Tuesday, May 7, 2024
রবি দিন
ছোটবেলা থেকেই ২৫ শে বৈশাখ, ১১ জ্যৈষ্ঠ এ সব বিশেষ দিন ছিল আমাদের জন্য যদিও পালন করতাম সাধারণত রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদলে গেল, এক সময় ২৫ শে বৈশাখ অন্য দিনগুলোকে ছাপিয়ে গেল। এরপর দুই বাংলায় দুই পঞ্জিকার টানা হেঁচড়ায় কোনটা আসল আর কোনটা নকল সেটা নিয়ে দোটানায় পড়লাম বাইরে থাকার ফলে। এখন আর এ নিয়ে ভাবি না। রবীন্দ্রনাথ জীবনে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছেন যে প্রতি দিনই মনে হয় ২৫ বৈশাখ। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাথে যিনি মিশে থাকেন তাঁকে কি আর একটা দিনে বন্দী করে রাখা যায়?
মস্কো, ০৭ মে ২০২৪
Sunday, May 5, 2024
জন্মদিন
কেউ কি জানেন পৃথিবীর প্রথম কমিউনিস্ট কে ছিলেন - মার্ক্স না বুদ্ধ? এমনিতেই মনে হল। শুভ জন্মদিন কমরেড। বর্তমান বাজারে তোমার দাম মন্দার দিকে। ছাত্র-ছাত্রীরা মার্ক্স চায় না তারা মার্কস চায়। সব কিছুই পরিবর্তনশীল।
মস্কোর পথে, ০৫ মার্চ ২০২৪
Thursday, May 2, 2024
মই
ফেসবুকে একজনের প্রশ্ন
যারা ফেসবুকে গাছ গাছ করছেন তাদের কতজন গাছ লাগিয়েছেন?
সেই হিসাবে আমার জানা নেই। কিন্তু তারচেয়ে অনেক বেশি মানুষ যে অন্যদের গাছে তুলে মই নিয়ে ভেগে পড়েছে সেটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
দুবনা, ০২ মে ২০২৪
Wednesday, May 1, 2024
পয়লা মে
১৮৮৬ তে শিকাগোর রাজপথে শ্রমিকরা রক্ত দিল। ঢাকায় শুনলাম মে ডে পালনকারী ছাত্র জনতা সাধারণ মানুষদের বেচাকেনা বন্ধ করে দিনের আয় থেকে বঞ্চিত করল। আমার বৌ উৎসব উপলক্ষ্যে আমাকে দিয়ে কেক কেনালো দোকান থেকে। স্বীকার করতেই হয় যে কেকের ভাগও ভাগ্যে জুটেছে। কিন্তু বুঝতে পারছি না আমি কোন দলে শোষকের না শোষিতের?
সবাইকে মে দিবসের শুভেচ্ছা। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নে এর নাম ছিল শ্রমিক সংহতি দিবস। এখন বসন্ত ও শ্রম দিবস। সুতরাং সবাইকে শ্রম দিবসে বাসন্তী শুভেচ্ছা।
দুবনা, ০১ মে ২০২৪
Saturday, April 27, 2024
প্রশ্ন
আমাদের কিছু কিছু ক্রিকেটার নাকি মহিলা আম্পায়ারদের অধীনে খেলতে অস্বীকার করেছে। এটা কি নারী বিদ্বেষ নাকি নারী ভীতি? এখন এদের বিরুদ্ধে আইসিসি কি ছিঃ ছিঃ প্রস্তাব আনবে? সম্ভাব্য শাস্তি কী হতে পারে?
দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
ঋতু
দেশে শুনলাম গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। গরমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করার কোন সুযোগ আছে কি? আর বৃষ্টির জন্য কয়েক মাসের ফ্রি এন্ট্রি ভিসা দেবার কথা ভেবে দেখা যায়। ঋতুরাও আজকাল বাঁদরামি করছে - সময় মত আসছে না। গরমকালে শীত আর শীতকালে গরম এলে ওরা বরং জামাই আদর পেত। মার্কেটিং এর উপর ওদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের ফ্রি কোর্স চালু করা যেতে পারে।
দুবনা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
Tuesday, April 23, 2024
ছবি
ফেসবুকে প্রচুর ছবি দেখবেন মস্কো বা রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়নের যেখানে সবাই বই বা কোন কিছু পড়ায় ব্যস্ত। পড়ুয়া জাতি বলে রুশদের দুর্নাম (সুনামও পড়তে পারেন ইচ্ছে হলে) আছে। আমি সাধারণত অনেক রাতে দুবনা ফিরি। এটা সাবিওলভস্কায়া রেল স্টেশন। এ চিত্র অবশ্য যেকোন স্টেশনের। এখন ছবিটা দেখে মনে হল কী যেন একটা নেই। ঠিক। বাদামের খোসা নেই, ছেঁড়া কাগজ নেই। কিচ্ছু নেই। আমাদের দেশে তো খাবার আর কাগজ দিয়ে স্টেশন, রাস্তাঘাট সব গিজগিজ করে। তাহলে খায়, পড়ে কে? এরা না আমরা?
