কিছুক্ষণ আগে বন্ধু আহসান ফোন করল
- দোস্ত, আমাদের পত্রপত্রিকার খবর - রাশিয়া যুদ্ধে এই হারে তো সেই হারে, তুমি কিছু লেখ না।
- আমিও মনে হয় রাশানদের মত হয়ে গেছি, প্যানিক করি না, চুপচাপ সব দেখি। লিখতে দে। ওরা মনে হয় "অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী" মন্ত্র জপছে আর দুই হাতে যা মনে আসে তাই লিখছে। তেল গ্যাস বন্ধ হলে যখন বাতি জ্বলবে না, তখন দেখিস কী লেখে, কীভাবে লেখে।
- আমার ধারণা ছিল না যে সারা বিশ্ব রাশিয়ার উপর এতটা নির্ভরশীল।
- শুধু তোর কেন, যারা স্যাঙ্কশন দিয়েছে তাদেরও ধারণা ছিল না। আমেরিকা ইতিমধ্যে সারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে। জাপান বলেছে রাশান মেটাল না পেলে তাদের সমস্যা হবে। খেলা তো কেবল শুরু। এতদিন জানতাম পুঁজিবাদ শুধু লাভ বোঝে। কথাটা অবশ্য আমেরিকার জন্য সত্য। ইউরোপের কিছু কিছু দেশ বাজার অর্থনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে মানবিক হবার চেষ্টা করেছিল, তাতে অর্থনীতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার বিষয়। এতে আবারও প্রমাণিত হল পুঁজিবাদ মানবিক হতে পারে না। যা আছে সেটা শুধুই লোক দেখানো। দেশে দেশে অমানবিকতাই পুঁজিবাদের নিজ দেশে মানবিক হবার একমাত্র শর্ত। এটা মানবের নয়, দানবের সমাজতত্ত্ব।
দুবনা, ৩১ মার্চ ২০২২
No comments:
Post a Comment