Wednesday, July 30, 2025

মুখোস

যেকোনো ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মুখোস, মানে যে যা নয় তার ভান করে অন্যদের ধোঁকা দেয়া। এমনও হয় যে সে নিজেই নিজের এই মুখোসটাকে আসল মনে করে কিন্তু ক্রিটিক্যাল মূহুর্তে তার আসল রূপ বেরিয়ে আসে। এভাবে সে তার আজীবন লালিত স্বপ্নের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে। এটাও এক ধরণের অস্তিত্বের সঙ্কট। আজকাল বাম রাজনীতিতে এর প্রভাব ব্যাপক। হতে পারে আদর্শের প্রতি এদের অন্ধবিশ্বাস শেষ পর্যন্ত এদের ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে নিয়ে যায় অথবা এদের মধ্যে মৌলবাদ সুপ্ত ছিল কিন্তু নিজেকে সে ভিন্ন সত্ত্বার কেউ বলে মনে করে বা করত।

দুবনা, ৩১ জুলাই ২০২৫

কৃমি

বিভিন্ন সময়ের ওর কথাবার্তা শুনে এই সিদ্ধান্তে আসাই যায় যে বিশ্ববিদ্যালয় নামক মাদ্রাসার ঐ ষ্যাঁড়টির মুখ আমাশয় নামক এক গুরুতর সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত। ধারণা করা যায় যে সে সুদূর একাত্তরে এই রোগে সংক্রামিত হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে এ রকম সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবানুরা গুঁড়া কৃমির মত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমস্ত সংগঠনে ঢুকে আজ মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে। সামাজিক ভাবে বয়কট করা ছাড়া এই সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তির উপায় আছে বলে মনে হয় না।

দুবনা, ৩০ জুলাই ২০২৫

Tuesday, July 29, 2025

পিপিপি

তৃতীয় শক্তির প্রকাশ যেহেতু সুদূরপরাহত দেশে তাই একটা নতুন দল জন্ম নিতে পারে যার নাম হতে পারে নিন্দা জানানো পার্টি। চারিদিকে এত মানুষ দেশে ঘটে যাওয়া হাজারটা অপকর্মের জন্য নিন্দা জানায় বা নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলে যে নিন্দা জানাই বা ভাষা হারা এসব নামে আজকাল দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল গঠিত হতে পারে। অথবা যেহেতু সবাই সবাইকে নিন্দা জানাতে, সবাই সবাইকে নিয়ে চর্চা করতে আগ্রহী তাতে পরনিন্দা পর চর্চা পার্টি (পিপিপি - নামটি অনেকেরই পছন্দ হতে পারে) গঠনের কথাও ভেবে দেখা যায়। এটা নতুন কিছু নয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিয়ার লাভার বা ঐ জাতীয় পার্টি থাকতে পারলে আমাদের পরনিন্দা পর চর্চা কম কিসে? আমরাও তো অন্তর থেকে এসব পছন্দ করি।

দুবনা, ২৯ জুলাই ২০২৫

Monday, July 28, 2025

কাকতালীয়

শুনেছি মাফিয়ারা পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে কে কোন মার্কেট কন্ট্রোল করবে সে ব্যাপারে আগে থেকেই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় টেরোরিজম ও ড্রাগ ট্রাফিকিং কন্ট্রোল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুনে মাফিয়াদের কথা মনে হল। এমনিতেই।

দুবনা, ২৮ জুলাই ২০২৫

Sunday, July 27, 2025

সময়

শয়তানের এডভোকেটের মত অনেক সাবেক ও সক্রিয় প্রগতিশীল (?) আজকাল প্রতিক্রিয়ার এডভোকেসি করছে। যে যাই বলুক বর্তমান প্রশাসনের কোন কর্মকান্ডই দেশ বা দেশের মানুষের জন্য কোন মঙ্গল তো বয়ে আনেই নি বরং অভিশাপের মত জেঁকে বসেছে জাতির বুকে। এমতাবস্থায় তাদের কোন রকম সহযোগিতা করা মানে দেশ, ত্রিশ লাখ শহীদ ও কয়েক রাখ মা বোন ও বিগত পঞ্চাশ বছর হাজার হাজার মানুষ, যারা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেদের সুখ শান্তি এমনকি প্রাণ পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছে, তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা। বাম প্রগতিশীল বলে পরিচিত মানুষ নিজেদের তৃতীয় শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি, এখন সময় এসেছে জনগণের এদের পরিত্যাগ করার ও নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার।

