Sunday, August 31, 2025

শাসন শোষণ

দিন দিন শাসন শোষণে পরিনত হচ্ছে। বাইরে থেকে সেরকম মনে না হলেও শাসক দল সব দেশেই দিন দিন শোষক হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ রাজনীতির বানিজ্যিকরণ। অর্থ আর ক্ষমতা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। অর্থ ক্ষমতায় আরোহণের পথ সহজ করে আর ক্ষমতা অর্থ উপার্জন মসৃণ করে। বিপুল পরিমাণ অর্থ শোষণ ছাড়া স্বচ্ছন্দে দম নিতে পারে না কারণ শোষণ অগাধ ও অবাধ উপার্জনের জন্য অক্সিজেন স্বরূপ। সেই বিবেচনায় সমাজতন্ত্র হল একদলীয় শোষণ আর গণতন্ত্র - বহুদলীয় শোষণ। সমাজতন্ত্রে দ্রব্যমূল্য ও দৈনন্দিন জীবনের মত শোষণেও এক ধরনের স্থিতিশীলতা আছে, বাজার অর্থনীতিতে সব কিছুর মত শোষণও অস্থির, ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী।

মস্কোর পথে, ৩১ আগস্ট ২০২৫

Saturday, August 30, 2025

স্বৈরাচার

স্বৈরাচার বা রাজাকার না হয়েও যে বাংলাদেশী হওয়া যায় সেটা আমরা দিন দিন ভুলে যাচ্ছি আর সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে একসময় মানুষ যেমন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পেয়েছে আজ তেমনি তারা রাজাকারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে। তারা ভুলে যায় যে স্বৈরাচার শুধু স্বৈরাচারই, কিন্তু রাজাকার শুধু রাজাকারই নয় সে একই সাথে স্বৈরাচার আর সে স্বৈরাচার যাকে বলে বাই ডেফিনিশন।

দুবনা, ৩০ আগস্ট ২০২৫

Friday, August 29, 2025

সত্য মিথ্যা

শুধু সত্য বললেই সত্যবাদী হওয়া যায় না, সত্যবাদী হতেই হলে মিথ্যার প্রতিবাদ করতে হয়, মিথ্যা প্রতিরোধ করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক বামপন্থী নেতা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সত্য কথা বলে কিন্তু আজ যখন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মিথ্যা বয়ান তৈরি হয় তখন সেটা পাশ কাটিয়ে যায়। মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়া মিথ্যা বলার সমতুল্য।

দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০২৫

মূল্যায়ন

রাজা মহান, শুধু উজির নাজির আর চাটুকারদের দেয়াল অতিক্রম করে প্রজাদের আহাজারি রাজার কানে পৌঁছে না। তাই ন্যায় পরায়ণ ও সততার প্রতিভূ রাজা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারেন না। এই ধারণা আমাদের দেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে বদ্ধমূল। বিগত সরকারের আমলে এমনটা বলতে শুনেছি অনেককেই। এখনও ব্যতিক্রম নয়। বরং বিদেশি পুরস্কার, ডিগ্রি ইত্যাদির ফলে জনমনে বর্তমান শাসকরা এক বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে। যতদিন শাসকদের মূল্যায়ন হবে তাদের ধর্মীয় আইডেনটিটি, ডিগ্রি, আরব বা পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে, দেশ শাসনে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যতদিন না মূল্যায়নের প্রধান মাপকাঠি হবে ততদিন পর্যন্ত হায়েনার হাত থেকে লাল সবুজ পতাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

দুবনা, ২৯ আগস্ট ২০২৫

Thursday, August 28, 2025

রাঁধুনি

রুশরা বলে যদি তুমি রান্না করতে না পার তবে রান্নায় খুব করে লবন দিয়ে দাও। তাহলে রাঁধতে পার না বলে কেউ তোমার দুর্নাম করবে না, বলবে লবণটা ঠিক হলে খাবারটা বেশ সুস্বাদুই হত। আমাদের শান্তিপ্রিয় উপদেষ্টা মনে হয় ভালো ভাবেই জানেন দেশ চালানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু সেটার দায় কেন তিনি নেবেন? তাই মব দিয়ে সবাইকে ঠ্যাঙান। লোকজন মবের দোষ দেয় কিন্তু দেশ চালাতে উপদেষ্টার ব্যর্থতার কথা ভুলেও মুখে আনে না। বর্গী বা মগদের দোষ দিলেও কেউ যেমন এদের রাজাদের কথা ঘুণাক্ষরেও বলে না, তেমনি একদিন এই সময়টা ইতিহাসে মবের মুল্লুক বলেই পরিচিতি পাবে, কেউ ঘুণাক্ষরেও শান্তির মুদি দোকানের মালিকের নাম বলবে না।

