Thursday, February 27, 2025

দেশ ও মানুষ

বাংলাদেশকে যদি একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করা হয় তাহলে বলতে হবে এই এই মুহূর্তে সে প্রচন্ডরকম অসুস্থ। জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত সমস্ত শাসক কৃমির মত এর প্রাণশক্তি শুষে নিয়েছে আর রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন সংগঠন গুঁড়া কৃমির মত একে অস্থির রেখেছে। সাধারণ মানুষ, যা দেশের প্রাণ, বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে দিশেহারা সময় পার করছে।

দুবনা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Monday, February 24, 2025

সমস্যা

বাংলাদেশের রাজনীতির বড় সমস্যা হচ্ছে অবাধ স্বাধীনতা। যে যা খুশি তাই করছে। সরকার চোরকেও সাজা দিচ্ছে না, গৃহস্থকেও নিরাপত্তা দিচ্ছে না। সবাইকে স্বাধীনতা দিয়েছে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। এমন স্বাধীনতা আর কোথায় আছে?
কিন্তু এতে লাভ? মরছে তো ভালো মানুষ।
মরছে নিজেদের দোষে। চোরেরা ঐক্যবদ্ধ, গৃহস্থেরা বিচ্ছিন্ন। যতদিন গৃহস্থেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের রক্ষা না করবে ততদিন এরা মার খাবে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ তাদের হতেই হবে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যত তাড়াতাড়ি এটা তাদের বোধগম্য হবে তত মঙ্গল।

দুবনার পথে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Sunday, February 23, 2025

বিপ্লব

যেখানেই বিপ্লব সেখানেই টাকা। যে সে টাকা নয় খোদ আমেরিকান টাকা। আধুনিক রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লব নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টি জার্মান সরকারের সাহায্য পেয়েছিলেন। না, জার্মানি সমাজতন্ত্র বা বলশেভিকদের বন্ধু ছিল না, তাদের দরকার ছিল রাশিয়াকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র শক্তির কাছ থেকে সরিয়ে দেয়া। একসময় আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লব ঘটাত অস্ত্রের বলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমেরিকা সফ্ট ফোর্স ব্যবহার করে বিভিন্ন এনজিও, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। যদিও গণতন্ত্র ও পশ্চিমা ধাঁচে সমাজ গঠনের কথা বলা হয় সামাজিক ভাবে ও শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া তৃতীয় বিশ্বের দেশে দিনের শেষে এসব প্রত্যাখ্যাত হয়। থেকে যায় শুধু পুরানো ব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষ আর রাশ রাশ অনিশ্চয়তা। 

মস্কোর পথে, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Saturday, February 22, 2025

শিক্ষা

আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেই না সেটা ঠিক নয়। নেই। তবে আমাদের সমস্যা হল আমরা ইতিহাস থেকে আংশিক শিক্ষা নেই। কীভাবে? যেমন ধরুন আমরা সব সময় ১৯৭৫ এর ঘটনার পেছনে একদল বিপথগামী সেনা অফিসার বা আমেরিকার ষড়যন্ত্রের কথা বলি কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পুরো মন্ত্রীসভা মোশতাকের সাথে চলে গেল সেটা নিয়ে কথা বলি না। ঘটনার ফলাফলের উপর নির্ভর করে আমাদের সিদ্ধান্ত, কিন্তু কেন সেটা ঘটল সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার কারণ খুঁজি না আর সে জন্যেই আমরা ইতিহাস থেকে সঠিক শিক্ষা নিতে পারি না, ভবিষ্যতে একই ভুল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি না। একেই বলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

দুবনা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Friday, February 21, 2025

একুশের শুভেচ্ছা!