দুবনা, ২৭ জুলাই ২০২৫

Friday, July 25, 2025

ল্যাজেগোবরে

সফল ভাবে লেজুড়বৃত্তি করার জন্যেও সঠিক সময়ে সঠিক লেজটা ধরতে হয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমাদের বামেরা এখানেও ব্যর্থ। সব সময় ভুল লেজ ধরে ভুল গন্তব্যে উপনীত হয়।

দুবনা, ২৫ জুলাই ২০২৫

Thursday, July 24, 2025

চামড়া ও অনুভূতি

আমাদের রাজনীতিবিদদের সবার গায়ে মনে হয় গন্ডারের চামড়া। তবে পদপদবি ভেদে চামড়ার পুরুত্ব ভিন্ন। তাই একেক জনের একেক সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বোধোদয় ঘটে আর সেই অনুভূতির উপর ভিত্তি করে রচিত হয় তাদের রাজনৈতিক বয়ান। আর দিনের শেষে যা হয় তাকে বলে জগাখিচুড়ী।

দুবনা, ২৪ জুলাই ২০২৫

Wednesday, July 23, 2025

রাষ্ট্র

রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডাররা সৌজন্য রক্ষার জন্য হলেও কালো ব্যাজ বা শোক প্রকাশের কোন চিহ্ন ধারণ না করে আবারো প্রমাণ করল এই রাষ্ট্র তাদের জন্য বধ্যভূমি যেখানে ন্যুনতম দ্বিধা না করে জনগণ শিকার করা যায়।

দুবনা, ২৪ জুলাই ২০২৫

বঙ্গতাজ

বাঙালি এক আত্মবিস্মৃত জাতি, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাঙালি বা বাংলাদেশী। তাই তো সে নিজের শিকড় খুঁজে পায় না বা খুঁজে পেতে চায় না। হাজার বছরের ইতিহাস তো দূরের কথা সে তার নিকট ইতিহাস ভুলে যেতে সদা প্রস্তুত। গীত গোবিন্দ নয় সে শিকড় খুঁজে আরব্য রজনীতে। পদ্মা তীরের তাজউদ্দীনে নয় সে জাতির নায়ক খুঁজে বেড়ায় সিন্ধু তীরে বা আরবের মরুভূমিতে। শিকড় বিহীন এই জাতিকে নিয়ে তাজউদ্দীন কীভাবে দেশ স্বাধীন করলেন সেটাই ভাবনার বিষয়। আপনার জন্ম শতবার্ষিকীতে তাই তো কোন জাতীয় উদ্যোগ নেই। উল্টা স্রোতে চলা মানুষের ভাগ্য এমনই হয়।
শুভ জন্মদিন!!!

দুবনা, ২৩ জুলাই ২০২৫

Tuesday, July 22, 2025

ক্ষোভ

মৃত্যুর প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই 
সে নিঃশব্দে তার কাজ করে যায়
আমার ক্ষোভ তাদের প্রতি যারা জীবনকে বিকশিত হতে দেয় না।
ধিক্কার জানাই নপুংশক প্রশাসনকে।
ধিক্কার জানাই রাজনৈতিক দলগুলোকে যারা মানুষের জীবন নিয়ে কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলে,
যারা মৃত্যুকে পুঁজি করে ক্ষমতার মসনদ কিনতে নিলামের আয়োজন করে।

দুবনা, ২২ জুলাই ২০২৫

Saturday, July 19, 2025

উল্টা পাল্টা

আমি প্রায়ই উল্টা পাল্টা পড়ি। এইতো গতকাল ফেসবুকে কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডারিক এঙ্গেলস এর ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর বইটির প্রচ্ছদ দেখে পড়লাম 
ফ্রেডারিক মার্ক্স ও‌ কার্ল এঙ্গেলস। এবং পড়েই আৎকে উঠলাম। মজার ব্যাপার হল এরকম আমার হর হামেশাই হয়। মস্তিষ্কের বিকার নাকি চোখের ক্রস প্রডাক্ট?

