ফেসবুকে অন্তু রায়ের মৃত্যু নিয়ে লেখা দেখলাম। আক্ষেপ কেন টিপ নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, এসব নিয়ে নয়। হ্যাঁ, টিপ কান্ডের প্রতিবাদে অনেকেই টিপ পরার অধিকার টিকিয়ে রাখতে টিপ পরে ছবি দিচ্ছেন। কিন্তু একই ভাবে আমরা তো আর আত্মহত্যা করে ছবি দিতে পারব না। এর আগেও দু ভাই আত্মহত্যা করেছে দেখলাম। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করবেন - নারী ছিল প্রতিবাদী, আর এই পুরুষেরা প্রতিবাদ না করে নিজেদের জীবন নাশ করার পথ বেঁছে নিয়েছে। তাই মনে হয় টিপ নিয়ে প্রতিবাদকে মোটেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই, এটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে জড়িত। আর যাতে মেধাবী ছাত্রদের টাকার অভাবে আত্মহত্যা করতে না হয় সেটার জন্যও কথা বলতে হবে। আমার কখনই মনে হয়নি আমাদের সরকার দেশের মানুষকে সম্পদ মনে করে, মানুষ তার কাছে আপদ - বিশেষ করে শিক্ষিত মানুষ। কম পড়াশুনা জানা মানুষ বিদেশে কাজ করে রেমিট্যান্স পাঠায় অথবা পোশাক তৈরি করে বা খাদ্য উৎপাদন করে। শিক্ষিত মানুষ হয় বিদেশে চলে যায় অথবা প্রশ্ন করে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি না বদলিয়ে এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে হয় না।
দুবনা, ০৫ এপ্রিল ২০২২
No comments:
Post a Comment