অনেক দিন পরে গতকাল মস্কো এলাম। আসি আসি করেও প্রায় এক মাস মস্কো আসা হয়নি। যদিও প্রায়ই মন চাইতো আসতে, সেভার সাথে দেখা করতে। আজকাল আমাদের কথা হয় মূলতঃ সামাজিক মাধ্যমে। ইদানীং কসমোলোজির প্রতি বেশ আগ্রহ ওর, বিশেষ করে স্পেস-টাইমের সম্পর্কের উপরে। তবে এ জন্যে যেটুকু গাণিতিক বেইজ দরকার, সেটা নেই, চেষ্টাও নেই। জোর করিনা। দেখি কতদূর যাওয়া যায়।
তবে আমি মস্কো এলে ও তখন এসব ব্যাপারে তেমন প্রশ্ন করে না, খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।.
সকালে গেলাম এক ছেলের সাথে দেখা করতে লেনিনস্কি প্রসপেক্টে, কিছু কাগজপত্র দেওয়া দরকার ছিল। একজন বাংলাদেশী ছেলেও দেখা করলো। ও ফিজিক্স পড়বে, কিছু প্রশ্ন ছিল ওর, তাই বললাম ওখানেই আসতে। আমি নিজে প্রণাম করা কখনই পছন্দ করি না, কেউ আমাকে প্রণাম করুক সেটাও চাই না। দেশে গেলে ছোটরা আসে প্রণাম করতে, আমি ওদের তাড়িয়ে দিই। একবার বললেই অবশ্য কাজ হয়, ওরাও এসব পছন্দ করে না, শুধু বাবামায়ের বকার ভয়ে এসব করে। আমি ওই ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, ও এসেই যখন প্রণামের চেষ্টা করলো, আমি তো অবাক। শুধু অবাক নই, অপ্রস্তুত ও লজ্জিত।
কথায় কথায় বললো, দেশে টেনজর, ফ্যুরিয়ে ট্র্যান্সফর্মেশন এসব পড়া হয়নি সেভাবে, এখন ঝামেলায় পড়ছে এসব কারণে।
এটা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা বাজে দিক। আমরা গত বছর পরীক্ষায় কি কি প্রশ্ন এসেছিল সেসব বাদ দিয়ে বাকীটা পড়ি, ফলে অনেক কিছুই জানা হয়না। এ যেন হাঁটতে শিখতে গিয়ে মাঝখানের কিছু স্টেপ বাদ দিয়ে চলা। এভাবে পরীক্ষায় পাশ হয়তো করা যায়, কিন্তু সামনের দিকে তো এগোনো যায় না!
মস্কো, ১২ আগস্ট ২০১৯
No comments:
Post a Comment