সকালে ঘুম ভাংতেই অসীম কাকুর স্ট্যাটাস চোখে
পড়ল "দৈনিক সংবাদপত্র ও মিডিয়াগুলোর বানান ভুল করার অধিকার জন্মগত! হায়
ভাষা-শহিদেরা!!!!!!" আর এটা দেখেই লিখে ফেললাম "বাংলা লিখতে আমরা যে পরিমাণ
ভুল করি তাতে প্রায়ই মনে হয় ভাষা শহিদদের পথ ধরে ভাষা নিজেই শহিদ হয়ে
গেছে"। আমি সাধারনত শহিদ শব্দটা শহীদ লিখি, মানে দীর্ঘ ই-কার (ঈ) দিয়ে। তবে
কাকু যেহেতু ভাষার ব্যাপারে যত্নবান, তাই ভাবলাম তাঁর ভার্সনই ঠিক। ওভাবেই
লিখলাম। আসলে স্কুলে আমরা অনেক কিছুই অন্য ভাবে লিখতাম, যেমন বাড়ি না লিখে
লিখতাম বাড়ী। এখন অনেক দীর্ঘ ই-কার (ঈ) রূপ বদলিয়েছে। তাই অনেক সময় বানান
বিভ্রাটে পড়ে যাই, যদিও বলব না যে আমি বানান তত্ত্ব খুব ভালো জানি। যাহোক
আমার শহীদকে শহিদ হতে দেখে সাহায্যের হাত বাড়াল সুমিত। অনেকটা ফিসফিস করে
বলল শহীদ। সুমিত বানান সচেতন। তাই পড়লাম অতিবিপদে (মহামারীর অতিমারীতে
বিবর্তনের মত)। তখন মনে এলো বিভিন্ন ইংরেজি শব্দ যা কিনা ইংল্যান্ড আর
আমেরিকায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে লেখা হয়। যেমন colour (color), behaviour
(behavior), centre (center) - সবাই খুশি। কিছুদিন আগে তপন রায়চৌধুরীর
"বাঙ্গালনামা" শেষ করলাম। আমাদের ছোটবেলার গরু সেখানে দিব্যি গোরু হয়ে ঘুরে
বেড়াচ্ছে। কিছুদিন আগে ঈদ রূপ বদলে ইদ হলেও অনেক কথা শুনেছিলাম। ভাষায় যদি
পদার্থবিদ্যার মত সার্বজনীন সূত্র না চলে তাহলে ই আর ঈ একটা শান্তিপূর্ণ
"সহবাসের" (অবস্থান শব্দটা খুব যুদ্ধংদেহী কিনা) ব্যবস্থা করা যায় কিনা
সেটা ভেবে দেখতে পারেন সংশ্লিষ্ট রাঘব বোয়ালবৃন্দ।
দুবনা, ১৬ মে ২০২০
No comments:
Post a Comment