Thursday, June 30, 2016

নৌকা বনাম জাহাজ


"আওয়ামিলীগের তৃণমূল নেতাদের মনের কথা শুনতে চান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানতে চান জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের বর্তমান চিত্র।"


উদ্যোগটা ভালো, তবে এলাকায় নেতৃত্বে আছে আসল ক্যাডার নয়, মালদার পার্টির যাদের অনেকেই দলকে ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কারণে - আসলে এরা কাজ করে বিরোধী দলের পক্ষে। তাই দ্বিতীয় দিনে শোনা যাবে চাটুকারিতা আর তার উপর ভিত্তি করে যদি রাজনৈতিক কর্মকান্ড গ্রহণ করা হয় তাহলেই হলো। আসলে দরকার যারা ঐতিহ্যগত ভাবে আওয়ামী লীগ করছে যুগ যুগ ধরে সেইসব তৃণমূল কর্মীদের কাছে যাওয়া, তাদের সাথে কথা বলা। ঢাকায় ডেকে নয়, এলাকায় গিয়ে কথা বলুন - বিশ্বস্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠান ওখানে - নইলে আপনাদের হবে নৌকাডুবি আর দেশের জাহাজডুবি।

বি:দ্র: অবাক চেয়ে দেখি দশ লাইনের লেখা আওয়ামি লীগ আর আওয়ামী লীগ দেখে। এটা পত্রিকা ভুল করে করে - তবে দলের বর্তমান চরিত্র নামের বিভ্রান্তির সুযোগটা নিজেই করে দেয়। 
 
দুবনা, ১ জুলাই ২০১৬  

Wednesday, June 29, 2016

সকালের বাড়ী ফেরা


প্রতিদিনের মতো গতকালও সকাল এলো। অন্যান্য দিনে ও আসে চুপি চুপি, আমার ঘুমের ঘোরে। তবে গতকাল ও এলো জানান দিয়ে - আকাশ পথ আলোকিত করে। সূর্য্য তখনো ঘুম থেকে ঠিক ওঠেনি, কম্বলের নীচে মুখ ঢেকে হাই তুলছে আর আড়মোড়া দিচ্ছে। কম্বলের ফাঁকফোকর দিয়ে যে এক আধটু রশ্মি বেরিয়ে আসছে, তাই নানা রঙে রাঙিয়ে তুলছে সকালের পথ। রাত জেগে বসে আছি আমি। দেখছি সকালের পা টিপে টিপে আসা। আর আকাশে রঙের মেলা।
দুবনা ২৯ জুন ২০১৬
ভোর ২.৫৫ যে পথ চলা শুরু, মাঝে ৩.৪০ এ বিরতি শেষ শেষ পর্যন্ত ৪.১০ এ ঘরে ফেরা





