আজকাল
ফেসবুকে একটা কার্টুন প্রায়ই চোখে পড়ে। কার্টুনটি হল
শরিয়া আইন কে কে চায় এই প্রশ্নের উত্তরে হাত তুলে সবার সমর্থন।
কে কে সৌদি আরবে বাস করতে চায় এর উত্তরে কারো হাত না তোলা।
কে কে অ্যামেরিকায় বাস করতে চায় তাতে আবার সবার হাত তোলা।
আমার ধারণা ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের উত্তরেও খুব বেশি হেরফের হবে না। এটা একটা ব্যঙ্গাত্মক চিত্র হলেও কমবেশি আমাদের দেশগুলোর বাস্তবতার কথাই বলে।
আপাত দৃষ্টিতে হাসির মনে হলেও ব্যাপারটা সত্যিই দুঃখের। এটা আবার বলে এসব আইন আমরা নিজেদের জন্যে চাই না, চাই অন্যের জন্য, প্রতিবেশির জন্য, প্রতিপক্ষের জন্য। আমার বিশ্বাস রাফির ঘটনাটা যদি ভারতে ঘটত, বা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ ঘটাত সিরাজ উদদৌল্লা নামের এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সবার আগে অপরাধীর মাথা চেয়ে মিছিল করত। এবং আমাদের জেরো টলারেন্সের সরকার আলোর গতিতে সেই সংখ্যালঘু (ধর্মীয়, আদর্শগত, রাজনৈতিক বা অন্য কোন) ব্যক্তিকে হাতেপায়ে কড়া পড়িয়ে আদালতে হাজির করত। ক্ষেত্র বিশেষে আইনের এই ভিন্ন পঠন (reading) আসলে শুধু দেশ বা সমাজের জন্যই নয়, প্রশাসনের জন্যেও ক্ষতিকর। কিন্তু সেটা ভাবার সময় কারও আছে বলে মনে হয় না। সারাবিশ্ব যেখানে আধুনিকায়নের কথা বলছে আমাদের কেউ বলছে ইসলামি শাসনের কথা, কেউ বা রাম রাজ্যত্বের কথা। এ যেন উল্টো রথ। এতে আর যাই হোক আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায় না। আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য দরকার আইনের শাসন, সবার প্রতি আইনের সমান প্রয়োগ। সেটা করেই ইউরোপ, অ্যামেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশেগুলো এই পর্যায়ে এসেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশেও ইউরোপ অ্যামেরিকার মত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই হাসি ঠাট্টা নয়, এখন প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে বোঝানো, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাস করার জন্য দরকার নিজেদের দেশেই গণতন্ত্রের বিকাশ। আর এই লক্ষ্যে প্রধান বাধা ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদগণ আর সিরাজ উদদৌল্লার মত মোল্লারা যারা সাধারণ মানুষের মাথায় ধর্মের কাঁঠাল ভেঙ্গে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে।
শরিয়া আইন কে কে চায় এই প্রশ্নের উত্তরে হাত তুলে সবার সমর্থন।
কে কে সৌদি আরবে বাস করতে চায় এর উত্তরে কারো হাত না তোলা।
কে কে অ্যামেরিকায় বাস করতে চায় তাতে আবার সবার হাত তোলা।
আমার ধারণা ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের উত্তরেও খুব বেশি হেরফের হবে না। এটা একটা ব্যঙ্গাত্মক চিত্র হলেও কমবেশি আমাদের দেশগুলোর বাস্তবতার কথাই বলে।
আপাত দৃষ্টিতে হাসির মনে হলেও ব্যাপারটা সত্যিই দুঃখের। এটা আবার বলে এসব আইন আমরা নিজেদের জন্যে চাই না, চাই অন্যের জন্য, প্রতিবেশির জন্য, প্রতিপক্ষের জন্য। আমার বিশ্বাস রাফির ঘটনাটা যদি ভারতে ঘটত, বা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ ঘটাত সিরাজ উদদৌল্লা নামের এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সবার আগে অপরাধীর মাথা চেয়ে মিছিল করত। এবং আমাদের জেরো টলারেন্সের সরকার আলোর গতিতে সেই সংখ্যালঘু (ধর্মীয়, আদর্শগত, রাজনৈতিক বা অন্য কোন) ব্যক্তিকে হাতেপায়ে কড়া পড়িয়ে আদালতে হাজির করত। ক্ষেত্র বিশেষে আইনের এই ভিন্ন পঠন (reading) আসলে শুধু দেশ বা সমাজের জন্যই নয়, প্রশাসনের জন্যেও ক্ষতিকর। কিন্তু সেটা ভাবার সময় কারও আছে বলে মনে হয় না। সারাবিশ্ব যেখানে আধুনিকায়নের কথা বলছে আমাদের কেউ বলছে ইসলামি শাসনের কথা, কেউ বা রাম রাজ্যত্বের কথা। এ যেন উল্টো রথ। এতে আর যাই হোক আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায় না। আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য দরকার আইনের শাসন, সবার প্রতি আইনের সমান প্রয়োগ। সেটা করেই ইউরোপ, অ্যামেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশেগুলো এই পর্যায়ে এসেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলাদেশেও ইউরোপ অ্যামেরিকার মত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই হাসি ঠাট্টা নয়, এখন প্রয়োজন সাধারণ মানুষকে বোঝানো, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাস করার জন্য দরকার নিজেদের দেশেই গণতন্ত্রের বিকাশ। আর এই লক্ষ্যে প্রধান বাধা ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদগণ আর সিরাজ উদদৌল্লার মত মোল্লারা যারা সাধারণ মানুষের মাথায় ধর্মের কাঁঠাল ভেঙ্গে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে।
দুবনা,
১২ এপ্রিল ২০১৯
No comments:
Post a Comment