Monday, May 31, 2021

পক্ষপাত

পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে সত্যের অনুসন্ধানী সত্যের সন্ধান পায় না। ফল যাই হোক সেটা সব সময়ই প্রশ্নের জন্ম দেবে। 

মস্কো,৩১ মে ২০২১

আঁধার আলোর আধার


আলোর সীমান্ত যেমন আঁধারে জ্ঞানের সীমান্ত তেমনি অজ্ঞানতায় ঘেরা। শুধু জ্ঞানের আলোকে প্রজ্বলিত করেই আমরা অন্ধকারের সীমারেখা দূরে সরিয়ে দিতে পারি।

মস্কো, ৩১ মে ২০২১

ঝুমনদের মুক্তির শর্ত

 

যাদের কারণে ঝূমন দাশেরা হাজতে যায়, গৃহহারা হয়, তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি না তুলে শুধু ঝুমনের মুক্তির দাবি অর্থহীন। এতে ঝুমনের মুক্তি এলেও ঝুমনদের মুক্তি আসবে না। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।

মস্কো, ৩০ মে ২০২১

Friday, May 28, 2021

বনে বনে

 

আমরা দু' জন বন বাদাড়ে ঘুরি
আমরা দু' জন স্বপ্ন ফেরি করি
গাছেরা সব মোদের দেখে হাসে
বন ফুলেরা তাকায় ভালোবেসে

দুবনা, ২৮ মে ২০২১

অপ্টিমিজম

 

ঐ ছেলেটা আপনার খুব দুর্নাম করল।
তাই? সে তো সুখের কথা।
বলেন কী?
আমার ধারণা ছিল জীবনে কোন ভালো কাজ করিনি। কেউ শত্রুতা যখন করছে নিশ্চয়ই কোন ভালো কাজ করেছি। খুব ভালো করলে আমাকে সেটা জানিয়ে। মরার পর ভালো কাজের পক্ষে একজন অন্তত সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যাবে!

দুবনা, ২৮ মে ২০২১

Thursday, May 27, 2021

প্রশ্ন


তিন যুগেরও বেশি সময় কেটে গেল রাশিয়ায়। প্রথমে পড়াশুনা তারপর কাজ। সে সূত্রে আমার ওঠাবসা মূলত একাডেমিক ফিল্ডের লোকজনের সাথে। একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে যত বড় পোস্টেই থাকুক না কেন সে যার সঙ্গে কথা বলছে সেটা করছে যথেষ্ট সম্মানের সাথেই। এখানে অবশ্যই ঝগড়াঝাঁটির কথা হচ্ছে না, এমনিতে কোন কথাপোকথন। একজন প্রফেসর হাসিমুখে একজন সুইপারের সাথে কথা বলছে নিজের বা সুইপারের সামাজিক অবস্থানের কথা না ভেবেই। আবার সুইপারও প্রফেসরের সাথে কথা বলতে গিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে না। আসলে পেশা বা পদ কেউ পকেটে করে ঘুরে বেড়ায় না। কাজের সময় কেউ প্রফেসর, কেউ সুইপার, কেউ বা অন্য কিছু, কিন্তু কাজের বাইরে সে অন্য দশ জনের মতই একজন মানুষ। এখানে একই বিল্ডিঙে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, সুইপার, ব্যবসায়ী - বিভিন্ন পেশার লোকজন বাস করে। লিফটে বা নীচে দেখা হলে হাই হ্যালো করে। ইদানীং অবশ্য অনেকেই নিজের বাড়িতে থাকছে। সে যাই হোক, সম্পর্ক আমাদের দেশের মত অত দহরম মহরমের না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরস্পরের প্রতি সম্মানজনক। আমার বিশ্বাস পশ্চিমা বিশ্বেও তাই।

প্রাচীন ভারতে বর্ণ প্রথার ফলে সব মানুষ নিজ নিজ সামাজিক অবস্থান সাথে করে ঘুরে বেড়াত। ফলে কথাবার্তা, খাওয়া দাওয়াসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে ছিল বিভিন্ন রকমের বিধিনিষেধ। সেখানে ইসলাম ছিল যথেষ্ট প্রগতিশীল। কিন্তু দীর্ঘ দিন এদেশের আলো হাওয়ায় উপমহাদেশের ইসলামও বর্ণ প্রথার দোষে দোষী হচ্ছে বলে মনে হয়। আমার কেন যেন মনে হয় বর্ণ প্রথা এটা প্রাচীনতম আমলাতন্ত্র। আমলারাও তাদের পদটাকে বর্ণের মত পকেটে করে ঘুরে বেড়ায়। অন্যদের সাথে কথা বলে অহংকারের সাথে। এটা যে রাশিয়া বা পশ্চিমা দুনিয়ায় নেই তা নয়, তবে আমাদের সব দেশে সেটা শুধু আমলাদের মধ্যে নয়, সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা যারা বিভিন্ন বড় বড় আদর্শের বুলি ছাড়ি, তাদের বেশির ভাগই সেসব আদর্শ ধারণ করি না। অনেকেই অনেক কিছু করি লোক দেখানোর জন্য, সমাজে নিজের অবস্থান পাকা করার জন্য। এটা নিজের মানসিক উৎকর্ষ সাধন নয়, বাহ্যিক আবরণ আর আভরণ। একটু পড়াশুনা শিখলেই আমরা নিজেদের উপর তলার মানুষ বলে মনে করি। সেই সাথে ভাল চাকরি, টাকাপয়সা আমাদের অহংকার আরও বাড়িয়ে দেয়। কে জানে এর পেছনে আমাদের হাজার বছরের বর্ণ প্রথা আছে কিনা!

