Monday, July 31, 2017

পশুপাখীর কথা


সমাজতন্ত্রে বসবাস করে দেখেছি কোন কিছু জাতীয়করণ করা হলে তার কি দুর্দশা হয়। ব্যাপারটা যতটা না জাতীয়করণে তার চেয়ে বেশী দৃষ্টিভঙ্গিতে। জাতীয় পশু বাঘের অবস্থা দেখে তাই মনে হয়। দোয়েল জাতীয় পাখী হলেও দেশে যেমন কাকের রাজ্যত্ব - তেমনি বাঘ জাতীয় পশু হলেও হায়েনার আনাগোনা চারিদিকে - বাইরের থেকে ভেতরেই বেশী। সুন্দর বনে আরও বেশী।

দুবনা, ৩১ জুলাই ২০১৭


Sunday, July 30, 2017

বুদ্ধির ঢেঁকি


অনেক দিন পরে মস্কো গেছিলাম গতকাল আর আজ গেলাম সুপার মার্কেটে। বরাবরের মতই সুপার মার্কেটে ঢুকে বৌকে হারিয়ে ফেললাম। তারপর শুরু হোল দোকান ঘুরে বউ খোঁজা। আমি যেটা দিয়ে শুরু করি, তা হোল মনে করার চেষ্টা করি কি পোশাক ওর পড়নে ছিল আর কি রঙ্গের।হ্যা, ফোন অবশ্য করা যেত, তবে ওটা কোন খেলাই হোল না। হাইড অ্যান্ড সীক খেলতে গিয়ে কি আর ফোন করে জানা যায় তুমি কোথায়? তবে আজ একটা নতুন বুদ্ধি মাথায় এলো। এরপর দোকানে ঢোকার আগে ওর একটা ছবি তুলতে হবে স্মার্টফোনে। তাহলে আর দূরে ঐ রকম কাউকে দেখলে নিজের বউ বলে ভুল হবে না।

মস্কো, ৩০ জুলাই ২০১৭









Friday, July 21, 2017

স্বীকারোক্তি




আজটা হবে কাল
কালকে হবে পরশু
পরশুর পর তরসু
তারপরেতে নাই।  
তুমিই বল কেমন মোরা
ভাত আর ডাল খাই?
এরই মাঝে পায়ে আসে
পাল্টা উল্টা চিন্তা
বালির মধ্যে ঢুকিয়ে মাথা
দিই কাটিয়ে দিনটা।
বারবার আমি চাই যে খেতে
পেটটা যখন ভরা,
খেতে আমার হয়না রুচি
পেটে পড়লে চরা।
রাজ্য আমার আয়নার ওপার
সময় ঘোরে বায়ে,
ডানকে মোরা বাম বলি
কালো যায় সাদা হয়ে।
হতে আমি চাই যে রাজা
চাই হতে আমি মন্ত্রী
সব চাইতে বাসি ভালো  

হতে ষড়যন্ত্রী।  
একপা যদি সামনে এগুই
তিন পা  যাই পিছে,  
জীবন আমার শুধুই শ্লোগান
আর সবকিছু মিছে।

দুবনা, ২১ জুলাই ২০১৭ 


Tuesday, July 18, 2017

বন্যা




বললো আমায় পাশের বাড়ির ছেলে
“ভাসতে এবার হবেই বানের জলে
যেভাবে বাড়ছে নদীর জল
হাতি-ঘোড়া আর ভেড়ার সাথে বাড়িও যাবে তল।“
আমি বললাম, “বন্যার দরকার
নইলে বল দেশটা কেমনে হবে পরিষ্কার?”
কথাটা কাকা একেবারেই ঠিক
সব কিছুরই মন্দের সাথে আছে ভালো দিক।
আমি বললাম, “খুবই ভালো হতো
আবর্জনার সাথে যদি ভাসিয়ে নিয়ে যেতো
পাঁজি, বদমাইশ, লোভী আর দাঙ্গাকারীরদল
পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যার এই জল।
কিন্তু দেখো জল দেবতাও ঘুষের টাকা খেয়ে       
বেঁছে বেঁছে গরীব মানুষ সঙ্গে যাবে নিয়ে
মরবে গরীব, মরবে কৃষক, ভাঙ্গবে কুঁড়েঘর   
হাসবে যত ঘুষখোরেরা অট্টালিকার’পর।
তাই বলি কী, বন্যাটা ভালো নয়,
তাতে মরে আম জনতা, তাদেরই যত ক্ষয়।“   