দুবনা, ২৮ আগস্ট ২০২৫

বানর

দেশে বলে বানরকে লাই দিলে মাথায় ওঠে। ইউরোপে বানর নেই তাই এদের মনে হয় এই প্রবাদটি জানা নেই। পোল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের শরণার্থীদের উপর খড়গহস্ত। এই শরণার্থীরা পোল্যান্ডের নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। তিনি বলেছেন এখন থেকে সেটা শুধু পোল্যান্ডে কর্মরত ইউক্রেন শরণার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এছাড়া তিনি বান্দেরার প্রতীককে হিটলারের প্রতীকের সাথে এক করেছেন এবং পোল্যান্ডে বান্দেরার প্রতীক নিষিদ্ধ করেছেন। ইউক্রেন এতে যারপরনাই চটে গেছে এবং এর বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবার হুমকি দিয়েছে। বানর সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকলে পোল্যান্ড অবশ্যই ইউক্রেনের ফ্যাসিবাদী সরকারকে নিঃশর্ত ভাবে সমর্থন দেবার মত ভুলগুলো করত না।

দুবনা, ২৮ আগস্ট ২০২৫

Wednesday, August 27, 2025

ইতিহাস

বিএনপির সামনে এক সুবর্ণ সুযোগ ছিল বিগত দিনের সমস্ত পাপ স্খলন করে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে প্রমাণ করার। মেজর জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাজারো চেষ্টা করলেও আজ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি সেই সুযোগ হাতছাড়া করল। আওয়ামী লীগ যেমন শাহবাগে ছাত্র জনতার পরিবর্তে হেফাজতকে বেছে নিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছিল বিএনপিও তেমনি মবের পক্ষ নিয়ে ঠিক একই কাজ করল। ইতিহাস কাউকে কিছু শেখায় না, ইতিহাস অশিক্ষিতদের আস্তাকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

দুবনা, ২৭ আগস্ট ২০২৫

যুদ্ধবাজ

জর্জিয়ার সরকারি দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের বলেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলার জন্য। সেই যুদ্ধে তারা জর্জিয়াকে সমস্ত ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। এর আগে সাকাশভিলি সেই ফাঁদে পা দিয়ে আবখিজিয়া ও অসেতিয়া হারিয়েছিল। নতুন নেতৃত্ব বুঝেছিল যে ইউরোপ জর্জিয়ার জনগণের স্বার্থের কথা ভাবছে না, ভাবছে রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ হস্তগত করার কথা আর জর্জিয়াকে ব্যবহার করছে টোপ হিসেবে। ইউক্রেনের নেতৃত্ব সেই টোপ গিলে আজ দেশ হারাচ্ছে আর ইউরোপ সময় মত বড়শি ছাড়তে না পেরে নিজেই নদীতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।

দুবনা, ২৭ আগস্ট ২০২৫

Monday, August 25, 2025

প্রশ্ন

বেশ কয়েক বছর আগে। লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে কিছু সত্য কথা বলে ফেঁসে যান। আওয়ামী লীগ তখন তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, এখন তিনি আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। গত বছর জুলাই বিপ্লবের পর থেকে যে মানুষটি একাত্তরের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রকাশ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন - তিনি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে ও মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করা বিএনপি তাঁর পাশে দাঁড়াবে কি নাকি শেখ হাসিনার মতই মৌলবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে নিজেদের দায় সারবে। মানুষ ফজলুর রহমানকে মনে রাখবে।

দুবনা, ২৫ আগস্ট ২০২৫

Sunday, August 24, 2025

জীবন মরণের সীমানায়

পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে যদি জীবনের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করা নাই যায় তবে তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে মরণের সাথে সংসার করা শ্রেয় নয় কি? তবে জীবন মানেই অনেক অজানা তাই তার সমাধান খুবই জটিল, বিশেষ করে জীবনের পাট চুকিয়ে দিয়ে। কারণ এতে মরে বেঁচে গেলেও যারা বেঁচে থাকে তাদের বারবার মরতে হয়।

