সোভিয়েত ইউনিয়নের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় যে শোষণহীন সমাজ গড়া প্রায় অসম্ভব। শোষণ মানে তো শুধু পুঁজিপতির শোষণ নয়, কাজ না করে বা অপেক্ষাকৃত কম কাজ করে অন্যায় ভাবে বেশি নেয়া - সেটাও শোষণ। সবাইকে অর্থনৈতিক ভাবে সমান করতে গিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রায়ই সবাইকে একই রকম বেতন দেয়া হত। ফলে অনেক অযোগ্য ও অদক্ষ লোক যোগ্য ও দক্ষ কর্মীর সমান বেতন পেত, এমনকি অনেক সময় চাতুর্য দ্বারা বেশি পেত। আর এরা ছিল প্রকৃত শোষক। পুঁজিপতিদের মত অত বিপুল পরিমাণে শোষণ না করলেও এ ধরণের মানুষের সংখ্যা যেহেতু ছিল বিপুল তাই দিনের শেষে শোষণের পরিমান কম ছিল না। সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ আর কাজ অনুযায়ী বেতন সেটা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থতা সোভিয়েত ইউননে এক নতুন শ্রেণীর জন্ম দেয় যে অনেকটা বাপের হোটেলে বাস করার মত খেয়ে পরে দিন কাটাত। তাদের চাহিদা হয়তো বেশি ছিল না, কিন্তু কোন সমাজের পক্ষেই দিনের পর দিন এক অকর্মণ্য বাহিনী পোষা সম্ভব নয়। তার উপরে ছিল পার্টি আমলা।
দুবনা, ০৭ আগস্ট ২০২৫
No comments:
Post a Comment