দুবনার পথে, ২০ জুলাই ২০২৫

Friday, July 18, 2025

বিশ্বাসঘাতকতা

আমরা যখন মীর জাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলি তখন আমরা সিরাজের প্রতি তার বিশ্বাসঘাতকতার কথাই ভাবি। একই ভাবে আমরা যখন মোশতাকের বিশ্বাসঘাতকতার কথা বলি তখন সে কীভাবে শেখ মুজিবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেটাই মাথায় রাখি। আসলে বিশ্বাসঘাকতার সাথে আমরা সাধারণত দুজন মানুষকে কল্পনায় আনি - এক জন বিশ্বাসঘাতকতা করে অন্য এক জনের প্রতি। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা যে কোন ব্যক্তি মানুষের যেমন সিরাজ বা মুজিবের চেয়েও দেশের জন্য অনেক ক্ষতি বয়ে আনে। রাজনৈতিক নেতা কর্মী ও আমলারা দেশের প্রতিও একই ভাবে দায়বদ্ধ তাই তাদের বিশ্বাসঘাতকতা শুধু কোন মানুষের প্রতিই নয়, দেশের প্রতিও। কিন্তু দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা আমরা প্রায়ই আমলে আনি না। বাস্তবতা হল দল নির্বিশেষে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক নেতা ও আমলা প্রতিনিয়ত দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে যাচ্ছে। অন্তত আমাদের দেশের সার্বিক চিত্র, হোক সে স্বাধীনতা পূর্ব অথবা স্বাধীনতা উত্তর, সেই স্বাক্ষ্যই দেয়। স্লোগান দেবার সময় এসেছে - বিশ্বাসঘাতকতার চাকা চলছে, চলবেই।

দুবনা, ১৮ জুলাই ২০২৫

Thursday, July 17, 2025

বোঝা

আমাদের বাসায় কুকুর বিড়ালরাই সংখ্যাগুরু। যখন ওরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে গুলিয়া আমাকে মানুষের মুখপাত্র হয়ে ওদের সাথে আলোচনায় পাঠায়। আমিও ওদের মত করেই বলি

জাকগফহদসভব;ক ,ফ;চল্মব্দল;ফ

ওরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। এসব শুনে গুলিয়া, সেভা, মনিকা, ক্রিস্টিনা হাসে। জানতে চায় কী বললাম।

কি উত্তর দেব? বলি

ওদের জন্য বলা, ওরা বুঝলেই হল। আমার বা তোমাদের এসব বোঝার দরকার নেই।

আজকাল বামপন্থী নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন বা বক্তব্য রাখেন। অনেক সময় মনে হয় তারা আমাকে অনুসরণ করে

গফজসাফদব্দসা; ম্ভনফজকদব্জক্লভব্জদস;ভচ

এই টাইপের কিছু বলেন যা আমাদের বা তাদের নিজের কারোরই বোঝার দরকার নেই। বোঝাটা যাতে বোঝা না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই হয়তো এভাবে বলেন।

দুবনা, ১৭ জুলাই ২০২৫

Tuesday, July 15, 2025

শক্তি ও সমস্যা

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি হল জনগণ। যখনই শাসক গোষ্ঠী (আসলে শোষকের গুষ্টি) নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, জনগণ গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে। এক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সাহায্য করে, অনেক ক্ষেত্রে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। কিন্তু একবার ক্ষমতায় গেলে যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণ লড়াই করল আর যে লড়াইয়ের লেজ ধরে রাজনৈতিক দল ক্ষমতার বৈতরণী পার হল, আগের শাসকদের সেই অন্যায় অবিচারকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করে নিজেরাই দ্বিগুণ উৎসাহে এসব অন্যায় অবিচারে মত্ত হয়। সেই বিচারে বাংলাদেশের রাজনীতির বড় সমস্যা হল রাজনৈতিক দলগুলো এবং দলমত বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত ধরণের ক্ষমতাসীন ও তাদের চেলা চামুণ্ডারা।।

দুবনা, ১৫ জুলাই ২০২৫

Monday, July 14, 2025

তিন

দেশের জনগণ তিন যুগ আগে থেকে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির অপেক্ষা করছে আর তৃতীয় শক্তির পরিবর্তে পাচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।

দুবনা, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

Sunday, July 13, 2025

শক্ত হাত

কেউ কেউ প্রফেসরকে হারানো দিনের হেডমাস্টার হতে বলছে যাতে তিনি শক্ত হাতে সমাজের লাগাম টেনে ধরেন। আমার ধারণা এর দরকার নেই। উনি যা করছেন শক্ত হাতেই করছেন। ন্যায় ও সুবিচারের মত অন্যায় ও অবিচারও শক্ত হাতে করা যায়। মব দিয়ে উনি শক্ত হাতে জনগণকে শাসন ও শোষণ করছেন। উনি তো শুরুতেই বলেছেন যে তার রাষ্ট্র চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও কাউকে গুরুদায়িত্ব দিলে তার ব্যর্থতা যারা দায়িত্ব দেয় তাদের মানে জনগণের। সমস্যা হল জনগণের তাঁকে ছাঁটাই করার অধিকার নেই। গণতন্ত্রেই সেটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, মবতন্ত্রে তো প্রশ্নই আসে না।

