Wednesday, June 29, 2016

ভেজাল রক্ত


সকালে একটা ছবি দিয়েছিলাম (https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10209907661116823&set=a.1417937817119.2057794.1492832612&type=3&theater&notif_t=like&notif_id=1467190332811644)
ঐ দিন বেশ গরম ছিল। টোপারক গিয়ে যখন পৌঁছি, প্রায় ৪ টা, গাড়ি থেকে নামতেই একদল মশা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আমাদের সম্বর্ধনা জানালো। সবাই যে যার মতো লোকেশন দেখতে বেরুলাম বুনো ফল খেতে খেতে। পাশেই ভলগা নদী, ৫০০-৬০০ মিটার দূরে। নদী  দেখলেই আমার মন টানে। ছোট বেলা কেটেছে নদীর তীরে, ঐ থেকেই অভ্যেসটা  রয়ে গেছে। ওখানে কিছু ছবি তুলে ফিরছি আসল কাজে, বলা নেই কওয়া  নেই দুষ্টু মেঘ গুলো মাথার উপর হিসি করে দিলো। ভাগ্যিস হালকা জ্যাকেট তা ছিল - তাতে মাথা আর ক্যামেরা দুটোই বাঁচলো। ফিরে এসে দেখি তাবু টানিয়েছে ওরা, চা বিস্কুট সব রেডী। বৃষ্টি একটু কমলে পলিনাকে বললাম প্রস্তুতু হতে - বাইরে ওর পোর্ট্রেট তোলার জন্যই এত ঝক্কি (https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10209907657196725&set=a.10208605080553123.1073741870.1492832612&type=3&theater)। আমি জ্যাকেটটা আর খুলিনি।
পলিনা বললো, "তোর নিশ্চয়ই ঠান্ডা লাগছে, শত হলেও গরমের দেশের লোক।"
সবাই দেখি ওর কথায় হো হো করে হেসে উঠলো। কি করা।
বললাম, "নারে, এটা আমার মাল্টি -পারপাস জ্যাকেট।"
"মানে?" সাশার প্রশ্ন।
"মানে এই জ্যাকেট আমাকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, বৃষ্টি থেকে বাঁচায় আর মশার দেশে মশারির কাজ করে।"
"কিন্তু তোর মুখতো খোলা, তাহলে লাভ?" পাশ থেকে তানিয়া টিপ্পনী  কাটলো।
"তা ঠিক। মশারা মুখের কাছে এলেই বলি - "দেখ আমি বাংলাদেশের মানুষ। ওখানকার সব ফরমালিন দেয়া। খাবার দাবার দুই নম্বরী।ভেজাল রক্ত। এই রক্ত খেলে তোরা অসুস্থ হয়ে পড়বি। এই দেখ আসে পাশে কত সুন্দর সুন্দর লোক দাঁড়িয়ে। ওদের রক্ত শুধু খাটিই না, সুস্বাদু। তোরা ওদের কামড়া  আর আমি তোদের ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়ে দিই। দেখিস কত লাইক পাবি দিনের শেষে।"




দুবনা, ২৯ জুন, ২০১৬


No comments:

Post a Comment