যদি ভুল না করি ছোটবেলায় ভাষার সংজ্ঞা ছিল এরকম - মনের ভাব মুখে প্রকাশ করার নাম ভাষা। যারা মনে বিষ লুকিয়ে রেখে মুখে অমৃত বর্ষণ করে তাদের কথা কি ভাষার সংজ্ঞায় সঠিক? যাদের মনের ও মুখের ভাষা বাংলা, যারা মনে ও মুখে বাঙালি এবং যারা মনে ও মুখে বাহান্ন ও একাত্তরের চেতনা ধারণ করে তাদের সবাইকে জানাই একুশের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দুবনা, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Thursday, February 20, 2025

সমস্যা

আমরা যখন কোন সমস্যার সমাধান খুঁজি তখন শুধু সেই সমস্যা নিয়েই ভাবি। কিন্তু এই সমাধান যে নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে সেটা প্রায়ই মনে রাখি না। ফলে ওষুধের সাইড এফেক্টের মত নতুন অসুখ পাই। আজ বিভিন্ন দেশে যে রক্ষণশীল রাজনৈতিক শক্তির উত্থান সেটা লিবারেল রাজনীতির ব্যর্থতার কারণেই। প্রতিটি সিস্টেমের সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা মাথায় রেখেই চলতে হয়। যদি কেউ ভাবে শুধুমাত্র সদিচ্ছা (সব সময় নয়) দিয়েই সব বাধা অতিক্রম করা যাবে তবে সেই সিস্টেম ব্যর্থ হতে বাধ্য। তাছাড়া সমাজে সবসময়ই একাধিক আইডিয়া থাকবে। কোন কিছুকে দাবিয়ে নয়, সবার জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার মধ্যেই নির্ভর করে সিস্টেমের স্থায়িত্ব।

দুবনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Wednesday, February 19, 2025

ভুল শুদ্ধ

আমাদের সব দেশে বড় মানেই সঠিক। এই বড় অবশ্য বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। বয়সে বড়, পদে বড়, সামাজিক অবস্থানে বড়। পরিবারে যেমন বাবা-মা, বড় ভাইবোন সমাজে তেমনি সামাজিক অবস্থান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, চাকরি ক্ষেত্রে পদ। আর কেউ যদি একবার মন্ত্রী বা উপদেষ্টা হতে পারে তাহলে তো আর কথাই নেই। তারা যা বলে সেটাই একমাত্র সত্য আর যা করে সেটাই একমাত্র না হলেও সবচেয়ে ভালো সমাধান। আর এ সবই আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে জড়িত। তাই যখন কোন উপদেষ্টা বলে দেশে বর্তমানে সাংস্কৃতিক পরিবেশ যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো এটা তার ভুল নয়, এটা পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ।

দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Tuesday, February 18, 2025

শিখণ্ডী

রাস্তাঘাটে তৌহিদী জনতা আর ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্র এরাই মনে হয় ক্ষমতাসীনদের নতুন যুগের শিখণ্ডী! দেশ ও জনগণের স্বার্থের কথা বলে তৌহিদী জনতা ও সাধারণ ছাত্রদের ছদ্মবেশে আখের গোছাতে ব্যস্ত যারা তাদের চিহ্নিত করতে অনেকেই হয় ব্যর্থ হচ্ছে না হয় ইচ্ছে করে না বোঝার ভান করছে। সে অর্থে আধুনিক শিখণ্ডী অনেকের জন্যই বর্ম হিসেবে কাজ করছে।

দুবনা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Sunday, February 16, 2025

অবিশ্বাস

বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সীমান্ত রেখা একাত্তরের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তিকে বিভক্ত করে রেখেছে স্বাধীনতার পর থেকেই কিন্তু ভোটের রাজনীতি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আওয়ামী পন্থী ও আওয়ামী বিরোধীদের আলাদা করে চলেছে অবিরাম যদিও তথাকথিত লীগ পন্থী শিবিরে ট্রয়ের ঘোড়া সেজে ঢুকে গেছে অসংখ্য পাক পন্থী তথা বাংলাদেশ বিরোধী দানব। কখনোই অতীতকে অতীতে ফেলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ পন্থী একটি জাতি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে সবাই সবাইকে অবিশ্বাসের চোখেই দেখে যাচ্ছে। অবিশ্বাস নিয়ে কি ঐক্য হয়। দেশ, জাতি এসবের মূলেই তো থাকে ঐক্যের ডাক। 

মস্কো, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Saturday, February 15, 2025

নতুনত্ব

ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা নিষিদ্ধ হলেও ভালোবাসার বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ নয়। "নতুন বোতলে পুরান মদ" বহুল প্রচলিত এই ধারণার জায়গা নিয়েছে "পুরানো বোতলে নতুন মদ।" 

দুবনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Friday, February 14, 2025