দুবনা, ২৪ আগস্ট ২০২৫

Friday, August 22, 2025

একজন বিভুরঞ্জন সরকার

সকাল থেকেই বিভুরঞ্জন সরকারের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একের পর এক খবর পড়ছিলাম। পরে ওনার খোলা চিঠি যাকে তিনি শেষ লেখা বলে উল্লেখ করেছেন পড়ে একজন সৎ মানুষের জন্য বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড যে কী বিশাল পরীক্ষা সেটা জানলাম। তখনও আশা ছিল হয়তো তিনি ফিরে আসবেন। তবে কিছুক্ষণ আগে জানা গেল তার মৃতদেহ উদ্ধারের কথা। সত্যিই অবাক করা এক সমাজ আমাদের। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন, একতায় লিখেছেন, যদি ভুল না করি সিপিবির সাথেও জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময় দেশের রাজনীতির উপর তার বস্তুনিষ্ঠ লেখা পড়তাম। দেশে যখন সব ক্ষেত্রেই মেধার খরা তখন তার এভাবে চলে যাওয়া এক অপুরনীয় ক্ষতি। তার এভাবে চলে যাওয়া আমাদের বুদ্ধির দীনতা শুধু নয় সার্বিক দীনতার পারিচায়ক। একজন প্রথম সারির সাংবাদিক, অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অকুতভয় একজন সক্রিয় সাংবাদিক জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে আত্মহত্যা (?) করবেন - সেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তো বটেই, গোটা বুদ্ধিজীবে সমাজ তথা দেশের জন্য লজ্জাকর। আমরা কবে মাথা উঁচু করে কথা বলে এমন লোকদের সম্মান দিতে শিখব! কবে আমরা ধর্ম, বর্ণ, দলের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি ও মানুষ হব! আপনাকে মনে থাকবে!

দুবনা, ২২ আগস্ট ২০২৫

মাছ

রান্নার আগে লোকজন যে কেন খুব করে মাছ ধুয়ে নেয় সেটা কিছুতেই মাথায় ঢোকে না। এই যে মাছ জন্মের পর থেকেই আজীবন স্নান করে নিজেকে পরিষ্কার রাখল - মানুষের মাছ ধোয়া আসলে মাছের পরিচ্ছন্নতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন।

দুবনা, ২২ আগস্ট ২০২৫

Monday, August 18, 2025

পাগল

ট্রাম্প আর পুতিনের আলাস্কা সামিটের পর আলোচনা যেন শেষই হচ্ছে না। পশ্চিমা বিশ্ব উঠেপড়ে লেগেছে এটা বানচাল করার জন্য। জেলেনস্কি গোঁ ধরেছে সংবিধান রক্ষা করবেই। এ যেন সেই নন্দলালের অবস্থা। কেন? আচ্ছা সংবিধান যদি রক্ষা করতেই হয় তাহলে শুরুটা অনেক আগে থেকেই করা দরকার। এমনকি যদি ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এসব বাদও দেই তাহলে অন্তত জেলেনস্কি যে অনেক আগেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেআইনি হয়ে গেছে সেটা তো নতুন কথা নয়। নাকি এটা সেই বাচ্ছাদের খেলার মত সুবিধামত সংবিধান মানা বা না মানা। আর ইউরোপের জনসমর্থনহীন এলিটরাও জেলেনস্কির সাথে সুর মিলিয়ে হুক্কা হুয়া করছে। কিন্তু এরা কি ভুলে গেছে জেলেনস্কির আর যাই থাক তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বলতে কিছুই নেই, রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি বলতে তার অভিধানে কোন শব্দ নেই। আছে শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অদম্য ইচ্ছে আর যুদ্ধকে ব্যবসায় পরিণত করে অনেক অনেক অর্থ উপার্জন করা যদিও কোন দিন সেটা ভোগ করতে পারবে কিনা সে নিজেও জানে না। আসলে পশ্চিমা বিশ্ব এখন কালেকটিভ ম্যাডনেসের শিকার। সবাই যেখানে পাগল সেখানে কে কার পাগলামি তাড়াবে।

দুবনা, ১৮ আগস্ট ২০২৫

Sunday, August 17, 2025

ইচ্ছা

মা বলতেন "আসা নিজের ইচ্ছায় আর যাওয়া পরের ইচ্ছায়।"
যখন কেউ বলে নিজের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আসিনি জনগণের ইচ্ছায় এসেছি তখন মনে প্রশ্ন জাগে 

ক্ষমতার ক্ষেত্রে মনে হয় উল্টোটা ঘটে অথবা যেসব ক্ষমতাসীন মানুষ এসব বলে তারা মায়ের পেটে জন্ম নেয়নি। 

আচ্ছা এরা জনগণের ইচ্ছায় যাবে কি?

মস্কো, ১৭ আগস্ট ২০২৫

Friday, August 15, 2025

ঋণ

শোক শক্তি হয়ে বাংলার বুক থেকে মুছে দিক একাত্তর বিরোধী সব জঞ্জাল। এভাবেই জাতি শোধ করুক বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ।

মস্কোর পথে, ১৫ আগস্ট ২০২৫

Thursday, August 14, 2025

সাপসান

আজকের খবরে জানা গেল এফএসবে (রুশ কেজিবি) ও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আক্রমণে ইউক্রেনের দূরপাল্লার মিসাইল তৈরির কারখানা ধ্বংস হয়েছে। পাভলোগ্রাদে অবস্থিত এই কারখানায় সাপসান নামক এক দূরপাল্লার মিসাইলের সিরিয়াল প্রডাকশন শুরু হবার পথে ছিল। সোভিয়েত নকশায় এই মিসাইল তৈরিতে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য করে জার্মানি। ন্যাটোর বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা এর সাথে জড়িত ছিল। ৫০০-৭০০ কিলোমিটার দূরপাল্লার এই মিসাইল মস্কো সহ ইউরোপিয়ান রাশিয়ার এক বিরাট অংশে হামলা করতে সক্ষম। ধারণা করা হয় প্রযুক্তিগত দিকে সাপসান রুশ ইসকান্দারকে ছাড়িয়ে যেত। এই আক্রমণ ছিল গত জুনে ইউক্রেন কর্তৃক রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে আক্রমণের প্রতিশোধ স্বরূপ। কন্সট্রাকশন ব্যুরো থেকে শুরু করে কারখানা, গোডাউন, রাসায়নিক ও জ্বালানি তরির কারখানা এসব আক্রমণ করা হয়। জুলাইয়ের শেষ দিক দিকে চালিত এই আক্রমণে বিভিন্ন বাহিনী একযোগে অংশগ্রহণ করে। এই আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের রকেট প্রযুক্তি অনেক দিনের জন্য পিছিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের সাথে সামিটের আগ এ ধরণের আঘাত রাশিয়ার জন্য বিরাট জয়। অনেক আগে পুতিন একবার বলেছিলেন - কুকুর ঘেউ ঘেউ করে কিন্তু কাফেলা এগিয়ে যায়। হ্যাঁ, ইউরোপিয়ানরা বিভিন্ন ভাবে এই যুদ্ধ বন্ধে বাধা দেবে কিন্তু রাশিয়া নিঃশব্দে ইউক্রেনকে অস্ত্রমুক্ত ও নাৎসি মুক্ত করবে বলেই মনে হয়।

দুবনা, ১৪ আগস্ট ২০২৫

বেগুনি নকশা

আমেরিকা ও বাংলাদেশ সম্পর্কের বড় সমস্যা দুই পক্ষের উদারতার অভাব।
দুই একটা পোর্ট, কিছু করিডোর, সামরিক ঘাঁটি ইত্যাদি ফকিন্নি মার্কা উপহার না চেয়ে বা না দিয়ে পুরো দেশটাকে আমেরিকার হাতে তুলে নিলেই বা দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। তাতে আমেরিকা বিনা বুলেটে ৫১ তম স্টেট পায় আর বাংলাদেশ অনেকগুলো সামাজিক স্তর বাইপাস করে এক লাফে উন্নত গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়। আমেরিকা পায় ১৮ কোটি শ্রমিক আর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পায় বহুল প্রত্যাশিত আমেরিকার নাগরিকত্ব। ইউনুস সরকার এ ব্যাপারে গণভোট আয়োজন করতে পারে। এই নির্বাচনে তারা যে বিপুল ভোটে জয়ী হবে সে ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাতে এই সরকার নির্বাচন দিতে চায় না সেই বদনাম থেকেও মুক্তি পাবে আর আমেরিকা যে শুধু ভূরাজনৈতিক স্বার্থেই কোন দেশ রাজনীতিতে নাক গলায় না সে দেশের মানুষের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয় সেটাও প্রমাণিত হবে। সব মিলিয়ে যাকে বলে উইন উইন সিচুয়েশন।

