ছোটবেলায় কেন যেন অনেকগুলো বিয়ে করার কথা মনে হত। এক বউ রান্না করবে, এক বউ খেতে দেবে, এক বউ স্নান করাবে, এক বউ জামা কাপড় ধুবে। এক কথায় যত কাজ তত বউ।
অনেকদিন হল শীতের জ্যাকেট ঝ্যুলানোর ফিতেটা ছিঁড়ে গেছে। বাসায় হ্যাঙ্গারে ঝুলাই, সমস্যা হয় না। বাইরে গেলে একটু অসুবিধায় পড়তে হয়। মহিলারা একটু খোঁটা দিয়েই বলেন "বাসায় কি কেউ নেই সেলাই করার?"
দর্জির ওখানে গিয়ে অবশ্য এসব ওরা যায়। এর জন্য প্রথমত সময় বের করা দরকার। ওরা কখন কাজ করে আর কখন যে করে না, সেটাও মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন। তবে সেটাই শেষ ওঠা নয়। একটা বোতাম সেলাই করতে ওরা ৫০ রুবল নেয়, আর আমি যে সেলাইয়ের কথা বলছি কম করে হলেও ১০০ রুবল। টাকাটা বড় কথা নয়, তবে এত টাকা দিয়ে দুই মিনিটের কাজ করাতে নিজেকে বোকা বোকা মনে হয়।
গতকাল গুলিয়াকে বললাম সেলাই করতে। একটা ফর্দ হাতে দিয়ে বল কী কী কিনতে হবে। সুই, সুতা আর আঙ্গুলে পরার একটা লোহার টুপি। বাসায় আছে। কিছুদিন আগেই কিনেছি। তবে আমি ওসব খুঁজে সময় নষ্ট না করে নতুন কেনাটাই সস্তা মনে করি।
গুলিয়া সেলাই শেষ করে বলল আমার কাছে তার কেক পাওনা। কেকের দাম কম করে হলেও ৭০০ টাকা। কাজ শেষ। এখন তো মজুরি না দিয়ে উপায় নেই।
গতকাল ক্লাবে গেছিলাম, তাই কেনা হয়নি। আজ দু বার মনে করিয়ে দিয়েছে। সকালে ক্লিনিকে যাব বলে বাইরে গেছিলাম। আজ সত্যিই ঠাণ্ডা। অনুভূতি দেখাচ্ছে -৩০। আমি মিনিট ১৫ বাইরে থেকেই সেটা বুঝেছি।
এখন কেকের জন্য যেতে হবে। আমাকে তো কেউ কথা দিতে বলেনি। দোষ একান্তই আমার।
ভাগ্যিস ছোটবেলার হিসেব অনুযায়ী একগাদা বউ বিয়ে করিনি। তাহলে এই ঠান্ডায় এখন দুবনার পথে পথে ঘুরতে হত এটা সেটা কিনতে কিনতে।
No comments:
Post a Comment