ভেজাল রক্ত


সকালে একটা ছবি দিয়েছিলাম (https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10209907661116823&set=a.1417937817119.2057794.1492832612&type=3&theater&notif_t=like&notif_id=1467190332811644)
ঐ দিন বেশ গরম ছিল। টোপারক গিয়ে যখন পৌঁছি, প্রায় ৪ টা, গাড়ি থেকে নামতেই একদল মশা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আমাদের সম্বর্ধনা জানালো। সবাই যে যার মতো লোকেশন দেখতে বেরুলাম বুনো ফল খেতে খেতে। পাশেই ভলগা নদী, ৫০০-৬০০ মিটার দূরে। নদী  দেখলেই আমার মন টানে। ছোট বেলা কেটেছে নদীর তীরে, ঐ থেকেই অভ্যেসটা  রয়ে গেছে। ওখানে কিছু ছবি তুলে ফিরছি আসল কাজে, বলা নেই কওয়া  নেই দুষ্টু মেঘ গুলো মাথার উপর হিসি করে দিলো। ভাগ্যিস হালকা জ্যাকেট তা ছিল - তাতে মাথা আর ক্যামেরা দুটোই বাঁচলো। ফিরে এসে দেখি তাবু টানিয়েছে ওরা, চা বিস্কুট সব রেডী। বৃষ্টি একটু কমলে পলিনাকে বললাম প্রস্তুতু হতে - বাইরে ওর পোর্ট্রেট তোলার জন্যই এত ঝক্কি (https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10209907657196725&set=a.10208605080553123.1073741870.1492832612&type=3&theater)। আমি জ্যাকেটটা আর খুলিনি।
পলিনা বললো, "তোর নিশ্চয়ই ঠান্ডা লাগছে, শত হলেও গরমের দেশের লোক।"
সবাই দেখি ওর কথায় হো হো করে হেসে উঠলো। কি করা।
বললাম, "নারে, এটা আমার মাল্টি -পারপাস জ্যাকেট।"
"মানে?" সাশার প্রশ্ন।
"মানে এই জ্যাকেট আমাকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, বৃষ্টি থেকে বাঁচায় আর মশার দেশে মশারির কাজ করে।"
"কিন্তু তোর মুখতো খোলা, তাহলে লাভ?" পাশ থেকে তানিয়া টিপ্পনী  কাটলো।
"তা ঠিক। মশারা মুখের কাছে এলেই বলি - "দেখ আমি বাংলাদেশের মানুষ। ওখানকার সব ফরমালিন দেয়া। খাবার দাবার দুই নম্বরী।ভেজাল রক্ত। এই রক্ত খেলে তোরা অসুস্থ হয়ে পড়বি। এই দেখ আসে পাশে কত সুন্দর সুন্দর লোক দাঁড়িয়ে। ওদের রক্ত শুধু খাটিই না, সুস্বাদু। তোরা ওদের কামড়া  আর আমি তোদের ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়ে দিই। দেখিস কত লাইক পাবি দিনের শেষে।"




দুবনা, ২৯ জুন, ২০১৬


Tuesday, June 28, 2016

মৃন্ময় মজুমদার



৭১ এ শুনেছি ছেলেদের প্যান্ট খুলে চেক করতো হিন্দু কিনা আর তার পরে হিন্দু হলে ......

অবাক লাগলো নাম মৃন্ময় মজুমদার বলার পরও হিন্দুত্ব যাচাই করলো ওরা।

খুবই সিম্বলিক - আমাদের সবার ঔদাসীন্যের সুযোগে ওরা আবার একাত্তর একাত্তর খেলছে -
না, বাহাত্তরে যাবার জন্য নয় - ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে চল্লিশ, পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে
ফিরে যেতে - যখন বাংলার আকাশে লাল-সবুজ নয়, চাঁদ-তারা উড়তো পতপত করে।

তারাদের পথ



জানালার বাইরে রাত দুটো, আকাশে রংবেরঙের পথ - সূর্য্যটা সারা দিনের তাপ আর গরম সইতে  না পেরে ডুব দিয়েছে মস্কো সাগরে, আর তার ফেলে যাওয়া পথে একটু একটু করে হেটে যাচ্ছে তারার মিছিল। আমিও যাচ্ছি ওদের পেছন পেছন আর বন্ধুদের জন্য আঁকছি সেই পথ - অন্তহীন পথ!

