Sunday, June 29, 2025

ধর্ষক

দুর্বল মানুষ অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য ঈশ্বরের কাছে দরখাস্ত করে আর শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা মানুষ আবেদন করে অপরাধীদের বিবেকের কাছে। কিন্তু এসব অপরাধীদের বিবেক থাকার সম্ভাবনা ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার চেয়েও কম। তাই কোন প্রার্থনা নয়, একমাত্র সক্রিয় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ পারে মুরাদনগর তথা মব সন্ত্রাসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। মানুষের মাংসের স্বাদ পাওয়া বাঘ ধর্ম বা বর্ণ দেখে না। আজ যদি হিন্দু মহিলা বিধায় ধর্ষক পার পেয়ে যায় কাল তার হাতে কোন মহিলাই নিরাপদ থাকবে না। আরও একটা কথা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এটা তার রাজনৈতিক পরিচয় আর মানুষ হিসেবে তার পরিচয় সে অমানুষ, ধর্ষক। তাই রাজনীতি টেনে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে ধর্ষকের বিচারের জন্য জোর দাবি তোলা আজ প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য।

দুবনা, ২৯ জুন ২০২৫

Saturday, June 28, 2025

ঘুম

বিজয় সরণির মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণ ভেঙে জুলাই এর গণমিনার স্থাপনের পরিকল্পনা আবারও প্রমাণ করল বর্তমান সরকার একাত্তর আর চব্বিশকে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখে। তা না হলে মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণকে রেখেই গণমিনার তৈরি করা যেত। আমাদের সংস্কৃতি ইতিহাস অস্বীকার করার সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এখনও যারা ভাবছে বর্তমান সরকার একাত্তর প্রশ্নে তাদের ছাড় দেবে তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছে। আর কত নুনের ছিটা আমাদের কাটা ঘায়ে দিতে হবে এটুকু বুঝতে যে একাত্তরের পক্ষের মানুষের পথ এই সরকার ও তার শেয়ার হোল্ডারদের পথ কখনোই এক হবে না। সরকারের গড়া ঐক্যমত্য কমিশন নয় একাত্তরের পক্ষের মানুষের এক হবার সময় এসেছে আমাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য। যদি আজ সেটা না পারেন কাল খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে। শুধু মাত্র ব্যাপক গণ জাগরণের মধ্য দিয়েই মব সন্ত্রাস প্রতিহত করা যাবে। করতে হবে আমাদেরকেই, কেউ সাহায্যের হাত বাড়াবে না। এখনই সময় ঘুম থেকে জেগে ওঠার।

দুবনা, ২৮ জুন ২০২৫

Friday, June 27, 2025

ভুল

এই যে বাজেট, নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে এত কথা, কিন্তু বর্তমান প্রশাসন কি ন্যনুতম কিছু করেছে গত ১০ মাসে যাতে বলা যায় যে তারা মানুষের পক্ষে, মানুষের জন্য কাজ করছে বা করবে? তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ জন বিরোধী। যদি স্বৈরাচারের পতনের কথা বলেন, সেটা জনগণই ঘটিয়েছে। এরা উড়ে এসে জুড়ে বসে দশ হাতে দেশ লুটে পুটে খাচ্ছে। তাই এদের কাছে সুশাসন, নির্বাচন এসব আশা করা বাদ দেন। সামর্থ্য থাকলে জনগণকে সাথে নিজেরাই সুশাসন কায়েম করুন না হল নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। মনে নেই 
যাহা পাই তাহা ভুল করে পাই 
যাহা চাই তাহা পাই না!

দুবনার পথে, ২৭ জুন ২০২৫

Thursday, June 26, 2025

গণতন্ত্র

বর্তমানে কী দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক লড়াই, কী দেশে দেশে যুদ্ধ - এসব জনগণের ভালোর জন্য যতটা না তারচেয়ে বেশি এই জনগণকে কে কত বেশি পরিশীলিত ভাবে শোষণ করবে তার প্রতিযোগিতা। জনগণের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তন তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপদ থেকে মুক্তি পেয়ে বিপদে পড়া বা ফাঁসির রজ্জু আর ফায়ারিং স্কোয়াড এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নেয়া - মৃত্যু তার নিশ্চিত শুধু তাকে কীভাবে বরণ করবে সেটা বাছাইয়ের নাম এখন গণতন্ত্র।

দুবনা, ২৬ জুন ২০২৫

Wednesday, June 25, 2025

নস্টালজিয়া

১৯৯৭ সালে আমরা একটা দোতলা বাড়ির এক তলায় বাস করতাম। সে বছর ডিসেম্বরে আমি একটা কনফারেন্সে অংশ নিতে পুনা ও পরে দেশে গেলে গুলিয়া আন্তন ও মনিকাকে নিয়ে মস্কো চলে যায়। আমি ফিরি ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে। ওরা তার একদিন আগে দুবনা ফিরে দেখে যে বাসায় চুরি হয়েছে। এরপর বাসা পাহারা দেবার জন্য একটা কুকুর কিনি। পুডল গোত্রের। নাম রাখি ডেইজি। কিন্তু দেখা গেল চোর তাড়ানো তো দূরের কথা, কোন শব্দ শুনলে সবার আগে ও বেডের নীচে ঢুকে পরে। আমাদের সরকার নাকি এখন নিজেই মবের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছে। খবর পড়ে ডেইজির কথা মনে পড়ে গেল। এর আগে তোতা আর হাঁসের পশ্চাৎদেশ, এখন ডেইজি - সরকার দেখছি আমাকে নস্টালজিক করে ফেলবে!

দুবনা, ২৫ জুন ২০২৫

Sunday, June 22, 2025

Peace

Someone someday told
I am peace.
But he meant 
I will cut peace into pieces!

Moscow, 23 June 2025



জাতি সংঘ

যেকোনো সংগঠনের মূল মন্ত্র বা ভিত্তি তার সদস্যদের সমান অধিকার। যখন সেখানে গ্রুপিং বা লবিং শুরু হয় তখন সেই সংগঠন তার কার্যকারিতা হারায়। যদি সেই গ্রুপকে মোকাবেলা করার মত অন্য কোন গ্রুপ বা জোট থাকে তাহলে হয়তো বা সে আরও কিছু সময় ফাংশন করতে পারে। অন্যথায় সে তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলে। যতদিন ওয়ারশ জোট ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শক্তিশালী ছিল পশ্চিমা বিশ্ব জাতি সংঘকে অকার্যকর করতে পারেনি। এখন জাতিসংঘ মূলতঃ আমেরিকা ও তার সাগরেদদের স্বার্থ রক্ষা করে। বলা হয় গণতন্ত্র খারাপ তবে এর চেয়ে ভালো কিছু এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। জাতি সংঘের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা চলে।

দুবনা, ২২ জুন ২০২৫

Saturday, June 21, 2025

ভালো মন্দ

দেখলাম ইসরাইলের গণতান্ত্রিক বোমায় ইরানের এক কবি মৃত্যু বরণ করেছে। আমি নিশ্চিত যে এই কবি ইরানের পুলিশের হাতে নিহত হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠত। আবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরাইলের আরবের (প্যালেস্টাইনির) মৃত্যুর খবরও চোখে পড়ল। এক সময় দেখতাম কি করল তা দিয়ে নয় কে করল তা দিয়ে কাজের ভালো মন্দ বিচার করা হয়। এখন দেখছি কে মরল তা দেখে নয় কে মারল তার উপর ভিত্তি করে মৃতের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়।

দুবনা, ২১ জুন ২০২৫

Thursday, June 19, 2025

শান্তি

ইদানিং কালে শান্তিতে নোবেলজয়ী মানুষ যেভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছে সেটা পুরস্কারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বেগিন, গর্বাচেভ, ওবামা, সু চি, ইউনুস - অশান্তি সৃষ্টিতে কেউ কারও চেয়ে কম নয়।‌ এসব দেখে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার মৃত্যুর পরে দেবার ব্যাপারে নোবেল কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতেই পারে। মৃত্যুর পরে শান্তিতে নোবেল দিলে এসব লোক হয়তোবা জীবদ্দশায় এত অশান্তির কারণ হত না আর হলেও শান্তির নামে তা করতে পারত না। অবশ্য শান্তিতে নোবেল দেবার কমিটি যদি মাঝে মধ্যে একাত্তরের শান্তি কমিটির ভূমিকা পালন করে তবে কোন কথা নেই।