কি করতে হবে

আগে বুদ্ধিজীবীরা ভয় পেত পাছে তাদের রাজাকার বলে গালি দেয়, এখন ভয় পায় পাছে তাদের স্বৈরাচারের দোসর বলে গালি দেয়। আরে ভাই বাংলাদেশপন্থী হন আর যা দেশের জন্য খারাপ তার সমালোচনা করুন, সেটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষা করার জন্য সোচ্চার হোন। অন্ধবিশ্বাসীদের গালিগালাজ আমলে নিলে একসময় নিজেকেও এই অপকর্মের দায়ভাগী হতে হবে।

দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Monday, February 10, 2025

নাটক

সব দেখে মনে হয় এক বইয়ের মত আমাদের নাটকের স্ক্রিপ্টও একটাই। শুধু যাত্রার দল বদল হয়, নায়ক-নায়িকা, নটনটী বদল হয়, কিন্তু যাত্রার পালা সবসময় একটাই থাকে। দর্শকের সারিতে থাকার সময় পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেও স্টেজে উঠলে সবাই সেই আগের নাটকই শুরু করে। বরং নবাগতরা আরও জোরে তলোয়ার চালায়, আরও চড়া স্বরে হুমকি ধামকি দেয়। মানুষকে স্বাধীন করার কথা বলে সিংহাসনে বসলেও স্বাধীন হয় নিজেরা - হ্যাঁ, স্বাধীন ভাবে তারা স্বেচ্ছাচারিতা চালায়। ষড় ঋতুর মত ষড় রিপু যখন জেঁকে বসেছে মানুষের ঘাড়ে তখন এ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

দুবনা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Sunday, February 9, 2025

প্রশ্ন

একাত্তরে আমাদের গ্রাম লুট হয়েছিল, আমাদের বাড়ি লুট হয়েছিল। আমরা তখন পালিয়ে ছিলাম অন্য গ্রামে। চাক্ষুষ লুট দেখিনি। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেছি সেই তাণ্ডব। এবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কল্যাণে লুটের প্রামাণ্য ভিডিও দেখলাম। সবাই কী শান্তভাবে অন্যের বাড়ির জিনিস পত্র নিয়ে হাসি মুখে চলে যাচ্ছে। যেন এইমাত্র কোন প্রতিযোগিতায় জিতে পুরস্কার নিয়ে এল। আচ্ছা এই জেনারেশন যখন দেশের হাল ধরবে তখন দেশের কী হবে? লুটের মাল তো একদিন শেষ হবে। শেষ হবে সেই সব বাড়িঘর যেখানে লুট করা যায়। হাজার হাজার পেশাদার লুটেরা তখন জীবিকা উপার্জন করবে কীভাবে? 

দুবনার পথে, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খেলা

আজ উদীচির নতুন কমিটি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখলাম। আপাতত কেন্দ্রীয় কমিটির দুটি ভিন্ন চেহারা দেখলাম। সভাপতি নিয়ে দ্বিমত না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুটি ভিন্ন নাম। প্রশ্ন এখানেই।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে। দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃশ্যমান স্মৃতি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ভালো বা মন্দ সে বিষয়ে নতুন করে কিছু না বলে শুধু এইটুকু বলা যায় দেশ বর্তমানে (এমনকি তাঁর কন্যার শাসনামলেও) যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে সামর্থ্য থাকলে তিনি নিজেই হয়তো সরকারী বেসরকারী সব জায়গা থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতেন যাতে সীমাহীন ঘুষ দুর্নীতির সাক্ষী হতে না হয়। আমার ধারণা বর্তমানে উদীচির সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কমরেড সত্যেন সেন নিজেও সেখান থেকে পালানোর পথ খুঁজছেন। সম্মান যদি করতে না পারেন অপমান করা থেকে বিরত থাকুন। আমাদের পূর্বসূরীরা এসব সংগঠন সৃষ্টি করেছিলেন দেশের মানুষকে মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত করতে, আপনাদের ক্ষমতার ইঁদুর বিড়াল খেলার জন্য নয়। 

মস্কো, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Saturday, February 8, 2025

ভাঙন

জিন্নাহ অবিভক্ত ভারত ভেঙেছিলেন, শেখ মুজিব পাকিস্তান ভেঙেছিলেন আর সমন্বয়করা বাংলাদেশ ভাঙছে। চেইন বিয়্যাকশন চলছে অদম্য গতিতে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এরা কেউই একে অন্যের অনুসারী নয় - শেখ মুজিব জিন্নাহকে গুরু মানেননি, সমন্বয়করা মুজিবের শিষ্য নয় অথচ সবাই কি একাগ্রতার সাথে ভাঙনের কাজ করে গেছে।