দুবনা, ১৩ জুলাই ২০২৫

Saturday, July 12, 2025

শক্তি

তাকে কেউ খাঁচা খুলে বাইরে আনতেই পারে, তবে তখন হরিণের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষা করতে বেচারা হরিণকে খাঁচায় ভরতে হবে। সমস্যা হল যারা মানবাধিকার ইত্যাদির নামে আন্দোলন করে তাদের একমাত্র না হলেও অন্যতম প্রধান অস্ত্র হল মানববন্ধন, মিটিং মিছিল এসব যা শুধু বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন ও বিবেকবান মানুষের কাছে পাত্তা পায়। ক্ষমতালোভী, অর্থলোভী, বিবেকহীন মানুষের কাছে এসব আবেদন মূল্যহীন। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু আবেদন যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন শক্তি। আসলে সব কাজেই শক্তি দরকার। ফলে যেটা প্রায়ই দেখা যায় তা হল এদের ঘাড়ে ভর করে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বা দল অপরাধ করেও শাস্তির হাত থেকে রেহাই পায় আর তাদের হাতে নতুন করে অত্যাচারের শিকার হয় নিরীহ মানুষ।

দুবনা, ১২ জুলাই ২০২৫

Friday, July 11, 2025

অভ্যাস

রাজা প্রাসাদ ছেড়ে কুঁড়ে ঘরে গেলেও আচার আচরণে রাজাই থাকে আর ভিখারি রাজপ্রাসাদে গিয়েও ভিখারিই রয়ে যায়। এই বিশ্বাস আমার দৃঢ় বদ্ধ হয় যখন দেখি বিদেশের মাটিতে আমাদের রাজা মহারাজারা দেশে গিয়ে আবার সেই ভিখারি বনে যায়। বিদেশে রাজা বাদশাহ হয় শুধু নিজেদের গুনেই না, স্থানীয়দের মহানুভবতা গুনেও। কিন্তু দেশে ফিরলেই পরিবেশ দোষে সে আবার জোচ্চোর তা তার পকেটে নোবেল থাকুক আর মার্কিন প্রফেসরশীপ থাকুক।

মস্কো, ১১ জুলাই ২০২৫

Thursday, July 10, 2025

সমস্যা

মানুষ একই সাথে যুক্তিবাদী ও বিশ্বাসী। এতে কোন সমস্যা নেই। কারণ যুক্তি কোন বিশ্বাসকে প্রমাণ বা ভুল প্রমাণ করার জন্যই ব্যবহৃত হয়। তাই যদি কিছুতেই বিশ্বাস না থাকে তাহলে যুক্তি কোন কাজে লাগে না যদি না কেউ নিহিলিস্ট হয়। তবে মানুষের বড় সমস্যা হল যুক্তি ও বিশ্বাসের অযৌক্তিক, অপর্যাপ্ত ব্যবহার ও ক্ষেত্র বিশেষে অপব্যবহার। সে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের ধারণার সঠিকতায় বিশ্বাস করে আর অন্যদের ধারণা ও বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে চায়। ফলে সে না জানে নিজেকে, না জানে অন্যকে। যুক্তিবাদী হয়েও নিজের অন্ধবিশ্বাসের কাছে আজীবন জিম্মি থেকে যায়।

মস্কো, ১০ জুলাই ২০২৫

Tuesday, July 8, 2025

প্রশ্ন

কোন কিছু একবার ঘটলে তাকে বলে দুর্ঘটনা, দুই বার ঘটলে কাকতালীয়, তিন বা ততোধিক বার ঘটলে নিয়ম।

বিগত কয়েক শ' বছর যাবৎ ইউরোপিয়ানরা বিশ্বের দেশে দেশে গেছে সেসব দেশের ধনসম্পদ লুট করতে, কোন কোন ক্ষেত্রে ভূমি দখল করতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা স্থানীয় জনগণকে লোভ দেখিয়ে, ধোঁকা দিয়ে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় জনগনকে নির্মূল করেছে। যেখানে তারা কিছুটা দয়ালু ছিল সেখানে জনগণকে করেছে নিঃস্ব। এটা তাদের রক্তে। আজ আমরা যখন তাদের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন ইত্যাদির জন্য হাত পাতি তখন কি এসব কথা একবারও ভাবি? মীর জাফরকে তারা এই টোপেই ফেলেছিল। মীর জাফরকে ঘৃণা করেও আমরা কেন বারবার মীর জাফর হই? ইতিহাস কি আমাদের কখনো শিক্ষা দেবে না? নাকি মুর্খতা আর অন্ধবিশ্বাসের কোন দাওয়াই নেই?

