোস্ট দেখে মনে হয় কোথাও কোথাও ননভেজ মানুষদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। মনে পড়ে গেল বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটা কনফারেন্সের পার্টিতে একজন আমাকে একটু পর পর জিজ্ঞেস করছিলেন এই খাবারটি ভেজ কিনা। আর আমাকে প্রায়ই এসব খেয়ে তাদের নিরামিষত্ব প্রমাণ করতে হচ্ছিল। এক সময় আমি তাকে বললাম আপনি বরং বসে বসে ওয়াইন আর ভোদকা খান। ওটা ১০০% ভেজ। এটা আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আপনারাও ভেবে দেখতে পারেন।

মস্কোর পথে, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

Wednesday, April 10, 2024

স্কীল

ঈদ বলে কিনা জানিনা তবে খাবারটা আজ আবার বিট্রে করল, পুড়ে গেল। এমনকি মুখ পর্যন্ত বলল এটা নাকি অখাদ্য। দিন দিন রান্নার হাত তার স্কীল হারাচ্ছে নাকি মুখ তার খাওয়ার স্কীল হারাচ্ছে সেটাই এখন গবেষণার বিষয়। মুস্কিল!

দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০২৪

Tuesday, April 9, 2024

দৃষ্টিভঙ্গি

ছোটবেলায় মনে হয় বড় হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। ছাত্র জীবনে মনে হয় পড়াশোনা শেষ করলেই জীবন সুখের সাগরে ভাসবে। বাবার হোটেলে ভাত খেয়ে জোৎস্না রাতে প্রেমিক বা প্রেমিকার পাশে বসে ভবিষ্যতে কথা ভাবতে ভাবতে মনে হয় এক বার বিয়েটা হয়ে গেলেই জীবন সফল হবে। বাস্তবে দেখা যায় একটি সমাধান নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দেয়। বড় হলে স্কুলে যেতে হয়, শুধু খেলার পরিবর্তে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশ করে চাকরির জন্য জুতার সুকতলা ক্ষয় করতে হয়। বিয়ের পর সংসার চালানোর জন্য আয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষা দিতে হয়। এর মানে জীবনে চিরস্থায়ী সমাধান বলে কিছু নেই, আছে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান খোঁজা। ফিজিক্সেও তাই। এজন্যেই ফিজিক্স জীবনের সাথে এত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আমরা সাধারণত সেভাবে ভাবি না। আশু সমাধানকে চুড়ান্ত সমাধান মনে করে প্রায়ই কষ্ট পাই। পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নিজের অবস্থানকে অপরিবর্তনীয় রাখার ব্যর্থ হলে প্রায়ই মানবিক গুনাবলী হারিয়ে ফেলি।

দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

Sunday, April 7, 2024

আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব

সবই আপেক্ষিক। যারা প্রশংসা পছন্দ করে তাদের কাছে অন্যের চাটুকারিতা সুন্দর, যদিও অন্যদের কাছে বিরক্তিকর। এক মাতালের কাছে সহমাতালের জড়ানো কথা সুন্দর। প্রেমিক প্রেমিকার কাছে অব্যক্ত ভাষা সুন্দর। সাধারণ মানুষের কাছে বেস্ট সেলারের ভাষা সুন্দর, সাহিত্য সমালোচকদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য প্রকাশ সুন্দর। কেউ ওয়াজের ভাষা পছন্দ করে কেউ বৈজ্ঞানিক যুক্তি। কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করার জন্য কারোও বক্তব্য একজনের কাছে যুক্তিপূর্ণ মনে হয়, অন্যের কাছে এটা মনে হয় কুযুক্তি। সমস্যা হল আমরা কখনো নিজেকে অন্যের স্থানে প্রতিস্থাপন করতে পারি না বা চাই না। নিজের অবস্থান থেকে যেটা ভালো মনে করি সেটাকেই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। তাহলে ভালোমন্দের ক্রাইটেরিয়া কি? বক্তার মুখ আর শ্রোতার কান, লেখকের কলম আর পাঠকের মন যখন একই কম্পনাঙ্কে অনুরণিত হয় তখন সেটা সুন্দর, অন্যথায় অসুন্দর।

মস্কোর পথে, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

Friday, April 5, 2024

পরিবেশ

শাসক আর শাসিত সবাই সুশাসন চায়। শাসক সুশাসন বলতে বোঝে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা আর সেটা রক্ষা করতে গিয়ে সে একদিন শোষকে পরিণত হয়। শাসিতও সুশাসন চায়, তার কাছে সুশাসন মানে শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়া। অপেক্ষায় থেকে একদিন সে শোষিতে পরিণত হয়। কালক্রমে যদি শোষিত যদি শাসকের আসন দখল করতে পারে সে শোষিত হিসেবে তার সংগ্রাম, তার আশা আকাঙ্ক্ষার কথা ভুলে যায়, সে হয় শোষক। শাসক, শোষক, শাসিত, শোষিত - এসব আসলে এক ধরণের পরিবেশ, এক ধরণের গুন বা দোষ। মানুষ যখন যেখানে পড়ে সেখানে সে সেই ধরণের গুন বা দোষ দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একই মানুষের চরিত্র আর কাজকর্ম দেখে সেটাই মনে হয়।

দুবনা, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

Thursday, April 4, 2024

চরিত্র

সোভিয়েত ইউনিয়ন আর রাশিয়ায় কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হলে বলা হয়, এখন যদি ইস্ত্রি অন কর সেখান থেকেও দেখবে এই আলোচনা বের হবে। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ আর সলিমুল্লা (নবাব ও আম জনতা - দুজনেই) কে নিয়েও সেই একই অবস্থা বিরাজমান। এবং এখানেও সেই নাস্তিক আর আস্তিকের মত অবস্থা। একদল বিশ্বাস করবেই যে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন, আরেক দল প্রমাণ করবেই যে স্যার সলিমুল্লা ৬০০ একর জমি দেননি। কিন্তু আসল কথা হল ঢাকা ভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা রবীন্দ্রনাথকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাতে চায় তারা কখনোই কোন দলিল খুঁজে দেখবে না, তারা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আসেনি, তাদের উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথকে হেয় করা। বদ লোকেরা ভালো মানুষদের নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলে, কারণ এটা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এটা তাদের জীবন ধারণের প্রধান অবলম্বন। শুনেছি কিছু কিছু মানুষ দিনে যদি মিথ্যা কথা না বলে তার নাকি রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ভালো মানুষ যদি সেটা মিথ্যা প্রমাণ করতে যায় তাহলে শুধু নিজের শক্তিক্ষয় আর মানসিক অশান্তি ছাড়া কিছু লাভ হয় না। হ্যাঁ, মানহানির মামলা করতে পারে। কিন্তু এখানে কে বাদী আর কে বিবাদী হবে সেটাও প্রশ্ন। দেশ মনে হয় আবার ইস্যুর অভাবে ভুগছে।

দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৪