দুবনা, ২৭ মে ২০২১ 
 
 

 
 
 

Wednesday, May 26, 2021

অন্ধত্ব

 

আজকাল কেমন যেন মৌলবাদী হয়ে যাচ্ছি, মানে অন্ধভাবে অনেক কিছু বিশ্বাস করতে শুরু করেছি। আমি আগেও হাঁটতে পছন্দ করতাম, এখনও করি। তবে ইদানীং কালে সেটা করি মেপে মেপে, নিয়ম মেনে। মানে দিনে কতগুলো স্টেপ নেব, কত কিলোমিটার হাঁটব এসব আরকি। অনেক সময় অনেক রাতে যখন দিনের হাঁটার হিসেব দেখি অবাক হই। প্রায়ই আমি আমার লিমিটের চেয়ে বেশি হাটি। এই তো সেদিন দেখি ডেইলি লিমিট ফুলফিল করতে দু' শ মিটার বা দু' শ স্টেপ বাকি আছে। এই একশ দু' শ মিটার শরীরের আবহাওয়ায় যে খুব একটা পরিবর্তন করে তা নয়, কিন্তু মনে মনে একটা অস্বস্তি অনুভব করি। এ যেন কূলে এসে ডুবে মরার মত। কখনও কখনও উঠে বাসার চারিদিকে দুই চক্কর মেরে আসি। এতে অবশ্যই শরীর ও মন - দুটোই ফ্রেশ লাগে। কিন্তু পর মুহূর্তেই ভাবি কীভাবে আমি দিন দিন বিভিন্ন অ্যাপের দাস হয়ে যাচ্ছি। ছোটবেলা খুব ইচ্ছে জাগত আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ পেতে। স্মার্টফোন অনেকটা তাই, তবে অনেক ক্ষেত্রে ওরা নিজেরা না খেঁটে আমাদের দিয়ে ভূতের বেগার খাঁটায়। এভাবেই ওরা আমদের ভেতর বিভিন্ন অন্ধবিশ্বাসের বীজ রোপন করে। অনেকেই দেখি ফেসবুকে তাদের ভালবাসা, রাগ, মান-অভিমানের শতকরা হিসেব প্রকাশ করেন। সচেতন মানুষ এটা করে ফান করার জন্য। কিন্তু অনেকেই এসব বিশ্বাস করে বসে থাকলে থাকতেও পারে, যেমন মানুষ বিশ্বাস করে রাশিফল। বিগ বিগ কোম্পানির বিগ বিগ বসেরা আর ব্রাদাররা বিগার দ্যান গড। তারা শুধু সব দেখেই না, আমাদের দিয়ে স্বেচ্ছায় অনেক কাজ করিয়েও নেয়।

দুবনা, ২৬ মে ২০২১ 
 
 

 

ভগবান

 

বুদ্ধ বাবু বুদ্ধি দিলেন
নিজ পথ নিজে খুঁজতে
ভক্তরা এই সহজ বাণী
চাইল না যে বুঝতে
ঈশ্বরে তাঁর বিশ্বাস নেই
তবুও বুদ্ধ ভগবান
ভগবান মানুষের তৈরি
বুদ্ধই তার প্রমাণ

দুবনা, ২৬ মে ২০২১ 
 
 

 

Tuesday, May 25, 2021

মৃত্যু

 

শুধু জীবনই নয়, মৃত্যুটাও একটা খেলা, একটা লটারি। মরতে হবে সঠিক জায়গায়, সঠিক সময়ে আর মৃত্যুর স্পন্সর খুঁজে বের করতে হবে, মানে এই মৃত্যুটা যাতে কোন দেশ, দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ক্ষমতার লড়াইয়ে পুঁজি হিসেবে কাজ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে জীবনের শত অপরাধ, শত ব্যর্থতা ধুয়ে মুছে যাবে, মরণের পর আপনি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক হিরো পর্যন্ত হতে পারেন। নিজে পরিবারকে যা দিতে পারেননি আপনার মৃত্যু সেটা দেবে। তাই মৃত্যুকে অবহেলা করবেন না। জীবনের মত মৃত্যুকেও অর্থময় করে তুলুন।

দুবনা, ২৫ মে ২০২১

Monday, May 24, 2021

একনায়ক?


যেসব দেশে ক্ষমতায় একনায়ক থাকে সেখানে এদের অগোচরে কোন কাজই হয় না। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন সব চুরি, চামারি, দুর্নীতি কেমনে কেমনে যেন এসব একনায়কদের চোখকে ফাঁকি দিয়েই হয়।

লোকজন খুব ঘটা করে ধর্ম কর্ম করে ঈশ্বরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বর্গে একটা সীট রিজার্ভ রাখার জন্য। আবার এরাই ধুমছে ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে। ভাবখানা এই যে ঈশ্বর এসব দেখেন না। আচ্ছা এরা কি ঈশ্বরকে একনায়ক মনে করেন?
 
মস্কো, ২৪ মে ২০২১

ভদ্রলোক

 

কিছু কিছু মানুষের কথাবার্তার ঢঙ দেখলে মনে হয় এরা হাগে মুতে না।
পায়খানা প্রস্রাব? এতো ছোটলোকের কাজ। এগুলো ভদ্রলোক করে নাকি?
যতসব ধাপ্পাবাজের দল।
 
মস্কো, ২৪ মে ২০২১

পার্টি

রাজনীতি অসুস্থ হলে পলিটিক্যাল পার্টির জায়গা দখল করে বিয়ে পার্টি, ইফতার পার্টি ইত্যাদি। 

মস্কো, ২৪ মে ২০২১ 

Saturday, May 22, 2021

গলদ

 

সরকারি মাল মানেই মালিকবিহীন। যে জিনিসের মালিক নেই তা যত্নে থাকবে কীভাবে? অযত্নে লালিত কেউ অন্যের ভালোমন্দ বুঝতে পারে না। সরকার নিজেও তো সরকারি মাল। তাই জনতার ভালোমন্দ সে বুঝে না। আর ব্যক্তি মালিকানায় সরকার হয় না। গোড়ায় গলদ।
 
দুবনা, ২২ মে ২০২১

Friday, May 21, 2021

জনতা

 

যুদ্ধ করে যুদ্ধবাজরা, শান্তি চুক্তিও তারাই করে। আর এসব তারা করে জনগণের শান্তির জন্য। কিন্তু জন জীবনে শান্তি আসে না। জনতা সিগারেটের মতোই দুঃখের আগুনে তারা জ্বলে। সব যুদ্ধ না কি শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। আর শান্তি কেমনে বাঁচে? যুদ্ধের আশঙ্কায়। 
 
দুবনা, ২১ মে ২০২১

Thursday, May 20, 2021

স্বাধীনতা

 

বিভিন্ন কারণে ইদানীং আমি স্বাধীনতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ। না, পরাধীনতা চাইনা, তবে মনে হয় আমরা দেশ হিসেবে যে স্বাধীনতা চাই সেটা প্রায়ই পাই না। কারণ? ক্ষমতায় গেলে সবাই রাবণ।

অনেক আগে স্বাধীনতা বলে তেমন কিছু ছিল না বা সবাই স্বাধীন ছিল। মানে জোর যার মুল্লুক তার। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হত, দেশ দখল হত। জন জীবনে এর প্রভাব পড়ত হয় ধর্মীয় ভাবে নয়তো আর্থিক ভাবে। অনেক সময় ভিন দেশী রাজা আক্রমণ করত স্রেফ লুটপাট করার জন্য। রাজ্য জয় নয়, সেটা ছিল মোটাদাগের ডাকাতি। যুদ্ধ করল, জয়ী হলে মানুষজন মেরে, ধন সম্পদ লুটপাট করে চলে যেত। তারা জনগণের দায়দায়িত্ব নিতে চাইত না। এর পরে রাজ্য জয় করে অনেকেই নতুন দেশেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করল। নতুন আইন করল। তবে এরা কেউ প্রজাদের তেমন ঘাঁটাত না, সময় মত খাজনা পেলে সব ঠিক। এভাবেই মুগল সম্রাটরা বাংলা বা অন্যান্য প্রদেশ শাসন করতেন। আবার ছিল ব্রিটিশ টাইপের শাসন। এরা কলোনির সম্পদ সব নিয়ে যেত নিজেদের দেশে। শোষণের মাত্রা ছিল তাই বেশি। দরকারে কি চাষ হবে না হবে সেটাও তারাই ঠিক করত। যতক্ষণ না সেটা জনগণকে পথে বসাত ততক্ষণ তারা সহ্য করত, না পারলে নীল বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ এসব দেখা দিত। এক কথায় মানুষ নয়, দেশের সম্পদ ছিল ওদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেভাবেই ওরা কলোনির আইন কানুন তৈরি করত। সব যে খারাপ তা নয়। অধিকাংশ আইন হত রাজ্য সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য। সেসব আইনের প্রয়জনীয়তা আজও শেষ হয়নি। তবে অনেক আইন হয়েছিল সে সময় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ব্যহত করার জন্য। তাই স্বাধীন দেশে এসব আইন অপ্রয়োজনীয় ঠিক যেমন অপ্রয়োজনীয় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর তৈরি শত্রু সম্পত্তি আইন। কিন্তু দেশে দেশে সরকার ক্ষমতা হাতে পেলেই এসব পীড়ন মূলক আইন তুলে নিতে অনীহা প্রকাশ করে। এভাবে তারা স্বাধীন দেশের মানুষকে আইনের দ্বারা পরাধীন করে রাখে। পর মানে সব সময় ভিনদেশী নয়, পর মানে যে নিজ দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়ায় না, তাদের কথা ভেবে আইন তৈরি করে না। কী হবে এমন বৈমাত্রেয় সরকার গদিতে বসিয়ে নিজেদের স্বাধীন ভেবে?