দুবনা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
গরমে রম
দেশে শুনলাম প্রচন্ড গরম। গরমে সবাই অতিষ্ঠ। আচ্ছা দেশের জনগণের এক বিশাল অংশ যখন পোশাক পরিচ্ছদে, চলনে বলনে, এমনকি মনেপ্রাণে আরব হতে চায় তবে সেদেশের মরুভূমির গরমের প্রতি এত অবজ্ঞা কেন? আরব আমিরাতের পর সৌদি আরব নাকি বন্যার কবলে। তবে জানা যায়নি এর সাথে আরবদের বাংলাদেশি হবার ইচ্ছা জড়িত কিনা। ভয়ের কিছু নেই। শীত ইতিমধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করেছে। কাগজপত্র রেডি হলেই চলে আসবে আর গরম পালাবে।
দুবনা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
Sunday, April 21, 2024
সমস্যা
আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আসল সমস্যাটা আইডেন্টিফাই না করতে পারা আর করতে পারলেও সেটা সঠিক ভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে দৈন্যতা। ফলে প্রায়ই ভাঙ্গা রেকর্ডের মত একই মিউজিক বার বার বাজিয়ে যাই। এর একটা কারণ হতে পারে আমরা এ বিষয়ে অন্যদের যুক্তি হয় শুনি না অথবা ইচ্ছা করে এড়িয়ে যাই। অথবা হাজারো সম্ভাব্য সমাধানের কোন একটাকে অন্ধভাবে একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি। দশজনের সাথে চলতে গেলে বলার পাশাপাশি শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়, নিজের অধিকারের পাশাপাশি অন্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হয়।
মস্কো, ২২ এপ্রিল ২০২৪
আত্মবিশ্বাস
আমরা প্রত্যেকেই নিজের সততা ও ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে কখন যে অসৎ ও অন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছি সেটাই টের পাচ্ছে না। নিজের মত ও নিজের পথ নিজের জন্য কার্যকর হলেও অন্যদের কাছে যে সেটা গ্রহণযোগ্য বা ফলপ্রসূ হবে তা কিন্তু নয়। এই সহজ সত্যটি না বোঝার ফলে নতুন নতুন সমস্যার বোঝা সমষ্টির কাঁধে চেপে বসেছে। ফলে আমরা সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছি।
মস্কোর পথে, ২১ এপ্রিল ২০২৪
Monday, April 15, 2024
ইলিশের জুতা
মানুষ বেশি বেশি উপার্জন করতে চায়, নিজেদের দাম বাড়াতে চায়। অথচ আলুটার, মূলোটার, ইলিশটার দাম বাড়লেই হিংসায় জ্বলে ওঠে। বলি তরমুজ, ইলিশ ওদের কি সাধ আহ্লাদ নেই, উৎসবে ওদের কি নামীদামী হতে ইচ্ছে করে না? ইলিশের জুতাজোড়া একটু নিজে পরুন। দেখবেন সব কেমন জলের মত পরিস্কার হয়ে গেছে।
মস্কো, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
Sunday, April 14, 2024
নিরামিষ
কিছু কিছু পোস্ট দেখে মনে হয় কোথাও কোথাও ননভেজ মানুষদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। মনে পড়ে গেল বছর পাঁচেক আগের ঘটনা। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটা কনফারেন্সের পার্টিতে একজন আমাকে একটু পর পর জিজ্ঞেস করছিলেন এই খাবারটি ভেজ কিনা। আর আমাকে প্রায়ই এসব খেয়ে তাদের নিরামিষত্ব প্রমাণ করতে হচ্ছিল। এক সময় আমি তাকে বললাম আপনি বরং বসে বসে ওয়াইন আর ভোদকা খান। ওটা ১০০% ভেজ। এটা আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আপনারাও ভেবে দেখতে পারেন।
মস্কোর পথে, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
Wednesday, April 10, 2024
স্কীল
ঈদ বলে কিনা জানিনা তবে খাবারটা আজ আবার বিট্রে করল, পুড়ে গেল। এমনকি মুখ পর্যন্ত বলল এটা নাকি অখাদ্য। দিন দিন রান্নার হাত তার স্কীল হারাচ্ছে নাকি মুখ তার খাওয়ার স্কীল হারাচ্ছে সেটাই এখন গবেষণার বিষয়। মুস্কিল!
দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০২৪
Tuesday, April 9, 2024
দৃষ্টিভঙ্গি
ছোটবেলায় মনে হয় বড় হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। ছাত্র জীবনে মনে হয় পড়াশোনা শেষ করলেই জীবন সুখের সাগরে ভাসবে। বাবার হোটেলে ভাত খেয়ে জোৎস্না রাতে প্রেমিক বা প্রেমিকার পাশে বসে ভবিষ্যতে কথা ভাবতে ভাবতে মনে হয় এক বার বিয়েটা হয়ে গেলেই জীবন সফল হবে। বাস্তবে দেখা যায় একটি সমাধান নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দেয়। বড় হলে স্কুলে যেতে হয়, শুধু খেলার পরিবর্তে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশ করে চাকরির জন্য জুতার সুকতলা ক্ষয় করতে হয়। বিয়ের পর সংসার চালানোর জন্য আয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষা দিতে হয়। এর মানে জীবনে চিরস্থায়ী সমাধান বলে কিছু নেই, আছে প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান খোঁজা। ফিজিক্সেও তাই। এজন্যেই ফিজিক্স জীবনের সাথে এত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আমরা সাধারণত সেভাবে ভাবি না। আশু সমাধানকে চুড়ান্ত সমাধান মনে করে প্রায়ই কষ্ট পাই। পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নিজের অবস্থানকে অপরিবর্তনীয় রাখার ব্যর্থ হলে প্রায়ই মানবিক গুনাবলী হারিয়ে ফেলি।
দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
দুবনা, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
Sunday, April 7, 2024
আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব
সবই আপেক্ষিক। যারা প্রশংসা পছন্দ করে তাদের কাছে অন্যের চাটুকারিতা সুন্দর, যদিও অন্যদের কাছে বিরক্তিকর। এক মাতালের কাছে সহমাতালের জড়ানো কথা সুন্দর। প্রেমিক প্রেমিকার কাছে অব্যক্ত ভাষা সুন্দর। সাধারণ মানুষের কাছে বেস্ট সেলারের ভাষা সুন্দর, সাহিত্য সমালোচকদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য প্রকাশ সুন্দর। কেউ ওয়াজের ভাষা পছন্দ করে কেউ বৈজ্ঞানিক যুক্তি। কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করার জন্য কারোও বক্তব্য একজনের কাছে যুক্তিপূর্ণ মনে হয়, অন্যের কাছে এটা মনে হয় কুযুক্তি। সমস্যা হল আমরা কখনো নিজেকে অন্যের স্থানে প্রতিস্থাপন করতে পারি না বা চাই না। নিজের অবস্থান থেকে যেটা ভালো মনে করি সেটাকেই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। তাহলে ভালোমন্দের ক্রাইটেরিয়া কি? বক্তার মুখ আর শ্রোতার কান, লেখকের কলম আর পাঠকের মন যখন একই কম্পনাঙ্কে অনুরণিত হয় তখন সেটা সুন্দর, অন্যথায় অসুন্দর।
মস্কোর পথে, ০৭ এপ্রিল ২০২৪
Friday, April 5, 2024
পরিবেশ
শাসক আর শাসিত সবাই সুশাসন চায়। শাসক সুশাসন বলতে বোঝে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা আর সেটা রক্ষা করতে গিয়ে সে একদিন শোষকে পরিণত হয়। শাসিতও সুশাসন চায়, তার কাছে সুশাসন মানে শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়া। অপেক্ষায় থেকে একদিন সে শোষিতে পরিণত হয়। কালক্রমে যদি শোষিত যদি শাসকের আসন দখল করতে পারে সে শোষিত হিসেবে তার সংগ্রাম, তার আশা আকাঙ্ক্ষার কথা ভুলে যায়, সে হয় শোষক। শাসক, শোষক, শাসিত, শোষিত - এসব আসলে এক ধরণের পরিবেশ, এক ধরণের গুন বা দোষ। মানুষ যখন যেখানে পড়ে সেখানে সে সেই ধরণের গুন বা দোষ দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একই মানুষের চরিত্র আর কাজকর্ম দেখে সেটাই মনে হয়।
দুবনা, ০৫ এপ্রিল ২০২৪
দুবনা, ০৫ এপ্রিল ২০২৪
Thursday, April 4, 2024
চরিত্র
সোভিয়েত ইউনিয়ন আর রাশিয়ায় কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হলে বলা হয়, এখন যদি ইস্ত্রি অন কর সেখান থেকেও দেখবে এই আলোচনা বের হবে। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ আর সলিমুল্লা (নবাব ও আম জনতা - দুজনেই) কে নিয়েও সেই একই অবস্থা বিরাজমান। এবং এখানেও সেই নাস্তিক আর আস্তিকের মত অবস্থা। একদল বিশ্বাস করবেই যে রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছিলেন, আরেক দল প্রমাণ করবেই যে স্যার সলিমুল্লা ৬০০ একর জমি দেননি। কিন্তু আসল কথা হল ঢাকা ভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা রবীন্দ্রনাথকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাতে চায় তারা কখনোই কোন দলিল খুঁজে দেখবে না, তারা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে আসেনি, তাদের উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথকে হেয় করা। বদ লোকেরা ভালো মানুষদের নিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলে, কারণ এটা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এটা তাদের জীবন ধারণের প্রধান অবলম্বন। শুনেছি কিছু কিছু মানুষ দিনে যদি মিথ্যা কথা না বলে তার নাকি রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ভালো মানুষ যদি সেটা মিথ্যা প্রমাণ করতে যায় তাহলে শুধু নিজের শক্তিক্ষয় আর মানসিক অশান্তি ছাড়া কিছু লাভ হয় না। হ্যাঁ, মানহানির মামলা করতে পারে। কিন্তু এখানে কে বাদী আর কে বিবাদী হবে সেটাও প্রশ্ন। দেশ মনে হয় আবার ইস্যুর অভাবে ভুগছে।
দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
দুবনা, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
Sunday, March 31, 2024
অস্বাভাবিকতা
আমরা যখন বলি রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসি তখন বোঝাই যে তাঁর রচনা আমাদের ভালো লাগে। যখন বলি ব্রাজিলকে ভালোবাসি তখন বোঝাই সে দেশের ফুটবল টীম আমাদের ভালো লাগে। এক কথায় কাউকে ভালোবাসা, সম্মান করা - এর অর্থ তার কাজ, তার সৃষ্টি ভালোবাসা, তার সৃষ্টি রক্ষার জন্য কাজ করা। শুধুমাত্র ঈশ্বরকে ভালোবেসে, সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে আমরা তাঁর সৃষ্টি ধ্বংস করি। তাঁকে সর্বশক্তিমান মেনে, তিনিই যে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন তাতে অগাধ বিশ্বাস রেখে ধর্মের নামে বিধর্মীদের ধ্বংস করে। সেই অর্থে ধর্মের নামে অধিকাংশ কাজকর্ম স্বাভাবিক মানবিক বিচার-বুদ্ধির সাথে সাংঘর্ষিক।
মস্কো, ৩১ মার্চ ২০২৪
Saturday, March 30, 2024
দাঁড়ানো
আসীন মানে বসে থাকা। ক্ষমতাসীন মানে ক্ষমতার কাঁধে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা। তবে আজকাল অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন মানুষ এতটাই উত্তেজিত, এতটাই অশান্ত যে এদের দেখে বসে আছে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে এদের ক্ষমতায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ বলে ডাকা কি খুব অযৌক্তিক হবে?
মস্কো, ৩০ মার্চ ২০২৪
Friday, March 29, 2024
Разговор / কথোপকথন
Надежда умирает последней!
Плохо.
Что плохого?
Что она умирает.
Но за то последней.
Все равно же она умирает.
আশা সবার শেষ মারা যায়!
খুব খারাপ।
খারাপের কী হল?
ঐ যে, মারা যায়।
কিন্তু মারা যায় তো সবার শেষে।
তাতে কী? মারা তো যায়।
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২৪
Плохо.
Что плохого?
Что она умирает.
Но за то последней.
Все равно же она умирает.
আশা সবার শেষ মারা যায়!
খুব খারাপ।
খারাপের কী হল?
ঐ যে, মারা যায়।
কিন্তু মারা যায় তো সবার শেষে।
তাতে কী? মারা তো যায়।
দুবনা, ২৯ মার্চ ২০২৪
Thursday, March 28, 2024
ধর্ম
মানব সভ্যতা, মানবতা - এসব ঈশ্বরের মতই একটি ধারণা যেটা ভাঙ্গিয়ে চালাকেরা বোকাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খায়। এক সময় পশ্চিমা বিশ্ব এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকার আদিবাসীদের হাতে বাইবেল ধরিয়ে দিয়ে এদের জমিজমা হস্তগত করেছে, এখন মানবতা নামক এক মন্ত্র আমাদের কানে ঢুকিয়ে মাথা কিনে নিচ্ছে। লক্ষ্য করার বিষয় কী ধর্ম, কী মানবতা এসব পালন করার দায়িত্ব শুধু আমাদের, তাদের এসব পালনের প্রয়োজন নেই।
দুবনা, ২৮ মার্চ ২০২৪
Tuesday, March 26, 2024
সুখ ও স্বাধীনতা
ছোটবেলায় সুখের সংসারের প্রচলিত রূপ ছিল এরকম - গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ, উঠান ভরা ছেলেমেয়ে। অনেকেই এরকম স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসত। অনেকেই ঘর ভরা নতুন মুখ ঠিকই পেত কিন্তু ধান, মাছ আর গরুর টিকির দেখা পাওয়া ছিল পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। সুখ তো কবেই পালিয়ে গেছে খোলা জানালা দিয়ে। তারপরেও প্রতি বছর বিবাহ বার্ষিকী আসে। এসব সংসারে বিবাহ বার্ষিকী পালন আসলে অপূর্ণ স্বপ্নের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলা, সুখী বিবাহিত জীবনের সেলফি তুলে ফেসবুকে দিয়ে অন্যদের চোখে নিজেকে একটু প্রাসঙ্গিক করে তোলা। জানি না আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কেন এই কথাগুলো মনে হল।
সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দুবনা, ২৬ মার্চ ২০২৪
সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দুবনা, ২৬ মার্চ ২০২৪
Monday, March 25, 2024
পাগল
পাগলের কোন সমস্যা নেই। আর সমস্যা নেই বলেই ও পাগল। সমস্যা ভালো মানুষের যারা পাগলের কথায় নাচতে শুরু করে, পাগলের পাগলামীকে গুরুত্ব দেয়। আর পাগল যদি চতুর হয় সে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য ভেঙচি কাটে, থুথু ফেলে, এমনি যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে। ওসব ঘাটালে নিজের নাকে দুর্গন্ধ ঢুকবে। কী করা? পাগলকে পাত্তা না দিয়ে, লাই না দিয়ে এড়িয়ে চলুন। বন্ধ করুন পাগলের কীর্তন। আপনার গালি ওকে লজ্জিত করে না, ওর মূরিদ ও মুরাদ বাড়ায়।
মস্কো, ২৫ মার্চ ২০২৪
Saturday, March 23, 2024
বাঁচা
সবাই বাঁচতে চায় - কেউ মরণের হাত থেকে, কেউ জীবনের হাত থেকে। নির্ভর করে কে কোন ফ্রেমে দাঁড়িয়ে আছে।
দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২৪
দুবনা, ২৩ মার্চ ২০২৪
Wednesday, March 20, 2024
বুদ্ধি
গতকাল সূয্যি মামা উত্তর গোলার্ধ থেকে দক্ষিণ গোলার্ধে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সেটা নিয়মানুযায়ী হয়েছে নাকি অফ সাইড ছিল তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এই নিয়ে প্রকৃতিতে ঝগড়া। বাতাসের সাথে তুষারের হাতাহাতি। রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ারকে ঠিক করতে হবে শীত কি সত্যি আউট না কি এখনও নট আউট। অনেক মানুষ সেই দাবিই তুলেছে।
মানুষ ব্যতীত অন্য কোন প্রাণির আইনের বই নেই, জেল নেই, টিভি আম্পায়ার নেই, এমনকি আম্পায়ার পর্যন্ত নেই। ক্যালেন্ডারের তোয়াক্কা না করে কিছু ফুলকে দেখলাম দিব্যি পথে নেমেছে, বাতাসে মাথা দুলিয়ে নাচছে পাখিদের গানের সাথে। হায়রে বুদ্ধিমান মানুষ! একেই হয়তো বলে বুদ্ধির বিড়ম্বনা।
দুবনা, ২১ মার্চ ২০২৪
পার্টি
বাংলাদেশের নির্বাচন অনেক আগেই শেষ। তারপরেও পার্টি সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দেখে মনে হয়েছিল, কী ব্যাপার, রাজনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো নাকি? একটু ভালো করে পরে দেখলাম, রাজনৈতিক দল নয়, কথা হচ্ছে ইফতার পার্টি নিয়ে। যাক, বাঁচা গেল!
