Wednesday, February 6, 2019

আম আর ছালার বিদায় বৃত্তান্ত

আমি দিন দিন বেশ দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হচ্ছি বলে মনে হয়! কেন, বিশ্বাস হয় না?
সকালে দেখি ফ্রিজে কয়েকটা আমের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কিছু একটা করা দরকার। আর যাই হক দুই শ’ রুবলের আম তো আর এভাবে ফেলে দেওয়া যায় না! আমকে আচার বা চাটনি করে নতুন জীবন দান করলে কেমন হয়? কিন্তু আম ছালা দুটোই  যদি চলে যায়? তখন মনে পড়ল রাশিয়ান প্রবাদ “কোপেইকা রুবল বেরেঝিওত” মানে “পয়সা টাকা সেভ করে”। সুতরাং রিস্ক একটা নিতেই হয়।  
আমের সাথে লেবু, গোল মরিচ, শুকনো মরিচ, লবন, চিনি এসব দিয়ে চিতায় তুলে দিলাম। শত হলেও আমের শেষকৃত্য বলে কথা। এরপর সব ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী। ওগুলো একটু ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে নিজের কাজ করা। খাবারটা হাতে নিয়ে বসলাম কম্পিউটারের পাশে গল্প করতে। খেতে খেতে একসময় নাকে আসলো আমের গন্ধ।  বুঝলাম আঁচ কমানোর পৃষ্ঠাটা বাতাসে উল্টে গেছিল।
লেবু অনেক আগেই পালিয়েছে। লবন আর চিনির কালো সিরাপে আম হাবুডুবু খাচ্ছে। না, পয়সা টাকাকে বাঁচাতে পারেনি। অবশ্য এতে অবাক হবার কিছু নেই। শত হলেও আমি মহাকাশ নিয়ে কাজ করি। এখানে ভারী বস্তু হাল্কা বস্তুকে কান ধরে নিজের চারিদিকে ঘোরায়। সুতরাং পয়সা যে টাকার পেছনে দৌড়বে সেটাই স্বাভাবিক।
আর হ্যাঁ, নিজের ভবিষ্যৎ বানীটাও ফলে গেল। আম আর ছালা দুই গেল।

দুবনা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 




No comments:

Post a Comment