রাত ২.১৫, ২৯ জুন ২০১৬ - দুবনার আকাশ

Monday, June 27, 2016

মেঘের ফোঁকরে আটকে পরা আলো





অনেক দিন পরে আবার একা । ১০ জুন থেকে আজ পর্যন্ত কেউ না কেউ ছিল - গতকাল সেভা গেলো সামার ক্যাম্পে  আজ মনিকা মস্কো চলে গেলো। অনেক দিন পর আবার দল পুড়লো। গত পরশু অবশ্য মুরগী পুড়ে গেছিলো, সেভা  বললো ও একটু পোড়া খাবার পছন্দ করে, তবে মুরগিটা খুব শক্ত হয়ে গেছে, তাই খেলো না। আর আমি ওর ক্যাম্পে চলে যাবার আগে অনেক যত্ন করে রাঁধতে গেছিলাম। তবে দল যেভাবে পুড়লো সেটা খুবই রহস্যজনক। পুড়লো, তবু সেদ্ধ হলো না - একেই হয়তো বলে ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না। জ্যাকবে, বয়েই গেছে আমার ডাল  খেতে - পাত্রটা পরিষ্কার করতে হয়ে এই যা ঝামেলা। আকাশ মেঘলা, মেঘের ফোঁকরে অনেক আগে ডুবে যাওয়া (এখন রাত ১১.৩০) সূর্য্যের এক চিলতে আলো আটকে গেছে। বরং ওটাই তুলে রাখি। 

দুবনা, ২৭ জুন, ২০১৬


Saturday, June 25, 2016

ধাঁধা

কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কথা বার্তা শুনলে মনে হয় ওদের মগজ ধোয়া আবার একই সঙ্গে ওদের মগজ আছে বলেও সন্দেহ হয়। আচ্ছা মগজহীন মানুষের মগজকি আদৌ ধোলাই করা যায়? কেউ জানেন কি উত্তর?
Послушав некоторых людей думаешь у них промывали мозги, но в тоже время сомневаешься о наличии у них этих же самых мозгов. Как вы думайте, можно ли промывать мозг без мозгового?




Слоненок который гуляет сам по себе
Топорк, Тверская область, 24.06.2016

Friday, June 24, 2016

ভূত


ঘুম থেকে উঠে দেখি
ট্যাপ থেকে পড়ছে
ছোট ছোট দুঃখ গুলো
আর তার পেছনে
নাচঁতে নাচঁতে  চলছে
বড় বড় ভালোবাসা
আয়নায় তাকাই
দেখি সাদা দাঁত
হেসেই অস্থির
চোখ কান নাক হীন
এক দাঁতাল  ভূত
আটকে গেছে আয়নায়।

দুবনা ২৪ জুন, ২০১৬

Wednesday, June 22, 2016

মনোপলি

মুনতাসির মামুনের একটা লেখা নিয়ে অনেক বাক-বিতন্ডা চলছে আজ| যেহেতু আসল লেখাটির লিঙ্ক কেউ দিচ্ছেন না, তাই ওটা নিয়ে কিছু বলতে পারছি না| তবে আবার রানা দাশগুপ্তের কথা এসেছে| উনি মোদির প্রতি কোনো রকম আহ্বান জানানোর কথা অস্বীকার করেছেন| তবুও, আগে একটা প্রশ্ন করেছিলাম - "যেখানে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য হরহামেশা ভারত বা আমেরিকার কাছে আবেদন জানায়, তখন রানা দাশগুপ্তের সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমন রোধের আবেদন তো অনেকটা নিরামিষ| নাকি আমাদের দেশে এখন
"দুই টাকা চুরি করলে চোর, কোটি টাকা চুরি করলে শিল্পপতি",
"এক খুনে খুনী, লাখ মানুষ মারলে জাতীয় বীর"?
সব দেখে আমার মনে হয়, রানা দাশগুপ্ত বা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সংখ্যালঘুদের অধিকা্রের কথা বলায় আওয়ামীলীগ বা মুনতাসির মামুনের মতো বুদ্ধিজীবিরা খুব নাখোশ| কেননা - এরা মনেই করেন "হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করার একচ্ছত্র অধিকার শুধু তাদেরই|" কোথাকার কোন রানা দাশগুপ্ত উড়ে এসে জুড়ে বসলো আবার|
মনোপলি বলে কথা|

"ক্রস ফায়ারে প্রাতঃরাশ"