দুবনা, ১৮ জুলাই ২০১৭ 


বাপ কা বেটী

ঘুম ভাংতেই লিপির পোষ্ট দেখলাম "সকালে উঠে দেখি গ্যাস নাই, পানি নাই, বিদ্যুৎও এই আসে, এই যায়।"
মনে পড়লো বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত উক্তি "আমরা ওদের ভাতে মারবো, পানিতে মারবো..."
মানুষ যতই ভাবুক না কেন সরকার একাত্তরের চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, সরকার আসলে মানুষকেই পাকিস্তানী ভেবে তাদের ভাতে আর পানিতে মারার ব্যবস্থা করছে।

দুবনা, ১৯ জুলাই ২০১৭ 
 
 
 

Saturday, July 15, 2017

ভোট, নেতা আর জনতা


এটা অনেকটা টাইম আক্সিসের মত, জিরো পয়েন্টে শুন্য হাতে দাঁড়িয়ে আম জনতা। বিশাল এক মাইনাস ক্রেডেনস নিয়ে আসতে থাকে নেতারা। যতই ভোট কাছে আসে তাদের প্রতিশ্রুতি ততই আকাশচুম্বী হয়। আর ভোট হয়ে গেলে সময় যেমনি চলে যায় পিছু না তাকিয়ে, নেতারাও ঠিক তেমনি জনতার থেকে চলে যায় দূরে, বহুদুরে। আর হতাশ মানুষ আবার অপেক্ষা করে নতুন ভোটের, নতুন করে ঠকবার আয়োজনের। এ না হলে জীবনচক্র!

দুবনা, ১৫ জুলাই ২০১৭ 
 
 
 
 

Thursday, July 13, 2017

কাকভেজা সূর্য


সকাল থেকেই বসে ছিল মুখটা করে গোমড়া
কেন তাকে মিছিমিছি গালি দিলে তোমরা?
ভর দুপুরে অভিমানে সে কী তার কান্না
রাস্তাঘাট সব ডুবলো - কান্না নয়তো বন্যা   
তার কান্নায় কাকভেজা সূর্য গেছে নিভে
এই সেরেছে, সূর্য গেলে আমাদের কি হবে?
কি হবে আর? রাতের বেলায় জ্বালিয়ে দেব তারা
সব কিছুরই শুরু আছে সবার আছে সারা।


দুবনা, ১৩ জুলাই ২০১৭ 


Monday, July 10, 2017

Обойдется বা চলে যাবে


সকালে স্বপ্নের সিরিয়ালটা শেষ হতে হতে বেশ দেরী হয়ে গেল। সাধারণত ঘুম ভাঙ্গে ৮.৩০, আজ ১০ টা বেজে গেল। মস্কো থেকে সেভাকে নিয়ে ফিরেছি রাত সাড়ে বারোটায়। তারপর নেট করা, ভ্যাঙ্কুভের থেকে নুরু ফোন করল - অর সাথে কথা বলে - সব মিলিয়ে ঘুমুতে গেলাম সাড়ে তিনটায়। কি আর করা, এখন রেঁধে সেভাকে খাইয়ে অফিসে যেতে হবে।
- কি খাবি? মাছ না মুরগী?
- মুরগী।
গুলিয়া কখনও জিজ্ঞেস করে না, যেটা নিজে চায় সেটাই রান্না করে। আমি আবার জিজ্ঞেস করি সব সময়। কারন মাছই হোক আর মুরগীই হোক - সবাই একই প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায়। একটু জলে লবন নিয়ে ওদের সেদ্ধ করি, আর জলটা শুক্যে যাবার উপক্রম হলে ওতে একটু তেল ধেলে একটু হলুদ আর গরম মসলা ছেঁড়ে দিই। সাম্যবাদী রান্না আর কী - মাছ হোক, মুরগী হোক - রান্নার বেলায় সবাই সমান।
ফ্রিজ থেকে মুরগী বের করে দেখি ওরা ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এটা করতে গেলে অনেক সময় নেবে। মাছগুলো কাাটই ছিল, মাছ মানে সামুদ্রিক মাছের মাংস - কিউব সাইজে কাটা। তাই মুরগীটাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে মাছকে দিলাম চুল্লীর ফুটন্ত জলে ছেঁড়ে। আর মনে মনে ভাবলাম, সেভার এতেই চলে যাবে।
দুনিয়ার দেশ বিদেশের সরকাররাও মনে হয় এভাবেই কাজ করে - ভোটের আগে মানুষকে জিজ্ঞেস করে, আর পরে নিজেদের খুশী মত কাজ করে আর ভাবে - যাবে কোথায় এ মানুষগুলো, ওদের ঠিকই চলে যাবে।
দুবনা, ১০ জুলাই ২০১৭