দুবনা, ১৯ জুন ২০২৫

Tuesday, June 17, 2025

মানবতা

ইরান হোক আর ইসরাইল হোক মোল্লাতন্ত্র বা জায়নবাদ এটা এস্টাব্লিশমেন্টের আলখাল্লা। সাধারণ মানুষ সব দেশেই খুব ছোট স্বপ্ন দেখে, নিজেদের ছোট ছোট সমস্যার সমাধান চায়। যারা ইসরাইলের মিসাইলের আঘাতে ইরানে মোল্লাতন্ত্রের পতন দেখে অথবা ইরানের রকেটের আঘাতে ইসরাইলে জায়নবাদের অবসান চায় তারা প্রায়ই ভুলে যায় এই যুদ্ধে মূলত মারা যায় সাধারণত মানুষ। মানবিকতার জন্য দাঁড়াতে হলে উভয় দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বলাই শ্রেয়। আজ তাদের এই সমর্থন খুব প্রয়োজন। যে অজুহাতেই হোক নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে নিজেকে মানবিক বলে দাবি করার অধিকার থাকে না।

দুবনা, ১৭ জুন ২০২৫

Sunday, June 15, 2025

আধুনিক রাজনীতি

কেউ কেউ নিজের সাফল্যে আনন্দিত হয়, কেউ বা অন্যের ব্যর্থতায়। যখন নিজের সাফল্যের সম্ভাবনা কম বা সন্দেহাতীত নয়, তখন অনেকেই কাল্পনিক শত্রু তৈরি করে যার ব্যর্থতা দেখিয়ে নিজের ব্যর্থতা ভুলে থাকা যায়। তার বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে পুলকিত হওয়া যায় যদিও তাতে নিজের পেট ভরে না। সবাই মিলে সফল হওয়া নয়, নিজে ব্যর্থ হয়ে হলেও কাউকে কাউকে ব্যর্থতার সাগরে ভাসিয়ে দেবার, ব্যর্থতার চোরাবালিতে ডুবিয়ে দেবার প্রবল আকাঙ্ক্ষা বর্তমান বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতির অন্যতম প্রধান ধারা।

মস্কোর পথে, ১৫ জুন ২০২৫

Saturday, June 14, 2025

সরকারি ব্যাপার

খবরে প্রকাশ ডঃ ইউনুস ব্রিটেনের রাজার (রাজা কার? আমাদের তো নয়) হাত থেকে পুরস্কার আনতে শুধু হোটেল বিল বাবদ সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করেছেন। তা সরকার সরকারি টাকা খরচ করবে না তো কি জনগণ করবে? কথায় বলে সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল। তার উপর সরকার নিজেই যদি সরকারি হয় তাহলে তো কথাই নেই!

দুবনা, ১৪ জুন ২০২৫

Friday, June 13, 2025

ঋণ

"আমাকে কিছু টাকা দাও আমি তোমাকে ভোট দেব" ভোটের ব্যাপারে জনগণের মনোভাব সম্পর্কে ডঃ ইউনুসের এ মন্তব্য আবারো প্রমাণ করে যে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিসর থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি। সেখানে তিনি ঋণ দিয়ে জনগণকে শোষণ করতেন। তাই তিনি ধরেই নিয়েছেন যে ঋণ দিয়ে যদি জনগণকে দিয়ে যা খুশি তাই করানো যায় তাহলে হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে ভোট কেনা যাবে না কেন? এবার যদি ভোটের বিনিময়ে কৃষকদের ঋণ মওকুফ করার গুজব শোনা যায় অবাক হবার কিছু থাকবে না।

দুবনা, ১৩ জুন ২০২৫

Thursday, June 12, 2025

প্রশ্ন

ডঃ ইউনুস নাকি বলেছেন জনগণ টাকা খেয়ে ভোট দেয় তাই তাদের হাতে দেশের সংস্কারের দায়িত্ব তুলে দেয়া যায় না। কিন্তু তিনি নিজে যেখানে নিজের শত শত কোটি টাকা কর মওকুফ করে, নিজের কোম্পানি গ্রামীণ ব্যাংককে সর্বক্ষেত্রে প্রমোট করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা খেয়ে ফেললেন সেখানে তাঁর হাতে জনগণ কোন আক্কেলে দেশের সংস্কারের দায়িত্ব তুলে দেবে? 

দুবনা, ১২ জুন ২০২৫

Wednesday, June 11, 2025

ভাঁড়

এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল দেশে আগে কবি গান, জারি, সারি, যাত্রা কত কিছু হত এখন হয় না কেন?