আশির দশকের কথা। দেশ থেকে প্রায়ই আসতেন তখন বন্ধুরা মস্কো বেড়াতে। ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, ক্ষেতমজুর, কৃষক, মহিলা আন্দোলন তখন চলছে সারা দেশে - আন্দোলনের এক স্বর্ণ যুগ যেন। এক বন্ধু বলছিলেন, যারা নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন করে, তারা অনেক সময়ই সংক্ষেপে বলে "নারী নির্যাতন করছি"।
আজকে দেশে যে অবস্থা তাতে যদি কেউ বলে
"ক্রস ফায়ারে বসে দুটো ধর্ষণ, তিনটে জোড়া খুন আরদুই বিঘা জমি দখলের মধ্য দিয়ে প্রাতঃরাশটা আজ বেশ হলো"
তাহলেও কি ঐ "নারী নির্যাতন করছি" বলার মতো শোনাবে না? পত্রিকায় তো আজ কাল শুধু উন্নয়নের খবর!

অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি


"জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রুখতেই সৌদি আরব  নেতৃত্বাধীন জোটে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ৪০টা দেশ এ জোটে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।" - শেখ হাসিনা

তাহলেই হয়েছে। সৌদি আরব্য সেই গানের মতো, "সাপ হয়ে ছোবল মার ওঝা হয়ে ঝাড়।" আল-কায়েদা, আই এস ওদের মদদেই চলে, আবার ওরাই আই এস বিরোধী জোট গড়ে তোলে - তার ফলতো আমরা হারে হারে দেখছি। আচ্ছা আপু, তাহলে আমরা, মানে বাংলাদেশও কি কোনো জঙ্গী  দলকে প্রশ্রয় দিচ্ছি, আর এখন সৌদি স্টাইলে তাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স ঘোষণা করছি?

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1172094.bdnews



Monday, June 20, 2016

১০০% আমেরিকান




ছবিটা আপলোড করতে গিয়ে দেখি ওখানে একটা জিনিষও  আমার নয়। মার্বেলটা ঢাকা থেকে পাপ্পু দিয়েছিলো, বোতলটা বুখারেস্টের ক্রিশ্চিয়ান, কাপড়টা তানিয়ার দেয়া আর ফুলটা আমি অন্যের বাগান থেকে ছিড়েছি। হঠাৎ পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি, জুতো জোড়া দিপুর দেয়া, গায়ের টি-শার্ট রতনের দেয়া আর হাফ-প্যান্ট টাও 
কে যেন দিয়েছিলো। আয়নায় তাকাতাম - চেহারায় বাবা আর মা দুজনেরই ছাপ।হ্যা শরীরটাও বাবা-মার দেয়া। এযে  দেখছি আমি ১০০% ই ক্রেডিট এ চলছি - এক্কেবারে খাঁটি আমেরিকান।

Sunday, June 19, 2016

ক্রসরোডে ক্রসফায়ার

এভাবে চলতে থাকলে ক্রসফায়ারটা ক্রসরোড ক্রস করে আস্ত দেশটাকেই একদিন ক্রসে ঝুঁলিয়ে দেবে।

শিক্ষকের কান


লিপি লিখেছে ".....একজন শিক্ষককে কানে ধরে উঠবস করিয়েছে সেলিম ওসমান....অভিযোগ সেই গৎবাঁধা, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, একজন ছাত্র বলেছে। ছাত্রের কথায় প্রধান শিক্ষকের এই শাস্তি। এ নিয়ে বন্ধুমহলে তেমন একটা প্রতিক্রিয়া নেই............কেন? শিক্ষক হিন্দু বলে? ইসলামের কথা আসছে বলে? নাকি তোমরা এখনও ফুল-বেল-লতা-পাতা-শাড়ি-গয়না-সেলফি নিয়েই আছো? তোমাদের কিছুই যায় আসে না। যেমন যায় আসে না বৌদ্ধভিক্ষুকে মেরে ফেললে, বা ব্লগার খুন হলে। এটা কি তোমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা? নাকি গা বাঁচিয়ে স্বার্থ হাসিলের চিন্তা?
....চিনে রাখছি সবাইকে।"