দুবনা, ১৪ আগস্ট ২০২৫

Wednesday, August 13, 2025

যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা

আর মাত্র দুই দিন বাদে ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় সামিটে মিলিত হচ্ছেন। যদিও ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত মার্কিন আলোচনায় ইউরোপের স্থান ছিল না কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে রাশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেললে ইউরোপ সেই স্থান দখল করে এবং ইউনিপোলার বিশ্বে আমেরিকার সাথে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। ২০০৭ এর পুতিনের মিউনিখ ভাষন, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ ও সিরিয়ায় সৈন্য প্রেরণের মাধ্যমে রাশিয়া পুনরায় বিশ্ব রাজনীতিতে ফিরে আসতে শুরু করে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময় ইউক্রেন ও দনবাসের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। সেসব চুক্তি ছিল ইউক্রেনের ভূখণ্ড অবিচ্ছেদ্য রাখার জন্য। কি চেয়েছিল দনবাস? ভাষার অধিকার, স্বায়ত্ব শাসন। কিন্তু ইউরোপের প্ররোচনায় সেটা হয়নি। ইউরোপ আর আমেরিকা ইউক্রেনকে অস্ত্র সজ্জিত করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এমনকি ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তির সব ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ইউরোপ বিশেষ করে ইংল্যান্ডের কূট চালে সেটা নষ্ট হয়। এরপর ইউক্রেন হারায় প্রায় ১০ লাখ সেনা, ধ্বংস হয় হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান, হারায় ভূমি। এখন যখন ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে ইউক্রেনের পরিসর আর ট্রাম্প সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবার জন্য পুতিনের সাথে আলোচনায় বসছেন - ইউরোপ শেষ চেষ্টা করছে আলোচনার গুঁড়ে বালি দিতে। খবরে প্রকাশ ইউরোপের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইউক্রেন খারকভের কোন এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে সেই দোষ রাশিয়ার ঘাড়ে চাপাতে চায় যাতে ট্রাম্প আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসেন। একেই বলে নিজের নাক কেটে নিজের যাত্রা ভঙ্গ করা। কেন? কারণ যুদ্ধ মানেই বিশাল অংকের টাকার খেলা। শোনা যায় জেলেনস্কি ও তার ঘনিষ্ঠ সহচররা প্রতি মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করে। এটা নতুন কিছু নয়। ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অনেক আগেই এ বিষয়ে খবর বেড়িয়েছে। সেই টাকার ভাগ ইউরোপের অনেক নেতাই পায়। আর এ কারণেই তারা যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে এত মরিয়া। কে জানে এর শেষ কোথায়?

দুবনা, ১৩ আগস্ট ২০২৫

Monday, August 11, 2025

সমস্যা ও সমাধান

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সমস্যা শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবিকও। ইউরোপ তথা পশ্চিমা বিশ্বের জন্য রাজনৈতিক সমাধান মানবিক সমাধানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ চাইছে বর্তমান লাইন অফ কন্ট্রোলকে ঘিরে চুক্তি হোক। রাশিয়া চাইছে দানিয়েৎস্ক, লুগানস্ক, জাপারোঝিয়া আর হেরসনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ যদিও এদের কিছু কিছু অংশ এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। এটা শুধু টেরিটোরির বিষয় নয়, এটা দনবাসে জল সমস্যার সাথে জড়িত। দানিয়েৎস্কের উত্তরাঞ্চলে, যা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে, রয়েছে জলের উৎস। ইউক্রেন সেটা বন্ধ করায় দনবাস জলের সংকটে ভুগছে দীর্ঘদিন। তাছাড়া কাশ্মীরের উদাহরণ বলে লাইন অফ কন্ট্রোল আন্তর্জাতিক সীমানা হয় না, বরং বিভিন্ন সময় নতুন যুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৯১ থেকে শুরু করে এমনকি ইউক্রেনের অধীনে বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করে যে এই অঞ্চলের মানুষ নিজেদের যতটা না ইউরোপ তার চেয়ে বেশি রাশিয়ার সাথে দেখতে চায়। ইউক্রেনের সংবিধানে নিরপেক্ষতা শুধুমাত্র রাশিয়া ও আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক খায়েশ নয়, এটা ছিল ইউক্রেনের পরস্পরবিরোধী দুই বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি পতাকার নীচে ধরে রাখার একমাত্র উপায়। যখনই ভিকি ন্যুল্যান্ড এই ব্যালান্স নষ্ট করেছেন দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হয়েছে। খারকভ ও ওদেসায় সেটা শক্ত হাতে দমন করা গেলেও দনবাসে সেটা সম্ভব হয়নি। এই সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য তাই রাজনৈতিক ও মানবিক দুটো দিককেই অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। রাজনীতিবিদরা আসে আর যায়। জনতা থেকে যায়। 

দুবনা, ১২ আগস্ট ২০২৫

ফাঁদ?

