২৬ মার্চ মস্কো থেকে ফেরার পর ওদিক মুখো হইনি। ওরাও কেউ আসেনি। যোগাযোগ টেলিফোন আর সামাজিক মাধ্যম। গতকাল সেভা এলো দুবনা। সকালে গেলাম ভল্গার তীরে বেড়াতে ওকে নিয়ে। রাজনীতিসহ বিভিন্ন ব্যাপারে কথা বলল। আমেরিকার বর্তমান প্রটেস্ট, রাশিয়ার ভোট ইত্যাদি। বলল ও নাকি অনেক কিছু জানে। আমি বললাম, "যেদিন সত্যি সত্যি অনেক জানবি, মনে হবে কিছুই জানিস না।" বোনদের নামে একটু নালিশ করল ওরা মাঝে মধ্যে গলার স্বর উপরে তুলে বলে। কি বলব?
- বুঝলি, মনিকার যখন জন্ম আমার বয়েস ছিল ২৯। আরও দু বছর আমি একা থাকতাম দুবনায়। এরপর সবাই চলে এলে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। করোনার আগে যখন প্রতি সপ্তায় মস্কো যেতাম। তোদের উপর এত চাপ ছিল না। গত দেড় মাসে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মনিকাকে তোদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে, তাই মানসিক চাপ তো থাকবেই। যদি উঁচু গলায় কথা বলে সেটা আসলে পরিস্থিতির কারণে। আমি এটা শুরু করেছি ৩১ বছরে, মনিকা পঁচিশে।
না, ও আমার এই যুক্তি মানেনি। আমিও মানতাম না। ওর বয়সে। এটাই নিয়ম। তবুও বলি। হয়তো এক সময় নিজের ছেলেমেয়েদের বলতে হবে। কে জানে?
পথের ধারে বুনো ফুল। তুললাম এক গুচ্ছ। আমার ছবি তোলা হবে। বোনাস হিসেবে গুলিয়া খুশি হলে হতেও পারে। আপাতত। কেননা যখন ফুলগুলো না ফেলে আমি শুকিয়ে রাখতে চাইব শীতে ছবি তুলব বলে, তখন শুরু হবে ঝামেলা। সেটাও ক্ষনিকের। বলব "আমি অন্য বাসা দেখছি। সমস্যা কি?" সমস্যা এখানেই শেষ।
ক দিন আগে সেভা নতুন স্মার্টফোন কিনেছে। একটু আপত্তি করলেও শেষ পর্যন্ত সেলফি তুলে পাঠাল।
No comments:
Post a Comment