দুবনা, ২১ মে ২০২১ 
 
 

 

মুক্তি

সাংবাদিক মুক্তি পেল সাংবাদিকতা মুক্তি পেল কি? রোজিনা ইসলামের জামিন হল, রোজিনার (মাতৃভূমি) হল কি?

দুবনা, ২০ মে ২০২১ 

ডুব সাঁতার

 

মাতৃভাষা শিক্ষায় গুরুত্ব না দিলে এমনটাই হয়। আঞ্চলিকতা সব গ্রাস করে। স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত - বাজেটের এসব খাত খাদ হয়ে যায়। আর এই খাদ দিয়ে এসব খাতের টাকা পয়সা সব ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা - এসব দেশে গিয়ে ওঠে। ডুব সাঁতার আরকি!

দুবনা, ২০ মে ২০২১


Wednesday, May 19, 2021

পথ

যারা আমলাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসূ পথ হতে পারে যেভাবেই হোক এসব আমলাদের বিরোধী দলের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

দুবনা, ১৯ মে ২০২১ 

বন্দী মাতৃভূমি

রুশ ভাষায় মাতৃভূমি রোদিনা উচ্চারণে অনেকটা রোজিনার মত শোনায়। সাংবাদিক রোজিনার গ্রেফতারে আমার তাই হয়তো মনে হল মাতৃভূমি কারাবন্দী।

দুবনা, ১৯ মে ২০২১ 

Tuesday, May 18, 2021

অপদার্থ

 

আপনি তো দেখছি শতভাগ অপদার্থ!
একদম!
রাগ করলেন না?
রাগের কি আছে? আমি তো ডার্ক ম্যাটার দিয়ে তৈরি!

দুবনা, ১৮ মে ২০২১

দেশ

 

আমলা করেছে হামলা
কণ্ঠ করেছে রোধ
স্বাধীনতা আজ পরাধীন
তবুও জাগে না বোধ

চলছে আমলা তোষণ
তোষণের রাজনীতি
রাজনীতির এ বিপথ
কপালে - দুর্গতি

আমলা করেছে হামলা
মানুষের অধিকারে
জন জীবনে দুর্যোগ
নেমে আসে বারে বারে

তবুও মানুষ নিশ্চুপ
করেনা কো টু শব্দ
চেতনা এখন বন্দী
বাকহীন নিস্তব্ধ

দুবনা, ১৮ মে ২০২১ 
 
 

 

আশ্চর্য

 

পৃথিবীতে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় কী?
মানুষের ধৈর্য, তার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, তার আনুগত্য।
এ কি বলছেন আপনি?
চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন। কত মানুষ না খেয়ে মরছে, কত মানুষ মারা যাচ্ছে অন্যদের অর্থ আর ক্ষমতার লোভে। করোনায় মরছে। পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ লাঞ্ছিত, অবহেলিত। এদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে তাদের সুখ দুঃখের নিয়ন্ত্রক ঈশ্বর। এই বিশ্বাস লালন করে এত লাঞ্ছনা, বঞ্চনার পরেও তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে না, তাঁকে জবাবদিহিতা না করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে না, তাঁর উপর আস্থা হারায় না। এটা যদি আশ্চর্যজনক ঘটনা না হয় তাহলে কিছুই বলার নেই।

মস্কো, ১৭ মে ২০২১

গতি

তোমার দৌড়ের গতির যদি এই গতি হয় তাহলে কপালে দুর্গতি আছে।

মস্কো, ১৭ মে ২০২১ 

দৈত্য

নিউটন, আইনস্টাইন এরা সামান্য মানুষ ছিলেন তাই দৈত্যের কাঁধে উঠতেন অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে। আমরা এখন নিজেরাই এক একটা দৈত্য।

মস্কোর পথে, ১৬ মে ২০২১ 

Sunday, May 16, 2021

সমস্যা - রোগ

 

ববি লিখল, "আমাদের সাহিত্যিক মহলের প্রধান সমস্যা রুচির সমস্যা"। আমার মনে হয় এটা সমস্যা নয়, এটা রোগ। এ রোগ শ্যুধু সাহিত্যিকদের নয় আমাদের সবার। উন্নয়নের সাথে সাথে আমরা উন্নাসিকতার জোয়ারে ভাসছি। ফলে আমরা আর অন্যেরা কী করছে সে ব্যাপারে আগ্রহী নই। আমরা অন্যদের লেখা পড়তে আগ্রহী নেই। কী দরকার? আমরা নিজেরাই যদি ভাল লিখতে পারি। ব্যক্তি মানুষ শুধু নিজের অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ। নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হলে অন্যদের অভিজ্ঞতার কথাও জানতে হবে, অন্যদের লেখাও পড়তে হবে। আমাদের সেই সময় কোথায়? আমরা যদি অন্যদের না দেখি, অন্যদের না পড়ি রুচি কীভাবে গড়ে উঠবে। দেশকে ভাগ করা যায়, দেয়াল তোলা যায়, কিন্তু সংস্কৃতিকে ভাগ করা যায় না। এটা বৈষয়িক জগত নয়, মানসিক জগত। যতদিন না আমরা মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছি রুচি গড়ে উঠবে না।

