সকালে স্বপ্নের সিরিয়ালটা শেষ হতে হতে বেশ দেরী হয়ে গেল। সাধারণত ঘুম ভাঙ্গে ৮.৩০, আজ ১০ টা বেজে গেল। মস্কো থেকে সেভাকে নিয়ে ফিরেছি রাত সাড়ে বারোটায়। তারপর নেট করা, ভ্যাঙ্কুভের থেকে নুরু ফোন করল - অর সাথে কথা বলে - সব মিলিয়ে ঘুমুতে গেলাম সাড়ে তিনটায়। কি আর করা, এখন রেঁধে সেভাকে খাইয়ে অফিসে যেতে হবে।
- কি খাবি? মাছ না মুরগী?
- মুরগী।
- মুরগী।
গুলিয়া কখনও জিজ্ঞেস করে না, যেটা নিজে চায় সেটাই রান্না করে। আমি আবার জিজ্ঞেস করি সব সময়। কারন মাছই হোক আর মুরগীই হোক - সবাই একই প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায়। একটু জলে লবন নিয়ে ওদের সেদ্ধ করি, আর জলটা শুক্যে যাবার উপক্রম হলে ওতে একটু তেল ধেলে একটু হলুদ আর গরম মসলা ছেঁড়ে দিই। সাম্যবাদী রান্না আর কী - মাছ হোক, মুরগী হোক - রান্নার বেলায় সবাই সমান।
ফ্রিজ থেকে মুরগী বের করে দেখি ওরা ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এটা করতে গেলে অনেক সময় নেবে। মাছগুলো কাাটই ছিল, মাছ মানে সামুদ্রিক মাছের মাংস - কিউব সাইজে কাটা। তাই মুরগীটাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে মাছকে দিলাম চুল্লীর ফুটন্ত জলে ছেঁড়ে। আর মনে মনে ভাবলাম, সেভার এতেই চলে যাবে।
দুনিয়ার দেশ বিদেশের সরকাররাও মনে হয় এভাবেই কাজ করে - ভোটের আগে মানুষকে জিজ্ঞেস করে, আর পরে নিজেদের খুশী মত কাজ করে আর ভাবে - যাবে কোথায় এ মানুষগুলো, ওদের ঠিকই চলে যাবে।
দুবনা, ১০ জুলাই ২০১৭
No comments:
Post a Comment