খুব সোজা হিসাব। আজকাল রাজনীতিবিদরাই একেকটা ভাঁড়। যদি আগের মত যাত্রা, জারি, সারি এসব থাকত তাহলে তো এরা ভাতে মারা যেত। তাই জোর করে ওসব বন্ধ করে নিজেরাই অভিনয় করে বেড়ায়। সমস্যা শুধু একটাই - এসব দলে কোন বিবেক নেই। ফলে মানুষের হয়ে কথা বলার আর কেউ নেই।

দুবনা, ১১ জুন ২০২৫

নতুন বৌ

আমাদের দেশ অনেকটা একান্নবর্তী পরিবারের নতুন বৌয়ের মত। শাশুড়ি ভাবে বাড়িতে রান্নাবান্নার নতুন লোক এল, ননদ ভাবে এল গল্প করার আর চুল বেঁধে দেবার মানুষ, শ্বশুর ভাবে পানের কথা, বর ভাবে নিজের আদর যত্নের কথা। কিন্তু বৌয়েরও যে জীবন আছে, স্বপ্ন আছে সেটা কেউ ভাবে না। সবাই তাকে নিজের আরাম আয়েশের জন্য বিভিন্ন কাজে লাগাতে ব্যস্ত। ফলে কী জনগণ, কী রাজনৈতিক দল, কী অন্য কেউ - সবাই দেশের কাছে নিজ নিজ হিস্যা চাইছে, কিন্তু হিস্যা মেটানোর জন্য দেশকে যে আগে নিজেদের পক্ষ থেকে সেবা দিতে হবে সেটা কেউ মানছে না।

দুবনা, ১১ জুন ২০২৫

Monday, June 9, 2025

পরিকল্পনা

বিগত কয়েক দিন ফেসবুকে অনেকের স্ট্যাটাস দেখে মনে হল বাম দলগুলোর মধ্যে এখন আর ইলেকট্রন প্রোটন নয় কোয়ার্ক এন্টিকোয়ার্কে বিভাজনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।‌ একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে সমর্থ হলেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ঐক্যে ভাঙন ধরাতে পারেনি। ২০২৪ এ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন বন্দোবস্ত শুধু দেশের খোলনলচে পাল্টে দেয়নি একাত্তরের পক্ষের শক্তিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে এমন ভাবে দাড় করিয়েছে যে এরা এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এই না হলে মেটিকুলাস প্ল্যান!

মস্কো, ১০ জুন ২০২৫

Saturday, June 7, 2025

যুদ্ধ

সোভিয়েত আমলের একটি মূল স্লোগান ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয় সহযোগিতা - একা নয় সবাইকে নিয়ে ভালো থাকা। নব্বইয়ের দশকে পুঁজিবাদের আগমনের পর লোকজন একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে, অন্যদের সাথে নিয়ে নয়, অন্যদের ঠকিয়ে নিজে ভালো থাকার দৌড়ে নামে সবাই। ইউক্রেনের যুদ্ধ এদেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষকে আবার পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে শিখিয়েছে - সকলের জন্য সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে - এই মন্ত্রে উজ্জিবীত করেছে লাখ লাখ মানুষকে। এটাই এক সময় হতে পারে ভবিষ্যৎ রাশিয়ার জাতীয় আইডোলজি। যুদ্ধের শত শত নেগেটিভের মধ্যে এটাই হবে অন্যতম প্রধান পজিটিভ।

দুবনা, ০৭ জুন ২০২৫

Thursday, June 5, 2025

চোরের খনি

খবরে প্রকাশ কোন এক উপদেষ্টার বাড়ি থেকে নাকি ১২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতার পর কম্বল চোর আর গম চোরদের ভালো ফলন হয়েছিল, চব্বিশের স্বাধীনতা জন্ম দিচ্ছে চাল চোর, ট্যাক্স চোর এইসব। বার বার শুধু চোরেরাই আসছে - মুখ বদল হলেও মুখোস বা চরিত্র থাকছে আগের মত। এটা বঙ্গবন্ধু ভালো ভাবেই অনুধাবন করেছিলেন আর তাই দুঃখ করে বলেছিলেন যে তার কপালে জুটল চোরের খনি। বঙ্গবন্ধু বা আদর্শ আজ নেই তবে চোরের খনি অবিরাম চোরের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।

