গতকাল অফিস থেকে বেরুনোর পরে আর ফেসবুকে ঢুকতে পারনিনি। হ্যাং হয়ে যায়। আজ তো বলেই বসল লগিন, পাসওয়ার্ডে সমস্যা আর এর পরে নেট কানেকশন চেক কর। ভারি ঝামেলা তো। এরপর ভিপিএন দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলাম, বলল কোড পাঠিয়েছি, কিন্তু কোথায় সেটা আর খুঁজে পাওয়া গেল না। সমস্যা হল, বুঝতে পারছিলাম না এটা সবার জন্য নাকি আমাকে কোন কারণে অচ্ছুৎ করা হয়েছে। সেটা ওরা করতেই পারে। এজন্যে অবশ্য প্ল্যান বি হিসেবে টেলিগ্রামে একটা চ্যানেল ওপেন করেছি। যাহোক, একেবারে আশা ছেড়ে দিয়ে অফিসে ঢুকে দেখি ফেসবুক এখনও জীবিত। দুই সপ্তাহ আগেও তাই হয়েছিল মস্কোয়। বাসায় আর মোবাইলে লাইন পাচ্ছিলাম না, কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতেই পেয়ে গেলাম। কি ব্যাপার - ফেসবুক কি শুধু ছাত্র আর শিক্ষকদের মাঝে কাজ করে নাকি। আমি বলব না যে ফেসবুকের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় আমার দম নিতে কষ্ট হচ্ছিল, চোখ ফেটে জল বেরুচ্ছিল বা অন্য কিছু। তবে আবার এখানে সবাইকে দেখে ভালই লাগছে। যদি এখানে অনুমতি না পাই, আমার গুগল ব্লগে আর টেলিগ্রামে বিরক্ত করব। যারা বিরক্ত হতে চান, ওখানে পাবেন। পৃথিবীই যেখানে বদলে যাচ্ছে, সেখানে ফেসবুকের থাকা না থাকা খুব বড় কোন ব্যাপার না।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দেখলাম মেসেঞ্জারে। অফিসে মোবাইল ফেসবুক ওপেন না হলেও মেসেঞ্জার কাজ করছে। আমি মোবাইল আর পিসিতে সমস্ত ইনকামিং মেসেজ পাছে, তবে পিসি থেকে লেখা উত্তর মোবাইলে দেখছি না, আর মোবাইল থেকে লেখা পিসিতে।
ইনস্টাগ্রাম অফিসের পিসি থেকে কাজ করছে, তবে মোবাইল ভার্সন আগের মতই জীবন্মৃত।
কত রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!
No comments:
Post a Comment