দুবনা, ২০ মার্চ ২০২৪
Saturday, March 16, 2024
ফাঁকি
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে
"যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে"
কথাটা বলা হয় এটা বোঝাতে যে যারা কাজ করে তারা ফাঁকি দেবার জন্য অজুহাত খোঁজে না।
তবে এখানে একটি ফাঁকি আছে। রাঁধুনি যদি রাঁধার আগে চুল বাঁধে তাতে খাবারে চুল পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ কমে যায়।
দুবনা, ১৬ মার্চ ২০২৪
Thursday, March 14, 2024
জীবন
গত কয়েকদিন ধরে সূর্যটা বিরামহীন ভাবে আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে। এটা মনে হয় শীতের ফাঁকিবাজিকে কম্পেনসেট করার ইচ্ছে থেকে যাতে বছর শেষে বেতন কাটা না যায়। দুবনায় এখনও প্রচুর বরফ। রাস্তার পাশে তো সে প্রায় ৬০ - ৭০ সেন্টিমিটার পুরু। তাই এখনও বনে যাইনি ফুলের খোঁজে। আজ কি মনে করে বাসার সামনে আমাদের বাগানে গেলাম। তিন বছর আগে ওটা করি। এখনও ঘন বরফের নীচে ঢাকা পড়ে আছে বাগান। তবে যেখানে ক্রিস্টমাস ট্রি সেখানে দেখি বরফের ফাঁকে একটু মাটি দেখা যাচ্ছে। কী ভেবে ওখানে গেলাম। একটু ভালো ভাবে নজর দিয়ে দেখি একটা পাদস্নেঝনিক ফুটে আছে। পাদস্নেঝনিক মানে যা বরফের নীচে। এটাই বসন্তের প্রথম ফুল। মনে হয় শীতের পক্ষ থেকে বসন্তের দিকে বাড়িয়ে দেয়া ফুলের তোড়া। দিনের শেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেও জীবন সব সময়ই সুযোগ খোঁজে মাথা তোলার, পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার, মুক্ত বাতাসে একটু নিঃশ্বাস নেবার। কত মানুষ জীবনের গঞ্জনা সইতে না পেরে মৃত্যুলোকে আশ্রয় খোঁজে আবার কত জন যে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বেঁচে থাকার জন্য, সূর্যের নীচে নিজের একটা স্থান করে নেয়ার জন্য লড়াই করে! এই হেরে না যাওয়াটাই জীবন!
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৪
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৪
Wednesday, March 13, 2024
আছে মৃত্যু
১৯৮৩ সালে রাশিয়ায় আসার আগে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীদের একজন ছিলেন সাদি মহম্মদ। ছাত্র জীবনে, যখন অনেক বাংলাদেশী এক সাথে আড্ডা দিতাম, তখন নিজদের মধ্যে ক্যাসেট, বই এসব বিনিময় হত। তাই দূরে থাকলেও দেশের শিল্পীদের সাথে এক ধরণের যোগাযোগ ছিল। গত ৩০ বছর দুবনায় বলতে গেলে একাই থাকি। এ কারণেও হতে পারে, হতে পারে বয়স - আজকাল আর বাংলা গান তেমন শোনা হয় না। যেটুকু হয়, সেটা নিজের গুন গুন করে গান গাওয়ার শব্দ। গতকাল সাদি মহম্মদের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আবার তাঁর কথা মনে পড়ল। হ্যাঁ, অনেক সময় মৃত্যুও জীবনের সংবাদ নিয়ে আসে।
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৪
দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৪
ঋণ
ঘর ভর্তি লোক। ঢুকতেই এক জন চিৎকার করে বলল
ও মাই গড!
খুব আশা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
ও টা কে?
কিছু না বলে সে হাঁ করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। ভেবেছিলাম শেষ পর্যন্ত গডের দেখা মিলবে। মিলল না। ভদ্রলোকের ব্যবহারে মনে হয় প্রচণ্ড ঋণগ্রস্থ কেউ। সবাইকে ক্রেডিটর মনে করে। তাই সবার চোখে ধুলা দিয়ে পালিয়ে বেড়ায়।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২৪
ও মাই গড!
খুব আশা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
ও টা কে?
