Tuesday, February 5, 2019

মায়া মুখ


আজকাল বাতাসে তোমার মুখটা প্রায়ই দেখতে পাই।
বরফ কণা আর শিশির বিন্দু দিয়ে আঁকা
সে মুখ কখনও কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে যায়।
কখনোবা বরফেরা খেলা করে তোমার কালো চুলে।
আমি দেখি আর দেখি। চোখ বন্ধ করে দেখি।
সেদিন হঠাৎ করেই কোথায় যেন দেখা হয়ে গেল।
একটা বেঞ্চিতে বসে ছিলে তুমি। ঠিক মস্কোর মেট্রোয়
যেসব বেঞ্চি থাকে সে রকম দেখতে।  তবে জায়গাটা
একেবারেই অচেনা। অনেক সময় স্থান আর কাল
ঠিক ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা পাত্রপাত্রী।
সেই ডাগর চোখ, সেই মায়াবী হাসি। না না,
তাতে কোন মায়া বা মমতা ছিল না। এ মায়া ছলনা।
হ্যাঁ, তোমার মুখে ছিল ছলনার হাসি।
ঠিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি পায়ের নীচে রাস্তাটা দৌড়চ্ছে।
আজকাল রাস্তা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। কেন যে এত তাড়া ওর?
রাস্তাটাও মিকলুখো মাকলায়া আর সেরপুখভস্কি ভালের এক উদ্ভট সমন্বয়।
অনেক আগে আমাদের যৌবন ওখানে ঘুরে বেড়াত। কখনও শীতের
শুভ্র বরফ, কখনো বা শরতের সোনাঝরা পাতা আর্তনাদ করে উঠত
আমাদের পায়ের নীচে। সেদিনও আমরা হাঁটছিলাম অজানা পথে
উদ্দেশ্যহীন।  অবশ্য উদ্দেশ্য বিধেয় আমাদের কোন কালেই ছিল না,
ছিল শুধু নিরুদ্দেশ পথচলা। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎহীন ।
ছিল শুধু স্বপ্ন, শুধুই স্বপ্ন, কিছু ছলনা আর মায়া।

দুবনা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯       




No comments:

Post a Comment