সোভিয়েত ইউনিয়ন আর রাশিয়ায় কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হলে বলা হয়, এখন যদি ইস্ত্রি অন কর সেখান থেকেও দেখবে এই আলোচনা বের হবে। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ আর সলিমুল্লা (নবাব ও আম জনতা - দুজনেই) কে নিয়েও সেই একই অবস্থা বিরাজমান। এবং এখানেও সেই নাস্তিক আর আস্তিকের মত অবস্থা। একদল বিশ্বাস করবেই যে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন, আরেক দল প্রমাণ করবেই যে স্যার সলিমুল্লা ৬০০ একর জমি দেননি। কিন্তু আসল কথা হল ঢাকা ভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা রবীন্দ্রনাথকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাতে চায় তারা কখনোই কোন দলিল খুঁজে দেখবে না, তারা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আসেনি, তাদের উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথকে হেয় করা। বদ লোকেরা ভালো মানুষদের নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলে, কারণ এটা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এটা তাদের জীবন ধারণের প্রধান অবলম্বন। শুনেছি কিছু কিছু মানুষ দিনে যদি মিথ্যা কথা না বলে তার নাকি রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ভালো মানুষ যদি সেটা মিথ্যা প্রমাণ করতে যায় তাহলে শুধু নিজের শক্তিক্ষয় আর মানসিক অশান্তি ছাড়া কিছু লাভ হয় না। হ্যাঁ, মানহানির মামলা করতে পারে। কিন্তু এখানে কে বাদী আর কে বিবাদী হবে সেটাও প্রশ্ন। দেশ মনে হয় আবার ইস্যুর অভাবে ভুগছে।
দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
No comments:
Post a Comment