দুবনা, ১৬ মে ২০২১

Saturday, May 15, 2021

আলো আঁধার

 

লিফটে আয়নায় নিজেকে দেখে থমকে উঠলাম। "অন্ধকার হইতে আমাকে আলোতে লইয়া যাও" - আমি কি সত্যি সত্যি আঁধার কাটিয়ে আলোর পথের যাত্রী হচ্ছি? একটু ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম সেসব কিছু নয়। সাদা চুলের ভিড়ে কালো চুলগুলো ঢাকা পড়ে গেছে। তাই নিজেকে এমন আলোকিত আলোকিত মনে হচ্ছে।

দুবনা, ১৫ মে ২০২১

Friday, May 14, 2021

ছাড়িয়া নিঃশ্বাস

 


মৃত্যু কি নদী? বিভিন্ন দেশে এরকম কুসংস্কার আছে যে স্বপ্নে নদী পার হওয়া আসন্ন মৃত্যুর সংবাদ। না, আমি প্রশ্ন করছি অন্য কারণে। এক বন্ধুর কমেন্ট থেকে মনে পড়ে গেল সেই লাইন দুটো

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপারেতে যত সুখ আমার বিশ্বাস

আমরা পরকালের সুখে (স্বর্গ সুখে) এত বেশি বিশ্বাস করি যে হঠাৎ করেই মনে প্রশ্ন জাগল মৃত্যুটা নদী কিনা। তবে একটা জিনিস জানি, প্রতিটি বর্তমানই সুখের কাঙাল। এখানেই সুখে থাকুন, ভাল থাকুন।

দুবনা, ১৪ মে ২০২১ 
 
 

 

Thursday, May 13, 2021

প্যারাডক্স


আগে মানুষ নিজের জন্য বাঁচত। মনে থেকে সব করত। করত নিজে সেটা বিশ্বাস করত বলে। সেটা দেশের জন্য হোক, সমাজের জন্য হোক অথবা একান্ত নিজের জন্যই হোক। তবে তখন মানুষ এত স্বার্থপর ছিল বলে মনে হয় না। এখন আমরা পরের জন্য বাঁচি, পরের জন্য সব করি। খাইদাই, ঘুরে বেড়াই - কিন্তু এসব সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে লাইক না পেলে যেন কিছুই করা হয় না। অন্যদের দেখানো - এটাই আজকাল আমাদের জীবনের লক্ষ্য। এই যে আমরা অন্যদের জন্য এত কিছু করছি তারপরেও আমার মনে হয় এখন মানুষ যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি স্বার্থপর।

দুবনা, ১৪ মে ২০২১

স্বাস্থ্যবিধি

 


করোনার সবচেয়ে পজিটিভ দিক হবে যদি সে আমাদের সবাইকে নিজেদের ও অন্যের স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলতে শেখায়। কারণ তাতে রোগ তো দূর হবেই, বোনাস হিসেবে মারামারি, কাটাকাটি, খুনোখুনিও বন্ধ হবে। আর যাই হোক এসব তো আর অন্যের স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা যায় না। 
 
দুবনা, ১৩ মে ২০২১

Wednesday, May 12, 2021

বদলানো

 

দূরে নিজের কমফোর্ট জোনে বসে অন্যের স্বাধীনতা বা বিপ্লবের পক্ষে শ্লোগান দেওয়া যত সহজ, নিজেকে পিছুটান ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম তার চেয়ে শত গুণ কঠিন। অন্যের জন্য শ্লোগান দিতে নিজেকে বদলাতে হয় না, বরং কিছু কিছু বাহবা জোটে কপালে। কিন্তু নিজেকে বদলাতে ঘুষ, দুর্নীতি সহ অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়, নিজের বিবেকের কাছে সৎ হতে হয়। আমরা সব পারি, শুধু নিজেদের বদলাতে পারি না।

দুবনা, ১৩ মে ২০২১

বিশ্লেষণ

চুলচেরা বিশ্লেষণ হিন্দীতে করলে আপনি অন্য কী ফলাফল আশা করতে পারেন?

দুবনা, ১২ মে ২০২১ 

Tuesday, May 11, 2021

লাভ, লোভ, Love

 


"বিশৃঙ্খলা থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভব" তত্ত্বটা আজকাল রাজনীতিবিদরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে বলেই মনে হয় আর তাই দেশে দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ লাগায়, যদি এখান থেকে কিছু (মুনাফা) সৃষ্টি করা যায়? লাভ, লোভ, Love - সব মিলেমিশে একাকার। এত সুখ আমরা রাখব কোথায়?