কিছু না বলে সে হাঁ করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। ভেবেছিলাম শেষ পর্যন্ত গডের দেখা মিলবে। মিলল না। ভদ্রলোকের ব্যবহারে মনে হয় প্রচণ্ড ঋণগ্রস্থ কেউ। সবাইকে ক্রেডিটর মনে করে। তাই সবার চোখে ধুলা দিয়ে পালিয়ে বেড়ায়।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২৪
শখ ও পেশা
যারা পেশাদার তারা আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেদের কাজ করে এবং নিজের সুনাম রক্ষার জন্য খুব ভালো ভাবেই সেটা করে। যারা সৌখিন, তারা কাজ করে আবেগের তাড়নায়। এতে হয়তো বাইরে থেকে তার কাজ ততটা পরিপাটি হয় না কিন্তু ভালোবাসা সেটাকে কমপেনসেট করে। এটা অনেকটা দামী হোটেলের আর মায়ের হাতে রান্না খাবারের মত।
দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২৪
Tuesday, March 12, 2024
নাম
দেশে আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুর নাম ছিল রমজান। ওরা কি এখনও আগের নামেই পরিচয় দেয়, নাকি নতুন বাস্তবতায় নাম পরিবর্তন করে রামাদান লেখে। এমনিতেই জানতে ইচ্ছে করল।
দুবনা, ১২ মার্চ ২০২৪
Saturday, March 9, 2024
ছাড়
একটা বিষয় খেয়াল করে দেখলাম যে নারী পুরুষের সম্পর্কে ভাঙন দেখা দিলে একদল মানুষ সেটাকে নারীর স্বাধীনচেতা মনোভাব ও স্বাবলম্বী হয়ে ওঠাকে কারণ হিসেবে দেখায়। যারা নারীদের পুরুষের সমকক্ষ দেখতে চায় না তারা এটাকে নারীর স্বাধীনতা ও স্বাবলম্বিতা খর্ব করার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। আবার যারা নারীবাদী তাদের অনেকেই এটাকে নারীদের বুদ্ধিমত্তা, স্বাবলম্বিতা ও স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পুরুষের ব্যর্থতা হিসেবে দেখে। আমার মনে হয় দুটো ধারণাই একপেশে। কারণ বন্ধুত্ব মানেই কম্প্রোমাইজ, নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা। আর সেটা হওয়া উচিত উভয় পক্ষ থেকে। যখনই সম্পর্ক থেকে পরস্পরকে ছাড় দেবার ধারণাটা নাই হয়ে যায় তখন সম্পর্কটাই নাই হয়ে যায়। দোষটা যতটা না নারী বা পুরুষে তারচেয়ে বেশি ত্যাগের মানসিকতার অভাবের।
দুবনা, ০৯ মার্চ ২০২৪
Friday, March 8, 2024
বুদ্ধির ঢেঁকি
জ্ঞানের সাথে প্রায়ই আলো কথাটা উচ্চারিত হয়। জ্ঞানের কাজ হল মানুষকে আলোকিত করা। কিন্তু কেউ যখন সেটাকে মানুষকে অন্ধকারে রাখার জন্য ব্যবহার করে তখন তাকে জ্ঞানী বলা যায় না, সে বুদ্ধির মুদিদোকানি। এরা নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলতে, নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখতে, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে একটা জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখতে চায়, রাখে। শিষ্যদের চোখে মহান এসব বুদ্ধির ঢেঁকিরা সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
দুবনা, ০৮ মার্চ ২০২৪
Tuesday, March 5, 2024
মরার প্রকারভেদ
আচ্ছা, স্বর্গ নরকের বিশয়টা কি ভাষার সাথেও সম্পৃক্ত? না না, ধর্ম তো আছেই। বালছি ভাষাও কি এখানে কোন ভূমিকা পালন করে? কারণ আমরা বাংলায় বলি কেউ মারা গেছেন, মরে গেছে। ইংরেজি বা রুশে সেভাবে বলে না, বলে মরেছেন। যেহেতু মারা গেছেন, মারা যাবেন - এখানে মরার সাথে যাওয়ার ব্যাপারটা যুক্ত তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে কোথায় যাবেন? আর তখনই একটা জায়গা খুঁজে বের করতে হয় যুক্তির খাতিরে। সবাই স্বর্গে যেতে চায় আর যারা ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি এড়িয়ে চলতে চান তারা বেছে নেন মহাবিশ্বের অনন্ত আকাশ, ফোটন কণার পিঠে চড়ে ঘুরে বেরড়ানোর জন্য।
দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২৪
দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২৪
Sunday, March 3, 2024
স্বার্থ
আমরা প্রায়ই স্বার্থের কথা বলি, বলি মানুষ শুধু স্বার্থের জন্য বন্ধুত্ব করে, স্বার্থ পূর্ণ হলেই কেটে পড়ে। আমার মনে হয় প্রশ্নটা স্বার্থ বা স্বার্থহীনতার নয়। মহাবিশ্বে সব কিছু ঘটে ইন্টারেকশন বা মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে। আর ইন্টারেকশন মানেই দেয়া নেয়া। দুটো হাইড্রোজেন পরমানু নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য একটা অক্সিজেন পরমানুর সাথে ঘর বেঁধে জলের জন্ম দেয়।
একজন নিজের প্রয়োজনেই দেয়, অন্যজন নিজের প্রয়োজনেই নেয়। এই দেয়া নেয়া পরস্পরের স্বার্থে। একজনই দিয়ে খুশি, আরেকজন নিয়ে। যারা দেয় না বা নেয় না তারা ইনার্ট বা নিষ্ক্রিয়। তাই এটা মানুষের চাওয়া পাওয়ার থেকেও অনেক গভীরে। এটা প্রকৃতির নিয়ম। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে বা নতুন প্রয়োজন দেখা দিলে নতুন প্রতিক্রিয়া ঘটে, জন্ম নেয় নতুন সংসার, নতুন বন্ধুত্ব। তাই স্বার্থ বিষয়টি মনে হয় শুধু মানবিক হয়, এটা সৃষ্টির মূল রহস্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মস্কো, ০৪ মার্চ ২০২৪
মুস্কিল
ট্র্যাজেডিটা হল এখন সবাই শুধু বই কিনতে বলেন, কেউ বই পড়তে বলে না। এটা ভেতরে পড়ার কিছু নেই বলে নাকি বই প্রকাশ করাও শুধুমাত্র ব্যবসা বলে? হতেও পারে। আজকাল অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো শিক্ষার চেয়ে সার্টিফিকেট দিতেই বেশি আগ্রহী। প্রকাশকদের পাশাপাশি লেখকরাও যদি বেচাকেনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাহলে লেখার সময় পাবে কোথায়? মুস্কিল!
