দেখতে দেখতে রাত আঁটটা বেজে গেল। পেটের “খাবো, খাবো” চিৎকারে বুঝলাম এবার ঘরে
ফেরার পালা। ওদিকে বাইরে বৃষ্টির ডিস্কোটেকা চলছে দ্রুতলয়ে। ভাবলাম ওরা যখন ডিস্ক
বদলিয়ে স্লো ড্যান্স শুরু করবে তখনই বেরুতে হবে।
আশির
দশকে ছাত্র জীবনে আমি যখন আজকের থেকে বছর পাঁচেকের ছোট ছিলাম আর ওজন ছিল মাত্র ৪৩
কে জি তখন বৃষ্টির ফোঁটাকে পাশ কাটিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারতাম। এখন সময়ের সাথে
সাথে মাথা মোটা হয়েছে, ওজনটাও বিকেলের দিকে হেলে পড়েছে। ভাবলাম “শেষ রক্ষা হবে কী?
নাকি মেঘের হিসিতে নেয়ে ঘরে ফিরতে হবে।“
বৃষ্টিরা
আমার জন্য রাস্তা করে দিচ্ছে দেখে অবাকই
হলাম। বাড়ির পথ প্রায় দেড় কিলোমিটার। অনেকটা সময় ধরে আমার চারিদিকে নাচতে থাকা
বৃষ্টির ফোঁটাদের সাথে কথা বলতে বলতে
চললাম। কত কথাই যে জমে আছে ওদের ছোট্ট বুকে। বৃষ্টি তো নয়, যেন শীতের ছুটিতে সাইবেরিয়া থেকে
উড়ে আসা অতিথি পাখী। তবে ওরা কলরব করে না। মৌনতাই ওদের ভাষা। ওদের চোখের জলে কত যে
কথা! শুধু পড়তে জানলেই হল।
বৌ বলল
- ট্যাক্সি ডাকলেই তো পারতে।
- তা ঠিক। তাহলে ব্রিশ্তিদের সাথে আর কথা বলা হত না। তাছাড়া দেড় কিলমিটার হাঁটা পথ আমি কোথায় পেতাম ঘরে ভেতর?
দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০১৯
- ট্যাক্সি ডাকলেই তো পারতে।
- তা ঠিক। তাহলে ব্রিশ্তিদের সাথে আর কথা বলা হত না। তাছাড়া দেড় কিলমিটার হাঁটা পথ আমি কোথায় পেতাম ঘরে ভেতর?
দুবনা, ১০ এপ্রিল ২০১৯
No comments:
Post a Comment