দুবনা, ১১ মে ২০২১

পরিচয়

আগে বৃক্ষের পরিচয় ছিল ফলে, এখন কর্মফল নির্ভর করে নামে। 

দুবনা, ১১ মে ২০২১ 

Monday, May 10, 2021

আন্ডারগ্রাউন্ড

 

নিজের বাংলা নাম বলবেন না, পারিবারিক ছবি দেবেন না, ভুলেও জল বা এসব স্পর্শকাতর শব্দ উচ্চারণ করবেন না। মনে রাখবেন এখানে আপনি আত্মগোপনে আছেন। এ সমাজ থেকে আপনি নাই হয়ে গেছেন।

দুবনা, ১০ মে ২০২১

সত্যের রকমফের

 

সব কিছুর মত সত্যও আপেক্ষিক তবে পক্ষপাতদুষ্ট নয়। কিন্তু মানুষ নিজে নিরপেক্ষ নয় বলে প্রায়ই সত্য বলতে ভয় পায় পাছে সেটা বিপক্ষের পক্ষে যায়। তাই সে সত্য বলে নিজের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের লাভ লোকসান বিচার করে। ফলে অনেক সময় সত্য হয় বিকৃত, আংশিক বা প্রায় মিথ্যা।

দুবনা, ১০ মে ২০২১

Sunday, May 9, 2021

ঋণ

 


পুঁজিবাদ মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দায়বদ্ধ করে যাতে সে নিজের ছোটোখাটো সমস্যা সমাধান করতেই ব্যস্ত থাকে, ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদের সময় না পায়। সমষ্টির বিরুদ্ধে ব্যক্তিকে দাড় করিয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে আধুনিক পুঁজিবাদ আসলে তাদের শোষণের যন্ত্রটা চালু রাখে।

দুবনা, ০৯ মে ২০২১

ধামা

কোন অন্যায় যাতে ধামাচাপা না পড়ে সে জন্যে কী করা দরকার?
ধামাকে নিষিদ্ধ করা দরকার। 

দুবনা, ০৯ মে ২০২১ 

Saturday, May 8, 2021

জ্ঞান সাগর

 


সবাই নিজের জানাটাকে অজানাকে জানার দরজা মনে করে না। কেউ কেউ নিজের জ্ঞানের চোরাবালিতে ডুবে বেঘোরে প্রাণ হারায়।

দুবনা, ০৮ মে ২০২১
 
 

 

শুভ জন্মদিন

 


এ কেমন মানুষ হলে তোমরা যে ঠাকুর- দেবতার প্রতি এতটুকু ভক্তি শ্রদ্ধা নাই।
কথাটা কিন্তু পুরোপুরি ঠিক বললে না। আমি ঠাকুরকে খুব শ্রদ্ধা করি।
তাই? তা কোন ঠাকুরের এমন ভাগ্য?
রবি ঠাকুরের।
ধ্যাত্।

দুবনা, ০৮ মে ২০২১
 

 

Friday, May 7, 2021

পাপ পুণ্য

 


দুই কেজি চাল দেন তো।
চাল নিবি, তা তোর টাকা আছে?
টাকা তো নেই।
তাহলে?
আপনে এখন দেন, খেয়ে বাঁচি। পরে না হয় টাকা দেব।
আর যদি না বাঁচিস?
মরার পর ঈশ্বরের দরবারে আপনার জন্য পিটিশন করব।
গুষ্টি কিলাই তোর পিটিশনের। আমি এখানে এত ধর্ম কর্ম করি কোন দুঃখে?
অনেক ফাইলের ভিড়ে আপনার এখনকার পুণ্যের কথা ঈশ্বরের মনে নাও থাকতে পারে। ওনার তো আর কম্পিউটার নেই। চাক্ষুষ সাক্ষী তখন অনেক কাজে লাগতে পারে।
দরকার নাই আমার সাক্ষীর।
দেখেন, ধার দিয়ে পুণ্য করতে চাইছেন না সেটা ভাল কথা, কিন্তু না খেয়ে আমি মরে গেলে সেই পাপ কিন্তু আপনি এড়াতে পারবেন না। এখন দেখেন যেটা ভাল মনে করেন।

দুবনা, ০৭ মে ২০২১

Thursday, May 6, 2021

সোহারাওয়ার্দী উদ্যান


সোহারাওয়ার্দী উদ্যান - ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান, যেখানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা বলেছিলেন, বলেছিলেন মুক্তির সংগ্রামের কথা। এই উদ্যান বাংলাদেশের জন্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর ইতিহাস - বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। একাত্তরের চেতনার হোলসেল লাইসেন্সের অধিকারী বলে যে দল সব সময় নিজেকে দাবী করে সেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একে একে একাত্তরের অনেক অর্জনই আজ শুধুই স্মৃতি। এভাবে চললে একদিন রেসকোর্সের ময়দানও স্মৃতিতে পরিণত হবে। আর সেটা কখনোই একাত্তরের চেতনার সাথে যাবে না।

দুবনা, ০৭ মে ২০২১

মাতাল

 


বিশ্ব জুড়ে এত লোক বিল গেটসের অনুসারী যে ভেবেছিলাম, এখন দিকে দিকে বিবাহ বিচ্ছেদের হিড়িক পড়ে যাবে। লোকজন দেখছি জাতে মাতাল, তালে ঠিক।

দুবনা, ০৬ মে ২০২১

ইস্যু

আজকাল মনে হয় আমাদের নিজেদের কোন ইস্যু নেই। তাই আমরা এ ইস্যু সে ইস্যু খুঁজে বেড়াই আর দিনের শেষে দেশ ও দশের পিণ্ডী চটকাই নিজেদের কিছু হল না বলে।