মস্কোর পথে, ০৩ মার্চ ২০২৪
Saturday, March 2, 2024
বই
এত যে লেখালেখি করিস তা বই লিখতে পারিস না?
পারি না সেটা তোকে কে বলল? আলবৎ পারি।
তাহলে বকবক না করে লিখে দেখা।
দাঁড়া দেখাচ্ছি। এই দেখ
দুবনা, ০২ মার্চ ২০২৪
Thursday, February 29, 2024
বই
বই হল বহমান নদীর মত। দুই বার একই নদীতে যেমন নামা যায় না, তেমনি একই বই দুই বার পড়া যায় না। প্রতি পঠনেই অন্যরূপে ধরা দেয় বইয়ের ঘটনাবলী।
দুবনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দুবনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Sunday, February 25, 2024
নেতা
কবি নির্মলেন্দু গুণ এক সাক্ষাৎকারে জানালেন সত্তরের নির্বাচনে জেতার পর বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন এ কারণে যে জনগণ তাঁকে ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য ভোট দিয়েছে তাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব নয় ছয় দফা বাস্তবায়ন তাঁর প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। এটা শুনে আমার মনে পড়ল যে জেলেনস্কিকে জনগণ ভোট দিয়েছিল যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু সে শান্তির জন্য কিছু তো করেই নাই, উল্টা যুদ্ধ আরও তীব্রতর, আরও রক্তক্ষয়ী করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এখানেই একজন দেশদরদী নেতার সাথে ক্ষমতালোভী নেতার পার্থক্য।
মস্কো, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উন্নয়ন
শুনলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ২৬০ বাড়ির মালিক। বাংলাদেশের ভূমি কিছুটা হলেও সম্প্রসারণের জন্য এই লোককে তো স্বাধীনতা পদক দেওয়া উচিত সরকারের। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী পদে উন্নীত (উন্নয়ন বলে কথা) করা উচিৎ। আমার বিশ্বাস তাতে দেশের আয়তন আরও অনেকটা বাড়বে।
দুবনা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Saturday, February 24, 2024
বিশ্বাসঘাতক
খাওয়ার আগে ট্যাবলেট খেতে হয়। ট্যাবলেট মুখে পুরে জলের গ্লাসে চুমুক দিলাম। কিছুক্ষণ পরে টের পেলাম জল গিলে ফেলেছি কিন্তু ট্যাবলেট যেমন ছিল মুখে তেমনি রয়ে গেছে। শুধু মুখটা তেতো হয়ে গেছে। খাবারের পাশাপাশি আজকাল ওষুধপত্রও দেখি বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে। তবে গতকালের পোড়া পোলাও বাড়তে গিয়ে বেশ খুশি হলাম। চাই না চাই ওরাই আমাকে ডায়েট কন্ট্রোলে বাধ্য করবে। অবশ্য আমি আর ডায়েট কন্ট্রোল দুই ভুবনের বাসিন্দা।
দুবনা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Friday, February 23, 2024
Feelings
Sometimes it seems that back home Left ideology has left the field for the Rights or Left is walking hand in hand with the Rights.
Dubna, 22 February 2024
Thursday, February 22, 2024
অজুহাত?
উর্দু কবি গুলজার জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার পেলেন। ভারতের অনেক কবি সাহিত্যিকদের হাতে উর্দু ভাষা অনবরত সমৃদ্ধ হচ্ছে। ভাষা হিসেবে এর জন্মভূমিও ভারত। আচ্ছা পাকিস্তানে কি উর্দুর পাশাপাশি স্থানীয় ভাষাগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে? কয়েক বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতে ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী। উর্দু ভাষা চর্চা ভারতে এখনও খুব ভালো ভাবেই হচ্ছে। তাহলে বাংলা চর্চা হতে বাধা কোথায়? নাকি এটা এক ধরণের অজুহাত? বাঙালির চিরদিনের অভ্যাস নিজেকে করুণার পাত্র হিসেবে দেখার?
দুবনা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Tuesday, February 20, 2024
একুশের আহ্বান
ভাষা হোক শঙ্কামুক্ত, ভাষা হোক শান্তির
কুসংস্কার মুক্ত, ভাষা হোক প্রগতির
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভাষা হোক একতার
মিথ্যার মুখপাত্র নয়, ভাষা হোক সততার
ভাষা থেকে দূর হোক যা কিছু পাশবিক
ভাষা হোক মানুষের, ভাষা হোক মানবিক।
সবাইকে মহান একুশের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দুবনা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Monday, February 19, 2024
মিলন মেলা
গতকাল সাবনার গেট টুগেদার ছিল বলে ফেসবুক জানিয়ে গেল। প্রায়ই দেখি বিভিন্ন দেশে সোভিয়েত গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মিলিত হচ্ছে, অতীত স্মৃতি রোমন্থন করছে। কিন্তু আমরা যারা এদেশে বা মস্কোয় রয়ে গেছি তাদের কোন গেট টুগেদার নেই, কোন স্মৃতি নেই। এটা কি আমরা এখানে আছি বলে বর্তমান থেকে বেরুতে পারছি না, মানে অতীতহীনতায় ভুগছি, নাকি সোভিয়েত সমাজে আমাদের থাকা ওদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ ছিল না সেজন্য, নাকি মক্কার মানুষ হজ্ব পায় না তার সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা।
দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Sunday, February 18, 2024
বাস্তবতা
বাইডেন থেকে শুরু করে পশ্চিমের সব নেতাই জেলেনস্কি। জেলেনস্কি সহ ইউরোপের নেতারা যেমন বাইডেনের হাতে খেলার পুতুল - কেউ ভাড়, কেউ উজির, কেউবা নাজির তেমনি বাইডেন নিজেও পর্দার আড়ালে থাকা হাইপার পুঁজির হাতে আলাদিনের চেরাগ যার কাজ হচ্ছে এসব ধনকুবেরদের সব ইচ্ছা ও অনিচ্ছা পূরণ করা। আর এসব করতে গিয়ে কত রক্ত ঝরবে, কত প্রাণ বলিদান হবে এটা তাদের ভাবার বিষয় নয়।
দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Saturday, February 17, 2024
প্যারাডক্স
কথায় আছে বার বার বলায় মিথ্যাও এক সময় সত্য হয়, কল্পনা বাস্তবের চেয়েও বাস্তব হয় অথচ অনেক নির্ভেজাল সত্য প্রায়ই সত্য বলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। তাই মানুষ কর্ম ফলে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর আর দেব দেবীতে বিশ্বাস করে কিন্তু তার দুর্ভাগ্যের জন্য যে শোষণ ও সম্পদের অসম বন্টন দায়ি সেটা মেনে নিতে পারে না। আর এভাবেই সত্য বা মিথ্যা অবজেক্টিভ রিয়ালিটি না থেকে সাবজেক্টিভ রিয়ালিটিতে পরিণত হয়।
মস্কো, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Tuesday, February 13, 2024
স্বাধীনতা
ঘুড়ির স্বাধীনতা লাটাইয়ের দড়ির দৈর্ঘ্যের সমান। যে দেশ নিজেকে যত বড় গণতান্ত্রিক দাবি করে সে দেশের সুতা তত লম্বা, তত সুক্ষ, তত অদৃশ্যপ্রায়। তবে লাটাই কর্তাদের হাতে। প্রয়োজনে হ্যাচকা টান দিতে এতটুকু দ্বিধা করে না। আর যদি কেউ দড়ি ছিঁড়েও ফলে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘুড়ির মতই মুখ থুবড়ে পড়ে বেঘোরে প্রাণ হারায়।
দুবনা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Friday, February 9, 2024
চুরি
শুনলাম পাকিস্তানেও নাকি ভোট চুরি হচ্ছে। অবশ্য এটাকে প্রকাশ্য দিবালোকে ভোট ডাকাতি বলেই উল্লেখ করেছে কেউ কেউ। ধর্ম গ্রন্থে বিভিন্ন চুরির সাজার ব্যবস্থা আছে। ঘুষ চুরি কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ভোট চুরি তো চুরি না হয়ে যায় না। ভোট চুরির সাজা হিসেবে হিসেবে ধর্ম অনুযায়ী কী ধরণের ব্যবস্থা আছে? এমনিতেই জানতে ইচ্ছে করল।
দুবনা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দুবনা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Sunday, February 4, 2024
শাড়ি
সারি সারি ঝুলছে শাড়ি
গলায় পরে ফাঁসির দড়ি
নাম কি তোমার কোথায় ধাম
বল কি তোমার বাপের নাম
কোন দেশের নাগরিক
একেশ্বরবাদী না পৌত্তলিক?
জর্জরিত প্রশ্ন বাণে
কাঁপন ধরে শাড়ির মনে
জাতি ধর্ম দেশ নাই
তার হই যার আদর পাই।
মস্কো, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গণতন্ত্র
একাত্তরে পাক বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল আবাসিক এলাকা। তখন আমেরিকা তাদের দোসর ছিল। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া এসব দেশেও আমেরিকা ও ন্যাটোর হাতে যত না সামরিক বাহিনীর সদস্য মারা গেছে, তারচেয়ে বেশি মারা গেছে সাধারণ মানুষ। আমেরিকার নতুন পৌষ্য ইউক্রেন সে পথেই যাচ্ছে। নিয়মিত বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত করে হত্যা করছে নারী আর শিশুদের। গণতন্ত্র বলে কথা।
দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Subscribe to:
Posts (Atom)