আগে গ্রাম এলাকায় অনেক অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ও মতলববাজ কৃষক তার জমির আলটা (সীমানা নির্ধারণের সরু রেখা) একটু একটু করে পাশের জমির দিকে ঠেলে দিত। সময় মত বাধা না পেলে বছরের পর বছর এটা চলতেই থাকত। কখনও কখনও দুর্বল কৃষকের জমি হাতছাড়াও হয়ে যেত। এ অবস্থায় পড়তে না চাইলে প্রথম দিন থেকেই আল সরানোর প্রতিবাদ করা দরকার।
দেশের আইন-কানুন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রাষ্ট্রের জন্য আল স্বরূপ। তাই সময় মত উপাসনার মূর্তি ভাঙ্গায় বাধা না দিলে একদিন লালনের ভাস্কর সরাতে হবে আর এক সময় এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর সরানোর দাবীর মুখোমুখি হতে হবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায় না, শুধু যারা অন্যায় করে তাদের নতুন নতুন অপরাধ করার লাইসেন্স দেওয়া হয়, নতুন নতুন অন্যায়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া পরমত সহিষ্ণুতা নয়, এটা ক্ষমাহীন দুর্বলতা।
দুবনা, ১৫ নভেম্বর ২০২০
No comments:
Post a Comment