প্রশ্নটা মনে হয় অন্য জায়গায়। রাজনীতি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হলে এমনটা হবার কথা ছিল না। সবাই ব্যস্ত বর্তমান নিয়ে। জানি না শিক্ষক কি বলেছেন, তবে ছাত্রের কথায় শিক্ষক কে কান ধরে উঠানো- বসানো শুধু হিন্দু নয়, সমস্ত শিক্ষক সমাজের জন্যই লজ্জা জনক। তবে মুসলমান ছাত্র বলে কথা। দেশের নেতৃত্ব কি বুঝতে পারেন - এভাবে তারা দেশে এমন এক যুবসমাজ গড়ে তুলছে যারা মনে করবে তাদের কথাই শেষ কথা - যারা ভাববে শুধু মাত্র ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা যা খুশি তাই করতে পারবে? পাকিস্তানেও জেনারেল জিয়াউল হকের উদ্যোগে এমন করেই সব শুরু হয়েছিল। এরশাদ দিল রাষ্ট্র ধর্ম, বর্তমান সরকার ৫৭ ধারা - যা বানের জলের মত সব মুক্ত চিন্তা - স্বাধীনতার সব অর্জনগুলো ধুয়ে মুছে নিয়ে যাবে আর সেই সাথে আজ যারা চোখ বন্ধ করে এসব কাজকে পারত পক্ষে উত্সাহিত করছে তাদেরকেউ।
 
 

Self-consistency

Everything in this world is more or less self-consistent. Even most antagonistic things ultimately become self-consistent. It is true in social science too. Initially a leader controls the situation, but then the situation begins to control him. Irony lies on the fact that the leader does not even notice the changes he underwent during the course of events. When someone else tries to attract his attention on this matter that the poor fellow ends up being accused of not understanding the situation.



"Now a Bogra Hindu teacher suspended over alleged blasphemous act"





 

The day is not so far when all the Hindus will be suspended from Bangladesh over alleged blasphemous act. But my question is somewhere else

When almost everyone is trying to go out of this country in search of better luck, what make majority people push out the minority first in this quest. May be it is also a kind of generosity

"সরকারের ভীত অনেক শক্ত" - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী|



দেশের ভীত যদি শক্ত না হয়, সরকারের ভীত শক্ত-নরমে কার কি এসে-যায়? আগে প্রায়োরিটি ঠিক করুন, নইলে আম আর ছালা তো যাবেই, সাথে আম গাছটাও|

Friday, June 17, 2016

Anti-dot

One of the most peaceful ways to avoid social revolution is to root out the cause and one of the principal causes for social revolution is the presence of have-nots in the society. America did a good job in this
direction. Through credit system they could root out this class. No matter how much you owe to the bank, the house you bought is yours. This works like anti-dot for any kinds of social turmoil. Other countries can think about it: root out poverty and sleep in peace.

দেশত্যাগ


আজ দেখলাম আরো একজন  দেশ ত্যাগ করলেন, আগে মানুষ মাইগ্রেট করে যেতো ইন্ডিয়া, ইউরোপ, আমেরিকায় - এখন তাদের সরাসরি স্বর্গে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে| এই না হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ? আগে মানুষের প্রিয় গানগুলো ছিলো "জন্ম আমার ধন্য হলো", এখন হয়তো হবে এদেশে "জন্মই আমার আজন্ম পাপ" জাতীয় কিছু একটা| আচ্ছা এরপরও কি জীবনানন্দ বলবেন "আবার আসিব ফিরে?" চেয়েছিলাম নিজেদের ভাগ্য নিজে গড়ার স্বাধীনতা আর পেলাম দিনে দুপুরে খুন হয়ে যাবার স্বাধীনতা| তিরিশ লাখ মানুষের রক্ত - দামটা একটু বেশি হয়ে গেলো না?

