সেদিন ছিল
পূর্ণিমা রাত, নীলাকাশে চাঁদের গোলগাল মুখখানি দেখা গেলেও এখনও কেউ তার ঘরে আলো
জ্বালেনি। দুষ্ট সূর্য্যিটা চাঁদকে দেখবে বলে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিমের আকাশে। যাই
যাই করেও যেতে চাইছে না। রাত আর দিনের এই মিলন লগ্নে তাদের দেখা। ঘাটে জল নিতে
এসেছে এই চপল নয়না, আর দূরে জঙ্গলের ভেতর থেকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওর সৌন্দর্য
উপভোগ করছে ছেলেটি। দু’ জনের দেখা হল চাঁদ আর সূর্য্যির লুকোচুরি খেলার মাঝে। ভয়ে একজনের
গলা শুকিয়ে এল, মনে পড়ল একলা ঘাটে না আসতে মায়ের বারণ। আরেকজন আশায় বুক বেধে ঠায়
দাঁড়িয়ে রইলো অপেক্ষায়। আবার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখল সে। এরই মধ্যে টুপ করে
সূর্য ডুব দিল পশ্চিম সাগরে, হেসে উঠলো চাঁদ। মেয়েটি আধো আলো আধো অন্ধকারে খুঁজল
পথ, ভাবলো নিঃশব্দে সে পেরিয়ে যাবে এই বুনো পথটুকু। না, ক্ষিপ্র গতিতে ছেলেটা ছুটল
তার পেছনে। এই তো সে ঘাড়ের উপর তার গরম নিঃশ্বাস টের পাচ্ছে। মা বলে চিৎকার করার
আগেই দুটি জীবন এক হয়ে গেল। ডেকে উঠলো পেঁচা। এদিক সেদিক কিছু জ্বলন্ত চোখ। উৎসুক
দৃষ্টি সেসব চোখে। ভোরের আলোয় সবাই দেখতে পেল ঘুমন্ত এক সিংহ শাবক আর তার পাশে
একটা বাচ্চা হরিণীর ডাগর দুটো চোখ।
দুবনা, ২২ আগস্ট ২০১৯
No comments:
Post a Comment