১৫ আগস্ট ২০২৫ আমেরিকা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় সাক্ষাৎ করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এই দুই দেশের নেতাদের সাক্ষাৎ বিশ্ব রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী ঘটনা। তবে এবারের সামিট বিশ্ব রাজনীতির পাশাপাশি রাশিয়ার আভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এমন একটা সময়ে যুদ্ধ বিরতির চাপ আসছে যখন এদের যুদ্ধ যন্ত্র প্রচন্ড গতিতে বিজয়ের পথে এগিয়ে চলছে আর জন মনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শেষ করার চাহিদা তৈরি হয়েছে ঠিক যেমনটি হয়েছিল নেপোলিয়ন আর হিটলারের বিরুদ্ধে। মনে রাখতে হবে এই যুদ্ধ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হলেও এটা আসলে সম্মিলিত ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপান, কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে। এই যুদ্ধকে ঘিরেই হয়েছে গণ জাগরণ। জনতা হয়েছে ঐক্যবদ্ধ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মনে হয় প্রথম বারের মত। চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতি মানেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া। একই সাথে সেটা সমাজের পশ্চিমা পন্থী রাজনীতি ও সংস্কৃতির পুনর্বাসনের সুযোগ যেমনটি হয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকারদের ক্ষেত্রে। তাই অনেক কিছুই নির্ভর করবে চুক্তি ও তার সঠিক বাস্তবায়নের উপর। স্মরণ করা যেতে পারে যে এর আগেও একাধিকবার চুক্তি হয়েছে ও সেটা ইউক্রেন তথা পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে বারবার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে আলোচনা হচ্ছে আমেরিকা আর রাশিয়ার মধ্যে আর চুক্তি পালন করতে হবে ইউক্রেন আর অনেকটাই ইউরোপের। ফাঁদটা মনে হয় এখানেই।

দুবনা, ১১ আগস্ট ২০২৫

Saturday, August 9, 2025

শান্তি

নতুন করে যুদ্ধ ফুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই নোবেল কমিটির উচিত জরুরী ভিত্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে একটি নোবেল পুরস্কার দিয়ে দেয়া। কারণ এ ব্যাপারে দেরী করলে আর সব যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে উনি নতুন করে যুদ্ধ লাগাতে পিছ পা হবেন না সেসব যুদ্ধ থামিয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য নিজের দাবি জোরদার করতে। ভাগ্যিস শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই। তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ জমত বলে আশা করা যায়।

দুবনা, ০৯ আগস্ট ২০২৫

Thursday, August 7, 2025

উপলব্ধি

সোভিয়েত ইউনিয়নের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় যে শোষণহীন সমাজ গড়া প্রায় অসম্ভব। শোষণ মানে তো শুধু পুঁজিপতির শোষণ নয়, কাজ না করে বা অপেক্ষাকৃত কম কাজ করে অন্যায় ভাবে বেশি নেয়া - সেটাও শোষণ। সবাইকে অর্থনৈতিক ভাবে সমান করতে গিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রায়ই সবাইকে একই রকম বেতন দেয়া হত। ফলে অনেক অযোগ্য ও অদক্ষ লোক যোগ্য ও দক্ষ কর্মীর সমান বেতন পেত, এমনকি অনেক সময় চাতুর্য দ্বারা বেশি পেত। আর এরা ছিল প্রকৃত শোষক। পুঁজিপতিদের মত অত বিপুল পরিমাণে শোষণ না করলেও এ ধরণের মানুষের সংখ্যা যেহেতু ছিল বিপুল তাই দিনের শেষে শোষণের পরিমান কম ছিল না। সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ আর কাজ অনুযায়ী বেতন সেটা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থতা সোভিয়েত ইউননে এক নতুন শ্রেণীর জন্ম দেয় যে অনেকটা বাপের হোটেলে বাস করার মত খেয়ে পরে দিন কাটাত। তাদের চাহিদা হয়তো বেশি ছিল না, কিন্তু কোন সমাজের পক্ষেই দিনের পর দিন এক অকর্মণ্য বাহিনী পোষা সম্ভব নয়। তার উপরে ছিল পার্টি আমলা।