Времена меняется - где-то вперед, а где-то назад


Как всегда это бывает со мной в пятницу, ехал в Москву из Дубны (нормальные люди едут на обратную сторону). И как обычно, читал книгу. Длинные дорога, это чуть не единственное время когда я читаю художественную литературу. Сегодня читал "Живи и помни" Валентина Распутина (давно хотел его читать, но руки не доходили) и полностью погрузился в Сибирской атмосфере, что не заметил уже двери у поезда закрываются. На Пушкинской так случилось, что я оказался внутри поезда, читая текст в ноутбуке, а мой рюкзак оказался по ту стороны двери. Двери как гильотин прошел между нами. Я даже не успел шевелиться как пришли несколько молодых людей, открыли дверь, чтобы я смог со своим багажом оказаться там. Сказал и спасибо и начал читать. Но когда я смотрел на них, очень удивился. 90ие мы таких называли скинхедами и старались избегать их. Вот такие тут прошли времена.

দেশপ্রেম ও ধর্ম

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, একাত্তরের শ্লোগান ও জাতীয় নেতাদের দলীয়করণ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে দেশে। দেশটারও আকিকা হয়ে গেছে তাও বছর চল্লিশ হলো। ইদানীং কালের কিছু স্ট্যাটাস আর পরবর্তী মন্তব্য পড়লে মনে হয় এবার দেশপ্রেমেরও ধর্মীয়করণ শুরু হয়ে গেছে।

ভিন্নরুপী ডিজিটাল



পৃথিবী জুড়ে চলছে যন্ত্রের জয়জয়াকার - চারিদিকে শুধু ডিজিটাল কান্ডকারখানা| এই আমরা মানুষরাও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি - যন্ত্রায়ন চলছে আলোর গতিতে|

প্রায়ই দেখি উন্নত দেশগুলোতে রোবট প্রদর্শনী হয় - কেউ কথা বলে, কেউ নাচে-গায়|

আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই| এখানে ঢাল, তলোয়ার, চাপাতি আজকাল নিজেরাই চলা ফেরা করে| তবে ওরা আরো উন্নত পদ্ধতিতে চলে - অনেকটা সসারের মতো - হুট করে আজ এখানে, কাল ওখানে উদয় হয়, মানুষের গলায় আর মাথায় হাত বুলিয়ে সবার অগোচরে আবার উধাও হয়ে যায়| আর আমরা যারা ওদের আদর এখনো অনুভব করিনি - বসে থাকি ও আবার কবে কোথায় আসবে এই দুরাশায়|

মনিকার আঁকা একটা ছবি

জয় *******************


অসেআনিক লাইনার নেই তাতে কি, ট্রলার তো আছে। সুপার মডেল নাই, কুচ পরোয়া নেই, সংখ্যা লঘু মা-মেয়ে তো আছে। বঙ্গবন্ধু শুধুই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তোমরা সেই স্বপ্নকে গগনচুম্বী উচ্চতায় নিয়ে গেলে। সাবাস!

আবোল-তাবোল


দেশে একের পর এক অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে - সরকারী হরিলুটের বাতাসা পাবার জন্য এমনকি একাত্তরের চেতনার উল্টোপথের লোকেরাও ওলামা লীগ বা অন্যান্য সব লীগ করে আন্দোলনে নেমেছে| এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মনে হয় উজানে মৃত্যুর পথযাত্রী| এরা সারা জীবন আওয়ামীলীগ করে বা ওদের ভোট দেয়, আর আজ পরিস্থতির চাপে আওয়ামীলীগ বিরোধিতা করতে হচ্ছে| তাই বলি, একটা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য লীগ যদি করা যায় আর মূল দলের কর্মসূচীকে পারত পক্ষে নিজেদের কর্মসূচী (প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহ) হিসেবে ঘোষণা করা যায় - তবে খেলাটা জমবে ভালো| দেশ থেকে বিরোধী রাজনীতিতো ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে - তাই পক্ষে থেকেই যতটা আদায় করার করতে হবে| তবে ঝুড়িতে যে সবার জায়গা হবে তার কিন্তু গ্যারান্টি নেই|
কি খুব আবোল-তাবোল হয়ে গেলো?
মনিকার একটা পুরানো ছবি

