Thursday, March 14, 2024

জীবন

গত কয়েকদিন ধরে সূর্যটা বিরামহীন ভাবে আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে। এটা মনে হয় শীতের ফাঁকিবাজিকে কম্পেনসেট করার ইচ্ছে থেকে যাতে বছর শেষে বেতন কাটা না যায়। দুবনায় এখনও প্রচুর বরফ। রাস্তার পাশে তো সে প্রায় ৬০ - ৭০ সেন্টিমিটার পুরু। তাই এখনও বনে যাইনি ফুলের খোঁজে। আজ কি মনে করে বাসার সামনে আমাদের বাগানে গেলাম। তিন বছর আগে ওটা করি। এখনও ঘন বরফের নীচে ঢাকা পড়ে আছে বাগান। তবে যেখানে ক্রিস্টমাস ট্রি সেখানে দেখি বরফের ফাঁকে একটু মাটি দেখা যাচ্ছে। কী ভেবে ওখানে গেলাম। একটু ভালো ভাবে নজর দিয়ে দেখি একটা পাদস্নেঝনিক ফুটে আছে। পাদস্নেঝনিক মানে যা বরফের নীচে। এটাই বসন্তের প্রথম ফুল। মনে হয় শীতের পক্ষ থেকে বসন্তের দিকে বাড়িয়ে দেয়া ফুলের তোড়া। দিনের শেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেও জীবন সব সময়ই সুযোগ খোঁজে মাথা তোলার, পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার, মুক্ত বাতাসে একটু নিঃশ্বাস নেবার। কত মানুষ জীবনের গঞ্জনা সইতে না পেরে মৃত্যুলোকে আশ্রয় খোঁজে আবার কত জন যে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বেঁচে থাকার জন্য, সূর্যের নীচে নিজের একটা স্থান করে নেয়ার জন্য লড়াই করে! এই হেরে না যাওয়াটাই জীবন!

দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৪

 

No comments:

Post a Comment