দুবনা, ০৬ মে ২০২১ 

নতুন পথ

অদ্ভুত জীব এই মানুষ। আমরা শুধু অজানাকেই ভয় পাইনা, যা জানি সেটাকেও ভয় পাই। এই ধরুন আমি ১০০% শিওর যে কোন সাপ, ব্যাঙ, মশা, মাছি, ক্লেশ, এমনকি বাঘ ভাল্লুক আমাকে শত্রু মনে করে না। মনে করবে কী, ওরা আমাকে চেনেই না। তবুও গতকাল ক্লেশের কামড় খেয়ে আজ আর বন মুখী হইনি। ভয় ঢুকেছে মনে, যেন ক্লেশেরা ষড়যন্ত্র করেছে আমার বিরুদ্ধে, বনে গেলেই কামড়ে দেবে। গুলিয়াও একটু দ্বিধা করছিল যাবে কি যাবে না ওই পোড়া মুখী বনে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল ক্লেশদের কয়েকদিন এড়িয়ে চলতে হবে। দু তিন দিন পরে ওরা নিশ্চয়ই আমাদের কথা ভুলে যাবে, তখন না হয় আবার বনে ফেরা যাবে। সত্যি বলতে কি ওদের রাজ্যত্ব মাত্র মাস দুয়েকের। জুলাই থেকেই ওরা আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। ক দিনই বা আর বাকি।  মাঝে অবশ্য লান্দিস ফুটবে। তখন না হয় ওদের ফাঁকি দেবার চেষ্টা করা যাবে। এখন কী করা? ভোলগা আছে কি জন্য? আজ তাই ভোলগার দিকেই গেলাম। 

দুবনা, ০৬ মে ২০২১ 


Wednesday, May 5, 2021

অপেক্ষা

 


প্রকৃতির সঙ্গ আমার বরাবরই ভাল লাগে। সময় পেলেই তাই চলে যাই ভোলগার তীরে বা বনে। বছরের এ সময়টা বন ভ্রমণ উপভোগ্য হলেও বেশ রিস্কি। দীর্ঘ শীতের শেষে সাপেরা বেরিয়ে আসে রোদ পোহাতে। দুবনায় দু ধরণের সাপ দেখা যায় - একটা দেশের ঢোরা সাপের মত নির্বিষ উঝ, আরেকটা কালো - বিষাক্ত গাদিউকা। তবে এরা সংখ্যায় নগন্য আর নিজেরাই মানুষজন এড়িয়ে চলে। তাই বড় ভয় ক্লেশ নামে এক ধরণের অতি ক্ষুদ্র কীট। এরা পাতায় বসে থাকে, প্রয়োজনে ১-২ মিটার লাফিয়ে পার হতে পারে। সাইজে লালা পিঁপড়ের অর্ধেক। সাধারণত মানুষ বা জীবজন্তুর (কুকুর, বিড়াল) শরীরে ঢুকে যায়। সেখানেই মৃত্যু বরণ করে। কিন্তু এদের কেউ কেউ দুটো রোগের জীবানু বহন করে - এন্সেফালিট আর বরেলিওজ। দুটোই সময় মত চিকিৎসা না পেলে ফাটাল হতে পারে। এন্সেফিলিটের জন্য টিকা আছে কিন্তু বেরিলিওজের টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কুকুর বিড়ালদের ক্লেশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কলার পাওয়া যায়। মানুষ ওটা পরে উপকার পাবে কিনা জানি না।

আমি প্রথম ক্লেশের কামড় খাই ২০১২ সালে ক্রিমিয়ায়। সাথে সাথে ডাক্তার দেখাই। ওরা ক্লেশ বের করে টেস্ট করে সেটা সংক্রামক কিনা। আর আমাকে বলে রেগুলার তাপমাত্রা চেক করতে। সেটা করতাম হোটেলের নীচে। তখন ওরা অবাক হয়ে আবিষ্কার করে আমার শরীরের তাপমাত্রা ৩৪ -৩৫ মধ্যে থাকে। এ কারণে অবশ্য করোনা কারণে বিভিন্ন অফিসে ঢুকতে গেলে যখন তাপমাত্রা চেক করে, ওরা আমার নাড়ি (মানে তাপমাত্রা) খুঁজে পায় না। সেটা কখনও কখনও সমস্যা তৈরি করে।