যত দোষ নন্দ ঘোষ


যতদূর জানি, শেখ হাসিনা আর বেগম জিয়া উভয়েই দিল্লি যান মোদী বা ভারত সরকারের সমর্থনের জন্য। সোজা কোথায় লবি করেন। কই , তাদের বা আওয়ামীলীগ-বিএনপির বিরুদ্ধে কেউ তো দেশদ্রোহীতার অভিযোগ তুলেন না। রানা-পীযুষ কে দেশদ্রোহী বললে যারা কারণে-অকারণে আমেরিকা-ভারত-চীন-সৌদির হস্তক্ষেপ চান ক্ষমতা দখলের জন্য - তাদের কি বলে ডাকতে হবে? হিন্দুদ্রোহী?

Проснулся


Вчера утром проснулся, чувствую с ногой что-то не в порядке. Не могу ходить. Вспомнил ровно год назад произошло то же самое.
Знакомые спрашивают, "Что случилось?"
"Проснулся" - отвечаю я.
И все в недоумении. А я не понимаю. Если бы ударился, говорил бы ударился, или если бы упал, сказал бы - упал и все в порядке. Я проснулся и обнаружил, что нога болеет и честно отвечал - проснулся, а никто не понимает. Что-за ерунда? 




ঘুম ভাঙ্গলো

গতকাল সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখলাম পায়ের কিছু একটা হয়েছে| হাটতে পারছি না| মনে পরলো, ঠিক এক বছর আগে ঠিক এমনটাই ঘটেছিল|
বন্ধুরা জিজ্ঞেস করে - "কি হয়েছে?"
বলি - "ঘুম ভেঙ্গেছে|"
সবাই একটা দ্বিধায় পড়ে যায়| কিছুই বুঝি না| যদি আঘাত লেগে খোরাতাম, বলতাম, আঘাত পেয়েছি, হোচট খেয়ে খোরালে বলতাম, হোচট খেয়েছি| তাহলে কেউই কিছু মাইন্ড করতো না| আমি ঘুম ভেঙ্গে উঠে দেখলাম পায়ে ব্যথা তাই সত্যি সত্যি বললাম, ঘুম ভেঙ্গেছে, কিন্তু কেউই কিছু বুঝছে না| কি ঝামেলা|
 

Thursday, June 16, 2016

হারাধনের দশটি ছেলে ... কয়টি বাকি রইলো?

এই মারামারি, কাটাকাটি - এটা নি:সন্দেহে একটা বিশাল সমস্যা, তবে দেশে সংখ্যালঘুদের (সব ধরনের) জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকার কর্তৃক এই অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেয়া বা এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকা| সরকারের এই প্রশ্রয়ের কারণেই আজ শুধু যে মানুষ অন্যায় করছে, তাই নয়, তারা এর ছবি তুলে, ভিডিও করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আপ-লোড করছে| অনেক আগে আওয়ামীলীগ করে এমন এক সহপাঠী বলেছিলো, "দোস্ত আওয়ামীলীগ আর বি এন পির মধ্যে পার্থক্য একটাই - আমরা স্বাধীনতার পক্ষের, ওরা বিপক্ষের|" আজ মনে হয় আওয়ামীলীগ দেশের রাজনীতি থেকে বি এন পিকে সরিয়ে দিয়ে শধু তাদের ভোটই দখল করে নি, তাদের অনেক আদর্শ ও (যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী) দখল করেছে|