দুবনা, ০৭ আগস্ট ২০২৫

Wednesday, August 6, 2025

বুদ্ধিজীবী

আমাদের বুদ্ধিজীবীরা কে কতটুকু জানেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। তবে দেশের মানুষের জন্য যেটা সমস্যা সেটা হল এদের বুদ্ধিজীবী পরিচয়। কারণ এই পরিচয় ভাঙ্গিয়ে তারা জনমত ম্যানিপুলেট করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যাচার করে বা অনেক কিছু মনগড়া বিশ্লেষণ করে। একসময় তারা নিজেদের তৈরি মিথ্যাটাকেই সত্য মনে করতে শুরু করে অথবা চক্ষুলজ্জার জন্য করতে বাধ্য হয়। দুঃখের ব্যাপার হল তাকে এই বিশ্বাসের জায়গাটুকু করে দিয়েছে তারাই যাদের নির্মূল করতে আজ আজ খড়্গহস্ত। তবে আশা এই বুদ্ধির যেমন শেষ আছে জীবনের তেমনি শেষ আছে।

দুবনা, ০৬ আগস্ট ২০২৫

Tuesday, August 5, 2025

ইতিহাস

ইতিহাস বিকৃত করা আসলে নিজের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা। বিকৃত ইতিহাস, তা সে যত মহান উদ্দেশ্যে থেকেই হোক না কেন, মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। তাই সেটা একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই পাবে। এক জীবনে পার পেয়ে গেলেও পরবর্তী প্রজন্ম পার পায় না, বিকৃত ইতিহাস তাদের সময় মত কঠিন শিক্ষা ও শাস্তি দেয়।

দুবনা, ০৫ আগস্ট ২০২৫

Sunday, August 3, 2025

পাচার না রেমিট্যান্স

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ছোটবেলার চৌবাচ্চার অংকের মত। সাধারণত সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দেশে বা বিদেশে কায়িকশ্রম করে দেশের অর্থ ভান্ডার পূর্ণ করে। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অবদান কম হলেও সংখ্যা দিয়ে তারা সেটা পুষিয়ে নেয়। অন্যদিকে সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোকেরা মোটা মোটা নল ব্যবহার করে সেই অর্থ ভান্ডার খালি করে। প্রথমটাকে আমরা রেমিট্যান্স বললে দ্বিতীয়টাকে বলি পাচার। তবে কোনটা কি সেটা নির্ভর করে পাচার বলতে কে কী বোঝে। সাধারণত নিজ দেশ থেকে বিদেশে টাকা চালান করাকে বলে পাচার, উল্টোটা রেমিট্যান্স। যারা বিদেশে বিশাল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যায় তারা প্রায় সবাই এসব দেশের নাগরিক। তাই তারা ভাবতেই পারে যে এটা পাচার নয়, রেমিট্যান্স। 

দুবনা, ০৩ আগস্ট ২০২৫



Friday, August 1, 2025

সমস্যা

আমাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল সাফল্যের অনুপস্থিতি। ফলে অন্যের ব্যর্থতায় লাফিয়েই আমাদের যত সুখ। আওয়ামী লীগের সমালোচনা শুনে অনেকে এতটাই উচ্ছ্বসিত যে কখন যে বাঁশটি তার নিজের পশ্চাৎদেশে ঢুকে গেছে সেটাও টের পায়নি। যখন বাঁশের অস্তিত্ব শেষ পর্যন্ত টের পাওয়া গেল তখন খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি তো? একাত্তরের পক্ষের শক্তি বলে পরিচিত এরা একাত্তর বিরোধী এতকিছু নীরবে গলাধঃকরণ করেছে যে এখন তাদের চরিত্র নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। গ্রামে একটি প্রবাদ চালু আছে - ঘোমটা দিতে গিয়ে পেছন উদলা। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বর্ম তৈরি করতে গিয়ে এরা কখন যে একাত্তরকে অরক্ষিত করে ফেলেছে সেটাই বুঝতে পারছে না।

দুবনা, ০১ আগস্ট ২০২৫