যখন কোন আইন করা হয় আইনের সাথে সাথে কিছু ব্যাখ্যাও দেওয়া উচিৎ। দেখলাম প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছেন। খুব ভালো। কিন্তু ঠিক কোন কথা বা লেখা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে আর কোনটা করে না, সেটা কি সব ধর্মের জন্যই প্রযোজ্য নাকি বিশেষ কোন ধর্মের জন্য সেটাও জানা দরকার মানুষের। নইলে অনেকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে কারো অনুভূতিতে আঘাত করে বিপদে পড়তে পারে। রাষ্ট্র তো আর নাবালক কেউ নয় যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাউকে বিপদে পড়তে দেখবে আর তারপর হাততালি দেবে। আইন আসলে প্রিভেন্টিভ মেজার যার কাজ মানুষ যাতে অযথা বিপদে না পড়ে সে বিষয়ে সাবধান করে দেওয়া। তাই এই হুঁশিয়ারি যদি কোন বিশেষ ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য হয়, ভালো হবে সেটা পরিষ্কার ভাষায় প্রকাশ করা এবং অমুক ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জনগণকে সাবধান করা। তা না হলে ওয়াজে অন্য ধর্মের নিন্দা করলে সেটাও হবে কারো না কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আর রাষ্ট্র যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অক্ষম, এতে করে নতুন করে রাষ্ট্রের দুর্বলতা ধরা পড়বে। তাই মুখে এক মনে আরেক না করে অন্তত এ ব্যাপারে রাষ্ট্র সৎ থাকুক সেটা আমরা চাইতেই পারি। প্রতিবেশি ভারত যদি তাদের আইনে ইসলামের কথা লিখতে পারে বাংলাদেশই বা কেন সেটা পারবে না? আশা করি গণতন্ত্রের মানস কন্যা ও কওমী জননী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন এবং কোনটা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে আর কোনটা করে না তার একটা বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করবেন।
দুবনা, ৩১ জানুয়ারি ২০২০
No comments:
Post a Comment