আমি সব সময়ই কুকুর ভয় পাই, ঠিক কুকুর নয় - কুকুরের কামড়। শুনেছি তাহলে নাকি গোটা পঁচিশ ইঞ্জেকশন নিতে হয় নাভিতে। ছোটবেলায় একবার কুকুর কামড়িয়েছিল - বাড়ির। কুকুর নয়, কুকুরের বাচ্চা। গরুর চারের জল খেয়েছিলাম তখন কয়েক চামচ। এখনকার গরুরা চারে খর খায় না, তাই সেই জল আবার কোথায় পাব? এখানেই যত সমস্যা। যদিও বাসায় কুকুওরদের চাঁদের হাট লেগেই আছে তবুও ভয়টা পুষে রাখতে হয়।
অনেকদিন পিঠে ব্যথা। সেই যে ঘাড়ে চড়ে বসেছে তো বসেছেই, কিছুতেই নামতে চায় না। ওষুধ খেয়ে পেটে চর পড়ে গেছে। আজ ডাক্তারের কাছে গেলে আবার একগাদা ওষুধ ধরিয়ে দিলেন। সাথে ইঞ্জেকশন। চল্লিশটা।
আচ্ছা - এই যে চল্লিশটা ইঞ্জেকশন নিচ্ছি তাতে ভয় নেই, তাহলে কুকুরের কামড়ে এত ভয় কেন? - নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম হাঁটতে হাঁটতে।
- তা ঠিক, তবে এগুলো তো নাভিতে দেয় না।
- মিথ্যে কথা। গত বছর যখন করোনার করুনায় হাসপাতালে ছিলে তখন প্রতিদিন নাভিতে ইঞ্জেকশন নিতে।
- তাই তো। বাঁচা গেল। তাহলে তো ভয় না করে কুকুরের কামড় খাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment