সারা বিশ্বই আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। যেন সেই নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে আমাদের ভাত কাপড়। কিন্তু যা সত্য তা হল - আমেরিকায় যেই জিতুক না কেন - আমরা সবাই খারাপ থাকব। কারণ আমাদের উপর তাদের খবরদারি একটুও কমবে না। তবে যেটা হতে পারে তা হল এই খারাপ থাকার সময়ের হেরফের - মানে আমাদের তারা তাড়াতাড়ি মেরে কষ্ট লাঘব করবে নাকি দীর্ঘ দিন ধরে কষ্ট দিয়ে মারবে। দিনের শেষে সবার গন্তব্য একটাই - নরক। তবে আমার মনে হয় আমেরিকার নির্বাচনে এবার যেই জিতুক না কেন সে দেশের সাধারণ মানুষের হারার সম্ভাবনা যথেষ্ট। অবাক হই ভেবে যে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী, প্রায় সর্বক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ মানুষের এই দেশের কেন এই অবস্থা? এটা গভীর চিন্তার বিষয়। এটা কি গণতন্ত্রের পরিনতি নাকি গণতন্ত্রহীনতার? সবকিছু যখন ঘড়ির কাঁটার মত চলে তখন মানুষ এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে তার ঘড়িটা যে নষ্ট হতে পারে সেটাই ভাবতে পারে না। সব কিছুর মত গণতন্ত্র, মানবতা, বাক স্বাধীনতা - এসবকেও মাঝে মধ্যে প্রশ্ন করতে হয় - ওরা কেমন আছে, বেঁচে আছে তো?
দুবনা, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
Wednesday, October 30, 2024
Tuesday, October 29, 2024
বিচার
জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও সরাসরি অংশগ্রহণ যদি গণতন্ত্রের সূচক হত তাহলে গণপিটুনি হত সবচেয়ে গণতান্ত্রিক বিচার।
দুবনা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
Monday, October 28, 2024
প্রতিবাদ
রাজনৈতিক সুবিধা অসুবিধা বিচার করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে এক সময় নিজেকেও অন্যায়ের শিকার হতে হয়। যতদূর জানি বাংলাদেশে এখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। তাহলে নিবন্ধিত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে রাজনীতি করার। আর যদি জরুরি অবস্থা জারি করা হয় তাহলে সব দলই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবার অধিকার হারায়। এখানে বেছে বেছে আইন প্রয়োগের সুযোগ নেই। শুনলাম সিপিবিকে নিষিদ্ধ করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে সরকার। এখন লড়াইটা হবে একলার। সমন্বয়করা শুধু শ্রেণী শত্রু নয় সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের। যেকোন ইস্যুতেই হোক না কেন এদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে কাজে নামলে এভাবেই ইজ্জত হারাতে হয়।
দুবনার পথে, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
Saturday, October 26, 2024
ক্যাডার
স্তালিন বলতেন ক্যাডার বা কর্মীরাই সব সমস্যার সমাধান দেয়। মাঠের বাইরে যাই হোক না কেন মাঠে নামার পরে সবাই একই রকমের সুবিধা বা অসুবিধার সম্মুখীন হয়। মাঠকে যে দল বাগে আনতে পারে দিনের শেষে সেই দলই জয়ী হয় তা সে ক্রিকেটেই হোক আর রাজনীতিতেই হোক।
দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
সম্ভাবনা
কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী একটি কণার এক বিন্দু থেকে অন্য আরেক বিন্দুতে যাবার অসংখ্য সম্ভাব্য পথ আছে। হাজারো সম্ভাব্য পথ থাকার পরেও আমরা কোন এক নির্দিষ্ট পথে আজকের জায়গায় এসেছি। স্থান কাল পাত্র যেহেতু এক অদৃশ্য সূতায় গাঁথা তাই আমাদের আজকের সব সাফল্য ও ব্যর্থতার পেছনে পেরিয়ে আসা সবটুকু পথের অবদান অনস্বীকার্য। এই যে আমরা যারা জীবনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটিয়ে দিলাম সেটা আমরা এমন বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছি বলেই। অন্য কোথাও জন্ম নিলে আর যাই হোক ঠিক এমনটি হতাম না। এর চেয়ে ভালো যেমন হতে পারতাম তেমনি খারাপও। তাই আমাদের আজকের অবস্থানের জন্য অতীতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আত্মতুষ্টি বা আত্মগ্লানিতে না ভুগে বরং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের পরিবর্তন করাই শ্রেয়। এতে অন্তত ভবিষ্যত আরেকটু অন্যরকম হবার সম্ভাবনা থাকে যদিও সেই নিশ্চিয়তা কেউই দিতে পারে না।
দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
Friday, October 25, 2024
ঘাড়
কোন ধারণাকে ন্যায্যতা দেবার জন্য তার বিপরীত ধর্মী ধারণা সৃষ্টি করতে হয়। দিনের যেমন রাত, সাদার যেমন কালো, ভালোবাসার যেমন ঘৃণা, ঈশ্বরের তেমনি শয়তান। সাধারণত আমরা যখন স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করতে পারি না তখনই কাউকে বিপক্ষে দাঁড় করাই তার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে। ঈশ্বরে ভক্তি জাগানোর জন্য তাই দরকার শয়তানের ভয় দেখানোর। রোনাল্ড রেগ্যান সোভিয়েত ইউনিয়নকে শয়তানের আখড়া বলেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল রাজনৈতিক চাল, এর ভেতরের বিষয়বস্তু ততটা বুঝিনি। এখন বুঝি সেটা দরকার ছিল আমেরিকার দুর্বলতা ঢাকার জন্য। বিশেষ করে বিগত দুই দশক ধরে আমেরিকার রাজনীতিতে রাশিয়াকে জোর করে টেনে আনা হচ্ছে জনগণকে রাশিয়ার ভয় দেখিয়ে ভোটে জয় লাভের জন্য। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মনে হয়েছিল আদর্শগত লড়াই যখন শেষ এদের সাপ নেউলের লড়াই হয়তো এবার থামবে। কিন্তু ঘটনা দৃষ্টে মনে হচ্ছে এ লড়াই থামবার নয়। এমনকি রাশিয়া যদি নাও থাকে তারপরেও তাকে বানানো হবে যার বিরুদ্ধে কথা বলে জনমত গড়া যায়, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা যায়। হ্যাঁ, যেকোনো মানুষের মতই যেকোনো দেশেরও একটা ঘাড় দরকার - অন্যের ঘাড় - যেখানে নিজের সব দোষের বোঝা চাপিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো যায়।
দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
Wednesday, October 23, 2024
বিশ্বাস
বিভিন্ন গ্রুপে লোকজন বিভিন্ন ধরণের স্ট্যাটাস দেয়। কারো মতে দেশে সাম্প্রদায়িকতা আছে, কেউ বলে এসব গুজব, দেশে সাম্প্রদায়িকতা নেই। এ নিয়ে বিতর্ক। এবং এখানে যুক্তি তর্কের চেয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসই বেশি। এটা অনেকটা সেই আস্তিক নাস্তিকের মত - এক দল বলে ঈশ্বর আছেন, আরেক দল বলে নেই। ধর্ম বলে কথা। যেখানেই ধর্মের উপস্থিতি সেখানেই যুক্তির পলায়ন।
দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
Tuesday, October 22, 2024
ক্ষুদ্র
এক বন্ধু কথা প্রসঙ্গে বলল
দেশে দ্রব্য মূল্য যে ভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ কীভাবে বাঁচবে কে জানে?
এত ভয় পাবেন না। দেখবেন একটা লোকও মরবে না। এসবই ওয়েল প্ল্যানড মানে সুপরিকল্পিত।
বলেন কী? সুপরিকল্পিত ভাবে মানুষকে বিপদে ফেলার?
বিপদ কোথায় দেখলেন? এটা তো অতি ক্ষুদ্র এক বিষয়।
ক্ষুদ্র মানে?
এটা ডঃ ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নতুন অধ্যায়। এখন তিনি দেশের মানুষকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করবেন। আর সুদের বোঝা যাতে সহনীয় হয় তাই আগে থেকেই গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য কর দান থেকে মুক্তি দিয়েছেন। উনি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন লোক তাই সাধারণ মানুষ ধরতে পারে না।
দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২৪
দেশে দ্রব্য মূল্য যে ভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ কীভাবে বাঁচবে কে জানে?
এত ভয় পাবেন না। দেখবেন একটা লোকও মরবে না। এসবই ওয়েল প্ল্যানড মানে সুপরিকল্পিত।
বলেন কী? সুপরিকল্পিত ভাবে মানুষকে বিপদে ফেলার?
বিপদ কোথায় দেখলেন? এটা তো অতি ক্ষুদ্র এক বিষয়।
ক্ষুদ্র মানে?
এটা ডঃ ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নতুন অধ্যায়। এখন তিনি দেশের মানুষকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করবেন। আর সুদের বোঝা যাতে সহনীয় হয় তাই আগে থেকেই গ্রামীণ ব্যাংককে পাঁচ বছরের জন্য কর দান থেকে মুক্তি দিয়েছেন। উনি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন লোক তাই সাধারণ মানুষ ধরতে পারে না।
দুবনা, ২২ অক্টোবর ২০২৪
Sunday, October 20, 2024
অবিশ্বাসী
এক বৃদ্ধকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সুখ কী? তিনি উত্তরে বলেন এই দেশে জন্ম নিয়েছি এটাই আমার পরম সুখ। এরপর দুঃখ কী এই প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন এই সুখই আমার চরম দুঃখ। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা অনেকটা এরকম। মুখে বা ঘোষণায় তারা দেশের জন্য রাজনীতি করে কিন্তু মানুষের কাছে হয় তারা ভারতের না হয় পাকিস্তানের না হয় পশ্চিমা বিশ্বের দালাল । তাদের স্বার্থে রাজনীতি করে। এর মানে দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে তাদের না আছে চিন্তা ভাবনা না আছে ইচ্ছা। ক্ষমতার লড়াইয়ে তারা বিভিন্ন লবিতে যোগ দেয়। নেতারা নিজেদের সন্তানদের বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করে। ফলে তাদের দেশপ্রেম নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে। আর দলগুলোর নেতারা ভাবে যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর। এদিক থেকে দেশের মানুষ একদম অবিশ্বাসী।
মস্কো, ২১ অক্টোবর ২০২৪
বাস্তবতা
আমাদের দেশের গরীব মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যায় জীবিকার সন্ধানে আর ধনী ও সফল মানুষ বাংলাদেশকেই মধ্যপ্রাচ্য বানিয়ে তাকে শোষণ করে উপার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে বলে। কথাটি সবার জন্য সত্য না হলেও দেশের শিক্ষিত ও সফল মানুষের একটি বড় অংশের জন্য সত্য।
মস্কো, ২০ অক্টোবর ২০২৪
দূরদর্শী
দূরদর্শী হতে হলে মানুষকে ব্যক্তি স্বার্থের উপরে উঠতে হয়। কারণ ব্যক্তির জীবন সময় দ্বারা সীমাবদ্ধ। দূরদর্শী সিদ্ধান্ত কম করে হলেও কয়েক প্রজন্মের কথা ভেবে নিতে হয়। অধিকাংশ মানুষ নিজের বা পরিবারের বাইরে চিন্তা করতে পারে না বলে তাৎক্ষণিক লাভের কথা ভাবে, ফলে অনেক সময় আদর্শিক শত্রুর সাথে সন্ধি করে, এমনকি তাদের তৈরি করে। আমেরিকা কর্তৃক আল কায়েদা বা ইসলামিক স্টেটস প্রতিষ্ঠা এরকম একটি উদাহরণ।
মস্কোর পথে, ২০ অক্টোবর ২০২৪
Friday, October 18, 2024
মাথা
জুলাই আগস্টে যারা ছাত্র জনতার বিপ্লবের পালে হাওয়া দিয়েছে তাদের অনেককেই দেখছি আজকাল সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ফেসবুকে জানিয়ে রাখছে। কেউ কেউ অভিশাপ দিচ্ছে। সত্যটা হল এর চেয়ে বেশি কিছু করার ক্ষমতা আর এখন এদের নেই। এদের সমস্যা হল - এদের শক্তি নেই, আছে মাথা। সেই মাথায় যত বুদ্ধই থাক না কেন আন্দোলনের ফসল যারা চুরি করে নিয়ে গেল তারা এদের বুদ্ধি চায় না, তারা এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে চায়, খায়। মাথা ভাবার জন্য, আবেগের জন্য নয়। ভুল কাজে ব্যবহার করলে পরে এভাবেই পস্তাতে হয়।
দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
Thursday, October 17, 2024
সমান বনাম সাম্য
স্বর্গের যে ছবি পাওয়া যায় তাতে সেখানে সবার জন্য আছে অঢেল খাবার, অনেক অনেক অপ্সরা আর বিনোদন। সবার সমান অন্ততঃ অপ্সরার সংখ্যা। এটা সমাজতন্ত্রের স্ফীতকায় রূপ। অন্যদিকে সাম্যবাদ হলে সবাই তার সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করবে আর প্রয়োজন অনুযায়ী নেবে। এখানে যে স্বাধীনতা আছে সমাজতন্ত্রে সেটা নেই যেমন নেই স্বর্গে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এরকম স্বর্গের পতন তাই অমূলক নয়। আসলে যেখানেই স্বাধীনতা খর্ব হয় সেখানেই অসন্তোষ, বিদ্রোহ, পতন। দানবরা সেটা বার বার করে দেখিয়েছে।
দুবনা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
Wednesday, October 16, 2024
রিসেট
আন্দোলনের সময় একটি ব্যানারে লেখা ছিল - জাতির পিতা ইব্রাহিম। বেশ কিছুদিন রিসেট বাটন নিয়ে বাজার গরম। নানা মুনির নানা মত। কেউ কেউ বললেন রিসেট মানে তো ফ্যাক্টরি কন্ডিশনে ফিরে যাওয়া। তবে সেই দিন তারিখ কেউ বলেনি। ৭ মার্চ ও ৪ নভেম্বরের পর আসবে ৫২ ও ৭১। এসব পেরুনোর পর ভয় হয় আমরা প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে না যাই। তবে এটা এক দিকে সেফ। অনেকটা বিগ ব্যাংয়ের মত। এর আগে আর যাওয়া যাবে না।
দুবনা, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
Monday, October 14, 2024
দারিদ্র্য
ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য এবার নোবেল কমিটি তিন জন বিশেষজ্ঞকে সম্মানিত করল। দারিদ্র্যের উপর গবেষনা করে বিগত কয়েক দশকে অনেকেই নোবেলজয়ী হয়েছেন কিন্তু না তারা না মানবজাতি কেউই দারিদ্র্য জয় করতে পারেনি। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এই লড়াইয়ে অন্ততঃ যারা পুরস্কার দেয় তারা জয়ী হতে চায় না। চাইলে মার্ক্সের দেয়া অমোঘ ওষুধ অনেক আগেই ব্যবহার করত আর সামাজিক বৈষম্য বিলোপ করতে তত্ত্বের পরিবর্তে প্রায়োগিক দিকে বেশি গুরুত্ব দিত। আগে গরীব ছিল শুধু শোষনের বিষয় এখন তারা গবেষণার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তাই তো দারিদ্র্য না থাকলে গবেষণা হবে কী নিয়ে? বিজয়ীদের অভিনন্দন।
দুবনা, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
লাভে ক্ষতি
অনেকেই হায়হুতাশ করছে দুই টাকার মূলা আশি টাকায় কিনতে হচ্ছে বলে। মনে পড়ে গেল নব্বইয়ের দশকের সোভিয়েত ইউনিয়নের কথা। যারা ব্যবসা করত তারা বলত লাভে ক্ষতি হয়ে গেছে মানে যত লাভ হবার কথা ছিল তত হয়নি সময় মত কিনতে ও বেচতে না পারায়। ভাবুন তো ঐ সময় আশি টাকায় মূলা কিনে রাখলে আজ কত টাকার মালিক হতেন! মায়া, সবই মায়া। তবে এই মূলা ঝুলিয়ে সরকার যে জনগণকে অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটাতে পারবে এতে কিন্তু সন্দেহ নেই।
দুবনার পথে, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
প্রস্তুতি
দেশে পেঁয়াজ মরিচের দাম বাড়লেই সবাই গেল গেল রব তোলেন। স্বর্গে রসগোল্লা, রাজভোগ, অপ্সরা এদের অঢেল উপস্থিতির আশ্বাস থাকলেও পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, ভাত, মাছের কথা কোথাও লেখা আছে বলে জানি না। তাই এখন থেকেই হয় পেঁয়াজ মরিচে অরুচি ধরান নয়তো স্বর্গে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিন।
মস্কো, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
Saturday, October 12, 2024
প্রতীক
১৯৮৯ সালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর দুই সপ্তাহের এক স্কুলে অংশগ্রহণ করি পেরেস্লাভল জালেস্কি নামে এক জায়গায়। সেখানে বলা হয় যে মানুষ যা কল্পনা করে তা তার দেখা বাস্তবের প্রতিফলন, শুধু ভিন্ন ভাবে সাজানো। সে অর্থে সব রূপকথা, উপাখ্যান, গল্প, উপন্যাস এসবও আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা। আর সেটা হলে চণ্ডীতে বর্ণিত মহিষাসুর বধের কাহিনী জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এই মহিষাসুরকে বর্তমান যুগের স্বৈরাচারী শাসকদের প্রোটোটাইপ বলা যায় আর দেবী দূর্গা গণশক্তি কারণ বিভিন্ন দেবদেবীর সম্মিলিত ক্রোধ আর তেজ থেকেই তাঁর আবির্ভাব। সে অর্থে আজকের বাংলাদেশে দেবী দূর্গা ছাত্রজনতার প্রতিনিধি। যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। শেষ পর্যন্ত কে জিতবে - আমাদের শুভবুদ্ধি নাকি আমাদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচার সেটা সময় বলবে।
মস্কোর পথে, ১২ অক্টোবর ২০২৪
Friday, October 11, 2024
শারদীয়া শুভেচ্ছা
বিগত কয়েক দিন ফেসবুকে পূজার ছবি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আসলে মূর্তি ভাঙা শুরু হতেই এখন দেবী দুর্গার আগমনী সংবাদ পাই, আগের মত আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না। তার উপর আজ শুনলাম মণ্ডপে ইসলামি গান ও ইসলামে দাওয়াতের কথা। কেউ কেউ বলল এরা পূজা কমিটির আমন্ত্রণে মণ্ডপে এসেছিল। আমাদের দেশে, শুধু আমাদের দেশে কেন সারা বিশ্বেই এরকম অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দল বা ধর্মের লোকজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কাজ শেষ করেন। যদি কেউ অন্যের মন্দিরে গিয়ে নিজের দল বা ধর্ম প্রচার করে সে দায়িত্ব সেসব ব্যক্তির। মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় অঞ্জলি দেবার কথা যখন আমরা পৃথিবীর সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করতাম, সবাইকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে যেতে আবেদন জানাতাম দেবীর কাছে। এ সব প্রার্থনার মধ্যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ এসবের কোন স্থান ছিল না। আসলে আমরা অনেকেই এখন যারা এসবে বিশ্বাস করি না নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে সবার মঙ্গল করার চেষ্টা করি, মানুষকে কিছুটা হলেও আলোকিত করার চেষ্টা করি। শুধু এখন জানি দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করে এসব পাওয়া যাবে না, করতে হবে নিজেদের উদ্যোগে।
সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা! সবার মঙ্গল হোক, সবাই আলোকিত মানুষ হোন!
দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৪
সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা! সবার মঙ্গল হোক, সবাই আলোকিত মানুষ হোন!
দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৪
মার্কেটিং
আজকাল অর্থনীতির লোকজন বেশিরভাগ মনে হয় মার্কেটিং এর লোক। আর কিছু না পারুক কথা মানে প্রতিশ্রুতি বেচতে পারে। জনগণ সব সময়ই রিসিভিং এন্ডে।
দুবনা, ১১ অক্টোবর ২০২৪
Thursday, October 10, 2024
স্বৈরাচার
এবারে আমেরিকার লটারিতে নাকি বাংলাদেশের লোকজন দরখাস্ত করার যোগ্যতা হারিয়েছে। প্রথমে ভাবলাম আমেরিকা নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে নিজেদের ৫১ তম স্টেট হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এটা আমাদের প্রধান উপদেষ্টার জন্য একটা বিশাল বোনাস। পরে শুনলাম বিগত দিনে প্রচুর বাংলাদেশী আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছে। তাই এই শাস্তি। তার মানে স্বৈরাচারী শাসন থেকে পালিয়ে প্রচুর লোক আজ আমেরিকার নাগরিক। এটা তাদের জন্য অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ সেটাই ভাবছি। নাকি যাকে বলে শাপে বর। তবে যাই হোক হাতে আরেকটা ইস্যু পাওয়া গেল স্বৈরাচারের মুণ্ডুপাত করার। উইন উইন সিচুয়েশন যাকে বলে।
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৪
মেশিন
আমেরিকার নির্বাচনকে আজকাল আমার কালো টাকা সাদা করার যন্ত্রের মত মনে হয়। বৃহৎ পুঁজি নিজেদের সুবিধামত কোন এক প্রার্থী দাঁড় করায় তারপর চেষ্টা করে ছলে বলে কৌশলে তাকে জিতিয়ে আনতে। জনগণের সামনে তুলে ধরা হয় রঙ বেরঙের বিজ্ঞাপন। সুন্দর প্যাকেটের ভেতর প্রেসিডেন্ট নামে যে বস্তুটি থাকে তা কিন্তু মূলত তার পেছনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বৃদ্ধির মেশিন মাত্র।
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ১০ অক্টোবর ২০২৪
Wednesday, October 9, 2024
ইঁদুর
আপনাদের নিশ্চয়ই শালগমের গল্প মনে আছে? দাদু শালগম টেনে তুলতে ব্যর্থ হলে একে একে তাঁকে দাদী, নাতনি, কুকুর, বিড়াল সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এতেও ব্যর্থ হলে এগিয়ে আসে ইঁদুর আর শেষ পর্যন্ত বোঝার উপর শাঁকের আটির মত ইঁদুরই কাল হয় শালগমের জন্য। শালগমের পর এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থও হয় কিন্তু এই নেংটি ইঁদুর। কুকুর বিড়াল শালগম খায় না। ঘরে ফসল তোলায় এখন সেটা দাদুর ঘরে যার ভাগ পাবে দাদী ও নাতনি। ইঁদুরের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে না। অথচ শালগম না তুললে ও মাটি খুঁড়ে যখন খুশি তখন খেতে পারত। আমাদের বাম ও প্রগতিশীলদেরও আগস্ট বিপ্লবে এই নেংটি ইঁদুরের অবস্থা। তাদের প্রচেষ্টায় স্বৈরাচার উৎখাত হলেও শালগমের ভাগ তাদের ঘরে আসেনি, বরং এখন তাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবার সম্ভাবনা। হায়রে ইঁদুর!
দুবনা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দুবনা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Tuesday, October 8, 2024
আস্তিকতা নাস্তিকতা
ধর্মের মূলে রয়েছে বিশ্বাস। যারা বিশ্বাস করে তারা ধার্মিক আর অবিশ্বাসীরা নাস্তিক। যদি এটাকে রাজনীতিতে আনা যায় তাহলে সরকারি দল সব সময়ই ধার্মিক আর বিরোধী দল নাস্তিক। এজন্যেই হয়তো দেশে সব সরকার বিরোধী দল ঠ্যাঙায়। তবে বিরোধী দলের দৃষ্টিতে তারা ধার্মিক আর সরকার নাস্তিক। তাই সুযোগ পেলে তারাও চড়াও হয় সরকারি দলের উপরে।
দুবনা, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
Monday, October 7, 2024
রাজনীতি
আজকাল সারা বিশ্বেই রাজনীতির বাজার মন্দা। যা চলছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পলিট-টেকনোলজি। এর আঁতুড় ঘর আমেরিকা। তারা সেটা আগে বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ করত এখন নিজের দেশে প্রয়োগ করছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকান গণতন্ত্রের ধারণা হাস্যকর।
মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
Sunday, October 6, 2024
প্যারাডক্স
যারা পূজা করে তারা মূর্তিকে যতটা না ভক্তি করে যারা মূর্তি ভাঙে তারা মূর্তিকে তারচেয়ে বেশি ভয় পায়। সেদিক থেকে যারা ভাঙে তাদের কাছে মূর্তি বেশি জাগ্রত।
মস্কো, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
বোধ
একটা কথা কিছুতেই আমার বোধগম্য হয় না। সরকার কেন বিভিন্ন অপরাধের তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করার মত প্রহসনে নিজেদের জড়িত করে। বলে দিলেই হয় বিচার যেহেতু কোন অবস্থাতেই ন্যায়বিচার হবে না তাই আপনারা ধৈর্য ধরে শেষ বিচারের অপেক্ষা করুন। সেখানে সবাই সুদে আসলে নিজেদের কাজের উপযুক্ত পুরস্কার বা শাস্তি পাবেন।
মস্কোর পথে, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
Saturday, October 5, 2024
নোবেল
আইনস্টাইনকে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হবার প্রস্তাব দিলে তিনি বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনিও নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ছিলেন।
দুবনা, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
Thursday, October 3, 2024
রিসেট
২০০৮ সালে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি হিলারি ক্লিনটন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সাথে সম্পর্ক রিসেটের কথা বলেন। তবে রিসেটের রুশ পেরেজাগ্রুজকা ভুল করে তিনি লেখেন পেরেগ্রুজকা যার অর্থ লোড শেডিং। পরবর্তী কালে দুই দেশের সম্পর্কের কথা আমরা জানি। সেটা শীতল যুদ্ধের শীতলতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ক্লিনটনের বন্ধু বলে পরিচিত প্রফেসর ইউনুস রিসেটের বাংলাদেশে কথা বলছেন। সেটা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে? ১৯৭১ পূর্ববর্তী আমলে নাকি ১৯৪৭ পূর্ববর্তী আমলে নাকি ১২০১ সালের আগে? রিসেট ভালো, কিন্তু সময় মত থামতে না পারলে সেটা মানব সভ্যতাকে প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিতে পারে।
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
Tuesday, October 1, 2024
উপলব্ধি
গাড়ির কোন গন্তব্য থাকে না, গন্তব্য থাকে চালকের। গাড়ি শুধু চালক আর আরোহীদের গন্তব্যে পোঁছে দেয়। এবারের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জনগণ গাড়ির ভূমিকা পালন করেছে। অধ্যাপক ইউনুস সহ অনেকেই অদৃশ্য চালক ও আরোহী সেজে আপনাদের কাঁধে ভর করে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। তাদের মিশন সফল। যদি নিজেদের ব্যর্থ মনে করেন তাহলে আপনাদের সেই ব্যর্থতার দায় তাদের নয়, সে দায় আপনাদের সম্মিলিত গাধামির। তাদের মুক্তি দিয়ে আপনারা মুক্ত হননি, হবেন না যদি না নিজেদের মুক্তির জন্য নিজেরা ভাবেন, নিজেরাই লড়াই করেন নিজেদের ইস্যুকে সামনে এনে। মনে রাখবেন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলে কিছু নেই। সব আন্দোলনের পেছনেই কোন না কোন অনুঘটক থাকে, কেউ না কেউ তাতে ইন্ধন যোগায় প্রকাশ্যে বা গোপনে। তাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে এই ইন্ধন দাতাদের মুখ ও মুখোশ সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে জানা দরকার। আর দরকার নিজেদের শক্তি। কেউই আপনার হয়ে আপনার চাওয়া পাওয়া পূরণ করে দেবে না। অন্যের উপর নির্ভর করলে আপনার দুর্বলতা প্রকাশ পাবে আর সেই সুযোগে সুবিধাবাদীরা আপনাকে আগের চেয়ে আরও কঠিন অবস্থায় ফেলে দেবে। নিজে সচেতন ও শক্তিশালী না হলে এমনকি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হওয়াতটাও বিলাসিতা মনে হবে।
দুবনা, ০১ অক্টোবর ২০২৪
দুবনা, ০১ অক্টোবর ২০২৪
Subscribe to:
Posts (Atom)