Wednesday, August 13, 2025

যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা

আর মাত্র দুই দিন বাদে ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় সামিটে মিলিত হচ্ছেন। যদিও ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত মার্কিন আলোচনায় ইউরোপের স্থান ছিল না কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে রাশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেললে ইউরোপ সেই স্থান দখল করে এবং ইউনিপোলার বিশ্বে আমেরিকার সাথে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। ২০০৭ এর পুতিনের মিউনিখ ভাষন, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ ও সিরিয়ায় সৈন্য প্রেরণের মাধ্যমে রাশিয়া পুনরায় বিশ্ব রাজনীতিতে ফিরে আসতে শুরু করে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময় ইউক্রেন ও দনবাসের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। সেসব চুক্তি ছিল ইউক্রেনের ভূখণ্ড অবিচ্ছেদ্য রাখার জন্য। কি চেয়েছিল দনবাস? ভাষার অধিকার, স্বায়ত্ব শাসন। কিন্তু ইউরোপের প্ররোচনায় সেটা হয়নি। ইউরোপ আর আমেরিকা ইউক্রেনকে অস্ত্র সজ্জিত করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এমনকি ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তির সব ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ইউরোপ বিশেষ করে ইংল্যান্ডের কূট চালে সেটা নষ্ট হয়। এরপর ইউক্রেন হারায় প্রায় ১০ লাখ সেনা, ধ্বংস হয় হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান, হারায় ভূমি। এখন যখন ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে ইউক্রেনের পরিসর আর ট্রাম্প সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবার জন্য পুতিনের সাথে আলোচনায় বসছেন - ইউরোপ শেষ চেষ্টা করছে আলোচনার গুঁড়ে বালি দিতে। খবরে প্রকাশ ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইউক্রেন খারকভের কোন এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে সেই দোষ রাশিয়ার ঘাড়ে চাপাতে চায় যাতে ট্রাম্প আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসেন। একেই বলে নিজের নাক কেটে নিজের যাত্রা ভঙ্গ করা। কেন? কারণ যুদ্ধ মানেই বিশাল অংকের টাকার খেলা। শোনা যায় জেলেনস্কি ও তার ঘনিষ্ঠ সহচররা প্রতি মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করে। এটা নতুন কিছু নয়। ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অনেক আগেই এ বিষয়ে খবর বেড়িয়েছে। সেই টাকার ভাগ ইউরোপের অনেক নেতাই পায়। আর এ কারণেই তারা যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে এত মরিয়া। কে জানে এর শেষ কোথায়?

দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০২৫

No comments:

Post a Comment