আচ্ছা, আমাদের ইউনিভার্সিটির এখন কেমন অবস্থা? আমাদের সময়ের
মতই কী ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করে?
আমি শুধু আমাদের ফ্যাকাল্টির কথা বলতে পারব। মনে হয় ওদের ভিত তেমন শক্ত নয়।
কেন? তোমাদের ওখানে তো ভালো ছাত্ররা পড়তে আসে।
আসতো। এখন ভালো ছাত্ররা প্রায়ই অন্য দিকে চলে যায় আর আমরা পাই উচ্ছিষ্টদের। ওদের অধিকাংশই শেষ করে এ লাইনে কাজ করবে না। দরকার শুধু ডিপ্লোমা।
আমি শুধু আমাদের ফ্যাকাল্টির কথা বলতে পারব। মনে হয় ওদের ভিত তেমন শক্ত নয়।
কেন? তোমাদের ওখানে তো ভালো ছাত্ররা পড়তে আসে।
আসতো। এখন ভালো ছাত্ররা প্রায়ই অন্য দিকে চলে যায় আর আমরা পাই উচ্ছিষ্টদের। ওদের অধিকাংশই শেষ করে এ লাইনে কাজ করবে না। দরকার শুধু ডিপ্লোমা।
মনে মনে ভাবি, আমাদের সময়ের সবাই কি নিজ ফিল্ডে কাজ করছে?
ডাক্তারদের বড় অংশ পেশায় কাজ করলেও অন্যদের অধিকাংশই তো আজ অফিসের বস, আমলা, ব্যবসায়ী
এসব।
তাহলে সময়ের কী দোষ?
না, মানে এখন তো আমাদের দেশের অনেককেই দেখি এখানে শিক্ষকতা করেন। তাদের তো ভালো ছাত্র হিসেবে কখনই জানতাম না আমরা।
বাঁচা গেল। আমি যেহেতু আজীবন ছাত্র, তাই ওই ক্যাটাগরিতে পরি না। মানে ধরে নিতে পারি আমাকে লক্ষ্য করে তীরটি ছোড়া হয়নি। তাই চুপ করে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম, “আচ্ছা, কে ভালো ছাত্র, কে খারাপ ছাত্র তার খবর আমরা কি আদৌ রাখতাম?” ছাত্র জীবন, কর্ম জীবন – সবই জীবনের একেকটি ধাপ। মানুষের বিশ্বাস সকালই দেখায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা নাও হতে পারে। তাই ছাত্র জীবনে সফল কেউ কর্ম জীবনেও যে সফল হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কখন যে কার জীবনের সুর সময়ের সাথে একই তরঙ্গে বেজে ওঠে সেটা আগে থেকে বলা যায় না। জীবনে অনেক নামী দামী এমনকি নোবেল বিজয়ী বৈজ্ঞানিকদেরও দেখেছি। সবাই যে ভালো শিক্ষক, ভালো বক্তা সেটা বলতে পারব না। শিক্ষকতা একেবারেই ভিন্ন জিনিস। শিক্ষক মূলত সমাজে গৃহীত সত্যকে অন্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেন, ছাত্রদের শেখান। অনেকটা বলা যায় অভিনয় করার মত। যা পড়ান, নিজে বিশ্বাস না করলে অন্যদের সেটা বিশ্বাস করানো কঠিন। যারা বইয়ের লেখাকে বেদবাক্যের মত বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে অনেক সোজা অন্যদের সেটা বিশ্বাস করানো। এ কারণেই মনে হয় (ধর্ম) প্রচারক, রাজনীতিবিদ – এরা ভালো বক্তা হয়, এরা সহজেই নিজেদের বিশ্বাস মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু যারা গবেষণার সাথে জড়িত, প্রশ্ন করাই যাদের প্রধান কাজ তারা যায় যুক্তির পথে। এরা প্রশ্ন করে শিখতে শেখায়। বিশ্বাস নয় - অবিশ্বাস, ভক্তি নয় - যুক্তি তাদের প্রধান অস্ত্র। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী লোকজনদের নিয়ে এটাই সমস্যা। তাদের ঘাড়ে একবার কোন আইডিয়ার ভূত চেপে বসলে সেই ভূত ছাড়ানো বলতে গেলে অসম্ভব। এটাও এক ধরণের কূপমণ্ডূকতা।
দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
না, মানে এখন তো আমাদের দেশের অনেককেই দেখি এখানে শিক্ষকতা করেন। তাদের তো ভালো ছাত্র হিসেবে কখনই জানতাম না আমরা।
বাঁচা গেল। আমি যেহেতু আজীবন ছাত্র, তাই ওই ক্যাটাগরিতে পরি না। মানে ধরে নিতে পারি আমাকে লক্ষ্য করে তীরটি ছোড়া হয়নি। তাই চুপ করে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম, “আচ্ছা, কে ভালো ছাত্র, কে খারাপ ছাত্র তার খবর আমরা কি আদৌ রাখতাম?” ছাত্র জীবন, কর্ম জীবন – সবই জীবনের একেকটি ধাপ। মানুষের বিশ্বাস সকালই দেখায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা নাও হতে পারে। তাই ছাত্র জীবনে সফল কেউ কর্ম জীবনেও যে সফল হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। কখন যে কার জীবনের সুর সময়ের সাথে একই তরঙ্গে বেজে ওঠে সেটা আগে থেকে বলা যায় না। জীবনে অনেক নামী দামী এমনকি নোবেল বিজয়ী বৈজ্ঞানিকদেরও দেখেছি। সবাই যে ভালো শিক্ষক, ভালো বক্তা সেটা বলতে পারব না। শিক্ষকতা একেবারেই ভিন্ন জিনিস। শিক্ষক মূলত সমাজে গৃহীত সত্যকে অন্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেন, ছাত্রদের শেখান। অনেকটা বলা যায় অভিনয় করার মত। যা পড়ান, নিজে বিশ্বাস না করলে অন্যদের সেটা বিশ্বাস করানো কঠিন। যারা বইয়ের লেখাকে বেদবাক্যের মত বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে অনেক সোজা অন্যদের সেটা বিশ্বাস করানো। এ কারণেই মনে হয় (ধর্ম) প্রচারক, রাজনীতিবিদ – এরা ভালো বক্তা হয়, এরা সহজেই নিজেদের বিশ্বাস মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু যারা গবেষণার সাথে জড়িত, প্রশ্ন করাই যাদের প্রধান কাজ তারা যায় যুক্তির পথে। এরা প্রশ্ন করে শিখতে শেখায়। বিশ্বাস নয় - অবিশ্বাস, ভক্তি নয় - যুক্তি তাদের প্রধান অস্ত্র। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী লোকজনদের নিয়ে এটাই সমস্যা। তাদের ঘাড়ে একবার কোন আইডিয়ার ভূত চেপে বসলে সেই ভূত ছাড়ানো বলতে গেলে অসম্ভব। এটাও এক ধরণের কূপমণ্ডূকতা।
দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment