কী,
ভোট দিলে, মানে ভোট দান করলে?
কী যে বল, ভোট দান? আজকাল আর কেউ দান-টান করে করে না, ঘুষ দেয়, বুঝলে ঘুষ। হ্যাঁ, ভোট ঘুষ দিয়ে এলাম।
বল কি? ভোট ঘুষ। কখনও তো শুনিনি।
শুনবে কীভাবে? দেশে তো থাক না। এখন আর সেই আমল নেই যে দেশ আর দশের কথা ভেবে কেউ কিছু করবে। ভোট দিতে গিয়ে আজকাল আমরা আর দেশের ভালমন্দের কথা ভাবি না। ভেবেই বা কী হবে বল। যে যে পদেই নির্বাচিত হোক না কেন, কিছুদিন পরে দেখবে আঙ্গুল ফুলে ঠিক কলাগাছ হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি দুর্নীতি করতে নাও চায় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হ্যারাস করবে। আর জানই তো যার গায়ে যত তেল, তার বোধশক্তির অভাব তত বেশি। তখন আর দেশের, দেশের মানুষের আর্তি আর তাদের কানে গিয়ে পৌঁছয় না। তুমি দেশ থাক না তাই বলছি। এই যে আমরা ঈশ্বরকে ডাকি, পূজা-পার্বণ করি সেটাও আসলে এক ধরণের ঘুষ। আমরা তো আর দেবতার কথা ভেবে এসব করি না, তার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য করি। ভোট দেওয়াটাও তাই। এই যে আমাদের ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধিরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলবে সেখান থেকে ছিটেফোঁটা, নিদেন পক্ষে পান-বিড়ি পাওয়ার আশায় ভোটটা ঘুষ হিসেবেই দিই। যদি কিছু নাও পাই, অন্তত নাগরিক দায়িত্ব পালন করলাম বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব। কথায় বলে না, উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।
যাক, শেষ পর্যন্ত অন্তত বুঝলাম লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড ব্যাপারটা এখানে কি?
কি?
এই দেখ, তুমি ভোট দান না করে ভোট ঘুষ দিচ্ছ। তাই অন্য পক্ষও, মানে প্রার্থীরা ভোট গ্রহণ না করে ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, ভোট ছিনতাই, ভোট কারচুপি – এসব করছে। দান-গ্রহণের মতই এ ক্ষেত্রেও স্ট্যাটাস কো বজায় রাখছে। এটাই মনে হচ্ছে এখনকার লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড।
কী যে বল, ভোট দান? আজকাল আর কেউ দান-টান করে করে না, ঘুষ দেয়, বুঝলে ঘুষ। হ্যাঁ, ভোট ঘুষ দিয়ে এলাম।
বল কি? ভোট ঘুষ। কখনও তো শুনিনি।
শুনবে কীভাবে? দেশে তো থাক না। এখন আর সেই আমল নেই যে দেশ আর দশের কথা ভেবে কেউ কিছু করবে। ভোট দিতে গিয়ে আজকাল আমরা আর দেশের ভালমন্দের কথা ভাবি না। ভেবেই বা কী হবে বল। যে যে পদেই নির্বাচিত হোক না কেন, কিছুদিন পরে দেখবে আঙ্গুল ফুলে ঠিক কলাগাছ হয়ে গেছে। এমনকি কেউ যদি দুর্নীতি করতে নাও চায় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হ্যারাস করবে। আর জানই তো যার গায়ে যত তেল, তার বোধশক্তির অভাব তত বেশি। তখন আর দেশের, দেশের মানুষের আর্তি আর তাদের কানে গিয়ে পৌঁছয় না। তুমি দেশ থাক না তাই বলছি। এই যে আমরা ঈশ্বরকে ডাকি, পূজা-পার্বণ করি সেটাও আসলে এক ধরণের ঘুষ। আমরা তো আর দেবতার কথা ভেবে এসব করি না, তার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য করি। ভোট দেওয়াটাও তাই। এই যে আমাদের ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধিরা টাকার পাহাড় গড়ে তুলবে সেখান থেকে ছিটেফোঁটা, নিদেন পক্ষে পান-বিড়ি পাওয়ার আশায় ভোটটা ঘুষ হিসেবেই দিই। যদি কিছু নাও পাই, অন্তত নাগরিক দায়িত্ব পালন করলাম বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব। কথায় বলে না, উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ।
যাক, শেষ পর্যন্ত অন্তত বুঝলাম লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড ব্যাপারটা এখানে কি?
কি?
এই দেখ, তুমি ভোট দান না করে ভোট ঘুষ দিচ্ছ। তাই অন্য পক্ষও, মানে প্রার্থীরা ভোট গ্রহণ না করে ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, ভোট ছিনতাই, ভোট কারচুপি – এসব করছে। দান-গ্রহণের মতই এ ক্ষেত্রেও স্ট্যাটাস কো বজায় রাখছে। এটাই মনে হচ্ছে এখনকার লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড।
দুবনা, ৩০
ডিসেম্বর ২০১৮
No comments:
Post a Comment