দুবনা, ০৫ জুন ২০২৫

Wednesday, June 4, 2025

শিক্ষা

আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের শিক্ষিত মানুষের প্রতি এক ধরণের শ্রদ্ধা ও আবেগ আছে। ফলে ডঃ কামাল হোসেন, অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ সাধারণ মানুষের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। এর আগে বেগম খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনার অনেক কাজকে মানুষ তাদের ডিগ্রির অভাব হিসেবে দেখত। তাই নোবেল জয়ী ডঃ ইউনুস সাধারণ মানুষের মনে এক ধরণের সমীহা জাগায়, তার প্রতি শেখ হাসিনার বিভিন্ন আচরণ তারা ঈর্ষা হিসেবে নেয়। এই যে আজ তিনি শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতা সহ প্রায় চার শ' মানুষের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করলেন এটা তার ডিগ্রির, তার শিক্ষার অসারত্ব প্রমাণ করল। মুক্তিযোদ্ধার খাতা থেকে শেখ মুজিবের নাম কাটা অনেকটা খ্রিষ্টানদের হাজিরা খাতা থেকে যীশু খ্রিষ্টের নাম কেটে দেয়ার মত।

দুবনা, ০৪ জুন ২০২৫

প্রশ্ন

এরকম অনেক বাচ্চা দেখেছি যারা বড়দের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য শুধু হাত তুলেই শান্ত থাকে না, হাত নাড়িয়ে, বিভিন্ন ক্যারিকেচার করে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে থাকে যতক্ষণ না বড়রা তার উপস্থিতি স্বীকার করে নেয়। আগস্টের বিজয়ের পর গণ ভবন ভাংচুর, মুক্তিযুদ্ধের উপর বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস, ৩২ নম্বর মাটিতে মিশিয়ে দেয়া এ সবের পরে সরকারের পাকিস্তানি রূপ দেখানোর জন্য শেখ মুজিব ও চার জাতীয় নেতা সহ অনেকের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করার কি এতই প্রয়োজন ছিল? কিন্তু ঐ বাচ্চা ছেলেটির মত ভয় এদের শান্তিতে থাকতে দেয় না, মাঝে মধ্যে এসব করে অন্যদের জানান দিতে হয় যে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সব করতে পারে। কিন্তু মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলা কি এতই সহজ? ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত কি এতই ফেলনা?

দুবনা, ০৪ জুন ২০২৫

Tuesday, June 3, 2025

কর

নতুন বাজেটে নাকি নোবেল প্রাইজের টাকা শুল্কমুক্ত করা হয়েছে। এর সাথে চাঁদ, মঙ্গল (আনন্দ) গ্রহের টিকেট শুল্কমুক্ত করলে মন্দ হয়না। যে হারে আমাদের দেশের লোকজন নোবেল পুরস্কার পায় আর যে হারে আমাদের লোকেরা চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে যায় - তাতে করে প্রচুর পরিমাণ সরকারি টাকা সাশ্রয় করা যেত। আর গরীবের ত্রান তহবিল শুল্কমুক্ত করে কিই বা লাভ, ওরা যেমন গরীব ছিল, তেমন গরীবই থাকবে। বরং কর ধার্য করে ওদের গবীবীয়ানা আরেকটু পোক্ত করা যাবে। সাধে কি রাজা নোবেল পেয়েছেন!

দুবনা, ০৩ জুন ২০২৫

Monday, June 2, 2025

সমস্যা

দলকানা বুদ্ধিজীবীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পরিমিতিবোধের অভাব। কী প্রশংসায় কী সমালোচনায় তারা এতটাই লাগামহীন যে এতে করে শুধু নিজেদের শিক্ষা দীক্ষা ও জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কেই প্রশ্ন করার সুযোগ করে দেয় না, একই সাথে যাদের সম্পর্কে বলে তাদের যোগ্যতা বা অযোগ্যতা নিয়েও জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। ফল হয় উল্টো। জাতির সমস্যা হল এরা প্রায় সবাই বিশাল বিশাল বুটের অধিকারী বিধায় অনেকেই মাড়িয়ে মারতে পারে।

দুবনা, ০৩ জুন ২০২৫

Sunday, June 1, 2025

লটারি

আমাদের দেশের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পিএসদের কান্ডকারখানা দেখে মনে হয় এরা আসলে জনগণের সেবা করতে নয়, কে মিলিয়নিয়ার হতে চায় সেই খেলায় অংশ নিতে এসেছে। এটা যেমন স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষেত্রে সত্য তেমনি সত্য তথাকথিত স্বৈরাচার বিরোধী সরকারের ক্ষেত্রে। আমাদের রাজনীতি আসলেই বিশাল এক লটারি। 

দুবনা, ০২ জুন ২০২৫