গুলিয়া দিনের বেলায় ভোলগায় যেতে পছন্দ করে না অনেক লোকের ভিড় বলে। তাই আমরা বনে যাই। ছবি তুলি, ঘুরে বেড়াই। এখন বনে বিভিন্ন রকমের বেরির নতুন পাতা গজাতে শুরু করেছে। সেগুলো আমরা সংগ্রহ করি শীতে চায়ের সাথে মিশিয়ে খাবো বলে। খুব সুন্দর এরোমা হয় এতে। আজ বনে গিয়ে বললাম, এখনই সময় পাতা সংগ্রহের। গুলিয়া লেগে গেল আর আমি মনে মনে ভাবলাম ক্লেশ এখন না কামড়ালে হয়। ঘণ্টা দুই ঘুরে বাসায় ফিরে খেতে বসেছি, হঠাৎ কন্ঠার হারের ওখানে দেখি কালো কী একটা। আয়নায় দেখে মনে হল ক্লেশ। গুলিয়া দেখে বলল ওটা ক্লেশ। সাথে সাথে ইমারজেন্সিতে ফোন করে জানলাম কি করতে হবে। চলে গেলাম হাসপাতালে। ওখানে ওরা ওকে বের করল। খুব গভীরে ঢুকতে পারেনি। আমি সিস্টারকে বললাম, বেচারা খুব বোকা তাই হাড্ডিতে কামড় দিয়েছে। যাহোক, জীবীত অবস্থায় ভদ্রলোককে বের করা হল। সেটাকে ল্যাব্রেটারিতে পাঠাবে। ততদিন আমাকে দেখতে হবে তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা, ঘুম পায় কিনা। দুর্বলতা আছে কিনা ইত্যাদি। আমি ওকে বললাম, করোনার পর আমার ইদানীং এমনিতেই ঘুম পায় আর দুর্বলতাও আছে। "তাহলে দেখবেন চলতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা।" হাসপাতাল থেকে যখন হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরছিলাম, মনে হচ্ছিল পাটা একটু ব্যাথা করছে। আসলে আমার সব ধরণের রোগের সিম্পটম আছে। শুধু কেউ বললেই হল, আমি সব সময় ঠিক ঠিক রোগের উপসর্গ পেয়ে যাই। ভাগ্যিস ওরা ক্লেশের টেস্ট করবে। এ কয়টা দিন অন্তত ভয় আর নির্ভয়ের মধ্য দিয়ে কেটে যাবে।

দুবনা, ০৫ মে ২০২১














মুক্তি

 


মূল্যবোধের মূল্য গিয়েছে কমে
অর্থ বলের আকাশ ছোঁয়া দাম
পেশী শক্তি পেছন পেছন চলে
মুক্ত বাজার শুনেছি তার নাম

মুক্ত বাজারে মুক্ত নয় কো মন
মুক্তি এখানে অসহায় দীন হীন
সে আজ শুধুই টাকার কেনা গোলাম
ব্যাংকের কাছে তার যে অনেক ঋণ

মুক্ত বাজারে খুঁজো না তোমরা মুক্তি
সবাই এখানে অর্থের ক্রীতদাস
টাকাই এখানে সর্ব শক্তিমান
কেনা বেচা ছাড়া জানে না সে কোন যুক্তি

মূল্যবোধ আজ হয়েছে মূল্যহীন
চারিদিকে আজ শুধুই বেচা কেনা
দিনে দিনে তাই বাড়িতেছে শুধু দেনা
ভোগের এই মুক্ত বিশ্বে মানুষ আদর্শহীন।

দুবনা, ০৫ মে ২০২১




Monday, May 3, 2021

ডিলেমা

মানুষ মনে হয় জীবনের চেয়ে মৃত্যুকেই বেশি ভালবাসে তাই তো এত লোক পৃথিবীর সুখ শান্তি দু পায়ে ঠেলে বেহেশতের পেছনে ছুটে।

দুবনা, ০৪ মে ২০২১ 

গণতন্ত্র

 


আমরা বরাবরই সামরিক শাসনকে অগণতান্ত্রিক বলে মনে করি। অথচ কিছু কিছু দেশ এই সৈনিকদের ব্যবহার করেই বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র নামক পণ্য সুলভে রপ্তানি করতে চায়। সৈনিকরা গণতন্ত্রের সঠিক বাহক নয় বলেই হয়তো দিনের শেষে এসব দেশে অরাজকতা দেখা দেয়।

দুবনা, ০৩ মে ২০২১

Sunday, May 2, 2021

ভোগ

 


ভোগ - একমাত্র ভোগই আজকাল অধিকাংশ মানুষের জীবন দর্শন। ভোগে সমস্যা নেই যদি না সেটাই হয় জীবনের একমাত্র লক্ষ্য়। কিন্তু কয়েক জেনারেশন মানুষ এখন এভাবেই গড়ে উঠছে আর এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে পুঁজিবাদ। মানুষকে ভোগের লোভ দেখিয়ে সে তাকে বাঁধছে ঋণের নাগপাশে। স্বল্প পরিশ্রমে স্বপ্নকে ধরার জন্য মানুষ যে যেভাবে পারছে নিজেকে বিক্রি করছে, বিক্রি করছে স্বল্প মূল্যে। গড়ে উঠছে নব্য ক্রীতদাস শ্রেণী। যদি আগে মানুষ দাস হত নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, আজ সে দাস হচ্ছে স্বেচ্ছায়, সচেতন ভাবে। এই ক্রীতদাস আর কোন স্পার্টাকাসের জন্ম দেয় না, দিতে পারে না। তাই আজকের ক্রীতদাসেরা মালিকের অবাধ্য হয় না, বরং "বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ" নীতি অনুসরণ করে বাবুদের অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সব কিছুকে জায়েজ করার জন্য আদা জল খেয়ে নামে।

দুবনা, ০২ মে ২০২১ 
 
 

 

Saturday, May 1, 2021

লড়াই

 

করোনার কাছে অসহায় দেবতা
আইসোলেশনে গিয়ে তিনি আজ দিয়েছেন বারতা
মুখোস পরে সেজেছেন তিনি ভয়ঙ্কর দানব
করোনার সাথে করছে লড়াই একাকী মানব।

দুবনা, ০১ মে ২০২১