মস্কো, ০৯ জুলাই ২০২৫

Sunday, July 6, 2025

জ্ঞানী

যখন ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করা হয় তখন সেই সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত ইহুদি তো বটেই, অন্যতম বিখ্যাত মানুষকে সেই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার জন্য অনুরোধ করা হয়। পদার্থবিজ্ঞানে অগাধ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর অজ্ঞতার অজুহাতে তিনি সেই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাহার করেন। অনুমান করতে পারি তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেও ইসরাইল তার নিজের পথেই চলত আর তিনি তাঁর কষ্টার্জিত সুনাম হারিয়ে অনেকের কাছেই ইতিহাসের ঘৃণ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হতেন। তিনিও একজন নোবেল বিজয়ী। পদার্থবিজ্ঞানে। নোবেলজয়ী হলেই সবাই জ্ঞানী হয় না, সবাই আইনস্টাইন হয় না।

মস্কো, ০৭ জুলাই ২০২৫

নাম

দিন দুয়েক আগে ফেসবুকে এক নব্য নেতার বিদগ্ধ বাণী পড়লাম। একাত্তর ও চব্বিশ নিয়ে দরকষাকষি। তাই মাথায় প্রশ্নটি উঁকি মেরে অদৃশ্য হয়ে গেল।

আচ্ছা মুক্তিযুদ্ধ যদি ভারতের ষড়যন্ত্র ও বাঙালি-বিহারী দাঙ্গা হয় তবে যে বা যারা এটা বলে তাকে বা তাদের কি নামে ডাকা যায়?

মস্কোর পথে, ০৬ জুলাই ২০২৫

Friday, July 4, 2025

চোরেরও সাগরেদ থাকে

যখন কেউ কোন ভালো কাজ করে, নিজের কাজের মধ্য দিয়ে সমাজ ও মানুষের জীবনের উন্নতির পথ দেখায় আমরা তাঁকে পথপ্রদর্শক বলি, সেই পথে চলার জন্য অন্যদের উৎসাহিত করি। কিন্তু একথাও তো ঠিক যে অনেক খারাপ কাজের কাজীরাও কারো না কারো জন্য পথের দিশারী। কথায় বলে চোরেরও সাগরেদ থাকে। তাই রাজনৈতিক নেতা বা পাবলিক ফিগাররা যখন কিছু করেন তাদের উচিৎ ভেবে দেখা সেটা কাউকে এমন কোন কাজ করতে উৎসাহিত করবে কিনা যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে এটা যদি কোন রাষ্ট্রনায়ক করে। চাইলাম আর সন্ত্রাস দমনের নামে হাজার হাজার নারী শিশু হত্যা করলাম বা পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হাননাম - এসব কোন এক সময় বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে।

দুবনা, ০৪ জুলাই ২০২৫

Wednesday, July 2, 2025

প্রশ্ন

ফেসবুকের কল্যাণে আজকাল উপমহাদেশের বিয়ের বিভিন্ন ছবি চোখে পড়ে। আগে যা বলিউডের মুভিতে দেখা যেত এখন সেটা বাস্তব জীবনে রূপ পায়। আর দেশের বা উপমহাদেশের উচ্চ বা মধ্যবিত্ত পরিবারের বিয়ের ছবি দেখলে মনে হয় পুঁজিবাদী রাষ্ট্র গঠনে ব্যর্থ হয়ে আমরা এখন সামন্ত যুগে প্রবেশ করছি - হ্যাঁ এসব ছবি আমাদের রাজা বাদশাহদের দরবারে ফিরিয়ে নেয়। বিয়ের মত ব্যাপার যা সাধারণত জীবনে একবারই ঘটে সেটা স্মরণীয় করে রাখা মোটেই খারাপ কিছু নয় তবে আমাদের এই সুলতানী আমলে ফিরে যাওয়ার মনস্তত্ত্ব বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ তথা মদিনা সনদে ফিরে যাবার আকাঙ্ক্ষা নাকি মদিনা সনদে ফিরে যাবার প্রারম্ভিক প্রস্তুতি এই সুলতানি সাজে বিয়ে? কারণ একটা জাতির ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে সেই জাতির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন কোন দিকে এগুচ্ছে তার উপর।

দুবনা, ০২ জুলাই ২০২৫