মস্কো, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Wednesday, February 5, 2025

জয় বাংলা

দাগি অপরাধীদের পাশে ক্রুশবিদ্ধ করেও যীশুর বাণী স্তব্ধ করা যায়নি। সপরিবারে হত্যা করে বা বত্রিশ নম্বর মাটিতে মিশিয়েও শেখ মুজিবের স্মৃতি বাংলার মাটি, কোটি কোটি বাঙালির মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। কারণ শেখ মুজিব শুধু দোষে গুণে গড়া একজন মানুষ নন, তিনি একটা ধারণা যার নাম বাংলাদেশ। 

জয় বাংলা!

দুবনা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Tuesday, February 4, 2025

উপলব্ধি

বাংলাদেশে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তারা চায় বিগত সরকারকে সব দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে। তবে এই আগ্রহ মূলত বাজার দখল, অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বর্তমান সরকার অবশ্য ভিন্ন পথে চলছে। সব দেখে মনে হয় খুন, ধর্ষণ, গ্রেফতার, অপহরণ, অরাজকতা এসব বিষয়েও এই সরকার ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে আর যদি না হয় এটা করতে তারা বদ্ধপরিকর।

দুবনা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নষ্ট সময়

একটা কথা আছে - অতি চালাকের গলায় দড়ি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে গিয়ে এক সময় নিজেরাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল কিন্তু অপরিণামদর্শিতার কারণে ধর্ম এদের ব্যবহার করছে নিজের রাজনৈতিক এজেন্ডা সফল করতে। এমনকি যারা এক সময় বলতেন জমি বর্গা দেয়া যায় কিন্তু স্বার্থ বর্গা দেয়া যায় না আজ তারাও সবার আগে স্বার্থ বর্গা দিয়ে বসে আছেন। ভাবছি কে পচল - মানুষ না সময়?

দুবনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Monday, February 3, 2025

নিজেকে ভালোবাসা

অনেকেই নিজেকে ভালোবাসতে লজ্জা পায়, আরও বেশি লজ্জা পায় সেটা স্বীকার করতে। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের সাথে থাকা, নিজের পাশে থাকা, নিজেকে হাত বাড়িয়ে দেয়া এটা সব সময় সাফল্য না আনলেও ব্যর্থতা মোকাবেলা করার সাহস ও শক্তি যোগায়। তবে এটা যেন অন্ধ ভালোবাসা না হয়। তার পেছনে যেন যুক্তি থাকে। যুক্তি দিয়ে নিজেকে ভালোবাসা অনেকটা নিজেকে জানার নামান্তর। 

মস্কো, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Sunday, February 2, 2025

ক্ষমতা

বাংলাদেশে ক্ষমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য হল তার পিঠে যেই সওয়ার হয়ে তাকেই সে বশ মানায়। ডিগ্রী, অভিজ্ঞতা, পরিচিতি সব যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে এই ক্ষমতার দাপটে। আর এই ক্ষমতা সবসময়ই বর্তমান স্বামীকে এক্স স্বামীদের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলে। এখানে ক্ষমতার পাঠশালায় শুধু ঘৃণার পাঠ শেখানো হয়, ক্ষমার স্থান নেই এখানে।

মস্কো, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিনোদন

ছাত্রদের দাবি দাওয়া সংক্রান্ত ভিডিও দেখলাম। কিছু সমন্বয়কের ভিডিও দেখলাম। ডাস্টবিন তুল্য প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ছবি দেখলাম। এতক্ষণে বুঝলাম কেন দেশে গান বাজনা নাটক এসব এক এক করে বন্ধ করা হচ্ছে। এসবই তো বিনোদনের জন্য। ছাত্র, সমন্বয়ক, উপদেষ্টা সব মিলে নিজেরাই দেশবাসীকে এত বিনোদন উপহার দিচ্ছে যে নতুন শিল্পীর দরকার নেই। সুনীল গাভাস্কার এক সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীকে এ বাঞ্চ অব জোকার বলেছিলেন। এমনিতেই মনে পড়ে গেল।

মস্কোর পথে, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