এক সময়ে
রাজাকে বলা হত ঈশ্বর বা দেবতাদের প্রতিনিধি। এ বিশ্বাস শুধু ভারতবর্ষেই নয়, এশিয়ার
বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ছিল। থাইল্যান্ড, জাপান এসব দেশেও রাজা বা সম্রাট দেবতা বংশীয়।
এক সময় রাজারা দেবতাদের কাছ থেকে শিখতেন, ডিজিটাল যুগে দেবতারা রাজাদের কাছ থেকে
শেখেন। কোন রাজাই, তা সে প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার যে নামেই আসুন, আজকাল
মানুষের আকুতি শোনেননা। তাদের দেখাদেখি দেবতারাও তাদের আকুতি, তাদের প্রার্থনা শোনার
প্রয়োজন বোধ করেন না। প্রজারা যতই ডাকুক না কেন রাজারা না ডাকলে দেবতারা এমন কি ক্রিকেট
টিমকেও জিতিয়ে দেননা। মশার কথা অবশ্য আলাদা। ওদের স্বর্গ গমনের কোন রাস্তা নেই, স্বর্গ
থেকে চিরতরে বিতাড়িত কেননা ওদের উপস্থিতি স্বর্গবাসীদের স্বর্গসুখ থেকে বঞ্চিত
করত। তাই দেবতাদের খাতায় মাশারা ব্ল্যাক লিস্টেড। তাই তো ওদের ঘর ডোবা নালায়। ফলে
মশারাও দেবতাদের অবাধ্য, আওতা বহির্ভূত। মশার বিরুদ্ধে লড়াইটা তাই মানুষকেই করতে
হবে।
দুবনা, ০৬ আগস্ট ২০১৯
দুবনা, ০৬ আগস্ট ২০১৯
No comments:
Post a Comment